Logo
Logo
×

দৃষ্টিপাত

সচেতনতার অভাব নাকি উদাসীনতা?

আনিসুর বুলবুল

আনিসুর বুলবুল

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম

সচেতনতার অভাব নাকি উদাসীনতা?

ঢাকার ব্যস্ত সড়ক। এক মোটরসাইকেলে পাঁচজন। সামনের দিকে বসে আছে পাঁচ-ছয় বছরের এক শিশুকন্যা, চালকের পেছনে তার স্ত্রী—কোলে দুধের শিশু, আর সবচেয়ে পেছনে বসেছেন ষাটোর্ধ্ব মা। শুধু স্বামী-স্ত্রীর মাথায় হেলমেট, কিন্তু বাকি তিনজন সম্পূর্ণ অরক্ষিত। বাইকের শাড়ি গার্ডের সঙ্গে ঝুলছে বড় একটি লাগেজও।

এই চিত্র নতুন নয়, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে প্রায়শই এমন দৃশ্য দেখা যায়। সম্প্রতি রাজধানীর কাওলা এলাকায় ফটোসাংবাদিক লুৎফর রহমান এমনই একটি মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন। দৃশ্যটি আমাদের কেবল অবাকই করে না বরং উদ্বিগ্ন করে তোলে। কিভাবে পুরো পরিবার এত ঝুঁকি নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে যাতায়াত করছে? একটু ধাক্কা লাগলেই কোলে থাকা শিশুটি পড়ে যেতে পারে, পেছনে বসা বৃদ্ধ মাও হতে পারেন দুর্ঘটনার শিকার।

কিছুদিন আগেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। একটি মোটরসাইকেলে স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের শিশু সন্তান যাচ্ছিলেন। গাড়ি ওভারটেক করতে গিয়ে স্ত্রী সামনে আসা ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে গেলেন। মুহূর্তেই সব শেষ। এই দৃশ্য দেখে কার না হৃদয় কেঁপে ওঠে? কিন্তু দুর্ঘটনার পরও আমরা কেন সচেতন হচ্ছি না? প্রতিদিনই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। তারপরও কেন আমরা পরিবার নিয়ে বাইকে চড়ে রাস্তায় নামি?

মোটরসাইকেল নিঃসন্দেহে একটি সুবিধাজনক যানবাহন, তবে এর সীমাবদ্ধতাও আছে। অতিরিক্ত যাত্রী ও লাগেজ বহন, অতিরিক্ত গতি, ট্রাফিক আইন অমান্য করা—এসবই দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। আমাদের মনে রাখতে হবে, জীবন অমূল্য। সামান্য অসাবধানতার জন্য পরিবারের সদস্যদের ঝুঁকির মুখে ফেলা উচিত নয়।

একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না হয়ে ধরা দিতে পারে। তাই একটু সচেতন হলেই আমরা নিজেদের এবং আমাদের পরিবারের জীবনকে নিরাপদ রাখতে পারি। আমাদের মনে রাখতে হবে—নিরাপদ চলাচল আমাদের হাতেই। সচেতনতা, আইন মেনে চলা এবং সাবধানতা অবলম্বনই পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম