ওষুধের অপব্যবহার ও স্বাস্থ্যঝুঁকি
ড. মুনীরউদ্দিন আহমদ
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বর্তমান বিশ্বে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন আমাদের যান্ত্রিক ও অতিপ্রাকৃতিক করে তুলেছে। প্রাকৃতিক জীবনযাত্রা থেকে মানুষকে কৃত্রিম, অসুস্থ ও ক্ষতিকর জীবনযাপনের প্রতি ঠেলে দিচ্ছে এ তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া। প্রাকৃতিক জীবনযাত্রা থেকে সরে আসার কারণে বিশ্বজুড়ে মানুষের শরীর-মন-আত্মার ওপর প্রবল বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ফলে আমরা অতিমাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ছি। সুস্থ-সুন্দর জীবনের জন্য আমাদের নিজেদের বদলাতে হবে। পরিবেশ, ওষুধ ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে, অন্যকে বদলানোর জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের জানতে হবে কোনটি স্বাস্থ্যকর নিরাপদ খাবার আর কোনটি অস্বাস্থ্যকর খাবার, কোনটি নিরাপদ ওষুধ আর কোনটি ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ। লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা ওষুধ ছাড়াই সুস্থ-সুন্দর জীবনযাপন করতে পারি। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস, সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ধূমপান বর্জন করা, লবণ, চর্বি, ট্রান্স ফ্যাট এবং বিপুল ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার পরিহার, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করা, পর্যাপ্ত নিরুপদ্রব ঘুম এবং দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন আমাদের অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। আমি আমার এক বইতে লিখেছিলাম-সব রোগের ওষুধ নেই, সব রোগে ওষুধের প্রয়োজনও নেই এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিকারে চিকিৎসাবিজ্ঞানের হাতে এখনো কোনো জাদুর কাঠি নেই যা ছোঁয়ালেই রোগ ভালো হয়ে যাবে। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য স্বাস্থ্য পরিচর্যা, রোগ, রোগের উৎপত্তি, প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং ওষুধ কোম্পানি ও চিকিৎসকদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সবারই কিছু সাধারণ জ্ঞান অর্জন অবশ্যই দরকার। কারণ শরীর ও রোগ সম্পর্কে জ্ঞান ও সচেতনতা মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে এবং রোগকে সুষ্ঠু ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করার মতো শক্তি জোগায়। এ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে রোগ প্রতিহত ও প্রতিরোধ করতে পারলে ওষুধের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা কমে যাবে। বিশ্বে প্রচলিত ওষুধের ওপর বিভিন্ন সময়ে লিখা প্রবন্ধগুলোতে আমি যে চিত্র তুলে ধরেছি, আমি বলেছি সব সময় ওষুধের ওপর বেশি নির্ভর করারও কোনো উপায় নেই। আমি বিশ্বাস করি, আমার এ লেখাটি পড়লে নকল, ভেজাল, অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই সুস্থ-সুন্দর, রোগমুক্ত জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত জ্ঞান ও অনুপ্রেরণা লাভ করা সহজ হবে ।
চিকিৎসাশাস্ত্রের সংজ্ঞামতে কোনো ওষুধই নিরাপদ নয়। ওষুধ শরীরের জন্য বহিরাগত একটি রাসায়নিক পদার্থ এবং প্রতিটি বহিরাগত রাসায়নিক পদার্থেরই শরীরে কম বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বিষক্রিয়া ও মিথস্ক্রিয়া থাকে। একজন ফার্মাসিস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হওয়ার সুবাদে আমার ওষুধশিল্প এবং চিকিৎসা পেশাকে সূক্ষ্মভাবে দেখা, জানা ও চেনার সুযোগ হয়েছে। কয়েক দশক ধরে ওষুধশিল্প ও চিকিৎসা পেশায় বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রতারণার বহু ঘটনা আমার নজরে এসেছে। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বিষক্রিয়া ও মিথস্ক্রিয়ার কথা ধর্তব্যের মধ্যে না নিয়ে অনিরাপদ, অপ্রয়োজনীয়, ক্ষতিকর ও ব্যবহার অনুপযোগী ওষুধ খাইয়ে কোনো কোনো ওষুধ কোম্পানি, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী এবং কোনো কোনো চিকিৎসক কীভাবে বিশ্বের অসহায় দরিদ্র মানুষকে ঠকিয়ে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছে এবং এসব ওষুধ কিনে ও সেবন করে মানুষ কীভাবে শারীরিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও সর্বস্বান্ত হচ্ছে-তার বিস্তৃত বিবরণ তুলে ধরার নৈতিক ও পেশাগত তাগিদ অনুভব করার কারণে এ প্রবন্ধটি লেখার প্রয়োজন বোধ করেছি।
