Logo
Logo
×

বাতায়ন

দেশপ্রেমের চশমা

অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ কম

Icon

মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ কম

ফাইল ছবি

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর হাসিনা সরকারামলে মামলা-জর্জরিত হলেও বহির্বিশ্বে বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিভিন্ন সেক্টরে লোক নিয়োগে বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ, গত ১৫ বছরের বেশি সময়ে কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকার অগণতান্ত্রিক এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মেধাবীদের গুরুত্ব না দিয়ে গুডবুকে থাকা নিজদলীয় এবং অনেক ক্ষেত্রে অযোগ্য স্তাবকদের এসব পদে নিয়োগ দিয়েছে। এদের প্রায় সবাই একতরফাভাবে আমি-ডামি মার্কা নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের অঘোষিত ডিকটেশন অনুযায়ী কাজ করে সরকারের ইচ্ছা পূরণ করেছে। সেই সঙ্গে সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং পোশকধারী বাহিনীর সদস্যদের অনেকেই একদিকে যেমন হাসিনা সরকারকে সমর্থন দিয়েছে, তেমনই অন্যদিকে আর্থিকভাবে দুর্নীতি করে দেশে ও বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে। এ তালিকায় সাবেক সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রী, এমপি এবং সরকারদলীয় রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন। এ কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণরোষ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে ৫ আগস্ট, সরকারপ্রধানের পদত্যাগ ও প্রতিবেশী দেশে পলায়নের পর সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়ে। আবার অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণের পর দুর্নীতিবাজদের অনেককে পদ থেকে সরিয়ে দেয়, কাউকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিতদের অগুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করে। এরপরও প্রতিটি সেক্টরে রয়ে যায় স্বৈরাচারী সরকারের অনেক দোসর, স্তাবক, চামচা ও তল্পিবাহক। এদের অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন, আবার অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন।

