কাজটা পুলিশেরই করার কথা, দুদকের প্রয়োজন হলো কেন?

ড. মনজুর আলম
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

‘বাংলাদেশ পুলিশ ঐতিহাসিক দাসত্বের শিকার’-কথাটা শুনতে খারাপ লাগলেও এর চেয়ে ভালো বিশ্লেষণ আমি অন্তত খুঁজে পাইনি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে কম দুর্নীতিপরায়ণ চারটি দেশ; ডেনমার্কে ৮০ শতাংশ, ফিনল্যান্ডে ৯৫ শতাংশ, নিউজিল্যান্ডে ৬৭ শতাংশ এবং সুইডেনে ৭৩ শতাংশ মানুষ পুলিশের ওপর পুরোপুরি আস্থাশীল। পঞ্চম কম দুর্নীতিপরায়ণ দেশ, সিঙ্গাপুর। সেখানেও ৯৩ শতাংশ মানুষ তাদের পুলিশ বাহিনীর ওপর ভরসা রাখেন। সে তুলনায় সব দেশেই আমলা, রাজনীতিক, বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য শ্রেণির ওপর জনগণের আস্থা অনেক কম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কম দুর্নীতিপরায়ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অনেক নিচের দিকে। তাছাড়া পুলিশের ওপর এ দেশের জনগণের আস্থা বরাবরই তেমন একটা উৎসাহব্যঞ্জক নয়। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবকালে এবং পরবর্তী সময়ে সে আস্থার আরও বিপর্যয় ঘটেছে। তাই কম দুর্নীতিপরায়ণ দেশ এবং পুলিশের ওপর জনগণের বিশ্বাসের একটা সমীকরণ এতে খুঁজে পাওয়া যায়!
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সমীক্ষা অনুযায়ী আরেকটি তথ্য এই যে, উল্লিখিত কম দুর্নীতিপরায়ণ দেশগুলোর কোনোটিতেই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বা তেমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। অবশ্য সিঙ্গাপুরে ‘করাপ্ট প্র্যাকটিস ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব দেশে পুলিশ বিভাগই দুর্নীতিবিষয়ক কাজের দেখভাল করে থাকে। অপরাপর অপরাধের মতো দুর্নীতিও একটি অপরাধ। তাই স্বাভাবিকভাবেই কেউ ঘুস বা অন্যায়ভাবে অর্জিত টাকা দিয়ে বাড়ি-গাড়ি করলে বা লুকিয়ে রাখলে বা পাচার করলে তার অনুসন্ধান পুলিশের কাজ। এর জন্য দুদকের কোনো প্রয়োজন নেই। অথচ বাংলাদেশে এমন নয় কেন? কেন এ দেশের মানুষ পুলিশকে বিশ্বাস করতে চায় না? কেন বাংলাদেশে পৃথক দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রয়োজন হয়? আর জনগণের টাকায় পৃথক কমিশন করেও কেন দুর্নীতি কমে না?
পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা ও অবিশ্বাসের অন্তর্নিহিত কারণ বুঝতে ভারত উপমহাদেশে পুলিশের ইতিহাস বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। ঐতিহাসিকভাবে ১৮৫৮ সালে ইন্ডিয়া গভর্নমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী ভারতীয় পুলিশ বাহিনীর জন্ম হয়েছিল। পরবর্তীকালে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান পুলিশ বাহিনী হয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পুলিশের জন্ম। ১৮৫৮ সালে ভিনদেশি ভারতীয়দের শাসন করতে যে পুলিশ এসেছিল, তারা কখনো জনগণের সেবক ছিল না-ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের লাঠিয়াল বাহিনী আর সাহেবদের সেবাদাস। বাংলাদেশ এ অঞ্চলে একমাত্র দেশ, যার অধিবাসীরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে পুলিশব্যবস্থার পরিবর্তন করতে তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সমস্যা যেই তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। তাদের রেখে দেওয়া হয়েছে সেই লাঠিয়াল বা সরকারি দলের গার্ড বাহিনী হিসাবে।
ব্রিটিশরাজ তাদের শাসন রক্ষার জন্য যে ইম্পেরিয়াল পুলিশ বাহিনী সৃষ্টি করেছিল, নিজ দেশ ইংল্যান্ড বা ওয়েলস পুলিশের লাঠি ছোট হতে হতে এক ফুটের বেয়নেটে রূপান্তরিত হলেও আমাদের পুলিশের লাঠি বড় হতে হতে দুমিটার ছাড়িয়ে গেছে! নীলকুঠির বর্গিদের নৃশংস অত্যাচার বা পাকিস্তানি হানাদারদের পাশবিক হত্যাযজ্ঞের মহোৎসব যারা দেখেননি, জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের সময় সশরীরে বা টিভির পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার দেখে তারা অবাক বিস্ময়ে হতভম্ব হয়ে ভেবেছেন, ওরা কি এ দেশের পুলিশ! কেমন নিরুত্তাপ অবলীলায় দেশের মানুষকে নির্দ্বিধায় হত্যা করছে!
নীলকুঠি সাহেবের পাইক-লস্কর দিয়ে গরিব চাষি অত্যাচারের কাহিনি শুনে আমাদের চোখে পানি এসেছে! দরিদ্র কৃষক খাজনা দিতে না পারায় লাঠিয়ালরা কেমন লাঠিপেটা করে কৃষকের অর্ধমৃত দেহকে টেনেহিঁচড়ে জমিদারের পায়ের কাছে ছুড়ে ফেলেছে, সেই গল্প পড়ে বা সিনেমায় দেখে আঁতকে উঠেছি। ভেবেছি মানুষ কী করে মানুষের প্রতি এত নির্মম হতে পারে! অথচ আমাদের চোখের পানি আর আঁতকে ওঠার অনুভব জুলাই-আগস্ট মাসের হত্যাযজ্ঞের কাছে নস্যি হয়ে গিয়েছিল। নিজ দেশের মানুষ মারার জন্য আমাদের পুলিশ আধুনিক মারণাস্ত্র দিয়ে তাদের অস্ত্রাগার সমৃদ্ধ করেছে। মাত্র দু-তিন সপ্তাহে কয়েকশ নিরপরাধকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা আর হাজারো ছাত্র-জনতাকে দৃষ্টিহীন, পঙ্গু করেছে এ দেশেরই পুলিশ! নীলকুঠির পাইক বা লস্কররা তো সে অর্থে নাবালক! জমিদারের লাঠিয়ালরা সে তুলনায় ফেরেশতা।
কী এর কারণ? কারণ একটাই-ব্রিটিশরাজের তৈরি করা যে সেবাদাস বাহিনী, শাসককুলের স্বার্থে সে বাহিনীর মনস্তাত্ত্বিক ও গুণগত কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি বা আনতে দেওয়া হয়নি। তাই পুরোনো জমিদার পাইকদারদের নব্য রূপ আজকের পুলিশ। শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি!
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সুযোগ এসেছিল পুলিশ বাহিনীকে এক আদর্শ ও জনগণের সেবক বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার। আমরা সে সুযোগ হারিয়েছি। দেশের যারা আইনপ্রণেতা, নীতিনির্ধারক এবং আইন বাস্তবায়নকারী, তারাই চেয়েছেন পুলিশ তাদের কথায় উঠবে আর বসবে! পুলিশ তাদের অত্যাচারের অস্ত্র হিসাবে লাঠিয়াল বা তল্পিদার বাহিনী হিসাবেই থাকবে! এভাবেই দেখতে দেখতে পুলিশ নিজেই কখন যে লাঠিয়াল থেকে দানব হয়ে গেছে, তা নিজেরাও হয়তো টের পায়নি! তবে এটা নিশ্চিত, জুলাই-আগস্টের ভিডিও চিত্রগুলো যখন তারা দেখেন, তখন ভাবেন ওই হিংস্র দানব খুনি কি আমরাই-আমরাই কি সেই পাষণ্ড?
অথচ পুলিশ বাহিনীকে যারা এমন বানিয়েছেন এবং নিজ স্বার্থে ব্যবহার করেছেন, তারা কি আজ সে দায় নেবেন? সেটা না করে আজ তারাই আঙুল তুলছেন। এক পুরোনো প্রবাদ, ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’, পুলিশের ক্ষেত্রে বর্তমানে সম্পূর্ণ প্রযোজ্য! কিন্তু দোষ কি শুধু পুলিশ বাহিনীর?
প্রথমেই দেখা যাক পুলিশ সদস্য নির্বাচনব্যবস্থা। কাগজে-কলমে যাই থাকুক, জনসম্পৃক্ততা বা জনগণের সেবক ধারণার পরিবর্তে শাসকগোষ্ঠীর সেবক ধারণাকে প্রাধান্য দিয়ে পুলিশ সদস্য নির্বাচনব্যবস্থা চালু আছে! ক্ষমতায় থাকা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, পুলিশের শীর্ষস্থান থেকে এসপি, প্রশাসনের সচিব থেকে ডিসি, ক্ষমতাসীন দলের এমপি থেকে স্থানীয় পরাক্রমশালী রাজনৈতিক নেতার পুলিশ নিয়োগে ভাগের অংশ নিতে দিতে প্রকৃত মেধা ও যোগ্যতাভিত্তিক নিয়োগ এক প্রহসনে পরিণত হয়। পুলিশ নিয়োগে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, পুলিশের কথায়ই পুলিশ পদে আবেদনকারীদের মোটা অঙ্কের উৎকোচ দিয়ে নির্বাচিত হতে হয়! এভাবে একেবারে প্রথম স্তরেই অসাধুতা ও ঘুসবাণিজ্য দিয়ে পুলিশনবিশের যাত্রা শুরু।
যেহেতু প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতরা শাসকগোষ্ঠীর কর্তাদের দাক্ষিণ্য ও মোটা অঙ্কের অর্থ উৎকোচে নির্বাচিত, তাই তাদের দায়বদ্ধতা থাকে যারা তাকে পুলিশে নিয়োগ পেতে সাহায্য করেছে তাদের কাছে। পাশাপাশি যত শিগ্গির সম্ভব উৎকোচের টাকা (অনেক ক্ষেত্রে বন্ধক বা বিক্রি করে দেওয়া ভিটেবাড়ি) উদ্ধার! নির্বাচনে যেহেতু মানবিকতা, নৈতিকতালব্ধ জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং শারীরিক সক্ষমতা মুখ্য নয় (তদবির, প্রত্যয়ন বা প্রভাবই যেখানে মুখ্য), তাই সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণকালীন একজন চৌকশ পুলিশ হওয়ার চেয়ে যত তাড়াতাড়ি ট্রেনিং-পর্ব শেষ হয়, তারই অপেক্ষায় থাকেন পুলিশনবিশরা!
বাংলায় একটা কথা আছে ‘কাকের মাংস কাক করে না ভক্ষণ’; কিন্তু পুলিশ একাডেমিতে এ কথা সত্য নয়। পুলিশের অনেক ইনস্পেকটর, যারা প্রশিক্ষক হিসাবে সেখানে কাজ করেন, তারা শিক্ষানবিশ পুলিশের কাছ থেকে প্রতি কোর্স সমাপ্তির সনদ দিতে উৎকোচ নেন। এমনকি বন্দুক চালানোর কোর্স থেকেও। এটা ওপেন সিক্রেট যে, একাডেমিতে প্রশিক্ষকের পদসহ প্রায় সব পদই শাস্তিমূলক পদ। একাডেমির অনেক প্রশিক্ষক মাঠপর্যায়ে যেহেতু উৎকোচ নিতে অপারগ, তাই তারা ভবিষ্যৎ পুলিশের কাছ থেকেই উৎকোচ নিয়ে কিছুটা হলেও লোকসান পুষিয়ে নেন। এতে ভবিষ্যৎ পুলিশ ভাইয়েরা চাকরির আগেই দ্বিতীয় দফা উৎকোচ দেওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
এরপর আসে পোস্টিংয়ের চিন্তা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগেই শিক্ষানবিশ পুলিশ এ বিষয় নিয়ে ছটফট করতে থাকে। তদবির শুরু। এক্ষেত্রে সবচেয়ে পছন্দনীয় যেখানে বেশি টাকার খেলা, দ্বিতীয়ত পরিচিত এমপি বা মন্ত্রীর নিজ এলাকায় নিয়োগ। রাজনৈতিক নেতারাও চান তার পরিচিত পুলিশের লোক নিজ এলাকায় থাকুক। এতে পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতা দুজনেরই লাভ। অনেকের মতে এ দু-প্রকার পোস্টিংয়ে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতবদল হয়ে থাকে। আর এটা হলো চাকরি প্রাপ্তির আগে পুলিশের উৎকোচ প্রদানের তৃতীয় অভিজ্ঞতা।
এতসব তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে চাকরিতে যোগদান করার পরই তারা কিছু বাস্তব পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, যেমন-প্রতিটি থানাকে একটা বিশেষ অঙ্কের টাকা সংগ্রহ করতে হয়, যার হিস্যা বণ্টন হয় ওপর থেকে নিচ অবধি! এটা নাকি ওপেন সিক্রেট! তদুপরি একটা থানার মাসিক সরকারি খরচ যা দেওয়া হয়, তাতে অভিযোগকারীর অভিযোগ লেখার কাগজ সরবরাহ করাও নাকি অনেক সময় সম্ভব নয়-থানার হাজতিদের খাবার খরচ তো নয়ই, কোথাও কোনো বেওয়ারিশ লাশের খবর এলে পুলিশের কেউ সেখানে যেতে চান না। কারণ, লাশ পরিবহণে গাড়ির খরচ প্রায়ই যিনি যান, খরচ তাকেই বহন করতে হয় অথবা দুর্নীতির আশ্রয় নিতে হয়।
অনেক ক্ষেত্রে বেওয়ারিশ লাশকে পোস্টমর্টেম করার নিমিত্তে লাশঘরের খরচও থানার বাজেটে সংকুলান হয় না বিধায় সে খরচও পুলিশকেই সংগ্রহ করতে হয়! প্রতিটি থানায় নিয়মিত পুলিশ টহলের নির্দেশ থাকলেও গাড়ির জ্বালানি খরচের অর্থ সরকারি বাজেটে সংকুলান না হলে (অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটাই হয়) সে অর্থ থানার কর্মকর্তাকে যেভাবে হোক সংগ্রহ করতে হয়। নিয়মিত টহল না থাকার কারণে থানা এলাকায় কোনো গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হলে থানা কর্মকর্তা ও অন্যের জবাবদিহিতার সম্মুখীন এবং শাস্তিজনিত দূরাঞ্চলে বা কম-জোগানির থানায় বদলির সম্মুখীন হতে হয়। তাই যেমন করেই হোক থানা কর্মকর্তাদের টহল গাড়ির পেট্রোলের টাকা সংগ্রহ করতেই হয়। কারণ টাকা কামানোর গোলা থেকে বান্দরবান বা খাগড়াছড়ি বদলি হতে কেইবা চায়!
তদুপরি সরকারি দল ও প্রশাসনের উচ্চপদে আসীন কর্মকর্তাদের নির্দেশ ও তদবির মানাও যেন তাদের কর্মের অন্যতম স্তম্ভ। সরকারের রক্ষাকবচ হিসাবে দলের নৈতিকতাহীন নির্দেশ ও তদবির না মানার শাস্তি- ওএসডি, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বা দূরাঞ্চলে বদলি, এমনকি চাকরিচ্যুতির ঝুঁকি! পোস্টিংয়ের জন্য তদবির হয়তো সঠিক কাজ নয়; কিন্তু এ সমাজের রথী-মহারথীরা নিজস্ব থানায় তোষামোদকারী পুলিশ ও পুলিশ অফিসারদের পোস্টিং করানোর বেআইনি কাজে যে সম্পৃক্ত-সেটা কি মিথ্যে?
তাই সব দোষ নন্দঘোষের ওপর চাপিয়ে দিলে কি চলবে? আজকের পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের ক্ষোভ, অনাস্থা এবং অবিশ্বাস, সেটা তো একদিনে তৈরি হয়নি! পুলিশের কর্মকাণ্ডে নৈতিকতা, সততা ও মূল্যবোধের যে চরম অবক্ষয় ঘটেছে, তার জন্য কি শুধু পুলিশ দায়ী? সে কি পরিস্থিতির শিকার নয়?
যা হোক, ২৪-এর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান শেষে আবার এক সুযোগ এসেছে পুলিশকে জনগণের রক্ষাকবচ হিসাবে এক আদর্শ বাহিনীতে পরিণত করার-যেখানে পুলিশের ওপর জনগণের আস্থা থাকবে প্রগাঢ়। আর তা করতে হলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রথমেই একটি বিষয়ে নজর দিতে হবে: পুলিশের শুদ্ধীকরণ-সত্যিকার অর্থে এ বাহিনীর চিন্তাচেতনা, উদ্দেশ্য, আদর্শ ও প্রশিক্ষণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। আর তাতেই সম্ভব বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে সত্যিকার অর্থে জনগণের সেবক বাহিনীতে রূপান্তর করা!
ড. মনজুর আলম : সহযোগী অধ্যাপক, হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়, ফিনল্যান্ড; শাসনতান্ত্রিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ, ইইউ উন্নয়ন প্রকল্প