ওষুধের যুক্তিসংগত প্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো যথাসম্ভব ন্যূনতম রেখে রোগীকে সর্বোচ্চ মাত্রায় সুফল প্রদানের প্রচেষ্টাই চিকিৎসাবিজ্ঞানের আসল লক্ষ্য। রোগ প্রতিরোধ-প্রতিকারে আমরা ওষুধ ব্যবহার করি। ওষুধের রোগ সারানোর অপূর্ব ক্ষমতাকেই শুধু আমরা ধর্তব্যের মধ্যে নিয়ে থাকি। কিন্তু রোগ সারানোর পাশাপাশি ওষুধ আমাদের শরীরে কত মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে তা আমরা প্রায়ই বুঝে উঠতে পারি না বা মনে রাখি না। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা বিষক্রিয়ার কারণে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। ওষুধের অযৌক্তিক ও নির্বিচার ব্যবহার, বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। বিশ্বের ওষুধ কোম্পানিগুলো ওষুধ উদ্ভাবনের পাশাপাশি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও বিপণনে অনৈতিক ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, পাশাপাশি বেশির ভাগ চিকিৎসক ব্যবসায়িক স্বার্থে নির্বিচারে ঢালাওভাবে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের আর্থিক ফায়দা লুটছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্বের বিপুলসংখ্যক মানুষ। অসহায়, দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা ও সরলতার সুযোগ নিয়ে একশ্রেণির ওষুধ কোম্পানি ও চিকিৎসক নিষ্ঠুর খেলায় মেতে উঠেছে। মনে রাখা উচিত, ওষুধ সাধারণ ভোগ্যপণ্যের মতো কোনো পণ্য নয়। ওষুধ দেওয়া বা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা চিকিৎসাশাস্ত্রের অন্যতম অত্যাবশ্যকীয় পূর্বশর্ত। দুর্ভাগ্যবশত সেই সতর্কতা অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয় না।
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বা নির্বিচার ব্যবহার আমাদের প্রতিনিয়তই এক ধরনের ভয়ংকর বিপদ ও ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গত সাত দশক ধরে অ্যান্টিবায়োটিককে সংক্রামক রোগের প্রতিকারে ম্যাজিক বুলেট হিসাবে গণ্য করে আসা হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের পর থেকে একদিকে যেমন লাখো-কোটি মানুষের জীবন রক্ষা করা গেছে, তেমনি এসব ওষুধের বিষক্রিয়া, বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও অপপ্রয়োগের ফলে ভোগান্তি ছাড়াও বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। যুক্তিহীন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে অনেক জীবাণু ইতোমধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা রোধ করে বা ধ্বংস করে সফল চ্যালেঞ্জার হিসাবে টিকে থাকার দক্ষতা ও ক্ষমতা অর্জন করেছে। জীবাণুর প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন এ শতাব্দীর চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য এক ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। পর্যাপ্তসংখ্যক নতুন নতুন কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কৃত না হলে এবং অ্যান্টিবায়োটিকের যুক্তিসংগত প্রয়োগ নিশ্চিত না করা গেলে ভবিষ্যতে মানবসভ্যতাকে সমূহ বিপদের সম্মুখীন হতে হবে-এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এ গুরুত্বপূর্ণ কথাটি অধিকাংশ চিকিৎসকই মানেন না, মানতে চান না। আমরাও মানি না।
যে কোনো রোগ শরীরের স্বাভাবিক সুস্থ অবস্থার পরিবর্তন বা ক্ষতিসাধন করে অনেক সময় অপূরণীয় বিপর্যয় ডেকে আনে। এ অবস্থায় রোগ প্রতিকারের উদ্দেশ্যে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকে না। রোগ নিরাময়ে ওষুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ পণ্য নয়। প্রশ্ন হলো, ক্ষতিকর প্রভাব থাকা সত্ত্বেও আমরা ওষুধ সেবন করি কেন? ওষুধ জীবন রক্ষাকারী পণ্য। অনেক রোগের ক্ষেত্রে ওষুধ না খেলে রোগ জটিল আকার ধারণ করতে পারে। ফলে রোগীর শরীরের ক্ষতি সাধন ছাড়াও মৃত্যু হতে পারে। তাই গ্রহণযোগ্য মাত্রায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ওষুধের অপরাপর ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করতে হয়। অনেকেই মনে করেন-সব রোগের প্রতিকারে ওষুধ আবশ্যক বা সব রোগের ওষুধ রয়েছে। ধারণাটি সত্য নয়। সব রোগের জন্য ওষুধ দরকার হয় না বা বহু রোগের ওষুধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। ঠান্ডা লাগা বা ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য কোনো ওষুধ নেই বা দরকারও হয় না। সতর্কতা অবলম্বন করলে এ রোগ এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। ক্যানসার বা এইড্স রোগের শতভাগ ফলপ্রসূ কোনো চিকিৎসা এখনো আমাদের হাতে নেই। বিশ্বজুড়ে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোকে এখনো লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এসব রোগের আধুনিক চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও এ জটিল ও মারাত্মক রোগগুলোকে এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষা, কুসংস্কার বর্জন, বাস্তবসম্মত বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সঠিক সময়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ।
নকল, ভেজাল বা নিম্নমানের ওষুধ গ্রহণের ফলে শরীরে সৃষ্ট প্রতিক্রিয়ার কারণে অনেক সময় নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। এসব জটিলতার কারণে মূল কালপ্রিট নকল, ভেজাল বা ক্ষতিকর ওষুধের পরিবর্তে আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের অবনতি বা মৃত্যুর জন্য তুলনামূলক কম দোষী উপাদানকে দায়ী করে বসি। ওষুধ যখন সেবন করা হয়, তখন বোঝার উপায় থাকে না এটি নকল না আসল। ওষুধ সেবনের পর কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া না গেলে রোগী ভাবে তার রোগ নির্ণয় ঠিক হয়নি। তখন রোগী অন্য ডাক্তারের কাছে যায়, বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করতে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নকল ভেজাল ওষুধের কারণে শরীরে কোনো বিষক্রিয়া বা ক্ষতিকর অবস্থার সৃষ্টি হলে তাকে ওষুধের অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে চিহ্নিত করে রোগীকে অন্য ওষুধ প্রদান করা হয়। মূল দোষী সেই নকল বা ভেজাল ওষুধটি বরাবরই দৃষ্টির আড়ালে থেকে যায়। অনেক ক্ষেত্রে নকল, ভেজাল, ক্ষতিকর ওষুধের কারণে কারও স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে বা মৃত্যু হলে দোষ হয় রোগের, নতুবা ডাক্তারের অথবা হাসপাতালের। আমরা খুব কমই ভাবি নকল, ভেজাল, নিম্নমানের ওষুধের কারণে বিশ্বের অধিকাংশ রোগী মারা যায়। তাই এসব নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের করালগ্রাস থেকে আমাদের বাঁচতে হবে এবং অন্যকেও বাঁচাতে হবে।
আমি অতীতে আমার লেখায় বহুবার উল্লেখ করেছি-বিশ্বের বহু ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি তাদের অপ্রয়োজনীয় ও কম গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ বিপণনে প্রতিবছর প্রতি চিকিৎসকের পেছনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে থাকে। এ বিনিয়োগের বিপরীতে ওষুধ কোম্পানিগুলো শতসহস্র গুণ বেশি মুনাফা করছে। প্রকৃতপক্ষে এসব মুনাফার অর্থ যাদের পকেট থেকে আসে তারা অসহায়-নিরীহ মানুষ। তারা জানে না কী ওষুধ তারা সেবন করছে, এসব ওষুধের উপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী। ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের উদ্ভাবিত ও বাজারজাত ওষুধের ট্রায়ালের জন্য আর্থিক, বৈষয়িক ও রোগ প্রতিকারের প্রলোভন দেখিয়ে তথ্য গোপন করে বিশ্বের অনুন্নত ও দরিদ্র দেশগুলোর অসহায়, দরিদ্র ও অজ্ঞ সাধারণ মানুষকে গিনিপিগের মতো ব্যবহার করে আসছে।
এ ধরনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অবৈধ ও অনৈতিক। এ ধরনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ বিষক্রিয়া, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা মিথস্ক্রিয়ার কারণে জীবন দিয়েছে, হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয়ে গেছে বা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওষুধ কোম্পানিগুলোর এসব অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা না গেলে আরও লাখো মানুষকে তার খেসারত দিতে হবে। বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলোর এতসব অমানবিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিরুদ্ধে সরকারকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ড. মুনীরউদ্দিন আহমদ : প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান, ফার্মেসি বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
drmuniruddin@gmail.com