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর প্রশংসনীয় ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কারণ, হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন এ মর্মে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে সরে গেলে এ দেশে রক্তের গঙ্গা বইবে। বিরোধী দলগুলো প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে লাখো মানুষ হত্যা করবে। কিন্তু তা হয়নি। হাসিনার পলায়নের পর দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত গণক্ষোভে বিক্ষুব্ধ জনতা জেলায় জেলায় সরকারদলীয় অফিস এবং অবকাঠামো ভাঙচুর করেছে। এর মধ্যে বাদ পড়েনি রাজধানীতে অবস্থিত গণভবন এবং জাতীয় সংসদের মতো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানও। কিন্তু রক্তের গঙ্গা বয়নি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া লাশ পড়েনি। তবে সরকারদলীয় মন্ত্রী ও নেতাকর্মীরা ব্যাপক দুর্নীতি করায় অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার পর তাদের অনেককে গ্রেফতার করেছে। সাবেক সরকারপ্রধানসহ ক্ষমতাসীনদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। অবৈধভাবে বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অনেক প্রতিষ্ঠানপ্রধানের পদ খালি থাকায় সেসব প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়ে। স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডি ভেঙে দেওয়া হয়। গঠন করা হয় নতুন অ্যাডহক কমিটি। পদত্যাগের কারণে প্রায় অর্ধশত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ শূন্য হয়ে পড়ায় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থবির হয়ে পড়ে। এ পদগুলোয় নিয়োগ দিতে সরকারের দেরি হতে থাকে। কারণ, সরকার দক্ষ, একাডেমিক ও প্রশাসনিক দক্ষতাসম্পন্ন এবং কম বর্ণদল-প্রভাবিত শিক্ষককে এ পদগুলোয় নিয়োগ দিতে চাওয়ায় তেমন শিক্ষকের অভাব দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে ঢাকাসহ ৫-৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার ভিসি পদে নিয়োগ দেয়। ইউজিসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগগুলো ভালো হলেও কুয়েটের নিয়োগ নিয়ে কথা ওঠে। এ নিয়ে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় একসঙ্গে ভিসি নিয়োগের কথা বলা হলেও কাক্সিক্ষত শিক্ষক খুঁজে পেতে দেরি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত ভিসি নিয়োগের দাবি জানিয়ে আলটিমেটাম দিতে থাকলে সরকার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণহীন শিক্ষক হিসাবে পরিচিত জনৈক অধ্যাপককে ভিসি পদে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করে। কিন্তু তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারির ক্ষেত্রে ধীরগতিতে কাজ হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা বিরক্ত হয়ে আবারও আলটিমেটাম দেন। সে তারিখ পার হলে বিশ্ববিদ্যালয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেন। কেন এমন অবস্থা হবে? কেন সরকার তিন কর্মদিবসেও প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারবে না? এ লেখা প্রকাশিত হওয়ার আগে হয়তো প্রজ্ঞাপন জারি হবে এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি যোগদান করবেন। অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির নিয়োগদান বাকি রয়েছে। সেক্ষেত্রেও ভিসি নিয়োগে ঢিলেমি করে শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করা বিবেচনাপ্রসূত হবে না। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগদান প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে। তবে দেরি করে হলেও যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তা শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন এবং যাচাই-বাছাই করে দেওয়ায় উপযুক্তরাই পদাসীন হচ্ছেন। দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকলে তারা এ পদে আসতে পারতেন না। উচ্চশিক্ষাব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। একেকজন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ক্লাস শুরু করতে মাসাধিককাল লাগছে। কারণ, সাবেক সরকারপ্রধানের পালিয়ে যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের প্রায় সবাই পদত্যাগ করেছেন। নতুন ভিসিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নতুন করে শিক্ষকদের পদায়ন করতে হচ্ছে। এসব কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীসমাজ। তাদের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থবির হয়ে পড়েছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থী-জনতার অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাদের হাজারো প্রাণের বিনিময়ে আজ নাগরিক সমাজ স্বাধীনভাবে চলতে ও বলতে পারছে। রাষ্ট্র, সরকার, সংবিধান এবং ধ্বংসের কার্নিশে উপনীত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্কার করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এসব কাজে অন্তর্বর্তী সরকারে শরিক হয়ে শিক্ষার্থীদের দুজন প্রতিভাবান প্রতিনিধিও ভূমিকা পালন করছেন। নির্দ্বিধায় বলা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন সফল হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীসমাজের সদস্যদের উচিত শ্রেণিকক্ষমুখী হওয়া। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও তাদের এমন উপদেশ দিয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উচিত হবে, লেজুড়বৃত্তির জাতীয় দলীয় রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার পরিবর্তে তাদের ক্যারিয়ার ও একাডেমিক স্বার্থের দিকে মনোযোগী হওয়া। এ লক্ষ্যে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করা। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি নাগরিক কমিটি গঠনের কাজে জেলা সফরে ব্যস্ত সময় কাটান, তাহলে শিক্ষকরা কীভাবে তাদের শ্রেণিকক্ষে পাবেন? পাশ করে বেরিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা যদি এমন কাজে জড়িত হন, তাহলে তা সমালোচিত হবে না। তবে লেখাপড়া শেষ না হওয়া শিক্ষার্থীরা এসব কাজে জড়িত হলে শিক্ষকরা কাদের পড়াবেন? আর তারাই বা তাদের একাডেমিক ক্যারিয়ার গড়বেন কীভাবে?

