আমরা দায় এড়াতে পারি না
এ কে এম শাহনাওয়াজ
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আমার শিক্ষক জাতীয় অধ্যাপক এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহমদ আমাকে যথেষ্ট স্নেহ করতেন। ১৯৮৪ সালের শুরুতে আমি যখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে নতুন যাত্রা শুরু করি, তখন জাহাঙ্গীরনগর ছেড়ে স্যার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করেছেন। ওই সময় একদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। স্যার বললেন, দেখ একটি বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্পর্শে থাকায় চারপাশের মানুষ ও সমাজ আলোকিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার কথায়, আচরণে, পোশাকে, মানবিকতায় একটি পরিমার্জিত রূপ থাকবে।
সমাজের মানুষ এ পরিবারের মানুষদের দেখে সম্ভ্রম জানাবে। প্রভাবিত হবে। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিবান মানুষরাই অন্যায় দেখে প্রতিবাদ করবে। সেখানেও থাকবে তাদের মননের প্রকাশ। সেটিই সৌন্দর্য। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বন্দি করে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন। তখনই ফুঁসে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শানিত মননের পরিচয় দিয়ে ১১ দফা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন তারা। যেখানে কৌশলে ৬ দফাকে রেখে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট আরও ৫টি দাবি যোগ করে মাঠে নেমেছিলেন তারা। এ আন্দোলনের তোড়েই ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার।
আমার দূরদর্শী শিক্ষক সেদিন বলেছিলেন, ‘সতর্ক থেকো, এই এখনকার অপেক্ষাকৃত সুন্দর সময় হয়তো সামনে থাকবে না। রাজনীতি আরও নষ্ট হতে থাকবে। সৌন্দর্য হারাতে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনেকের মধ্যেই কাম্য সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য কমে যেতে থাকবে।’ নিজেকে সতর্ক রেখে শিক্ষা, গবেষণা ও লেখালেখির মধ্যেই ব্যস্ত থেকো। দলীয় রাজনীতি থেকে দূরে থেকো। চেষ্টা করবে তোমার ছাত্রছাত্রীরা যাতে পথভ্রষ্ট না হয়।
স্যার গত হয়েছেন অনেক বছর। চেষ্টা করেছি, কিন্তু স্যারের সব পরামর্শ পালন করার যোগ্যতা হয়তো আমার নেই। নিজেকে দলীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে পারলেও ছাত্রছাত্রীদের সঠিক পথ হয়তো দেখাতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সত্যি এখন সংস্কৃতিবান শোভন মানুষের বড় অভাব।
অনেকদিন থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কের মধ্যে বেশ ফাটল ধরেছে। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়, যদি রাজনৈতিক বিবেচনা গুরুত্ব না পেত-মুক্তমনা পণ্ডিত অধ্যাপকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক হতেন, দলীয় বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ না হতো, যোগ্য শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরিমার্জন করা যেত এবং দলীয় রাজনীতির নষ্ট প্রভাব না থাকলে ধ্বংসাত্মক রাজনীতির সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও যুক্ত থাকত না।
এ সময়ের মতো দ্বৈত চরিত্র থাকত না শিক্ষার্থীদের। যেখানে গণআন্দোলন করে রক্ত দিয়ে একদিকে দাবি আদায় করছে, অন্যদিকে তাদের কেউ কেউ খুনি-সন্ত্রাসী হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আলোকিত ভুবনকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সত্তর ও আশির দশকের প্রথম দিককার কথা বলছি, আমাদের তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্বকাল চলছে। তখনো ক্যাম্পাসে মুজিববাদী ও জাসদ ছাত্রলীগের মধ্যে মাঝে মধ্যে মারামারি হতো, রক্ত ঝরত। এরপরও কতগুলো বিষয় মেনে চলত সবাই। সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও স্নেহের সম্পর্ক অটুট ছিল। ভিন্নমতের হলেও একই বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের রক্ষা করা কর্তব্য মনে করা হতো।
সিনিয়রের প্রতি সাধারণত অসম্মান দেখাত না জুনিয়ররা। আচরণে কোনো শিক্ষকের প্রতি ক্ষোভ তৈরি হলেও তা কোনোভাবে প্রকাশ পেত না। শিক্ষকরা যথাযোগ্য সম্মান পেতেন। এখন অবশ্য শিক্ষকদের কেউ কেউ সম্মান রক্ষা করতে পারছেন না।
ফেসবুকের যুগ এখন। এবার আন্দোলনের সময় দেখেছি বড় কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই কোনো কোনো ছাত্রছাত্রী কোনো শিক্ষককে অসম্মান করে পোস্ট দিচ্ছে। পড়ে মনে হয়, শিক্ষকদের এক হাত নিতে পেরেছে, এটাও যেন এক ধরনের বিজয়। কিন্তু যে ভাষা প্রয়োগ করা হয়, তাতে ওদের সাংস্কৃতিক মান নিয়ে প্রশ্ন জাগে।
পরপর তিনটি খুনের ঘটনা ঘটল। শিক্ষার্থীদের একাংশ খুবই অমানবিকভাবে প্রকাশ্যে খুন করল তিন হতভাগ্যকে। সমাজ যে কতটা বেসামাল হয়ে পড়েছে, এ যেন তারই প্রকাশ। প্রথম ঘটনা-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পঙ্গু সাবেক ছাত্রকে ছাত্রলীগ পরিচয় থাকার অপরাধে একদল তরুণ-তুর্কি প্রকাশ্যে পিটিয়ে মেরে ফেলল! তার শিশুসন্তানের বয়স তখন মাত্র তিন দিন। পত্রিকার খবরে জানা গেল, মৃত্যুর আগে হতভাগ্য ছেলেটি পানি খেতে চেয়েছিল। কিন্তু ওই তরুণরা এতটা নির্র্মম যে পানিও দেওয়া হয়নি। এত বড় মর্মান্তিক ঘটনার পরও অন্তর্বর্তী সরকার কোনো কড়া মেসেজ দিতে পারেনি বা বড় পদক্ষেপ নেয়নি। যে কারণে আরও দুটো অমানবিক খুনের ঘটনা ঘটল।
ঘটনা দুটো একই দিনের। একটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, অন্যটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। দুটো হত্যাকাণ্ডের ধরন ও চরিত্র দেখে এবং পরবর্তী রাজনৈতিক দলীয় শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া মন্তব্য শুনে মনে হলো খুনি ছাত্ররা সম্ভবত কোনো মানবিক ও সাংস্কৃতিক বোধসম্পন্ন পরিবারের সদস্য নয়। তা না হলে তাদের মধ্যে সুস্থ পারিবারিক শিক্ষার এত অভাব কেন? মানতে হবে, নষ্ট রাজনীতি এদের সব মনুষ্যত্ব নষ্ট করে ফেলেছে। আমরা শিক্ষকরা ব্যর্থ।
কারণ আমরা এসব শিক্ষার্থীর মনে মনুষ্যত্ববোধ তৈরি করতে পারিনি। সাম্প্রতিক বিপ্লবোত্তর সময়ে বেশকটি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের অপমান করে বলপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করাতে শুরু করে তাদেরই ছাত্রছাত্রীরা। অপমান সইতে না পেরে এক অধ্যক্ষের হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটে এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হত্যাকাণ্ডের কথাই ধরি। কতটা পৈশাচিক-হিংস্র মানসিকতার তরুণ-তুর্কি এ সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের কতিপয় ছাত্র! মোবাইল চুরির জন্য কথিত অপরাধী বলে মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জলকে আটক করল। এ হতভাগ্যের কাছে চুরির মালামাল পাওয়াও যায়নি। এক দফা মারের পর ছেড়ে দেওয়া যেত। কিন্তু তোফাজ্জলের চেয়েও মানসিক অসুস্থতা সম্ভবত এ খুনে মানসিকতার ছেলেদের মধ্যে ছিল।
তাই ঠান্ডা মাথায় ছেলেটিকে ভাত খাওয়াল। যেন ফাঁসির আসামির শেষ ইচ্ছে পূরণ করা। তারপর পিটিয়ে নানাভাবে নির্যাতন করে সবার চোখের সামনেই মেরে ফেলল। এখন ট্যাগ লাগানো হচ্ছে, খুনিরা সব দলছুট ছাত্রলীগের ছেলে! এমন একজনের জবানিও দেখাল টিভিতে। প্রশ্ন দাঁড়ায়, যারা হত্যাকাণ্ডের তামাশা দেখল, তারাও কি ছাত্রলীগ? তাহলে তো মানতে হবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন ছাত্রলীগে ছেয়ে গেছে!...খুনির আবার দল পরিচয় কী? দুর্ভাগ্য এই, হতভাগা তোফাজ্জলকে চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করা হলো, হল প্রশাসন নীরব রইল! বলা হয় হল প্রশাসন ও প্রক্টর নাকি খবর পেয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তাদের হাতে ছেলেটিকে তুলে দেয়নি খুনিরা। আর কর্তৃপক্ষও নতমুখে ফিরে গেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হত্যাকাণ্ডের ধরনটি একটু ভিন্ন। পৈশাচিকতা এখানেও কম কিছু হয়নি। এ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ তো বিতাড়িত হয়েছে ১৫ জুলাইয়ে। বিগত সরকারের আমলে ছাত্রলীগ কম অত্যাচার করেনি বিরোধী রাজনীতির এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রী পরিচয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর। গণআন্দোলনের সময় সারা দেশে ছাত্রলীগের তাণ্ডবও আমরা কম দেখিনি। তাই ছাত্রলীগের ওপর বড় রকমের ক্ষোভ তো শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকতেই পারে।
কিন্তু শামীম হত্যাকাণ্ডকে কি আমরা একই মানদণ্ডে বিবেচনা করব? এ দুর্ভাগা ছেলেটি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করেছে, তখন তো এখনকার ছেলেরা স্কুলের গণ্ডি পেরোয়নি। শামীম প্রায় দশ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছে। বলা হচ্ছে, ও যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল, তখন অনেক অত্যাচার করেছে। তবে শামীমের প্রত্যক্ষ খুনিরা তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা কেউ বলতে পারছে না।
যতটুকু জেনেছি, শামীমের বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশি দূরে নয়। তার শেফার্ড জাতের একটি কুকুর ছিল। আরিচা রোডসংলগ্ন মার্কেটে এসেছিল কুকুরের জন্য খাবার নিতে। সেই অর্থে ছেলেটি ক্যাম্পাসে ঢুকেনি। সেখান থেকে গেটের ভেতর এনে প্রথম দফায় ওকে মারধর করে। এতটা অমানবিক, শামীমের কুকুরটিকেও পিটিয়ে মেরে ফেলে। খবর পেয়ে প্রক্টর আসেন। ছেলেটি যেহেতু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র নয়, পুলিশের জন্য অপেক্ষা না করে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়া সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাতে তুলে দিতে পারতেন। হয়তো ভালো উদ্দেশ্যেই শামীমকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
খুনিরা সেখানেও আরেক দফা মারধর করে। পুলিশ না আসা পর্যন্ত একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে ছেলেটি নিরাপদে থাকবে ভেবে প্রক্টর ও নিরাপত্তা শাখার সবাই চলে যায়। কারও অভিমত, নিরাপত্তা শাখার কেউ কেউ সেখানে ছিলেন। এরপর হিংস্র ছেলেগুলো তালা ভেঙে শামীমকে পিটিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে চলে যায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সবই দেখতে পাওয়া গেল। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ হতভাগ্যকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। হাসপাতালের ডাক্তাররা জানান, আগেই মারা গেছে শামীম।
এরপরেই একটি ভয়ংকর ভবিষ্যৎ দেখতে পেলাম আমি। এমন পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের পর দল-মত নির্বিশেষে ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতিবাদী হওয়ার কথা। গণআন্দোলনের সময় হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাসে নেমে এসেছিল।পুলিশের গুলি খেয়েছে। অত্যাচারিত হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয় খোলা। দু’সপ্তাহ ধরে ক্লাস চলছে। ক্যাম্পাসের সর্বত্র শিক্ষার্থী।
জানলাম সেই রাতেই হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী ভিসির বাসভবনে গিয়েছিল প্রতিবাদ জানাতে। পরদিন দেখলাম প্রতিবাদী মিছিল হচ্ছে। সেখানেও হাতেগোনা কয়েকজন। ঘোষণা ছিল শুক্রবার বড় জমায়েত হবে। এখানেও অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কিছু বাড়লেও ফলাফল তেমন আশানুরূপ নয়। কয়েকদিন আগে বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিপ্লব করা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর এ মিছিলে অংশগ্রহণ কাম্য থাকলেও তেমনটা দেখা গেল না। ছেলেটি এককালে দুরাচার ছাত্রলীগ নেতা ছিল বলেই কি এই খুন সমর্থনযোগ্য?
এসব নারকীয় ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার করার সুযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে নেই। এ কারণে উপাচার্যরাও অনেকটা নিরুপায়। সরকার যদি প্রচলিত ধারায় হুমকি-ধমকিতে না থেকে দৃঢ়তার সঙ্গে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমাদের আশঙ্কা-অনেক দুর্গতি আছে সব পক্ষের কপালেই। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে অন্ধকারে ছেয়ে যাবে তা কারও কাম্য হতে পারে না। বর্তমান সরকারও শেষ পর্যন্ত পূর্বতনদের মতো দলতন্ত্রের সুযোগ করে দিচ্ছে ক্যাম্পাসে? যেভাবে প্রশাসন সাজানো হচ্ছে, তাতে তেমনটিই মনে হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় আলোকিত ভুবন পাব কেমন করে?
ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
shahnawaz7b@gmail.com