মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাধাগ্রস্ত নানা কুসংস্কারে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
মাসিক বা ঋতুস্রাব প্রজনন চক্রের সবচেয়ে প্রাকৃতিক এবং অপরিহার্য অংশগুলোর একটি হলেও এটিকে এখনো ট্যাবু বা নিষিদ্ধ বিষয় ও মেয়েলি সমস্যা হিসাবে দেখা হয়।
মাসিক নিয়ে সমাজে নানা কুসংস্কারের জন্য দৈনন্দিন কাজে নারীদের তৎপরতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাধাগ্রস্ত হয়। প্রায়ই তাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে খোলামেলাভাবে আলোচনা করা হয় না, পরিবার বা স্কুল পর্যায়ে যথাযথ নির্দেশনা দেওয়া হয় না। তাই মাসিকের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে ও এ বিষয়ে নীরবতা ভাঙতে হবে। নারীরা যেন সুরক্ষিতভাবে সম্মানের সঙ্গে তাদের মাসিক স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি পরিচালনা করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্বব্যাপী মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার রাজধানীর এক হোটেলে মাসিক স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যবিধি (এমএইচএম) প্ল্যাটফরম আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। এ বছর মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবসের প্রতিপাদ্য- আসুন, সবাই মিলে গড়ি, মাসিকবান্ধব পৃথিবী।
অনুষ্ঠানে দেশের নারীদের স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার চাহিদা মেটাতে অব্যাহত কার্যক্রম ও উদ্ভাবনের আহ্বান করা হয়। সরকারি অঙ্গীকার এবং উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। যা মাসিক স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধির সমস্যাগুলো অতিক্রম করতে সহায়তা করবে বলা হয়।
উন্নয়ন সংস্থা ডরপ-এর নির্বাহী পরিচালক যোবায়ের হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ শামীম আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) পরিচালক ডা. শেখ দাউদ আদনান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. একিউএম শফিউল আজম। উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডস দূতাবাস বাংলাদেশের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজর মুশফিকা জামান সাটিয়ার, সিমাভির কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলক কুমার মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্ল্যাটফরমের চেয়ারপারসন হাসিন জাহান। এছাড়া আলোচনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ পলিসি সাপোর্ট অধিশাখার যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ শামীম আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডা. শেখ দাউদ আদনান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক একিউএম শফিউল আজম। অনুষ্ঠানের একটি পর্বে তরুণ অংশগ্রহণকারীরা মাসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।