এহেন বাস্তবতায় ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের এক মাসের মাথায় সাবেক সরকারামলে লোকদেখানো সার্চ কমিটির মাধ্যমে লুকোচুরি প্রক্রিয়ায় গঠিত কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন কমিশনের চারজন সদস্য ও সিইসি একযোগে পদত্যাগ করেছেন। ফলে সরকারকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ করতে হবে। ইসি গঠনেও হয়তো সরকারকে বেগ পেতে হবে। সার্চ কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে, নাকি অন্য গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে, নাকি ভিন্ন কোনো প্রক্রিয়ায় নতুন ইসি গঠন করা হবে, সে বিষয়টি জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়নি। সরকার ভিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া অবলম্বন করে কি ইসি নিয়োগ দেবে, নাকি সার্চ কমিটি গঠন করে অনুসন্ধানের মাধ্যমে কমিশন সদস্যদের সংগ্রহ করবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অথবা নির্বাচনি সংস্কার করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিত্ব ড. বদিউল আলম মজুমদার মহোদয় নতুন কমিটি গঠন করে ইসি গঠনের রূপরেখা তৈরি করবেন কি না, সে বিষয়টিও সুস্পষ্টভাবে নাগরিক সমাজ এখন পর্যন্ত জানতে পারেনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তার কাজ সঠিকভাবে করে যাচ্ছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। সংস্কারের রূপরেখা সংবলিত তার দেওয়া জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণ ভালো হয়েছে। এ কথা সত্য যে, ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ এবং গণ-আকাঙ্ক্ষার ওপর ভিত্তি করে গঠিত সরকার ক্ষমতাসীন হয়েছে মাত্র মাসাধিককাল হয়েছে। সরকারকে গুছিয়ে উঠে কাজ শুরু করতে একটু সময় দিতে হবে। তবে এ এক মাসে সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে গুমবিষয়ক চুক্তি করেছে। ব্যাংকিং এবং আর্থিক খাতকে ধ্বংসের কার্নিশ থেকে টেনে তুলতে বহির্বিশ্বের সঙ্গে গঠনমূলক লিয়াজোঁ করতে পেরেছে। সরকারের আরও কিছু ভালো কাজের নমুনা রয়েছে। তবে সরকারের উপদেষ্টাদের কাজকর্ম কিছুটা ধীর মনে হচ্ছে। হয়তো একেকজনের জিম্মায় একাধিক মন্ত্রণালয় থাকার কারণে এমনটি হতে পারে। তা না হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগে এত বিলম্ব হওয়ার কথা নয়।

ডিসি নিয়োগেও সরকার খুব যে সফল হয়েছে, এমনটা বলা যাবে না। কারণ, কোথায় পাবে ভালো ডিসি? গত ১৫ বছরে হাসিনা সরকারামলে দলীয় পরিচয় দেখে ম্যাগনিফায়িং গ্লাস দিয়ে যাচাই-বাছাই করে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমনসব প্রার্থীদেরই অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ক্যাডারে নিযুক্ত করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এসব ডিসিদের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পাঠানো হচ্ছে। এতে সরকারি উদ্দেশ্য সফল হবে বলে মনে হয় না। পদায়ন করা অনেক ডিসির রাজনৈতিক পরিচয় উন্মোচিত হয়ে পড়ছে। ফলে এ ক্ষেত্রে সরকারি বাছাইপ্রক্রিয়া আরও নিখুঁত হওয়া বাঞ্ছনীয়।

সরকারের জন্য বড় সুবিধা হলো, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এবং বহির্বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা চাইছে। তাদের সংস্কার কার্যক্রমে সময় ও সহযোগিতা দিচ্ছে। এমন সুযোগ সরকারকে সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যৌক্তিক সময়ের পর বিরোধী দলগুলো থেকে নির্বাচনের দাবি জোরালো হওয়ার আগে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারলে। অন্তর্বর্তী সরকারের যেহেতু কোনো অসাধু পরিকল্পনা নেই, কাজেই তাদের ব্যর্থ হওয়ারও সুযোগ নেই। সংস্কার-পরবর্তী সময়ে সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার ব্যবস্থা করতে পারলে যুগপৎ দেশে ও বিদেশে এ সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। দেশের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র ক্রমান্বয়ে প্রাতিষ্ঠানিকতা পাবে। অপেক্ষা করে দেখা যাক, সরকার তার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশকে কতটা রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল করতে পারে। কতটা গণ-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে। এ কাজ করতে কতটা সময় নেয়। কতটা সফল হয়।

১৭.০৯.২০২৪

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

akhtermy@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম