Logo
Logo
×

চিত্র বিচিত্র

দাদার নেওয়া লাইব্রেরির বই ৯৯ বছর পর ফেরত দিলেন নিউ জার্সির এক নারী

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম

দাদার নেওয়া লাইব্রেরির বই ৯৯ বছর পর ফেরত দিলেন নিউ জার্সির এক নারী

মেরি কুপার তার বাসায় মায়ের রেখে যাওয়া মালপত্র ঘাঁটতে গিয়ে লাইব্রেরি থেকে আনা বিরল একটি বই পান। জানা যায়, বইটি ফেরত দেওয়ার সময়সীমা পার হয়েছে ৯৯ বছর আগে।  

৮১ বছর বয়সি কুপার জানান, তিনি বইগুলোর মধ্যে একটি খেলনা তৈরির বই পান। তার ছেলে বিভিন্ন জিনিস বানাতে ভালোবাসে। তাই তিনি ভাবলেন, তার ছেলের হয়তো এটি ভালো লাগতে পারে।

তার ছেলের পাশাপাশি এ ধরনের কারিগরি কাজের প্রতি আগ্রহ ছিল তার দাদা চার্লস টিলটনেরও। তিনি ছিলেন একজন নৌকা নির্মাতা ও কাঠমিস্ত্রি। তিনিই একসময় বইটি লাইব্রেরি থেকে নিয়েছিলেন।  

কুপার বইটি খুলে দেখার পর বুঝতে পারলেন এটি ১৯২৬ সালের মার্চ মাসে ওশান কাউন্টি লাইব্রেরি থেকে নেওয়া হয়েছিল। অথচ সেই বছরই তার দাদার মৃত্যু হয়।  

১৯১১ সালে প্রকাশিত ‘হোম-মেড টয়স ফর গার্লস অ্যান্ড বয়েজ’ বইটিতে কাঠ, ধাতু ও ঘরের অন্যান্য জিনিস দিয়ে খেলনা তৈরির নির্দেশনা ছিল।  

কুপারের মা ছোটবেলায় তার বাবার হাতে তৈরি কাঠের পালতোলা নৌকা পেয়েছিলেন। পরে কুপার সেই নৌকাগুলো নিউ জার্সির বে হেড ঐতিহাসিক সংস্থায় দান করেন।  

বইটি খুঁজে পাওয়ার পর কুপার বুঝতে পারলেন, এটি লাইব্রেরিতে ফেরত দেওয়ার সময় হয়েছে। তিনি ভাবলেন, তার সন্তানরা বড় হয়ে গেছে, নাতি-নাতনিও নেই। তাই বইটি তাদের কাছে রাখার কোনো মানে হয় না।  

এরপর তিনি নিউ জার্সির টমস রিভার লাইব্রেরিতে বইটি ফেরত দিয়ে আসেন। লাইব্রেরির কর্মীরাও বইটি পেয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত হন। কারণ বইটি তাদের লাইব্রেরির শতবর্ষপূর্তির সময় পাওয়া গেছে।  

কুপার দুশ্চিন্তায় ছিলেন, এতদিন পর লাইব্রেরি হয়তো বড় অঙ্কের জরিমানা চাইবে। তবে কর্মীরা মজা করে বলেন, পুরনো নিয়মে জরিমানা থাকলে তার পরিমাণ দাঁড়াত ১৮ হাজার ডলার!  

বইটি দেখে এক কর্মী অবাক হয়ে যান এবং বলেন, ‘এটি প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো!’ এরপর আরও অনেকে বইটি দেখতে আসেন।  

কুপার লাইব্রেরির কর্মীদের সঙ্গে বইটির পাতা উল্টে দেখেন এবং তার দাদার পারিবারিক ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন। একপর্যায়ে তারা একটি ছবিতে কাঠের নৌকার নকশা দেখতে পান, যা তার দাদা একসময় তৈরি করেছিলেন এবং তার মা যত্ন করে রেখেছিলেন।  

দর্শনার্থীদের জন্য বইটি এখন লাইব্রেরির একটি কেসে সংরক্ষিত আছে। লাইব্রেরির মুখপাত্র শেরি তালিয়ারসিও বলেন, অবশেষে বইটি ঘরে ফিরে এসেছে। এখানে এটি আরও বহু বছর সংরক্ষিত থাকবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম