জনপ্রশাসনে বৈষম্য নিরসনে কিছু প্রস্তাব
জেহসান ইসলাম
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পৃথিবীতে যখন থেকে রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, তখন থেকেই রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রধানত দুটি অংশ কাজ করে আসছে। একটি রাজনৈতিক (মূলত রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী নেতৃত্ব) এবং অপরটি অরাজনৈতিক (নীতি বাস্তবায়নকারী রাষ্ট্রের স্থায়ী কর্মচারী)। রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক উভয় অংশকে অনেক সময় রাষ্ট্রের কর্মচারী বলা হলেও পরেরটিকে স্থায়ী অংশ বলে অভিহিত করা হয়। যেমন আমাদের দেশে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক অংশের অর্থাৎ নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটেছে, কিন্তু অরাজনৈতিক অংশ কিছু বিচ্ছিন্ন ব্যতিক্রমী ঘটনা ছাড়া যেমন ছিল তেমনই আছে। রাষ্ট্রের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য এ অংশের গুরুত্ব অপরিসীম।
রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী অংশ রাষ্ট্রের সামগ্রিক স্বার্থে ও জনকল্যাণে যেসব পদক্ষেপ নিয়ে থাকে, সেগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকে রাষ্ট্রের স্থায়ী কর্মচারীদের ওপর, যাদের আমরা বলি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। রাষ্ট্রের এ অংশটি এখন ‘জনপ্রশাসন’ হিসাবে সমধিক পরিচিত। জনপ্রশাসনকে সংস্কার করে প্রকৃত অর্থে জনকল্যাণমুখী করার জন্য একদিকে যেমন এর দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করা দরকার, অপরদিকে বিভিন্ন সার্ভিসের মধ্যে, এমনকি একই সার্ভিসের মধ্যেও যে ভয়াবহ বৈষম্য বিরাজ করছে, তারও নিরসন করা জরুরি। জনপ্রশাসনের একজন সাবেক কর্মচারী হিসাবে আমি এর অন্তঃস্থ বৈষম্যগুলো চিহ্নিতকরণ এবং সেগুলো নিরসনের কিছু উপায় সম্বন্ধে আলোকপাত করছি।
ক্যাডার প্রথা বাতিল : গুগলে খোঁজাখুঁজি করে দেখলাম উপমহাদেশের তিন দেশ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ছাড়া কোথাও, কোনো উন্নত রাষ্ট্রেই, এমনকি খোদ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে, যারা তাদের সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য ও সম্পদ লুটের উদ্দেশ্যে আমাদের উপমহাদেশের ওপর এ ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে, সেখানেও কোনো ক্যাডার প্রথা নেই। জনপ্রশাসনে ক্যাডার প্রথাই জনমানসে এক বড় ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। অতএব, এ প্রথা বাতিল করতে হবে। জনপ্রশাসনের সব সার্ভিসই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশাসন ক্যাডার বিলুপ্ত করা : কথাটা শুনে অনেকেই চমকে উঠবেন। প্রশাসন ক্যাডারের বন্ধুরা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠবেন। কিন্তু মাথা ঠান্ডা রেখে কথা শুনলে এবং সুস্থ মস্তিষ্কে চিন্তা করলে দেখা যাবে, এটি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই করা উচিত ছিল। তাতে দেশের অনেক রকমের সমস্যা এমনিতেই মিটে যেত। দেশে বর্তমানে ২৬টি ক্যাডার রয়েছে। একমাত্র প্রশাসন ছাড়া বাকি সব ক্যাডারেরই সুনির্দিষ্ট কর্ম বা পেশা রয়েছে। এসব ক্যাডারের কর্মচারীরা নিয়োগের পর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিশেষ দক্ষতা ও পারদর্শিতা অর্জন করেন। যেমন-টেকনিক্যাল ক্যাডারের ডাক্তার, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ইত্যাদি। সাধারণ ক্যাডার যেমন-পররাষ্ট্র, পুলিশ, কর ইত্যাদি। কিন্তু প্রশাসন ক্যাডারের কোনো সুনির্দিষ্ট কর্ম বা পেশা নেই। তবে একটা কাজ এ ক্যাডার খুব ভালো করেছে। সেই ব্রিটিশ শাসনের পর থেকে পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশে স্বৈরাচারের বৈধতাদানের জন্য সব প্রহসনের নির্বাচন সুচারুরূপে সম্পন্ন করা। বেশি পেছনে না গিয়েও ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে রাতের নির্বাচন এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনের উদাহরণ দেওয়া যায়।
প্রশাসন ক্যাডার যে সার্ভিসগুলো দিয়ে থাকে, সেগুলোর জন্য সুনির্দিষ্ট দপ্তর ও সংস্থা আছে, যারা ওই সার্ভিসগুলো সম্পন্ন করার জন্য যথেষ্ট। প্রশাসন ক্যাডারের এসব সার্ভিসের ওপর অপ্রয়োজনীয় খবরদারির ফলে মাঠ পর্যায়ে যেমন, তেমনি কেন্দ্রীয় পর্যায়েও আন্তঃসার্ভিস ও আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। অনেক কাজ আছে, যেগুলো প্রকৃতপক্ষে স্থানীয় সরকারের। সত্যিকার ও শক্তিশালী স্থানীয় সরকারব্যবস্থা থাকলে তাদেরই এসব কাজ করার কথা, যেমনটি উন্নত দেশগুলোতে হয়ে থাকে।
প্রশাসন ক্যাডার ভেঙে ‘ভূমি সার্ভিস’ করা খুবই প্রয়োজন। ভূমিসংক্রান্ত সব কাজ এখন প্রশাসন ক্যাডারই করে থাকে। সুতরাং, যারা ভূমিসংক্রান্ত দপ্তরগুলোয় এ মুহূর্তে নিয়োজিত আছে, তাদের নিয়ে এবং অন্য যারা এ সার্ভিসে আসতে চায়, তাদের নিয়ে বা এ সার্ভিস ছেড়ে চলে যেতে চায়, তাদের বাদ দিয়ে ‘ভূমি সার্ভিস’ শুরু করা উচিত। এর ফলে এ গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিসে স্পেশালাইজেশন গড়ে উঠবে এবং দেশের মানুষের অনেক উপকার হবে। পাশাপাশি ‘ইকনোমিক’ ও ‘সচিবালয়’ সার্ভিস পুনরুজ্জীবিত করা উচিত।
স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা : পিএসসি আয়োজিত বিসিএস ও অন্যান্য পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হওয়ার ভয়াবহ সংবাদ সম্প্রতি প্রকাশের আগে আমার কোনো ধারণাই ছিল না, এভাবে এত সহজে এসব পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। সামগ্রিক নিয়োগ পরীক্ষা একদম নিখুঁত ছিল না, এটি জানতাম। মৌখিক পরীক্ষায় বিশেষ বিশেষ প্রার্থীকে আনুকূল্য প্রদর্শন, বিধিবহির্ভূতভাবে ক্যাডার পরিবর্তন, কোটায় অনিয়ম করা-এসব অভিযোগের কথা শুনতাম। এ অবস্থায় পরীক্ষা পদ্ধতির ওপর হাত দেওয়া অত্যাবশ্যক। অনেক দেশেই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয়। আমাদের এখানেও এ নিয়ে ভাবতে হবে। মৌখিক পরীক্ষা হয় পুরোপুরি বাদ দিতে হবে অথবা মৌখিক পরীক্ষার নম্বর এমনভাবে কমিয়ে দিতে হবে, যাতে তা দিয়ে কোনো বিশেষ প্রার্থীকে আনুকূল্য প্রদর্শনের কোনো সুযোগ না থাকে। ন্যূনতম কোটা মেনে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন বাদ দিতে হবে। কারও বিরুদ্ধে পরে কোনো অভিযোগ উঠলে চাকরিবিধি ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
পদোন্নতিতে জ্যেষ্ঠতা তালিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করা : স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তদের একটি জ্যেষ্ঠতা তালিকা সবসময় থাকে। এ তালিকা কর্মচারীদের কাছে বাইবেলস্বরূপ; কিন্তু বিগত বছরগুলোতে এ তালিকা অত্যন্ত গর্হিতভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে। সে কারণেই জনপ্রশাসনে আজ বঞ্চনার এত ইতিহাস।
৫ম গ্রেডের নিচের কোনো কর্মকর্তাকে সচিবালয়ে পদায়ন না করা : প্রধানমন্ত্রীর (বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা) কার্যালয়ে বরাবর ৫ম গ্রেডের নিচের কোনো কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয় না। অনুরূপ ব্যবস্থা সচিবালয়ের ক্ষেত্রেও করা যায়। সচিবালয় হলো নীতিনির্ধারণী জায়গা। এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাঠের অভিজ্ঞতা নিয়ে তারপরে কাজ করার সুযোগ পাওয়া উচিত। এর ফলে মাঠের অভিজ্ঞতা ও বাস্তবজ্ঞান কাজে লাগিয়ে নীতিনির্ধারণ করা সহজ ও ফলপ্রসূ হবে।
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের পিএস/এপিএস নিয়োগ না করা : উপমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রজাতন্ত্রের সব রাজনৈতিক পদে যারা নিয়োজিত হবেন, তাদের জন্য ভিন্নভাবে পছন্দ অনুযায়ী পিএস/এপিএস নিয়োগ করা উচিত। অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে, প্রজাতন্ত্রের স্থায়ী কর্মচারীরা, যারা কোনো এক সরকারের সময় রাজনৈতিক নেতৃত্বের পিএস/এপিএস হয়েছে, তাদের পরবর্তী সরকারের সময় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। যত নিরপেক্ষভাবেই কাজ করুক না কেন, তারা বিতর্কিত হচ্ছেই। যদিও অনেক ক্ষেত্রে পিএস/এপিএস হওয়া কর্মচারীরা তাদের অতি উৎসাহ ও প্রশ্নবিদ্ধ কাজের জন্যই বিতর্কিত হয়েছে। অতএব, এ ধারা বন্ধ করতে হবে।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে নিয়োগ : উপসচিব পদে নিয়োগের জন্য প্রথম নিয়োগের পর কমপক্ষে ১০ বছর চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে, ৫ম ও ৪র্থ গ্রেডভুক্ত এমন কর্মচারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। একটি প্যানেল তৈরি করে রাখা যেতে পারে, যেখান থেকে ক্রমান্বয়ে উপসচিব পদে নিয়োগ করা হবে। কোনো কর্মচারীকে সর্বোচ্চ তিনবার পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। উপসচিব থেকে মেধাতালিকা অনুযায়ী যুগ্মসচিব ও পরবর্তী ঊর্ধ্বতন পদগুলোয় নিয়োগ করা যাবে।
উপসচিবদের সার্বক্ষণিক প্রাধিকারপ্রাপ্ত গাড়ি সুবিধা বাতিল করা : উপসচিবদের সার্বক্ষণিক গাড়ি সুবিধা বাতিল করতে হবে। এটি বিভিন্ন সার্ভিসের মধ্যে মারাত্মক রকম বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। যুগ্ম সচিব ও সমমানের সব সার্ভিসের সব পদে সার্বক্ষণিক প্রাধিকারপ্রাপ্ত গাড়ি সুবিধাসহ সব ক্ষেত্রে একইরকম সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদা দিতে হবে।
সুপারনিউমেরারি পদ বাতিল করা : ২০০৬ সাল থেকে দুটি ‘সুপার’ ঘটনা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে একদিকে যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, অপরদিকে জনগণের ট্যাক্সের টাকার ব্যাপক অপচয় হয়েছে। একটি হলো ‘সুপারনিউমারারি’ পদ সৃষ্টি, অপরটি হলো ‘সুপারসেশন’। আর এটি ঘটেছে কেবল প্রশাসন ক্যাডারে। যদিও সব ক্যাডার থেকেই উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সুবিধা পেয়েছে কেবল প্রশাসন ক্যাডার। সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি পাওয়ায় মেধাতালিকার নিচের দিকের কর্মচারীরা নানারকম ফন্দিফিকির করে অশুভ ও অনৈতিক পন্থায় উপরের পদে পদোন্নতি বাগিয়ে নিয়েছে। যদি ‘সুপারনিউমারারি’ না ঘটত, তাহলে ‘সুপারসেশন’ও হতো না। এর ফলে অনেকে যেমন বঞ্চিত হয়েছেন, তেমনই রাষ্ট্রের শত শত কোটি টাকা অপচয় হয়েছে।
প্রেষণে নিয়োগ বন্ধ করা ও সংস্থাগুলোকে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ দেওয়া : সরকারের বিভিন্ন সংস্থার, বিশেষ করে অনেক অধিদপ্তরের উচ্চতর পদগুলো মূলত প্রশাসন ক্যাডার থেকে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়। এভাবে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়ার ফলে ওইসব সংস্থার নিজস্ব কর্মচারীদের উচ্চতর পদে পদোন্নতি পাওয়ার দ্বার রুদ্ধ হচ্ছে, দীর্ঘ সময় ধরে সংশ্লিষ্ট সংস্থায় কাজ করে যে অভিজ্ঞতা তারা অর্জন করে, সংস্থার উন্নতিতে তা প্রয়োগে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে এবং উলটোদিকে সংস্থার কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ, বহিরাগত ব্যক্তি এসব সংস্থায় এসে কোনো কিছু না বুঝে নিজের মতো করে চালাতে গিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা করে ফেলছে। এদের বেশির ভাগই গড়ে দুই থেকে তিন বছরের জন্য নিয়োজিত থাকে বলে সংস্থার উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারে না। দুর্নীতির কথা বাদই দিলাম।
কমিশন ও অনুরূপ সংস্থাগুলোয় প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া : রাষ্ট্রের অনেক সাংবিধানিক কমিশন, বোর্ড, কর্তৃপক্ষ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখন পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের উচ্চতর পদগুলোয় কোনো নিয়মনীতি, নিয়োগবিধি ছাড়া যখন যাকে ইচ্ছা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব পদে তারাই নিয়োগ পান, যারা কোনো না কোনোভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। এসব নিয়োগে বিপুল অঙ্কের টাকা লেনদেনের অভিযোগও আছে, যা উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। এসব পদে স্বচ্ছ ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হলে সুফল পাওয়া যাবে।
প্রজাতন্ত্রের নিয়মিত পদগুলোয় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ করে আইন প্রণয়ন : প্রজাতন্ত্রের রাজস্ব খাতের নিয়মিত পদগুলোর মধ্যে যেগুলোর ফিডার পদ আছে, সেগুলোতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ করে আইন করা অথবা সিভিল সার্ভিস আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সেখানে তা সন্নিবেশিত করা উচিত। গত কয়েক দশকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে যেসব অনিয়ম ও অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। আশা করি, বর্তমান সরকার বৈষম্য নিরসনে জনপ্রশাসনে যেসব সংস্কারের কাজ করতে যাচ্ছে, সেসব বিষয়ের মধ্যে উপরের আলোচ্য বিষয়গুলোও বিবেচনায় নেবে।
জেহসান ইসলাম : অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব