Logo
Logo
×

চিত্র বিচিত্র

মাথায় টাক লাল লেহেঙ্গা ও শরীরভর্তি গহনায় বিয়েতে কনে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম

মাথায় টাক লাল লেহেঙ্গা ও শরীরভর্তি গহনায় বিয়েতে কনে

ছবি: সংগৃহীত

সবাই চান, বিয়ের কনেকে দেখে যেন তাক লেগে যায়। পোশাক, মেকআপ থেকে চুলের কায়দা— সর্বত্রই যেন নতুনত্বের ছোঁয়া থাকে। কনের মাথায় চকচকে টাক কি সেই সাজেরই অঙ্গ? 

বিয়ের কনেকে দেখে সবার যেন তাক লেগে যায়। সব পুরুষই তো এটাই চায়। পরনে লাল রঙের লেহেঙ্গা, টাক মাথা শরীরভর্তি গহনা— এমন সাজেই আত্মীয়স্বজনে ভরা বিয়ের মণ্ডপের দিকে ছুটে আসছেন কনে। উল্টো দিকে অপেক্ষারত হবু বর। কনের মাথার ওপর থেকে লাল রঙের অর্ধস্বচ্ছ ভেল ঝুলছে প্রায় পেট পর্যন্ত। নিখুঁত সাজ।

এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু পরের চেপ্টার-বিয়ের মণ্ডপে আসতেই সবাই অবাক। কনের মাথায় একটিও চুল নেই। আপনার তাৎক্ষণিক মনে হতে পারে— সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার নেশায় চলছে বিশেষ কোনো একটি নাটকের শুটিং। তা কিন্তু মোটে নয়; এটা ডিজিটাল যুগের নেটদুনিয়ার ভাইরাল রীতিনীতির এক মাধ্যম, যাকে নতুনত্বের নেশা, নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়ার নেশা। আর তা না হলে বিয়ের সাজে এমন ছন্দপতন কেন হবে? আদৌ মোটেই তা সত্যি নয়। তা হলে আসল সত্যিটা কি? 

আমেরিকাবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফ্যাশন-প্রভাবী নীহার সচদেবের এই ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ঠিকই, তবে তার নেপথ্যে ছিল না কোনো ভুয়া ‘কনটেন্ট’।

বিয়ের সাজ কেমন হবে, তা নিয়ে পৃথিবীর প্রায় সব মেয়েরই উত্তেজনা থাকে। পোশাক, মেকআপ থেকে চুলের কায়দা— সর্বত্রই যেন নতুনত্বের ছোঁয়া থাকে। সবাই চান, বিয়ের কনেকে দেখে যেন তাক লেগে যায়। নীহারের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হতো না। মাথার চুল সৌন্দর্যের প্রতীক। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে চুলের মান, দৈর্ঘ্য ও ঘনত্ব নিয়ে যথেষ্ট চর্চাও হয়। 

তবে নীহার জানিয়েছেন, তিনি বহু দিন ধরেই অ্যালোপেশিয়া নামক একটি রোগে আক্রান্ত। মাস ছয়েক বয়সে প্রথম ধরা পড়ে এই অটোইমিউন রোগটি। রোগ নিরাময়ে নানা রকম চিকিৎসাও করিয়েছেন তিনি। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। উল্টে মাথার নির্দিষ্ট একটি অংশ থেকে শুরু হওয়া অ্যালোপেশিয়া ধীরে ধীরে গোটা মাথায় ছেয়ে গেছে।

নিজের এই পরিণতি দেখে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন নীহার। অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন বিয়ের দিন মুখের সঙ্গে মানানসই পরচুলা বা ‘উইগ’ পরার। কিন্তু নীহার তা চাননি। উল্টে সত্যিটা সহজভাবে গ্রহণ করে নিতে পেরেছেন। দীর্ঘ দিনের বন্ধুকে জীবনসঙ্গী হিসাবে গ্রহণ করার আগে তিনি কৃত্রিমতার আশ্রয় নিতে চাননি। নীহার আসলে যেমন, তেমনভাবেই বিয়ের দিন মণ্ডপে হাজির হয়েছিলেন।

নবদম্পতির ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হওয়া মাত্রই শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে গেছে। বিয়ের প্রচলিত ধ্যানধারণা ভেঙে দেওয়ার এই পদক্ষেপকে ‘সুন্দর ও সাহসী’ বলে মনে করছেন নেটিজেনদের একটি অংশ।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম