Logo
Logo
×

বাতায়ন

ইতিহাসচর্চা হতে হবে সঠিক নিয়মে

Icon

এ কে এম শাহনাওয়াজ

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ইতিহাসচর্চা হতে হবে সঠিক নিয়মে

খুব হতাশার মধ্যে দিন কাটছে। ঢাকা কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পড়ার সময় ইতিহাসের প্রতি আমার ভালোবাসা জন্মায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ইতিহাস বিষয়ে নিজের মনোযোগ স্থির করলাম। পরে ইতিহাসের শিক্ষক হলাম। বিশ্বসভ্যতা ও বাংলার ইতিহাস অধ্যয়ন করতে গিয়ে ইতিহাসের গভীরে যাওয়ার সুযোগ হলো। পরে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে যোগ দিয়ে কিছুটা প্রত্নতাত্ত্বিক জ্ঞানের সঙ্গেও যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করলাম। এতে ইতিহাস বুঝতে পারাটা আরেকটু সহজ হলো।

বুঝতে শিখলাম ইতিহাস-অসচেতন জাতি অন্ধত্বকেই শুধু বরণ করে। আমার প্রথম ইতিহাসভিত্তিক বই প্রকাশিত হয় ১৯৮১ সালে। তখন আমি এমএ ক্লাসের ছাত্র। আমার শিক্ষক প্রখ্যাত অধ্যাপক এ আর মল্লিক স্যার বইটির ভূমিকা লিখেছিলেন। এখানে একটি বাক্য তিনি লিখেন-‘ইতিহাস জীবন্ত জাতির পরিচায়ক।’ পরে শিক্ষকতার পেশায় এসে বুঝতে পারলাম, ইতিহাস বিচ্ছিন্ন হয়ে আমরা মৃতবৎ হয়ে পড়ছি যেন।

ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুবই ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। ইতিহাস রচনা পদ্ধতি যে অনেক আধুনিক হয়েছে এর খোঁজ খুব একটা রাখা হয় না। আমাদের দেশের ইতিহাস অনেককাল ধরে আটকে ছিল রাজনৈতিক ইতিহাসের গণ্ডিতে। তাই প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস ছিল শাসকদের ইতিহাস। দরবারি ইতিহাস তো বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা হতো না। শাসকের ইচ্ছেরই প্রতিফলন হতো সেখানে। গত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে নানা প্রত্নতাত্ত্বিক সূত্র আবিষ্কারের পর ইতিহাস রচনা রাজনৈতিক ইতিহাসের বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে। লেখা হতে থাকে সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাস, অর্থনৈতিক ইতিহাস, শিল্পকলার ইতিহাস। এখানে শাসকের শাসন তেমন থাকে না। তাই তথ্যসূত্র বিশ্লেষণ করে ঘটনার সত্য খোঁজার চেষ্টা করা হয়। ইতিহাস কখনো শেষ সত্যে পৌঁছাতে পারে না। সত্যে পৌঁছার চেষ্টা করে মাত্র।

এ লাইনটি অনেকেরই জানা-History repeats itself। অর্থাৎ নতুন এবং আরও বলিষ্ঠ উপাত্ত এসে পুনর্বিন্যাসের সুযোগ করে দেয়। এভাবেই প্রতিনিয়ত পরিমার্জনার মাধ্যমে এগিয়ে চলে ইতিহাসের জ্ঞান। এ কারণে যে কেউ চাইলেই ইতিহাস লিখতে পারে না। বিশ শতকের ইংলিশ ইতিহাসবেত্তা, প্রত্নতাত্ত্বিক ও দার্শনিক আর জি কলিংউড এসব বিবেচনায় বলেছেন, যে কারও ইতিহাস লেখার সুযোগ নেই। ইতিহাস লিখবেন শুধু পেশাজীবী ইতিহাসজ্ঞ। কারণ তিনিই ইতিহাস লিখন পদ্ধতি জানেন। কেমন করে আঁকর সূত্র ও দ্বিতীয় পর্যায়ের সূত্রগুলো সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করতে হয় তা তার জানা। হাতুড়ে ডাক্তারদের ওপর ইতিহাস লেখার দায়িত্ব থাকলে তারা ‘নতুন দৃষ্টিভিঙ্গ’তে ইতিহাস লেখার কথা বলে ফেলতে পারেন। কলিংউড আরেকটি জরুরি কথা বলেছিলেন। তার মতে, দুই প্রজন্ম অর্থাৎ ৫০ বছর আগে পর্যন্ত ঘটনা ইতিহাসের বিষয়বস্তু হবে; এর পরের নয়। কারণ হিসাবে বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকেন যারা, তাদের জবানিতে বা তথ্যে লিখিত ইতিহাস অতিরঞ্জন দোষে দুষ্ট হতে পারে বা যার যার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটতে পারে। এতে খণ্ডিত হয়ে যেতে পারে ইতিহাসের সত্য। তাই নির্মোহভাবে ইতিহাস লিখতে হলে কমপক্ষে ৫০ বছর অপেক্ষা করতে বলেছেন। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষ ততদিনে প্রভাবিত করার মতো বয়সে থাকবেন না বা বেঁচে থাকবেন না। নানা তথ্যসূত্র বিশ্লেষণ করে ইতিহাসবেত্তার তখন সত্যের কাছে পৌঁছা সহজ হবে। সাম্প্রতিক সময়ের ইতিহাস গ্রন্থকে ইতিহাস না বলে তথ্যের সঞ্চয়ন বলা যেতে পারে; যা ভবিষ্যৎ ইতিহাস গবেষকের তথ্যভান্ডারে যুক্ত হতে পারে।

অনেক বছর আগের কথা বলছি। নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন ইতিহাসপ্রেমিক মানুষ এলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে। আমার বাড়ি যেহেতু নারায়ণগঞ্জ, তাই সদ্য প্রকাশিত ‘নারায়ণগঞ্জের ইতিহাস’ নামে দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদের একটি গ্রন্থ আমাকে উপহার দিলেন। আমিও আনন্দিত হলাম। আমি প্রাথমিক হোঁচট খেলাম বই খুলে। লম্বা লেখক ও সম্পাদক তালিকা। সেখানে নানা পেশার মানুষ থাকলেও ইতিহাস গ্রন্থ লেখায় অভিজ্ঞ কারও নাম পেলাম না। খুলে বিন্যাস দেখে আরও হতাশ হলাম। যেখানে প্রাচীন, মধ্যযুগ ও ঔপনিবেশিক যুগের ধারাবাহিক ইতিহাস উপস্থাপিত হওয়ার কথা, সেখানে সমসাময়িক সময়ের নানা তথ্যের সমারোহ রয়েছে বইটিতে। পরে দেখলাম এ সময়ে অধিকাংশ জেলার ইতিহাস প্রধানত জেলা প্রশাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় লিখিত হচ্ছে। অধিকাংশের দশাই এক। তাই, ইতিহাস নাম থাকলেই তা ইতিহাস গ্রন্থ হয় না। আর অসচেতন পাঠক পুরোনো থিওরি থেকে ভাবেন, ইতিহাস লেখা হয় শাসকের অভিপ্রায়ে বা ইতিহাস লেখকের অভিপ্রায়ে।

আধুনিক বিশ্বের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিষয়কে মানবিক বিদ্যার অংশ মনে করে না। সব বিদ্যার শিক্ষার্থীদের অধীত জ্ঞানকে পূর্ণ করার জন্য বিশ্বসভ্যতার ইতিহাস ও যার যার জাতীয় ইতিহাসচর্চাকে আবশ্যিক পাঠ মনে করে। কিন্তু অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে আমাদের দেশে। বিগত সরকারের আমলে স্কুল পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস পাঠকে ক্রমাগত সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছিল। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা অনেক লেখালেখি করেছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। শেষে আমরা-পেশাজীবী ইতিহাস সংগঠনগুলোর কয়েকজন নির্বাহী সাক্ষাৎ করতে যাই শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনির সঙ্গে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমরা বিজ্ঞ শিক্ষামন্ত্রীকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছিলাম, শিশু শিক্ষার্থীদের দেশের ইতিহাস জানাটা কত দরকার।

কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষের ইতিহাস নিয়ে অবৈজ্ঞানিক কথারও সমালোচনা করা হয়েছিল। নিজের কথা নয়, ইতিহাসের স্বতঃসিদ্ধ কথা উপস্থাপন করেছিলাম সেখানে। ইতিহাস যে এক ধরনের বিজ্ঞান তা-ও বলা হয়েছিল। আর তাতেই রে রে করে ওঠেন কোনো কোনো পাঠক। সাধারণ পাঠকের কথাকে বিবেচনায় নিইনি। তাদের অনেকের জানার জগৎ সীমিত হতেই পারে। কিন্তু দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের কয়েকজন শিক্ষকও ইতিহাসকে কেন বিজ্ঞান বললাম তাতে বিস্মিত হলেন। পড়ে বুঝলাম তারা সম্ভবত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মতো বিজ্ঞান ভাবছেন। বিজ্ঞান যেমন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সত্যকে নিশ্চিত করে, তেমনিভাবে তথ্যসূত্রে বিশ্লেষণ করে ইতিহাসের সত্য নিরূপিত হয়। কারও ইচ্ছা বা অভিপ্রায়ে লিখলে তা ইতিহাস হয়ে ওঠে না। ইতিহাস নামীয় সেসব বিষয় ভবিষ্যৎ ইতিহাস গবেষকের পরিমার্জনায় বাদ পড়ে যায়। যাদের কাছে ইতিহাসকে বিজ্ঞান বলায় দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, তাদের জন্য কয়েকটি টিপস। সেই প্রাচীন গ্রিসের হেরোডোটাসকে ইতিহাসের জনক বলা হয়। তিনি প্রথম তথ্যসূত্র ছাড়া গল্পের মতো করে ইতিহাস লিখেছিলেন। তেমন ইতিহাসের তাত্ত্বিক মূল্য অনেক কম। তাই পরবর্তী সময়ে আরেক গ্রিক ‘থুকিডাইডিস’ প্রমাণপত্র দিয়ে ইতিহাস লেখা শুরু করেন। তাই তাকে বলা হয় বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক। ইতিহাসের বিজ্ঞানভিত্তিক ধারণা তো প্রাচীনকাল থেকেই ছিল। যদি কারও এ বিষয়ে আরও জানার আগ্রহ থাকে, তাহলে গুগলের শরণাপন্ন হতে পারেন। ইতিহাসের বিজ্ঞানভিত্তিক ধারণা নিয়ে অনেক বই ও প্রবন্ধ পাবেন।

ইতিহাস যে ডাক্তারিবিদ্যার মতো একটি বিদ্যা, এ ধারণা অনেকের মধ্যে নেই। চোখের ডাক্তার নিশ্চয়ই হার্টের চিকিৎসা করবেন না। ইতিহাসে কেউ রাজনৈতিক ইতিহাসের বিশেষজ্ঞ হতে পারেন, কেউ শিল্প ইতিহাসের, কেউ সমাজ ইতিহাসের, কেউ সাংস্কৃতিক ইতিহাসের। আবার কেউ প্রাচীন যুগ, কেউ মধ্যযুগ আবার কেউ আধুনিকযুগ বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকেন। যার যার এলাকায় তারা অবদান রাখবেন। কিন্তু ধারণার সীমাবদ্ধতার কারণে সরকারি পর্যায় থেকে কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ নির্বাচন করতে গিয়ে হরেদরে সমান করে ফেলেন। সবচেয়ে বড় কথা, এসব প্রতিবন্ধকতার কারণে ইতিহাসচর্চা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি আমরা।

আমরা কতটা ধোঁয়াশায় আছি এর সামান্য তথ্য দিচ্ছি। গত সরকারের আমলে একবার বগুড়ার মহাস্থানগড় প্রত্নঅঞ্চল নিয়ে ঝামেলা হলো। পত্রপত্রিকায় অনেক রিপোর্ট প্রকাশিত হলো। প্রত্ননিদর্শনে সমৃদ্ধ মূল গড়ে সুফি মাহিসওয়ারের সমাধির পাশে পুণ্যার্থীদের জন্য বহুতল ইমারত তৈরি করা হবে; যা প্রত্ন আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। এ মাজার থেকে প্রচুর অর্থ আয় হয়। এ আয় হয়তো আকৃষ্ট করেছিল। তাই মাজার কমিটির নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ডিসি সাহেব ইমারত বানাবেনই। এর সুরাহা করতে না পেরে মহামান্য হাইকোর্ট তদন্ত কমিটি করলেন। অবাক হয়ে দেখলাম, আওয়ামী বুদ্ধিজীবী যাদের নেতৃত্বে কমিটি গঠিত হলো, তাদের শিক্ষা গবেষণা প্রত্নতত্ত্ববিদ্যার ধারেকাছে নয়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি হয়তো হাইকোর্টের নজরে এসেছে, তাই একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্বের অধ্যাপকও যুক্ত করলেন কমিটিতে। সেসময়ের সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন একজন সজ্জন ও মেধাবী আমলা। তিনি দুশ্চিন্তা নিয়ে আমার কাছে এলেন। বললেন, যেভাবে কমিটি হয়েছে, তা দিয়ে তো কাজের কাজ হবে না। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ নেই। তিনি এখন সংশোধন করিয়ে আমার নাম যুক্ত করতে চান। আমি সম্মত হতে পারলাম না। কারণ ধারণা করেছিলাম, কমিটির নেতৃত্বে যারা আছেন, তাদের কাছে আমার দেওয়া বিশেষজ্ঞ মতামত কাজে লাগবে না। তবে আশ্বস্ত করেছিলাম, আমি ডিজি মহোদয়কে কমিটির বাইরে থেকে তাকে প্রয়োজনে সাহায্য করব।

আমাদের কর্তৃপক্ষীয় ইতিহাস-প্রত্নতাত্ত্বিক বোধের আরেকটি উদাহরণ। জাতীয় জাদুঘর পরিচালনার জন্য একটি দীর্ঘ তালিকার ট্রাস্টি বোর্ড রয়েছে। যদিও জাদুঘরের সঙ্গে প্রত্নতাত্ত্বিক জ্ঞানের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। প্রত্নতত্ত্বে এমন অনেক বিষয়চর্চা করা হয়, যা জাদুঘর বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই, এখানে দলীয় মানুষ খুঁজতে গিয়ে সভাপতি থেকে শুরু করে সদস্যদের সিংহভাগের শিক্ষা-গবেষণা ইতিহাস, জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ববিদ্যার ধারে কাছে নয়। আমলানির্ভরতা সবচেয়ে বেশি। এক-আধজন রয়েছেন শিল্প ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমার ধারণা, দলীয়করণ চিন্তা ও জাদুঘর বিদ্যার বিশেষায়িত দিকগুলো বিচারে অক্ষমতার কারণে জাদুঘরের কাঙ্ক্ষিত বিকাশ ঘটছে না। আর জাদুঘর দর্শনীয় বিষয়েই আটকে আছে, পারছে না গবেষণা প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে।

শেষ কথা, যেভাবে আমরা ইতিহাসবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি, তাতে দেশের এগিয়ে চলার পথ ধোঁয়াশাচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। তাত্ত্বিক জ্ঞানের শূন্যতার কারণে ক্ষমতা হাতে থাকলেই সব পক্ষ হয়ে যাচ্ছেন ইতিহাস লেখক। আমি বিশ্বাস করতে চাই, বর্তমান সরকারের বিজ্ঞ উপদেষ্টামণ্ডলীতে অনেকেই আছেন, যারা ইতিহাসচর্চার তাত্ত্বিক গুরুত্ব বুঝতে পারেন। তাই তারা ইতিহাস লিখনকে কোনো পক্ষের উদ্দেশ্য সাধন নয়, বরং ইতিহাস লিখন পদ্ধতির নিয়মেই এগিয়ে যাওয়ার পথ করে দিতে ভূমিকা রাখবেন। এর ব্যতিক্রম হলে ভবিষ্যতে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

shahnawaz7b@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম