Logo
Logo
×

বাতায়ন

নীতি দুর্নীতি অর্থনীতি

মন্দা আক্রান্ত ২০২৩, সামনে কী?

Icon

ড. আর এম দেবনাথ

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মন্দা আক্রান্ত ২০২৩, সামনে কী?

যার শেষ ভালো তার সব ভালো-এ কথাটা কার, আমার জানা নেই। তবে এর ওপর আমার বিশ্বাস ছিল ভাসা ভাসা। ২০২৩ সালের শেষদিকে আমার সে বিশ্বাস বদলেছে। এ বছরটি যে ভালো যায়নি তা এর শেষ দেখেই বলা যায়। আমি বলছি মূল্যস্ফীতির নিরিখে। ২০২৩ সালের শুরুতে কত ছিল জিনিসপত্রের দাম, আর এখন কত? ভরা শীতকাল, আলুর সময়, শাকসবজির সময়। নতুন আলুর কেজি ৭০-৮০ টাকা। পেঁয়াজের ঝাঁজ কিছুটা কমেছে। নতুন পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা, পুরোনোটা ১৮০ টাকা। ২০২৩ সালের শেষে এখন ভরা শীতকালে মুলা ৪০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, ফুলকপি একটা ৫০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা কেজি, করলা ১২০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, আর একটা লাউ ১০০ টাকা। তালিকা বড় করে লাভ নেই। সব জিনিসপত্রের দাম কতটা বেড়েছে তা পাঠকরা জানেন। এ মূল্যবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির নিরিখে বিচার করলে ২০২৩ সালের শেষটা ভালো নয়। অতএব, বলা চলে পুরো বছরটিই ভালো যায়নি। অন্তত সাধারণ মানুষ, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জন্য। এই শ্রেণির লোকের জন্য ২০২৩ সাল ছিল হতাশার বছর, ঋণের বছর, বড় কষ্টের বছর।

আর কৃষকের জন্য? কৃষক ধান ফলিয়েছে অনেক। সরকারের প্রত্যাশাও বেশি। কিন্তু সেই ধানের ক্রেতা নেই। হরতাল-অবরোধে বাজার মন্দা। আশুগঞ্জের মোকামে সিলেট থেকে ধান আসে কম, বেচাকেনা কম। কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত। পাটের দাম? পাটেরও বাজার নেই। গত মৌসুমে কৃষক পাটের দাম পেয়েছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা। এবার পাটের মন মাত্র ১৮শ থেকে ২ হাজার টাকা। অথচ এক মন পাট ফলাতেই লাগে এ টাকা। তাহলে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ কৃষকের হিসাবেও ২০২৩ সাল ছিল বেদনা-কষ্টের দিন। এর অর্থ কী? সাধারণ কৃষক, নিম্নবিত্ত, গরিব, মধ্যবিত্ত যদি ভালো না থাকে, মূল্যস্ফীতির অত্যাচারে জর্জরিত থাকে, তাহলে অর্থনীতির অবস্থা কী হতে পারে? দৃশ্যত মূল্যবৃদ্ধির চাপে মানুষ কেনাকাটা কমিয়েছে। ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আলুর বাড়তি দাম দিতে দিতে ২০২৩ সাল গেছে দুঃস্বপ্নের মধ্যে। এর ফলাফল কী? জিডিপির প্রাক্কলনের পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যাচ্ছে ২০২৩-২৪ সাল কেমন আছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের মতে, আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে মাত্র ৬ দশমিক ২ শতাংশ। সরকার সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে জিডিপির প্রাক্কলন এখন করেছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৬ শতাংশ, যা এখন প্রায় ১০ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মতে, শীতকালীন ফসল ইত্যাদির নিরিখে মূল্যস্ফীতি কমবে। কিন্তু ডিসেম্বর শেষে যা দেখা যাচ্ছে তাতে মূল্যস্ফীতি কমার সম্ভাবনা কম। বিশেষ করে যখন ডলারের দাম শনৈঃশনৈঃ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে, ডলারের দাম ১১০-১১২ টাকা। অথচ খোলাবাজারে কেন, ব্যাংকই লুকিয়ে ডলার বিক্রি করে ১২০-১২২ টাকায়। ডলারের রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের (এক বিলিয়ন সমান শতকোটি) নিচে চলছে অনেকদিন ধরে। ডলারের দাম ২০২৩ সালে টাকার বিপরীতে অনেক বেড়েছে। টাকার অবমূল্যায়ন ঘটেছে ২৫-৩০ শতাংশ। এ প্রেক্ষাপটে আমাদের ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে হয়েছে আইএমএফ থেকে। ২০২৩ সালে আমরা দুই কিস্তি ঋণের ডলার পেয়েছি।

ডলার সংকট অনেক কারণে। রপ্তানি আয় আশানুরূপ নয়, আমদানি বেশি। রেমিট্যান্সও আশানুরূপ নয়। বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণের পরিমাণও কম। ডলার যত আসছে তার চেয়ে খরচ হচ্ছে বেশি। আগের ঋণের আসল ও সুদও দিতে হচ্ছে। ২০২৩ সালের জুলাই-অক্টোবরে রপ্তানি বেড়েছে গত বছরের তুলনায় মাত্র ৩ শতাংশ। এখানে প্রশ্ন আছে রপ্তানির পরিসংখ্যান নিয়ে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মধ্যে হিসাবের তফাৎ বিশাল। আমদানির পরিমাণ অবশ্য ভালোই কমেছে জুলাই-সেপ্টেম্বরে। কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, মূলধনী যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য-সবকিছুর আমদানিই ২০২৩ সালে কমেছে। এতে শিল্প-করখানায় উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। ইস্পাত কারখানা, সিমেন্ট ইত্যাদি খাতে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে।

২০২৩ সালে বড় বড় কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হয়েছে, চালু হয়েছে ‘এক্সপ্রেসওয়ে’, চট্টগ্রামে চালু হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল এবং চালু হয়েছে ঢাকা-কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন। এসব সুখবর; তবে ইস্পাত, সিমেন্ট, রড কারখানার জন্য নয়। বড় বড় প্রকল্পে ধীরগতি আসার ফলে এসবের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাড়ছে না। ২০২৩-২৪ সালের জুলাই-নভেম্বরে রাজস্বের টার্গেট হচ্ছে ১,৪৮,৩৫৪ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে মাত্র ১,৩২,৩৩৪ কোটি টাকা। আমদানি ব্যবসা কম হলে, রপ্তানিতে ধীরগতি হলে রাজস্ব আদায় বাড়বে কীভাবে? দেশে সরকারের হিসাব অনুযায়ী টিআইএনধারী করদাতা আছে ৯৩ লাখের মতো। অথচ ২০২৩ সালের নভেম্বরের শেষ তারিখ পর্যন্ত মাত্র ২৩ লাখ ৫০ হাজার ব্যক্তি ‘ট্যাক্স রিটার্ন’ জমা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে কর আদায় হয়েছে মাত্র ৪,৩৩৫ কোটি টাকা। রাজস্ব বিভাগ রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে। রাজস্ব আশানুরূপ না বাড়ায় ২০২৩ সালে সরকারের উন্নয়ন ব্যয়ে ভীষণ টান পড়েছে। জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে খরচ হয়েছে মাত্র ৪৬,৮৫৭ কোটি টাকা, যা গত ৮০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে এখানে ভালো খবর হলো, বাংলাদেশ ব্যাংক সমানে সরকারকে ঋণ দিয়ে যাচ্ছিল; বহু সমালোচনার পর তা ২০২৩ সালের শেষের দিকে বন্ধ হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট কাটছে না। তারা আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার (ইন্টার ব্যাংক কল মানি মার্কেট) থেকে ঋণ করছে। ফলে চলতি বছর এ বাজারে সুদের হার বেড়েছে অনেক। এছাড়া ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে। এ ঋণের পরিমাণ ১৫,১২০ কোটি টাকা। শুধু টাকা ঋণ নয়, তারল্য সংকট কাটাতে এবং ডলার সংকট কাটাতে অনেক ব্যাংক বাজার থেকে বেশি দামে ডলার কিনছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেক ব্যাংককেই কারণ ‘দর্শাও’ নোটিশ দিয়েছে। তবে ভালো খবর একটা আছে আমানতের ক্ষেত্রে। আমানতের হার ব্যাংকে কম থাকায় মানুষ ব্যাংকমুখী হচ্ছিল না। অর্থমন্ত্রীর ‘নয়-ছয়’ সুদনীতি অনেকটা উঠিয়ে দেওয়ার পর ব্যাংকে আমানতের ওপর সুদের হার কিছুটা বাড়ছে। মানুষও আবার ব্যাংকমুখী হচ্ছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আমানতে প্রবৃদ্ধির হার মাত্র ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকগুলোর সংকট এখনো কাটেনি। তাদের তারল্য সংকট আছে।

অর্থনীতির হাল-হকিকত অনেক সময় শেয়ারবাজারের সূচক দিয়ে বিচার করা হয়। এ নিরিখে দেখলে বলা চলে, এ বাজারটিতে চলছে স্থবিরতা। শেয়ারবাজারে নতুন কোনো শেয়ার নেই। ভালো শেয়ারের কোনো মূল্য নেই। খারাপ শেয়ারের দাপট। সেই কবে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছিল, তার রেশ এখনো কাটেনি। ২০২৩ সাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য ছিল এক চরম হতাশার বছর। বছরটি শুরু হয়েছিল যখন ‘ডিএসইএক্স’ ছিল ৬,২২৯। ডিসেম্বরের শুরুতে এ সূচক দাঁড়ায় ৬,২৫২-তে। অর্থাৎ বাজার স্থবির।

২০২৩ সালে সুখবর আরও একটি আছে। আর এটি হচ্ছে খাদ্যের মজুত। ২০২২ সালের নভেম্বরে খাদ্যের মজুত ছিল মোট ১৫ দশমিক ৩২ লাখ টন। তারপরও মজুত আরও বেড়েছে। তবে সারা বছর খাদ্যশস্য খোলাবাজারে বিতরণ করার কারণে চলতি বছরের নভেম্বরে এ মজুতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টনে। ইতোমধ্যে আমনের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষক ঘরে তাদের নতুন ফসল তুলেছে। বোরোর প্রস্তুতি চলছে। এতে একটা জিনিস পরিষ্কার-খাদ্য সংকট আমাদের নেই, হওয়ার আশঙ্কাও নেই। খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষিত হচ্ছে, যদিও বছরে আমাদের বেশকিছু পরিমাণ গম আমদানি করতে হয়।

২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো দেশে ‘পেনশন’ কর্মসূচি চালু হয়েছে। এতে মোট চার ধরনের কর্মসূচিতে চার ধরনের মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত বেশকিছু ব্যক্তি এ পেনশন স্কিমে যোগ দিয়েছেন। বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারলে ‘সাধারণ পেনশন’ স্কিমের ভবিষ্যৎ আশাপ্রদ বলে মনে হয়।

২০২৩ সালেই খবর পাওয়া গেছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ গত ৫-৭ বছরে অনেক বেড়েছে। ঋণের পরিমাণ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সহনশীল হলেও সমস্যা আমাদের অন্যত্র। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বড় কথা, ঋণ ও রাজস্বের অনুপাত খুবই হতাশাজনক। অর্থাৎ ঋণ যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে বাড়ছে না সরকারি রাজস্ব। এতে আগামী দিনের জন্য কোনো সংকট তৈরি হচ্ছে কিনা, তা চিন্তার বিষয়।

২০২৩ সাল ভালো কাটেনি দরিদ্র মানুষের। ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে অবিরত। মানুষ ভোগ কমিয়েছে। এর একটি উদাহরণ আছে আমাদের সামনে। মানুষ ক্রয়ক্ষমতার অভাবে গরুর মাংস খাওয়া কমিয়েছে। দোকানিরা বাধ্য হয়ে গরুর মাংসের দাম হ্রাস করেছে। একই অবস্থা মাছের বাজারে। ৬০০, ৭০০, ১০০০ টাকার নিচে কেজিপ্রতি কোনো মাছ বাজারে নেই। এ কারণে মানুষ মাছের বদলে ডিমের দিকে ঝুঁকছে। ডিমের চাহিদা বেড়েছে। ফলে ডিমের দামের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। শাকসবজি ভোগও মানুষ কমাচ্ছে বলে খবরের কাগজে প্রকাশ। এসব তথ্য, পরিসংখ্যান, এমনকি সরকারি পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দিচ্ছে দারিদ্র্যসীমার নিচে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। অতিদরিদ্রের সংখ্যাও বাড়ছে। মাছ, মাংস, শাকসবজি কম ভোগের ফলে সহজেই অনুমেয়-আমাদের সাধারণ মানুষের পুষ্টি সমস্যা বেড়েছে।

ব্যাংক খাতে যথারীতি খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণও বাড়ছে। খেলাপি ঋণের বিপরীতে আদায় সেভাবে হচ্ছে না। এদিকে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের ঋণের চাহিদার পরিমাণ ২০২৩ সালে অনেক বেড়েছে। কিন্তু তাদের ঋণপ্রাপ্তি সেভাবে বাড়ছে না। ঋণের ওপর সুদের হার সামান্য কিছুটা বেড়েছে সুদের হার বাজারভিত্তিক করায়। ডলারের সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ডলারের হুন্ডি ব্যবসার প্রসার ঘটেছে। হুন্ডিওয়ালারা ২০২৩ সালজুড়ে ডলারের ব্যবসা ভালো করেছে। তারা বিদেশে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে ডলার কিনছে। এটা তারা কীভাবে ব্যবহার করছে? ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা ‘আন্ডার ইনভয়েসিং’ করে ঋণপত্র খুলছে ডলারের অভাবে। কিন্তু রপ্তানিকারকদের প্রকৃত মূল্যে পরিশোধ করছে হুন্ডিওয়ালাদের কাছ থেকে ডলার কিনে। ব্যাংকগুলোও ১২২ টাকায় ডলার বিক্রি করে দুই ভাউচারে কাজ সারছে।

বর্তমানে দেশে নির্বাচনি হাওয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। ধনাঢ্য ব্যক্তি, অতিধনীরা নির্বাচন করছেন। ৬০ শতাংশেরও বেশি প্রার্থী ধনী ব্যক্তি/ব্যবসায়ী। তারা নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রচুর খরচ করছেন অতীতের মতোই। প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থীপ্রতি গড়ে ৫ কোটি টাকা করে খরচ হলেও কমপক্ষে ১৫০০ কোটি টাকা বাজারে আসবে। রয়েছে সরকারি খরচ। এ কারণে বাজারে ‘ক্যাশ’র আমদানি হবে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কাগজ, কালি, কাপড়, পরিবহণ ইত্যাদি খাতে প্রচুর ব্যয় হচ্ছে। ফলে বাজার থাকার কথা রমরমা এবং তা স্পষ্টত দেখাও যাচ্ছে।

এক কথায়, ২০২৩ সাল ছিল অর্থনৈতিকভাবে ভীষণ অনিশ্চয়তার বছর। অস্থিতিশীলতা ছিল সর্বত্র। অর্থনীতির মূল কাঠামোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যে ক্ষতির সম্মুখীন আমরা হয়েছি, তার প্রভাব ছিল পুরো ২০২৩ সালে। এ প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালটি কেমন হবে তা বলা এ মুহূর্তে খুবই কঠিন। সবই নির্ভর করছে ডলার পরিস্থিতির ওপর।

ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম