
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১০ এএম
ভাড়া করা যন্ত্রে চাষ, বাংলাদেশের কৃষকের জন্য কি এটাই ভবিষ্যৎ?

ড. এম আব্দুল মোমিন
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম

আরও পড়ুন
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ প্রতিনিয়তই আধুনিক কৃষিতে রূপান্তর হচ্ছে; যা দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষকের কায়িক শ্রম কমাতে, ফসলের খরচ কমাতে এবং কৃষকের কাজের সময় বাঁচাতে কৃষি যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েই চলেছে।
এই আধুনিকায়ন শুধু কৃষকের জীবনযাত্রাই বদলাচ্ছে না, বরং দেশের অর্থনীতিতেও বড় পরিবর্তন আনছে। কৃষি এখনো দেশের অন্যতম বৃহৎ কর্মসংস্থান খাত, আর মোট দেশজ উৎপাদনেও এর ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১১.০২% কৃষি খাত থেকে এসেছে। যদিও শিল্প ও সেবা খাতের প্রসার দ্রুত ঘটছে, দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪৫% এখনও কৃষির সঙ্গে যুক্ত। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
শুধু ফসল উৎপাদনই নয়, কৃষি খাত শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, রপ্তানি, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপরও গভীর প্রভাব ফেলে। তবে এই খাতের আরও উন্নতির জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, আধুনিক প্রযুক্তি এবং যান্ত্রিকীকরণের বিস্তার জরুরি। এখনও অধিকাংশ কৃষক সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করায় উৎপাদন খরচ বেশি হয়, যা তাদের আয় কমিয়ে দিচ্ছে।
যান্ত্রিকীকরণের ফলে কৃষকদের এই উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। শাইখ সিরাজ, দেশের কৃষি উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা একজন বিশ্লেষক ও গবেষকের মতে- একজন কৃষক যদি এক বিঘা (৩৩ শতক) জমি চাষ করতে গরুর হাল ব্যবহার করেন তাহলে তার খরচ পড়তে পারে প্রায় ২,০০০ টাকা; কিন্তু পাওয়ার টিলার ব্যবহার করলে এই খরচ নেমে আসে ১,৫০০ টাকায়, আর ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করলে সেই খরচ দাঁড়ায় মাত্র ৬০০ টাকা। ধান কাটার ক্ষেত্রেও চিত্র একই। হাতে ধান কাটতে বিঘাপ্রতি ২,০০০ টাকা খরচ হলেও, কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করলে এই ব্যয় কমে দাঁড়ায় মাত্র ৫০০ টাকা। একইভাবে, প্রচলিত পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণে বিঘাপ্রতি খরচ হয় ২,২০০ টাকা, যেখানে আধুনিক রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার ব্যবহারে খরচ নেমে আসে মাত্র ৫০০ টাকায়। অর্থাৎ, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে উৎপাদন খরচ প্রায় ৭৫% পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
বাংলাদেশে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ
বাংলাদেশ কৃষি খাতে যান্ত্রিকীকরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করলেও সব ধাপে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতিকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি। শাইখ সিরাজের বিশ্লেষন অনুযায়ী, দেশে চাষাবাদে ৯৫% যান্ত্রিকীকরণ সম্পন্ন হয়েছে, সেচ ব্যবস্থায়ও ৯৫% যন্ত্রের ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু ফসল কাটার ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ১.৫%, আর চারা রোপণের ক্ষেত্রে তা ০.৫% এর নিচে। ফলে কৃষিকাজের সব ধাপে যান্ত্রিকীকরণ না হওয়ায় উৎপাদন ব্যয় কমছে না, বরং শ্রমনির্ভর কাজের কারণে খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ যেখানে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে, সেখানে কৃষি খাতের আধুনিকীকরণ এবং যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছাবার পথেও রয়েছে নানারকম চড়াই উতরাই।
উচ্চমূল্যই প্রধান বাধা
