১৮ ফুট ঢেঁড়স গাছ, গিনেজে নাম লেখাচ্ছেন অধ্যাপক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ছোট বেলায় কবিতার বইয়ে তাল গাছের আকার বুঝাতে পড়তাম ‘এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে’। তবে আজকে সেই কবিতায় বর্ণিত তালকেও হার মানাবে একটি ঢেঁড়স গাছ। কোমর-মাথা পেরিয়ে একেবারে তাল গাছের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে এই ‘অসামান্য’ ঢেঁড়স গাছ! এখানে ঢ্যাঁড়স তুলতে, থুড়ি পাড়তে লাগবে আস্ত মই। ১৮ ফুট লম্বা এমনই ঢেঁড়স গাছের দৌলতে বিশ্বজয়ের পথে ভারতীয় এক বিজ্ঞানী। এই কীর্তির জন্য ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে’ আবেদন করতে চলেছেন তিনি।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালের অধ্যাপক বিজ্ঞানী ডা. সন্দীপ সিঙ্ঘাই। যিনি নিজের বাড়ির বাগানে বেশ কিছু ঢেঁড়স গাছ রোপন করেন। যার মধ্যে একটি গাছ দৈর্ঘ্যে ১৮ ফুট বেড়ে ওঠে। বাকি আরও ২টি গাছ ১০ ফুট করে লম্বা হয়। তাতে ঢেড়সও হয় প্রচুর পরিমাণে।
এই বিজ্ঞানীর দাবি, গাছ রোপণের সময় তার কোনো ধারণাই ছিল না ঢেঁড়স গাছ এতখানি লম্বা হতে পারে। নজিরবিহীন এই ঘটনার জেরে ডা. সন্দীপ ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে’ নিজের নাম নথিভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কারণ এখনও পর্যন্ত বিশ্ব রেকর্ড গড়া ঢেঁড়স গাছের উচ্চতা ১৬ ফুট ৪ ইঞ্চি।
সাধারণত ঢেঁড়স গাছের উচ্চতা হয় ৩ ফুট। কখনও এর উচ্চতা ৫ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। তবে একটি ঢ্যাঁড়স গাছের দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট পর্যন্ত হওয়াটা নিঃসন্দেহে আশ্চর্যজনক তা মেনে নিচ্ছেন কৃষিবিদরা।
বিজ্ঞানী সন্দীপ বলেন, পৃথিবীর সর্বোচ্চ এই ঢেঁড়স গাছে ফলও বেশ ভালোই হয়। তবে সমস্যা হল গাছ থেকে ফল পাড়তে রীতিমতো বেগ পেতে হয় সন্দীপ ও তার স্ত্রী শিল্পাকে। ঢ্যাঁড়স পাড়তে মই ব্যবহার করেন তারা।
সন্দীপের স্ত্রী বলেন, সাধারণ ঢেঁড়স গাছ ভেবেই বাগানে এটি রোপণ করেছিলেন তারা। তবে এ যে এভাবে বিশ্বসেরা হয়ে উঠতে পারে এ আমাদের স্বপ্নেরও অতীত ছিল।