
প্রিন্ট: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৬ এএম
মোদির ইতিহাসে একমাত্র ভিলেন মুসলমান

অনিকেত চট্টোপাধ্যায়
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
কলকাতা থেকে
খেয়াল করেছেন কি, আপনার হোয়াটসঅ্যাপে, ফেসবুকে, সমাজমাধ্যমে, মেইন স্ট্রিম মিডিয়াতে, বড় বাজেটের ফিল্মে আপনাকে লাগাতার বোঝানোর চেষ্টা চলছে যে, আপনার পূর্বপুরুষরা হাজার হাজার বছর ধরে মুসলমানদের অধীনে ছিল। তাদের দাসত্বে জীবন কেটেছিল। খেয়াল করুন, এই দাসত্বের কাহিনিতে ব্রিটিশরা নেই, ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে একটা কথাও নেই। এর প্রথম লক্ষ্য হলো হিন্দুদের এক দীর্ঘমেয়াদি মুসলিম নিপীড়নের শিকারি হিসাবে তুলে ধরা। সেই ছকবাজির প্রথম ধাপটি হলো সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের একটা ছবি তুলে ধরা। যেখানে হিন্দু পরম সহিষ্ণু আর মুসলমান হিন্দু রাজপুত রমণীর ইজ্জত নেওয়ার জন্যই হাজির। হোয়াটসঅ্যপে হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্বকে শক্তিশালী করে এমন বর্ণনা ছড়ানো হচ্ছে, সেটা শুধু আজ নয়, বেশ কিছু বছর ধরে। আর তা করা হচ্ছে লাগাতার এবং এক গ্র্যান্ড প্ল্যান ও বিশাল পরিকল্পনামাফিক। উদাহরণ দিচ্ছি, ছত্রপতি শিবাজি আফজাল খানকে হত্যা করেছিল একটা ছবি। যাতে আসলে হাইলাইট করা হয়েছে একজন প্রজাবৎসল হিন্দু রাজা কীভাবে মুসলমান আক্রমণকারীকে হত্যা করলেন। তার বহু তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে পেয়ে যাবেন। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে এ তথ্য উল্লেখ করাই হবে না যে, আফজাল খানের একজন হিন্দু উপদেষ্টা ছিলেন, যিনি আফজাল খানকে বারবার এ গুপ্ত আক্রমণ নিয়ে সাবধান করেছিলেন। এবং এটাও বলা হবে না যে, শিবাজির একজন মুসলমান দেহরক্ষী ছিলেন, যার পরামর্শ তিনি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেই সেদিনকার গুপ্ত আক্রমণের কথা জেনে ওই বাঘ-নখ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। ওই দেহরক্ষী সেটা তাকে বলে দিয়েছিলেন। একইভাবে আকবর এবং মহারানা প্রতাপের মধ্যে ঐতিহাসিক কাহিনি হোয়াটসঅ্যাপে এক সরল হিন্দু রাজা বনাম অত্যাচারী মুসলমান নবাবের দ্বন্দ্ব হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে জোট ও পরিচয়ের জটিলতাগুলো সম্পর্কে বলাই হয়নি। দুপক্ষেই যে মুসলমান এবং দুপক্ষেই যে হিন্দু ছিলেন, সেসব তথ্য বেমালুম মুছে দিয়ে কেবল হিন্দু আর মুসলমান গল্পের কথাই বলা হয়ে গেছে। সেখানে দেখানো হয়েছে হিন্দু মানেই প্রজাবৎসল এবং মুসলমান মানেই হচ্ছে আক্রমণকারী। এর সঙ্গেই পরিষ্কার জানানো হচ্ছে যে, বিজেপি হলো হিন্দুদের দল এবং উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার। দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো ঘৃণা ও বিভাজন ছড়িয়ে দেওয়া। হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে একটা বিভাজন তৈরি করা। হিন্দুদের বিশ্বাস করানোর একটা প্রাণপণ চেষ্টা করা হচ্ছে যে, তারা মুসলমানদের কারণে বিপদে রয়েছেন এবং একমাত্র বিজেপিই হিন্দুদের দল, যারা এ বিপদ থেকে তাদের বাঁচাতে পারবে।
অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের বিভিন্ন ধরনের মুসলিম শাসন, প্রায় দুইশ বছরের ইংরেজ শাসন হিন্দুধর্মকে বিপন্ন করেনি। বিপন্ন করেছে কখন, যখন নরেন্দ্র মোদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে শাসনক্ষমতায় বসলেন। আর তখনই হিন্দু খাতরেমে হ্যায়। তিন নম্বর উদ্দেশ্য হচ্ছে, ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুদের বেছে নেওয়া এবং তাদের কাছে কিছু তথ্য পাঠানো। তাদের কাছে যে তথ্য-ভিডিও পাঠানো হচ্ছে, তাতে বলা হচ্ছে, সেসব ঐতিহাসিক নিপীড়ন ও এত অত্যাচার সত্ত্বেও যেসব হিন্দু রাজা-সামন্তরা ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন, তারা আসলে ভীরু হিন্দু কাওয়ার্ড। আপনি যদি এসব ভিডিও ও তথ্য দেখে উত্তেজিত না হন, বিভাজনমূলক ঐতিহাসিক বর্ণনায় বিশ্বাস না করেন, মুসলমানরাই যে আসল শত্রু, সেটা যদি আপনি বিশ্বাস না করতে পারেন, তাহলে আপনি প্রকৃত হিন্দু নন। মাথায় আনুন সেই স্লোগান ‘আভিভি জিসকা খুননা খওলা খুন নেহি হো পানি হ্যায়’। মানে এখনো যাদের রক্ত গরম হয়ে উঠছে না, সেটা রক্ত নয়, জল। কী নিয়ে গরম হতে হবে? সামনে একটা কল্পিত শত্রু আছে, সেটা মুসলমান এবং তাদের বিরুদ্ধে রক্ত গরম হতে হবে। অতএব, প্রকৃত হিন্দু হয়ে উঠুন আর অমোঘ বাক্য মনে করিয়ে দেওয়া হবে যে, বিজিপিই হলো সেই প্রকৃত হিন্দুদের দল।
চার নম্বর লক্ষ্য হলো সম্প্রতি, সদ্ভাব ও সহযোগিতার সবকটি গল্পকে মুছে দেওয়া। তাদের ছড়ানো প্রত্যেক ভিডিওতে সাফ বলে দেওয়া হয়েছে, পালটা হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ানো কিছু হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে সুসম্পর্ক ও ধর্মীয় নেতৃত্বদের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং ভাগ করা সাংস্কৃতিক অনুশীলন, গঙ্গা যমুনা তাহজিব যার রয়েছে, সেসব আসলে মিথ্যা। শিবাজির সেনাবাহিনীতে মুসলমান, মুঘল প্রশাসনে যে হিন্দুরা ছিলেন, সেই সঙ্গে ধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনাকে মান্যতা দিয়ে প্রচুর কাজকর্ম হয়েছে, বিভিন্ন সময়ের শাসকদের সেসব উদাহরণ আসলে মিথ্যা, সেটা বোঝানোটা একটা কাজ। উদাহরণ হিসাবে বলি, গোরাকপুরের গোরাকনাথ মন্দির, যেখানে আমাদের যোগিজী থাকেন। যোগিজী যেখানকার মহান্ত। উত্তরপ্রদেশের আদিত্য নাথ যোগী। সেই গোরাকনাথ মন্দিরে একটা ধুনি জ্বলে। গিয়ে দেখতে পাবেন। ধুনি মানে একটা জায়গায় আগুন জ্বলছে। সেটা নেভে না কখনো। গোরাকনাথ মঠের দেড় কিলোমিটার দূরে আরেকটি জায়গায় ধুনি জ্বলে, সেটা একটা মসজিদে। সেটাও নেভে না কখনো। পরম্পরা ছিল, যদি কখনো নেভে, কোনো কারণে, তাহলে একে অন্যের আগুন এনে ধুনি জ্বালানো হবে। অন্য কোনো জায়গা থেকে আগুন এনে সেই ধুনি জ্বালাতে হবে না। মসজিদে যদি ধুনি নিভে যায়, তাহলে মন্দির থেকে তা যাবে মঠে। মঠে যদি ধুনি নিভে যায়, তাহলে মসজিদ থেকে যাবে। এটাই আমাদের পরম্পরা ছিল। আজ গোরাকনাথ মন্দিরে গিয়ে এ কথা বললে, এই পরম্পরার কথা বললে মার খেতে হবে। রীতিমতো মেরে ফেলবে।
