টাইটানিকের ৭০০ যাত্রীকে বাঁচানো ক্যাপ্টেনের সেই ঘড়ির রেকর্ড দাম

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
-673b0a7310d49.jpg)
সংগৃহীত
টাইটানিক আজও এক রহস্যের নাম। বরফের ধাক্কায় ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল ২২০৮ যাত্রী নিয়ে সাগরে তলিয়ে গিয়েছিল দৈত্যাকার জাহাজটি। যে ঘটনায় ১৫০২ জন যাত্রী নিহত হলেও আশ্চর্যভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন ৭০০ যাত্রী। যার নেপথ্যে জড়িয়ে আছে ক্যাপ্টেন আর্থার রোষ্ট্রনের নাম।
টাইটানিকে ৭০০ যাত্রীকে বাঁচানো ক্যাপ্টেনের ব্যবহৃত সোনার ঘড়িটি এবার রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে। টাইটানিকের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে এর দাম উঠেছে ১.৯৬ মিলিয়ন ডলার। নিলামকারী হেনরি অ্যালড্রিজ এবং ডেভাইসের পুত্র, উইল্টশায়ারের মতে ১৯১২ সালে আটলান্টিকে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া জাহাজের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে যেই দাম রেকর্ড।
উইল্টশায়ারের মতে ১৮-ক্যারেট টিফানি অ্যান্ড কো সোনার ঘড়িটি ক্যাপ্টেন আর্থার রোস্ট্রনকে ম্যাডেলিন অ্যাস্টর এবং জন জ্যাকব অ্যাস্টরের দুই বিধবা দিয়েছিলেন। যিনি ওই হাজাজের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন। ওই দুর্ঘটনায় তারও মৃত্যু হয়েছে।
রোস্ট্রন টাইটানিকের লাইফবোটে ৭০৫ জনকে উদ্ধারকারী যাত্রীবাহী বাষ্পবাহী আরএমএস কার্পাথিয়ার ক্যাপ্টেন ছিলেন। কার্পাথিয়া নিউইয়র্ক থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে জাহাজের ওয়্যারলেস অপারেটরের কাছ থেকে একটি কল পান। যেখান বলা হয়, ‘আমরা বরফের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছি, একবার এসো।’ পরে ক্যাপ্টেন জাহাজের গতিপথ পরিবর্তন করে লাইফবোট নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপের দিকে রওনা হন এবং ৭০৫ জনকে বাঁচান।
নিলামকারী অ্যান্ড্রু অ্যালড্রিজের মতে, ঘড়িটি প্রধানত রস্ট্রনের জীবন বাঁচানোর সাহসিকতার জন্য কৃতজ্ঞতাস্বরূপ উপস্থাপন করা হয়েছিল। কারণ রোস্ট্রন না থাকলে, সেই ৭০০ জন মানুষ বাঁচত না। যে কারণে তার এই ঘড়িটি টাইটানিকের গল্পের সাথে ‘স্থায়ী মুগ্ধতা’ প্রদর্শন করে।
টাইটানিকের স্মৃতিচিহ্নের নিলাম অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে সবশেষ এপ্রিলে জন জ্যাকব অ্যাস্টরের দেহকে উদ্ধার করা একটি সোনার পকেট ঘড়ি ১.৪৬ মিলিয়নে বিক্রি হয়েছিল। এবার সেই রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে ক্যাপ্টেনের এই ঘড়ি।