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি শুমারি ২০১৯ অনুযায়ী, দেশে মোট কৃষক পরিবারের সংখ্যা ১ কোটি ৬৮ লাখ, যার মধ্যে প্রায় ৯২% ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক। এরা বেশিরভাগই স্বল্প আয়ের কৃষক, যারা মূলত ছোট জমির মালিক এবং কৃষিকাজের জন্য অধিক পরিমানের খরচ লগ্নি করতে পারেন না। এদের মধ্যে আবার ১২ লাখের বেশি কৃষক পরিবার অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে চাষাবাদ করেন যা মোট কৃষক পরিবারের ৭.৪৮%।
অর্থনৈতিক অসামর্থ্যের কারণে এদের অনেকেই নিজস্ব জমিতে চাষাবাদ করতে পারেন না এবং বাধ্য হয়ে অন্যের মালিকানাধীন জমি লিজ নিয়ে কৃষিকাজ চালিয়ে যান। এমতাবস্থায় এদের বেশিরভাগের জন্য উচ্চমূল্যের আধুনিক যন্ত্রপাতি যেমন পাওয়ার টিলার, রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার, কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার, পাওয়ার থ্রেশার কেনা প্রায় অসম্ভব।
উদাহরণস্বরূপ, বাজারে একটি ট্রাক্টরের দাম ১৭-১৯ লাখ টাকা, একটি কম্বাইন হারভেস্টারের দাম প্রায় ৩০ লাখ টাকা, এবং পাওয়ার টিলারের দাম প্রায় ৬০,০০০ টাকা যা অনেক প্রান্তিক কৃষকের পক্ষে তা এককভাবে ক্রয় করা কষ্টসাধ্য।
এই উচ্চমূল্যের অন্যতম কারণ সরবরাহ শৃঙ্খলার মধ্যস্থতাকারীদের একাধিক স্তর। পাওয়ার টিলারসহ অধিকাংশ কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানির পর পাইকার, খুচরা বিক্রেতা ও মধ্যস্থতাকারীদের কারণে ৩০-৪০% পর্যন্ত বেশি দামে কৃষকদের কাছে পৌঁছে।
বেশিরভাগ কৃষক একবারে পুরো টাকা দিয়ে যন্ত্র কিনতে পারেন না। কিস্তিতে কেনার সুযোগ থাকলেও উচ্চ সুদের হার ও কঠোর শর্তের কারণে অনেকেই তা নিতে পারেন না, ফলে তারা বাধ্য হয়ে ভাড়ায় যন্ত্র ব্যবহার করেন, যা দীর্ঘমেয়াদে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কৃষি যন্ত্রপাতির ভাড়ার ওপর নির্ভরশীলতা
কনসালটিভ গ্রুপ ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চের (সিজিআইএআর) গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ধান চাষিদের ৮০-৯৮% কৃষক ভাড়ায় কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে বাধ্য হন যন্ত্রপাতির উচ্চমূল্যের কারনে। প্রায় ৯৮% কৃষক ভাড়ায় ট্রাক্টর চালান, একইভাবে প্রায় ৯৫% কৃষক ভাড়ায় পাওয়ার টিলার ব্যবহার করেন এবং ৮৪% কৃষক সেচের জন্য ভাড়ায় পাওয়ার পাম্প নেন।
ফলে কৃষকদের উৎপাদন খরচের একটি বিশাল অংশ যন্ত্রপাতির ভাড়ায় ব্যয় হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে তাদের জন্য আর্থিকভাবে ক্ষতিকর। সরকার যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি দিলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, কঠিন আবেদন প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বেশিরভাগ কৃষক এই সুবিধা পান না। বাধ্য হয়ে তারা মহাজনের কাছ থেকে কঠোর শর্তে ঋণ নেন, যা তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে আরও দুর্বল করে। এভাবে কৃষকরা একটি চক্রাকার শোষণমূলক ব্যবস্থার ফাঁদে আটকা পড়ে যান।
কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে বাংলাদেশের কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার প্রায় ১১,০০০ কোটি টাকার, যার প্রায় ৯৫-৯৯% বিদেশি আমদানির ওপর নির্ভরশীল। দেশীয় উৎপাদন সীমিত হওয়ায়, শুধুমাত্র ধান মাড়াইয়ের জন্য ব্যবহৃত থ্রেসার মেশিন দেশে তৈরি হয়।
এই বিদেশি নির্ভরতার কারণে বিশ্ববাজারের দামের ওঠানামা, মুদ্রার বিনিময় হার এবং শুল্কনীতির প্রভাব সরাসরি কৃষি যন্ত্রপাতির দামে পড়ে। এতে কৃষকদের জন্য ন্যায্য মূল্যে যন্ত্র কেনা কঠিন হয়ে যায়। তাছাড়া বড় আমদানিকারকরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় প্রতিযোগিতা কমে গেছে, যার ফলে কৃষকদের হাতের নাগালে কৃষি যন্ত্রপাতি পৌঁছানো আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।
উত্তরণের পথ কী?
বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে সহজ অর্থায়ন, প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রশিক্ষণ ও দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো জরুরি। শুধু ভর্তুকি নয়, প্রয়োজন সরাসরি কৃষকের কাছে সুলভ মূল্যে যন্ত্র পৌঁছানো এবং বাজারের মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমানো। উচ্চমূল্যের কারণে কৃষকরা ভাড়ার ওপর নির্ভরশীল, যা দীর্ঘমেয়াদে ব্যয় বাড়াচ্ছে। এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন একটি সমন্বিত পরিকল্পনা, যা কৃষকের উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধি করবে।
কৃষকদের জন্য সহজলভ্য ঋণ ও সরকারি ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে তারা প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সহজে কিনতে পারেন। বর্তমানে কৃষি ভর্তুকির সুবিধা সব কৃষকের কাছে পৌঁছায় না, ফলে অনেকে ঋণ নিতে বাধ্য হন, যা তাদের আর্থিকভাবে আরও দুর্বল করে। আইফার্মার ও অন্যান্য কৃষিপ্রযুক্তি উদ্যোগগুলো কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টা করছে।
তবে শুধু ভর্তুকি নয়, কৃষকদের যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিও জরুরি। অনেক প্রান্তিক কৃষক আধুনিক যন্ত্রপাতির কার্যকারিতা জানেন না, ফলে যন্ত্রের স্থায়িত্ব কমে এবং উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হয়।
কৃষিপ্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী উদ্যোগ গুলো এই ক্ষেত্রে কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও অভিজ্ঞতা বিনিময় প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলছে, যা যন্ত্রের সঠিক ব্যবহারে সহায়তা করবে। যেমন আইফার্মার এখন পর্যন্ত ৭টি ‘এগ্রি মেশিনারি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার’ চালু করেছে যেখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কৃষি যন্ত্রপাতি এক ছাদের নিচে পাওয়া যায়। সাধারণত কৃষকদের বিভিন্ন দোকানে ঘুরে যন্ত্রপাতি কিনতে হয়, যেখানে সরাসরি ব্যবহার বা পরবর্তী সেবা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না। এই এগ্রি মেশিনারি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারগুলোতে কৃষকরা কেনার আগে সরাসরি যন্ত্রপাতি দেখে, পরীক্ষা করে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা পেতে পারবেন।
তবে শুধু প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিই যথেষ্ট নয়, কৃষকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে যন্ত্রপাতি কেনার সুযোগও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কৃষি যন্ত্রপাতির দাম কৃষকদের নাগালের মধ্যে আনতে সরাসরি উৎপাদনকারীদের সঙ্গে কৃষকদের সংযোগ বাড়াতে হবে। বর্তমানে বাজারে একাধিক মধ্যস্থতাকারীর কারণে যন্ত্রের মূল্য অপ্রয়োজনীয়ভাবে বেড়ে যায়। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, যেমন আইফার্মারের ‘কৃশপ’, কৃষকদের সরাসরি উৎপাদকদের সঙ্গে যুক্ত করছে, যাতে তারা ন্যায্য মূল্যে যন্ত্র কিনতে পারেন। পাশাপাশি দেশীয় উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি আরও সহজলভ্য করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আইফার্মার ইতোমধ্যেই কো-ব্র্যান্ডেড স্প্রে মেশিন তৈরি করেছে, যা কৃষকদের জন্য সাশ্রয়ী এবং মানসম্মত সমাধান দিচ্ছে।
বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতির আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকে শক্তিশালী করতে হবে। বর্তমানে বগুড়ার বিসিক শিল্প নগরী ও যশোরের মনিহার অঞ্চল দেশীয় কৃষিযন্ত্র উৎপাদনের সম্ভাবনাময় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে। এই খাতকে আরও সম্প্রসারিত করতে আইফার্মার প্রবৃদ্ধি-সুইসকনট্যাক্টের সহযোগিতায় বগুড়ায় এক অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠান আয়োজন করে, যেখানে স্থানীয় উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। এতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কৃষক ও প্রস্তুতকারকরা অংশ নেন এবং স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতির উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশের কৃষি খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য যান্ত্রিকীকরণ এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং অপরিহার্য। সরকার, ব্যাংক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প ও কৃষিপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো একসঙ্গে কাজ করলে কৃষি যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব, যা কৃষকদের আয় বাড়াবে, উৎপাদন ব্যয় কমাবে এবং বাংলাদেশের কৃষি খাতকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে। এখন সময় প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি ও সহজ অর্থায়নের মাধ্যমে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর, যাতে তারা যান্ত্রিকীকরণের পূর্ণ সুফল পেতে পারেন।
লেখক: ফ্রিল্যান্স কৃষি সাংবাদিক ও ঊর্ধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা, ব্রি-গাজীপুর, ই-মেইল: smmomin80@gmail.com