ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের কিছু সমস্যা আছে বলে স্বীকার করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ একটা বড় দল। বড় দলের কিছু কিছু সমস্যা থাকে। মাঝে মাঝে কিছু সমস্যা হয়। কিন্তু আমাদের দলের সবচেয়ে বড় বিউটি হচ্ছে, আমরা সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনোনয়ন নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বা কোন্দলে জড়ালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির গণতন্ত্রের নমুনা এই যে, বাবা ঘোষণা করে ছেলের নাম। দেখলাম বাবা (আবদুল আওয়াল মিন্টু) তার ছেলেকে (তাবিথ আওয়াল) বিএনপির উত্তরের মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। যে ছেলের নাম এসেছে প্যারাডাইজ পেপারে। এটা কেমন গণতন্ত্র? বিএনপিতে কোনো গণতন্ত্র নেই, এইটাই তার নমুনা।
আওয়ামী লীগে গণতন্ত্রের নমুনা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আমি পার্টির সাধারণ সম্পাদক হঠাৎ করে বলে দিলাম সে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, এটা আমাদের দলে হবে না। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে হলে আমাদের মনোনয়ন বোর্ড থেকে নাম আসবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিযোগিতা থাকবে। কোনো প্রার্থী আগ্রহ প্রকাশ করতেই পারে। কোনো কোনো জায়গায় ১০-১৫ জন প্রার্থী আছে, থাকতে পারে। সুস্থ প্রতিযোগিতা আমরা নিজেরাই উদ্বুদ্ধ করছি।
তবে মনোনয়নের অসুস্থ প্রতিযোগিতা হলে শাস্তি হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমাদের দলের কোনো মেজর সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হলে আমাদের নেত্রীর হস্তক্ষেপে সমাধান হয়। পার্টিতে অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটলে প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। এমনকি আমাদের দলের নেতাকর্মীরা আদালতে গেলেও সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করছে না।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে আওয়ামী লীগের চাওয়া কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চাওয়ার সঙ্গে আদালতের রায়ের সম্পর্ক নেই। আদালতে সরকারের কোনো হাত নেই। তিনি অপরাধ করলে শাস্তি পাবেন। নির্দোষ প্রমাণিত হলে খালাস পাবেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ ঢাকা দক্ষিণের নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠান শেষে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন ওবায়দুল কাদের।