
প্রিন্ট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
ক্ষুধা চাই না, খাবার চাই

রাজীব কুমার দাশ
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২০, ১১:৩৩ পিএম

ফাইল ছবি
আরও পড়ুন
আমার নিউক্লিয়ার ও জীবাণু তত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা নেই। তবে পৃথিবীর বাসিন্দা হিসেবে অন্য ১০ জনের মতো, আবেগ আছে, কিছু বলতে। মন চায়- কারো তাচ্ছিল্য চিন্তাতে এক কথায় ‘অল্পবিদ্যা ভয়ংকর’ ও ‘পুলিশ’!
বাহ নীতিশাস্ত্রের জনক বটে! ও কি জানে? এ জাতীয় কথাগুলো আর কি! সবাই বলুক, তবু ও বলবো---- ‘একবিংশ’ শতাব্দীতে পারমাণবিক ও জীবাণু অস্ত্র ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার পরে বিশ্বের সুপার পাওয়ার দেশগুলো তাদের একাধিক স্বার্থের কারণে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে মিত্র দেশগুলোকে কাছে টানছে।
আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে কোনো দেশই এখন পারমাণবিক ও জীবাণু প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়তে নারাজ। শুধু মর্যাদা লাভের আশায়, মর্যাদা ধরে রাখার জন্যে মানব ক্লোনের যাচ্ছেতাই অমানবীয় ব্যবহার হতে শুরু করে, মারাত্মক এমন জৈব অস্ত্র প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে/ মজুদ করে কৃত্রিম তৃপ্তির ঢেকুর তুলে- ‘মনে মনে’ একান্তে অন্য দেশে প্রয়োগের চিন্তাতে নিমগ্ন!
হয়তো তাদের গবেষক বিজ্ঞানী ও জানে না, এ- মানবসৃষ্ট দুর্নমিত জীবাণু /ভাইরাস কতো ভয়ংকর হতে পারে? আজ ‘করোনাভাইরাস’ শুধু চীন নয়, সমগ্র বিশ্ববাসীর আতংকের নাম।
এ ভাইরাসের কারণে চীন বিশ্বের কাছে এক বিচ্ছিন্ন আতংকের দেশ! এরই মধ্যে যে যার মতো, আক্রান্ত চীনের করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি ও প্রয়োগের ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্লেষণধর্মী মতামত দিয়ে যাচ্ছেন।
কেউ বলেন, বাদুরের স্যুপ, বিষাক্ত সাপের কারণে, অন্যরা বলেন, ভিন্ন কথা- চীন জৈব অস্ত্র বানাতে গিয়ে অসতর্কতার কারণে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে। ইতিহাসের একটু পিছনের স্মৃতিরোমন্থন করলে ভেসে উঠে, মানবসৃষ্ট বা প্রকৃতির হেয়াল বশে ধ্বংস, হারিয়ে গেছে, বা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে-
পৃথিবীর সমৃদ্ধ তাবড় তাবড় সভ্যতা!
আজ চীনের মতো, সুপার পাওয়ার দেশ, এ করোনাভাইরাস নিয়ে হিমশীতল ভয়ে, হাজারো অপবাদ সহ্য করে প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে চলেছে।
বিশ্ববাসীর এখন দরকার, এ মারাত্মক প্রাণঘাতী ভাইরাসসহ বিভিন্ন সময়ে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস/জীবাণুর বিরুদ্ধে বিজ্ঞানীদের প্রতিরোধ /নির্মূলে একসঙ্গে কাজ করা। কারণ চীনের এ পরিস্থিতিতে শুধু চীন নয়, এশিয়াসহ পৃথিবীটা মহা ঝুঁকির মধ্যে নিমজ্জিত হতে বেশি সময় লাগবে না! যদি না প্রতিরোধ ভ্যাকসিন/ওষুধ তৈরি না হয়।
নশ্বর পৃথিবী! কারো পেটে একবেলা খাবার জোটে না। কারো খাবার ফেলে দিতে হয়। একমুঠো খাবারের জন্যে মান, সম্মান, সম্ভ্রম হারিয়ে ভয়ানক দাসত্ব শৃঙ্খল পড়ে আজ সৃষ্টির সেরা জীব মানব, শুধু সরবে-নীরবে হাজারো অভিযোগ জানিয়ে ‘মরিতে চাহি না সুন্দর ভুবনে’ মানবের মাঝে--বাঁচার আকুতি জানালে ও বাঁচে না। এ ভুখা মানুষের অধিকার ও মর্যাদা কেড়ে তাদের টাকায় সুরক্ষিত গোপন ঘরে বসে তাদের মারার জন্যে বিভিন্ন দেশ জীবাণু অস্ত্র বানিয়ে যাচ্ছে।
মহামারি করোনাভাইরাস এখন চীন নয়, সব দেশের জন্যে প্রকৃতির অভিশাপ! মানবজাতি ধ্বংসের অশনি সংকেত! আগামী প্রজন্মান্তর রক্ষার আন্দোলনে বিশ্বে'র সৃষ্টির সেরা জীবের সম্মিলিত শপথ হোক-
‘মানবীয় গবেষণা চাই, দানবীয় গবেষণা নিপাত যাক, ক্ষুধা চাই না, খাবার চাই’।
লেখক: রাজীব কুমার দাশ
পুলিশ পরিদর্শক
লেখক ও কবি