আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সুদৃঢ় আত্মবিশ্বাস জরুরি
ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট বৌদ্ধ সন্ন্যাসী
প্রতিষ্ঠাতা, বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজ, মিরপুর, ঢাকা
এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যারা অংশগ্রহণ করবে তাদের প্রত্যেকের জন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। জীবনের লক্ষ্য স্থির করে সফলভাবে এগিয়ে যেতে হয় পরীক্ষার মাধ্যমে। তাই শিক্ষাজীবনের প্রতিটি পরীক্ষাই গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তবতা হলো এইচএসসি পরীক্ষার গুরুত্বকে একটু আলাদা করেই বিবেচনা করা হয়। কারণ, এই পরীক্ষায় ভালোভাবে পাসের মাধ্যমে শিক্ষাজীবনে প্রসারিত হয় উচ্চশিক্ষার দুয়ার। মূলতঃ এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নের প্রথম অধ্যায় শুরু হলেও এইচএসসি হতে পারে এই অধ্যায়ের মুখ্য নির্দেশক। বন্ধুরা, এইচএসসিকে সামনে রেখে তোমার অভিভাবকদের বিশেষত তোমার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিকল্পনার কোনো কমতি নেই, তথাপি কয়েকটি পরামর্শ রইল। মেনে চললে আশা রাখি উপকৃত হবে।
* নিয়ম করে নিয়মিত পড়বে। পড়া শেষ হলে বিষয়টি অবশ্যই লিখে নিজের অবস্থা যাচাই করবে কারণ পরীক্ষার খাতায় কিন্তু তোমাকে লিখেই উপস্থাপন করতে হবে। যখন পড়তে বসবে তখন অন্য কোন বিষয়ে মনোযোগী হবে না। সম্ভব হলে যে বিষটিকে একটু জটিল মনে করবে তা দিয়ে শুরু করো এবং আয়ত্বে এলে অন্য বিষয়ে মনোনিবেশ করো। * শেষ সময়ে এসে সিলেবাসের বাইরে না পড়ে শ্রেণি শিক্ষকদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রদত্ত সিলেবাস অনুযায়ী পড়বে। সিলেবাসের বাইরের বিষয়গুলোও নজরে রাখতে হবে তবে গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে সর্বশেষ সিলেবাসটিকে। এসময় নিজে নিজে একটি মডেল পরীক্ষা অংশ দিতে পারো, এতে মূল পরীক্ষা জন্য একটা ভালো ধরনের অনুশীলন হয়ে যাবে। এ ধরনের চর্চা, পরিচ্ছন্ন হাতের লেখা ও সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফলাফল বয়ে আনতে সহায়তা করবে নিঃসন্দেহে। ঁ এখন থেকে পরীক্ষা চলাকালীন পুরো সময় পর্যন্ত চলাফেরার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবে। এমন কিছুই করা যাবে না যাতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বা রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে প্রতিটি মুহূর্তকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির অংশ মনে করে সেইভাবেই চলতে হবে যাতে তুমি সুস্থ সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারো। * পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত হলে গিয়ে বসতে হবে যথাসময়ে। পরীক্ষা নিয়ে মনের ভেতর কোন ধরনের হতাশা পুষিয়ে রাখা যাবে না, বরং সাবলীলভাবে পরীক্ষার শেষ পর্যন্ত শতভাগ আত্মগত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বয়ে আনতে পারবে প্রত্যাশিত সাফল্য।