পঞ্চম লক্ষ্য প্রতিটি হোয়াটসঅ্যাপের বর্ণনাকে রাজনৈতিক এজেন্ডার সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া। সর্বোচ্চ ছড়ানো ঐতিহাসিক বর্ণনাগুলোকে প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো নেতাদের রাজনৈতিক প্রচার-বক্তৃতার সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রথম সারির আরএসএস-বিজেপির নেতারা ক্রমাগত এই হিন্দু-মুসলমান বিরোধকে তুলে ধরবেন, হিন্দু ভোটকে এক জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন। এই প্রোপাগান্ডার মূল লক্ষ্য হলো ভাগ করো এবং শাসন করো। পুরোনো ব্যাপার।
ছয় নম্বর লক্ষ্য হলো, হোয়াটসঅ্যাপের বর্ণনার সঙ্গে ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে মিলিয়ে দেওয়া। একটা হোয়াটসঅ্যাপের কথা এবং ঐতিহাসিক তথ্য এ দুটোকে মিলিয়ে একটা ককটেল তৈরি করা। এখানে রামের আঁতুড়ঘর ছিল, এখানে আসলে শিবলিঙ্গ ছিল, তাজমহল নয়, সেটা আসলে তেজো মহল, আওরঙ্গজেব হিন্দুদের সঙ্গে দেখামাত্রই কতল করার নির্দেশ দিতেন, আস্ত কুমির খেতেন-এই রকম গল্প। মোদ্দা কথা হলো, হোয়াটসঅ্যাপ, সমাজমাধ্যম, স্কুলের শিক্ষা, সংবাদমাধ্যম বা সিনেমা সবকটিকেই একটা ব্রেন ওয়াশিং মাফিয়া হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি হিন্দু নিপীড়নের একটা বর্ণনা তৈরি করার জন্য ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃত করে রাজনৈতিক ফায়দার জন্য ঘৃণা ও বিভাজন সৃষ্টি করে দেশকে (ভারত) উচ্ছন্নে নিয়ে যাচ্ছে।
এখন আমাদের মূল আলোচনায় আসা যাক। গত ২০২৪ সালের নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী এবং বিভিন্ন বিজেপি নেতা আওরঙ্গজেবের অত্যাচার এবং শত শত মন্দির ধ্বংসের কথা উল্লেখ করেন। এটা একটা বড় বর্ণনা গড়ে তোলার জন্য করা হয়েছিল, যা কেবল একটা নির্বাচনেই শেষ হবে না, চলতেই থাকবে এবং হয়েছেও তাই। ভোটারদের হিন্দু অংশকে বোঝানোর চেষ্টা চলল, হিন্দু পূর্বপুরুষরা হাজার হাজার বছর ধরে মুসলমানদের দাসত্বে আবদ্ধ ছিল। কোথাকার হাজার বছরের ইতিহাস কেউ জানে না। ইংরেজ শাসনের ইতিহাস পুরোটা ভুলিয়ে দেওয়া হলো বা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলো। এমনভাবে বলা হচ্ছে যেন একজন মাস্টারমশাই ইতিহাসের কথা বলছেন, অথচ সেই অর্ধসত্যই ইতিহাস নয়। এই ইতিহাসের মোড়কে বলে ইতিহাস বলার নাম করে, এমনকি নির্বাচনের সময় খুল্লাম খুল্লা সাম্প্রদায়িক প্রচারের কাজটা সেরে নিয়েছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখনো সেই কথাগুলোই বাজারে ঘুরছে। সেই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ থেকে, মিডিয়া থেকে, সিনেমা থেকে সর্বত্র ছত্রপতি শিবাজি মহারাজকে এক হিন্দু সেনাবাহিনীর নেতা হিসাবে দেখানো হয়েছে, যারা গেরুয়া রঙের পোশাক পরে আওরঙ্গজেবের মুসলিম সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। শুধু আওরঙ্গজেব নয়, মুঘল সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে এক বিরাট লড়াই। অন্যদিকে আওরঙ্গজেবকে শুধু একজন মুসলিম উগ্রপন্থি হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, যিনি হিন্দুদের নিপীড়ন করেছেন, আর কিছু নয়। যেখানে তার সেনাবাহিনীতে কোনো হিন্দু নেই, এমনটাই বোঝানো হচ্ছে। ভারতের হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে এক বিরাট সুসম্পর্কের ইতিহাসকে প্রধানত হিন্দু-মুসলমানদের দ্বারা নিপীড়ন-অত্যাচারের ইতিহাস হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু সত্যিগুলো তাহলে কী। এক. ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ কোনো মুসলমান নবাব এবং সম্রাটের অধীনে কোনোদিনও ছিলেন না। তিনি একজন মহান সম্রাট ছিলেন, যিনি যুদ্ধ করেছিলেন, রাজত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, তার সাম্রাজ্য শক্তিশালী করেছিলেন। তার এক বিরাট লড়াই ছিল ইউরোপীয় বণিকদের সঙ্গে, যারা আরব মহাসাগরে বাণিজ্য জাহাজ নিয়ে এসেছিলেন। একেবারে কোঙ্কান কোস ধরে সব দুর্গ মারাঠারা তৈরি করেছিলেন মোঘল সাম্রাজ্যকে আক্রমণ করার জন্যও নয়, তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্যও নয়। ওই সমুদ্রে যারা বাণিজ্য করতে এসেছেন, তাদের কাছ থেকে কর আদায়ের জন্য। ইউরোপীয় ব্যবসায়ীরাই বাণিজ্য করতে এসেছিলেন। তাদের থেকে কর আদায় করতে সংঘর্ষ লেগেই থাকত। সেসব সংঘর্ষের কথা ইতিহাসে নেই বললেই চলে। কিন্তু ইতিহাসে আছে শিবাজি একজন হিন্দু সম্রাট এবং তার যুদ্ধ কেবল মুসলমান শাসনের বিরুদ্ধে। দুই. শিবাজির বাবা ছিলেন শাহজি এবং তার চাচা শরিফজি, যার নাম একজন সুফী সাধকের নামে করা হয়েছিল। সুতরাং শিবাজির পরিবারে হিন্দু এবং মুসলমান সাধকদের প্রতি শ্রদ্ধার ইঙ্গিত দেয়। তিন. শিবাজি মুসলমানদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সমর্থন করতেন। তিনি প্রায়ই সুফী সাধক ইয়াকুত বাবার কাছে আশীর্বাদ নিতে যেতেন। ইতিহাস তা-ই বলছে। চার. শিবাজি আদেশ দিয়েছিলেন, প্রত্যেকে যার যার ধর্ম অনুসরণ করার স্বাধীনতা পাবে এবং কেউ তা বিঘ্নিত করতে পারবে না। তার সৈন্যরা কোনো মহিলা, কুরআন বা মসজিদের ক্ষতি করলে অবধারিত ছিল কঠিন শাস্তি। পাচ. শিবাজি একজন মুসলমান গভর্নরের পুত্রবধূকে সম্মানের সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ছয়. শিবাজির সেনাবাহিনীতে অনেক মুসলমান ছিলেন, যাদের মধ্যে মুসলমান জেনারেল যেমন নূর খান বেগ পদাতিকপ্রধান ছিলেন। সামা খান লেফটেন্যান্ট এবং নৌবাহিনী প্রধান ছিলেন দৌলত খান। দরিয়া সারান, সিদ্দি হিলাল, ইব্রাহিম খান-তারা আর্টিলারি কমান্ড করতেন এবং তার গোয়েন্দা বিভাগের সচিব ছিলেন মাওলানা হায়দার আলী। হ্যাঁ, এতজন শিবাজির একেবারে ঘনিষ্ঠ ডান এবং বাম হাত ছিলেন এরা।
তাহলে এই প্রোপাগান্ডা কেন? তাহলে কি দেশের মুসলমানরা, যারা অন্তত ২০ শতাংশ, তারা সবাই বিদেশি হয়ে যাবেন? আসলে বিজেপি এবং আরএসএস আওরঙ্গজেবকে এক রাক্ষসের মতো চেহারা দিয়ে, তার নৃশংসতার ওপর জোর দিয়ে, হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রচার চালিয়ে ভোট পেতে চায়, এ ছাড়া তাদের আর কোনো উদ্দেশ্য নেই।
আমরা চোখের সামনে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করতে দেখেছি। এবার আওরঙ্গজেবের স্মৃতিসৌধকে ধ্বংস হতে দেখব। তবে ওই হিন্দুত্ববাদীরা হয়তো জানেনই না যে, আওরঙ্গজেব ওই চত্বরেই শুয়ে আছেন কোনো এক অখ্যাত কবরে, এ কথা সত্যি। তবে তিনি মারা যাওয়ার আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন তার কবরকে যেন অযথা মহিমান্বিত না করা হয়। অন্যান্য মোগল সম্রাটের মতো আর তার সমাধি চিহ্নিত করার কোনো উপায় তিনি রেখে যাননি। (অনুলিখন : জাকির হোসেন সরকার)
বাংলা বাজার ইউটিউব চ্যানেল থেকে সংকলিত
অনিকেত চট্টোপাধ্যায় : ভারতের সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক