জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বিশ্ববাসীর উপলব্ধি

ডা. সাঈদ এনাম
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২০, ০৭:৫৮ পিএম

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ছবি: এএফপি
সমাজের অজপাড়া গাঁয়ের যেসব মেধাবী ছেলেপুলে পড়াশোনায় খুব ভালো, মেধাবী এক নাম্বার তাদেরকে কি কেউ কখনো পাত্তা দেয়? এক টাকা স্কলারশিপ দিয়ে বা স্পন্সর করে তাকে কি কেউ লেখাপড়ায় উৎসাহ দেয়? দেয় না। অথচ তারাই একসময় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আর রিসার্চার হয়ে আমাদের জীবন বাঁচায়, আমাদের জীবনকে সাজায়।
অপরদিকে সাধারণত 'পড়াশোনায় গোল্লা মারা' 'উড়নচণ্ডী', 'বাপে তাড়ানো', 'মায়ে খেদানো' ছেলেপুলে, যেগুলো কেবল টু টু করে ঘুরে বেড়ায়, বলে জোরে লাথি দেয় বা হাত দিয়ে জোরে বল ছুড়ে, সে ছেলেগুলোকে নিয়ে বিশ্বের নামী দামী লোক আর ক্লাবগুলো মাতামাতি করে, হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
আইডল হান্টার, ট্যালেন্ট হান্টার, পেসার হান্টার ইত্যাদি নাম দিয়ে অনুষ্ঠান করে তাদেরকে অজ-পাড়া গাঁ থেকে ধরে আনে আর তাদের পিছনে স্পন্সর করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। মেধাবী ছেলেটার চোখ দিয়ে তখন টল টল করে চোখের জল পড়ে।
আজ করোনাভাইরাসের সঙ্গে জীবন-মরণ যুদ্ধে সে বিষয়টি সবার সামনে এসেছে। আগে তো জীবন বাঁচাতে হবে তার পরে না জীবন রাঙাবেন বা ফূর্তি করবেন!