-67b50d6840ad6.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করার এক উত্তম সময় হলো পবিত্র মাহে রমজান। এ মাসে সবাই বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করে স্রষ্টাকে খুশি করায় ব্যস্ত থাকে। রমজান আসতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। রমজানকে কেন্দ্র করে গত এক মাস ধরে ব্যবসায়ীরা খাদ্যপণ্য মজুত করায় ব্যস্ত। তবে সুষ্ঠু বণ্টনের জন্য নয়, বরং বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির লক্ষ্যে, যাতে পরে চড়া মূল্যে পণ্য বিক্রি করা যায়। অনেক দেশেই রমজান মাসকে কেন্দ্র করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমিয়ে দেওয়া হয়, যেন দেশের মানুষ অন্তত এ মাসে একটু ভালো খেতে পারে, আনন্দে কাটাতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী আছে, যারা বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এ মাসে যে পণ্যগুলোর বেশি প্রয়োজন হয়, যেমন-ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি, খেজুর, পেঁয়াজ, ছোলা, মসলাজাতীয় এবং অন্যান্য পণ্যের দাম কোনো কারণ ছাড়াই বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ফলে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এ রহমতের মাসটিও অতিবাহিত করা কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। এমনিতেই বর্তমান বাজারমূল্যের জন্য প্রায় সবাইকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শাক-সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস এখন প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
রমজান মাসে সবাই একটু আনন্দে কাটাতে চান। কিন্তু এসব স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ীদের জন্য তা সম্ভব হয় না। সংকট তৈরি করে তারা প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেও এর কোনো সুষ্ঠু সমাধান হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও এসব স্বার্থান্বেষী মহলের কারণেই বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তাই কর্তৃপক্ষের উচিত বাজারকে কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা, বিশেষ করে আড়ত বা গুদামঘরকে নজরে রাখা এবং এসব ব্যবসায়ীর জন্য উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা। সরকারের উচিত রমজান মাসসহ সারা বছর যেন খাদ্যপণ্য নিয়ে জনমনে শান্তি বিরাজ করে, সেজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