ট্রাম্পের মন্তব্য
অবৈধ অভিবাসীদের জন্য বন্ধ মার্কিন সীমান্ত

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ১০:০৫ পিএম

মার্কিন সীমান্তে অভিবাসী আক্রমণের দিন শেষ বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেছেন, সীমান্ত এখন সব অবৈধ অভিবাসীদের জন্য বন্ধ। এ ছাড়া অবৈধ পারাপার রোধে মেক্সিকো সীমান্তে আরও ৩ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।
রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি
কেউ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করে তাকে উল্লেখযোগ্য ফৌজদারি শাস্তি এবং
তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাসনের মুখোমুখি হতে হবে। নির্বাচনি প্রচারের শুরু থেকেই অবৈধ অভিবাসী
অপসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন ট্রাম্প। ক্ষমতার মসনদে বসেই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে
মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। যার অংশ হিসেবে আবারও এ পদক্ষেপ নিলেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে বেশ
কিছু অভিবাসীকে গ্রেফতার করে নিজ দেশেও পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোয়েম বলেছেন, ‘লক্ষ লক্ষ
অপরাধীকে অবৈধভাবে এই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছিল। আমরা তাদের দেশে পাঠাচ্ছি এবং
তাদের কখনই আর ফিরে আসতে দেওয়া হবে না।’
প্রসঙ্গত, দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রে
এক মাসে ৩ লাখ অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ করেছিল। অবৈধ অভিবাসীরা অপরাধমূলক নানা কাজে জড়িত
থাকে বলে অভিযোগ করেন ট্রাম্প।
গত সপ্তাহে, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে আশ্রয় নেওয়া ইভান ওরামাস
এবং সান্তোস মারাদিয়াগা-ভিল্লাল্টা উভয়কেই গ্রেফতার করা হয়। ৬১ বছর বয়সি ওরামাস কিউবার
একজন নাগরিক। যার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন এবং তীব্র আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে
ভিল্লাল্টার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশিদের পাচারের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি অপরাধমূলক
কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিবাসীদের কিউবার গুয়ান্তানামো বেতে পাঠিয়েছেন ট্রাম্প।
অপরাধ কমাতে মেক্সিকো সীমান্তে আরও ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার মার্কিন
সেনা মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। আগামী সপ্তাহ এবং মাসগুলোতে আরও হাজার
হাজার সেনা পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
প্রতিরক্ষা বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতা
রক্ষায় বর্তমান সীমান্ত নিরাপত্তা অভিযানগুলোকে শক্তিশালী ও সম্প্র্রসারিত করার জন্য
স্ট্রাইকার ব্রিগেড কমব্যাট টিম (এসবিসিটি) এবং জেনারেল সাপোর্ট এভিয়েশন ব্যাটালিয়নের
সর্বশেষ সেনাদলটি মোতায়েন করা হয়েছে। ট্রাম্প তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই দক্ষিণ
সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। তার শপথ গ্রহণের কয়েকদিন পর, প্রতিরক্ষা বিভাগ
কাস্টমস এবং সীমান্ত সুরক্ষা এজেন্টদের সহায়তা করার জন্য সীমান্তে ১ হাজার ৫০০ সেনা
মোতায়েনের নির্দেশ দেন।