Logo
Logo
×

চিত্র বিচিত্র

টিকটকে দেড় কোটির বেশি ভক্ত, দেহরক্ষী নিয়ে চলেন সেই তরুণী!

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:৩৪ পিএম

টিকটকে দেড় কোটির বেশি ভক্ত, দেহরক্ষী নিয়ে চলেন সেই তরুণী!

সাধারণত টিকটক ভিডিওর বিষয় হয় মজাদার বা ব্যঙ্গাত্মক। বন্ধ করা না হলে লুপে একনাগাড়ে চলতেই থাকে টিকটক ভিডিও। অনলাইন অ্যাপভিত্তিক জনপ্রিয় এ মাধ্যমে মাত্র ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীর ভক্তসংখ্যা এক কোটি ৬০ লাখেরও বেশি।

মেয়ের উপার্জনের আতিশয্যে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন মা। টিকটক ভিডিও করে রাতারাতি লাখপতি ব্রিটিশ তরুণী হোলি হর্ন। ডলারে প্রতি মাসে তাঁর উপার্জন ছুঁয়েছে ৬ অঙ্কের সংখ্যা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাখতে হয়েছে দেহরক্ষী। 

হোলি এখন ব্রিটেনের অন্যতম জনপ্রিয় সুপারস্টার। গ্লসি পাউটেড ঠোঁট, বাদামি চোখ আর ম্যনিকিয়োর করা রঞ্জিত নখ হল মহাতারকা হোলির সাজের ট্রেডমার্ক।তাঁর ভিডিওর দৈর্ঘ্য মাত্র ১৫ সেকেন্ডের। কিন্তু এর জনপ্রিয়তা অভাবনীয়।গত বছর টিক টকে আপলোডেড হওয়া তাঁর একটি ভিডিও ক্লিপ এখনও অবধি দেখা হয়েছে ৭ কোটি ৭২ লক্ষ বারেরও বেশি।

ইন্টারনেটে হোলির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তাঁর ভক্তরা মূলত আট থেকে ১৫ বছর বয়সি। প্রতিদিন হোলির অনলাইন পোস্ট এই ভক্তদের শুভেচ্ছায় ভেসে যায়।

বিনোদনের আধুনিক মানচিত্রে টিকটক ভিডিও প্রথম সারিতে। নিয়ম অনুযায়ী, এর কোনও ভিডিওর দৈর্ঘ্য ৫৯ সেকেন্ডের বেশি হবে না। এক মিনিটের কম সময়েই আকৃষ্ট করতে হবে দর্শককে।

পোশাকি ভাষায় টিকটক ভিডিওকে বলা হয় ‘জাঙ্কফুড টেলিভিশন’। খাবারের মতো বিনোদনেও বাজিমাত করেছে এই ‘জাঙ্ক’। তার দৌলতে রাতারাতি প্রচারের আলোয় এসে মহাতারকার তকমা পেয়েছেন হোলি হর্ন।

কোনও ভিডিওতে হোলি জনপ্রিয় পপ সুরের সঙ্গে লিপ সিঙ্ক করেছেন। আবার কোথাও হয়তো তাঁর তুরূপের তাস মজাদার নাচের ভঙ্গি। অনেকের কাছেই তাঁর ভিডিও ছেলেমানুষি মনে হতে পারে।কিন্তু বিনোদন দুনিয়ার বিশেষজ্ঞদের মতে, হোলি জানেন নির্দিষ্ট দর্শক তাঁর কাছ থেকে ঠিক কী চান। ফলে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটার টান দেখা যায়নি। তাঁর দর্শক ছড়িয়ে আছে ব্রিটেনের সীমার বাইরে আন্তর্জাতিক মহলে। ব্রিটেনের বড় বড় একাধিক ব্র্যান্ড প্রোমোশনাল গাঁটছড়া বেঁধেছে হোলির সঙ্গে।

হোলির ধূমকেতুসম উত্থানে সবথেকে বেশি বিস্মিত তাঁর মা, জোডি হর্ন। মধ্যবয়সী জোডি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মেয়ের টিকটক ভিডিও তাঁর উদ্ভট বলে মনে হয়। তিনি ভেবেই পান না কেন বা কী করে এগুলো জনপ্রিয় হয়। তবে জোডি অতশত ভাবতেও চান না। মেয়ের উপার্জন বেশি হচ্ছে, তিনি এতেই খুশি। তাঁর কাছে শকিং লাগলেও তিনি মনে করেন, টিকটক ভিডিও এখন আকর্ষণীয় কেরিয়ার।

অভাবনীয় উত্থান পাল্টে দিয়েছে হোলির জীবনযাপনও। আগে তিনি থাকতেন সাদামাটা বাড়িতে। এখন তাঁর ঠিকানা ওয়েস্ট সাসেক্সের চার কামরার বড় বাড়ি। বিজ্ঞাপনদাতা এবং বিজ্ঞাপনের এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে তিনি চলে এসেছেন লন্ডনের কাছে।

পরিসংখ্যান বলছে, হোলির ভক্তদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মেয়ে এবং ২০ শতাংশ ছেলে। তারা হোলির পারফরম্যান্স দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তাঁদের জন্য হোলি যেখানে যান, জনজোয়ারে ভেসে যান। হয়রানির হাত থেকে রক্ষার জন্য একদল নিরাপত্তারক্ষী বাড়ির বাইরে হোলির সর্বক্ষণের সঙ্গী।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম