Logo
Logo
×

চিত্র বিচিত্র

নাক দিয়ে কম্পিউটার টাইপ করে বিশ্ব রেকর্ড

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম

নাক দিয়ে কম্পিউটার টাইপ করে বিশ্ব রেকর্ড

সাধারণত কম্পিউটারের কি-বোর্ডে হাত দিয়ে টাইপ করা হয়। তবে পা দিয়েও টাইপ করার কথা শুনেছি। কিন্তু নাক দিয়ে টাইপ করার কথা কখনো কি শুনেছেন? বিষয়টি অসাধ্য মনে হলেও এ কাজটিই করে রেকর্ড গড়েছেন ভারতীয় এক যুবক। 

বিনোদ কুমার চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তি কি-বোর্ডে দ্রুত ইংরেজি অক্ষর লিখে তৃতীয়বারের মতো গড়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। এর আগে দুবার তিনি নিজেই ভেঙেছেন নিজের রেকর্ড। 

বিনোদ কুমারের রেকর্ড গড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস লিখেছে, ‘আপনি কি নাক দিয়ে দ্রুত ইংরেজি অক্ষরগুলো লিখতে পারবেন? ভারতের বিনোদ কুমার চৌধুরী ২৫ দশমিক ৬৬ সেকেন্ডে এ কাজটি করেছেন।’

বিনোদ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, রেকর্ড গড়তে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টার অনুশীলন করতেন। নাক দিয়ে লিখতে গিয়ে মাঝেমধ্যে তার মাথা ঘুরে যেত, যেন তিনি চোখে ‘তারা’ দেখতেন। প্রতিটি অক্ষর লেখার সময় মাঝখানে জায়গা রাখতে আরেকটি বাটনে চাপতে হয় তাকে।

বিনোদ কম্পিউটারশিল্পে কাজ করে থাকেন। লেখার এ গুণের জন্য তিনি ‘টাইপিং ম্যান অব ইন্ডিয়া’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

বর্তমানে বিনোদ কুমার কম্পিউটারের কি-বোর্ডে দ্রুততম সময়ে লেখার তিনটি রেকর্ডের মালিক। একটি হচ্ছে পেছনে এক হাত দিয়ে লেখা। আরেকটি হচ্ছে দুই হাত পেছনে দিয়ে লেখা এবং তৃতীয়টি হচ্ছে নাক দিয়ে লেখা।

বিনোদ কুমার বলেন, ‘আমার কাজ হচ্ছে কম্পিউটারে লেখা। এ কারণে আমি কম্পিউটারে বিভিন্ন কৌশলে লিখে রেকর্ড করার কথা চিন্তা করেছিলাম। এ কাজটি আমার আবেগ বা আসক্তির পাশাপাশি জীবিকার সঙ্গেও জড়িত।’

তিনি আরও বলেন, নানা বাধা সত্ত্বেও যে কাউকে তার আবেগ অনুভূতিকে ধরে রাখা উচিত। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বলছে, বিনোদের সাফল্যের গোপন রহস্য হচ্ছে, তিনি প্রতিদিন অনুশীলন করতেন আর ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করতেন।

বিনোদ বলেন, তিনি সব সময় নতুন রেকর্ড গড়ার দিকে তাকিয়ে থাকতেন। তার স্বপ্ন হচ্ছে, সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট তারকা শচীন টেন্ডুলকারের মতো রেকর্ড ভেঙে রেকর্ড গড়া। শচীন তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৬২ বার প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার জিতেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ১০০টি সেঞ্চুরি করেছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম