Logo
Logo
×

দৃষ্টিপাত

ভিক্ষুক

Icon

রাজীব কুমার দাশ

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম

ভিক্ষুক

প্রতীকী ছবি

প্রায়ই দেখি কিছু ইন্টারনেটখেকো ব্যবসায়ী পরজীবী পণ্ডিত কথিত মোটিভেশনাল স্পিকার এটা-ওটা নিয়ে পরজীবী পোকা ছত্রাকের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি করে চলেছেন। তাদের সুড়সুড়িমার্কা কথামালা কেউ কেউ দেখেন শোনেন। কেউবা সন্তর্পণে এড়িয়ে যান। কেউ কেউ খয়রাতি ভিক্ষুক তাড়ানো মনে লাইক কমেন্টস করেন। কেউবা এক লাখ তেত্রিশ হাজার হাইভোল্টেজ লাল ঘৃণা স্টিকার দিয়ে খালি হাতে বিদায় করে দেন।

আসলে কী ইন্টারনেটখেকো পরজীবী ভিক্ষুক ভিক্ষা না নিয়ে সরে যান? না উনি সরে যান না। উনি চশমখোর ঘৃণা বাসর মনে অন্তর্জাল গুহায় থেকে যান জনম জনম।

হঠাৎ নতুন কোনো আনাড়ি অবুঝ এসব পরজীবী গুহার রঙবেরঙ কথামালা যাত্রার মনোমুগ্ধকর মঞ্চে পৌঁছানোমাত্র। 
বিষাক্ত ছত্রাক মোটিভেশনাল স্পিকার তার মোবাইলের সব ডাটা কেড়ে নিয়ে উপহার দেন— কখনো উগ্রবাদ, জাতিগত সহিংসতা, কখনো সন্ত্রাসবাদ, কখনো লাম্পট্যবাদ উঁচু রকমের প্রতারক হওয়ার প্রশিক্ষণ, কখনোবা তারা হাতে-কলমে শিখিয়ে দেন অজাচার ও নিষিদ্ধ সম্পর্ক।

মোটিভেশনাল স্পিকার মানে অন্তর্জাল

ব্যবসায়ী। তারা সামাজিক বিভিন্ন অস্হিরতার সুযোগ বুঝে টার্গেট করেন; বেধড়ক মানসিক দুরাবস্হার গঞ্জনা শিহরণ। হতে পারে সেটা পারিবারিক কিংবা সামাজিক লাঞ্ছনা-বঞ্চনার একাধিক।
কোর। হতে পারে, সেটা এক একটি দেশের রাজনীতি অর্থনীতি ধর্মনীতি। সেটার পুঁজি করে তারা সুকৌশলে মন ও মগজ নিবিষ্ট চোখে প্রজন্মান্তর ছড়িয়ে দেন— কখনো ঘৃণা কখনো অস্হিরতা বেহিসাবি মন। সে মোটিভেট স্নাইপার ইন্টারনেট কথামালা অস্ত্রের গোপন ভাইরাস স্থায়ী আসন গেড়ে বসেন প্রজন্মান্তর নীরস ভাবনায়।

প্রেরণার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, এ পর্যন্ত যে যা দেয় দিয়েছে - পরিবার মা বাবা ভাই বোন স্বামী স্ত্রী প্রেমিক প্রেমিকা। তাও প্রাণী মনের দ্বিচারিতা পুঁজিবাদী মনে।

আয়েশ মাস্তান। বয়স ২৫ ছুঁই ছুঁই। অন্তর্জাল সফল ব্যবসায়ী। শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি ফেল, পেশা-মোবাইল মেকানিক। স্যুট টাই পরে ফটিকছড়ি সরকারি কলেজের সামনে মোবাইল সারেন। মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন। কলেজ ছাত্রছাত্রীদের সামনে কেতাদুরস্ত ভাবসাব। ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক ভুল ধরেন। প্রথমে চা সিঙাড়া সমুচা খাইয়ে কলেজের প্রাক্তন বড় ভাই পরিচয় দেন।

: তুমি কী কর?
- বড় ভাই, ফাস্ট টিয়ারে পড়ি।
:  আরে সাড়ে সর্বনাশ করে দিলাতো। তোমাদের নিয়ে আমরা কী স্বপ্ন দেখব, ভেবে পাই না।
- বড় ভাই কী হয়েছে? আমি কী করেছি?
: আরে গাধা। টিয়ার না হবে ইয়ার। টিয়ার মানে চোখের জল। বুঝলে?
- হ বড় ভাই। ভুল হয়ে গেছে।
: সমস্যা নাই। আমার পেছনে লেগে থাকো। তোমাদের ইংরেজির পণ্ডিত বানায়ে দিমুনে।

আয়েশ মাস্তান (পলাশ) নাম ধারণ করে ঢাকা সিলেট শহরে বেশ কয়েকটা হৃদয়শালা, পাঠশালা কোচিং সেন্টার চালায়। পাশাপাশি বাসা বাসায় শিক্ষক সাপ্লাই কমিশন বাণিজ্য করেন। তারও পাশাপাশি পলাশ স্যার নামে অন্তর্জাল প্রতিষ্ঠিত অনলাইন শিক্ষক মোটিভেশনাল স্পিকার।
প্রজন্ম মনের একান্ত জিজ্ঞাসা?
ওহে মোটিভেশনাল স্পিকার অন্তর্জাল
ভিক্ষুক স্যার -
প্রজন্মান্তর দ্বিচারিতা মনের অন্তর্জাল দায়ভার বহন করবেন কে?
লেখক: প্রাবন্ধিক ও কবি, পুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ।
Mail.rajibkumarvandari800@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম