স্বদেশ ভাবনা
বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী দেশে কেন ঊর্ধ্বমুখী?
আবদুল লতিফ মন্ডল
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গত ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আগস্টের মূল্যস্ফীতির হার প্রকাশ করেছে। এতে আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্ক ছুঁইছুঁই করে দাঁড়িয়েছে ৯.৯২ শতাংশে, যা জুন ও জুলাইয়ে ছিল যথাক্রমে ৯.৭৪ ও ৯.৬৯ শতাংশ। আগস্টের সার্বিক মূল্যস্ফীতির মধ্যে রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। এ হার ছিল ১২.৫৪ শতাংশ, যা গত সাড়ে এগারো বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশে যখন মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী, তখন বিশ্বের প্রায় সব দেশে এ হার নিম্নমুখী। মূল্যস্ফীতি হারের ঊর্ধ্বমুখিতায় নিত্যপণ্যের বাজারে সৃষ্ট উত্তাপে দেশের সাধারণ মানুষ দিশেহারা। দেশে মূল্যস্ফীতির হারের ঊর্ধ্বমুখিতার কারণ এবং এর ফলে মানুষের জীবনে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।
আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭.৪৪ শতাংশ, যা আগস্টে ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতির হার গত দুই বছরের মধ্যে এই প্রথম এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল ৬৯.৮ শতাংশ, যা চলতি বছরের জুলাইয়ে ৬.৩ শতাংশে নেমে আসে মর্মে দেশটির স্ট্যাটিস্টিকস ডিপার্টমেন্ট নিশ্চিত করেছে। অন্য এক সূত্রে জানা যায়, আগস্টে এ হার ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জুনে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬.৮৩ শতাংশ, যা গত বছরের একই সময় ছিল ৮.৫৬ শতাংশ। ব্যাংক অব থাইল্যান্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে থাইল্যান্ডে মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের কিছু উপরে আটকে রাখতে সক্ষম হয় থাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি বছর আরও নিয়ন্ত্রিত অবস্থানে চলে এসেছে মূল্যস্ফীতি। ২০২৩ সাল শেষে থাইল্যান্ডে মূল্যস্ফীতির হার আড়াই শতাংশে আটকে রাখার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ১৪ জুলাই বণিক বার্তার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নজিরবিহীন ঊর্ধ্বগতির পর মূল্যস্ফীতিতে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে দুই বছরে সর্বনিম্নে নেমেছে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ২০২২ সালের জুনে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.১ শতাংশ। চলতি বছরের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় ৩.২ শতাংশে। ২০২১ সালের মার্চের পর এ মূল্যস্ফীতি হার সর্বনিম্ন। যুক্তরাজ্যের সরকারি হিসাবের বরাত দিয়ে ১৬ আগস্ট আজকের পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার কমে ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। মূল্যস্ফীতির হার জুনের ৭.৯ থেকে কমে ৬.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যে বার্ষিক ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.১ শতাংশ, যা গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ (যুগান্তর, ২৩ জুন ২০২২)। কানাডার পরিসংখ্যান বিভাগের হিসাবে ২০২২ সালের জুনে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.১ শতাংশে দাঁড়ায়। ওই বছরের মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭.৭ শতাংশ। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে কানাডায় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৩.২৭ শতাংশে।
বিশ্বের প্রায় সব দেশে যখন মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী, তখন বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী। দেশে উচ্চহারে মূল্যস্ফীতির পেছনের কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে-এক. সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের প্রধান প্রধান মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার মানের আরও অবনতি : ৩ সেপ্টেম্বর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত টাকার বিপরীতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সুইস ফ্রাঁর ২৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে ইউরো (২৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ), পাউন্ড স্টার্লিং (২৪ দশমিক ৪ শতাংশ), সৌদি রিয়াল (১৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ), মার্কিন ডলার (১৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ), অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ), ভারতীয় রুপি (১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ), ইয়েন (১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ) এবং ইউয়ান (৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ)। টাকার মানের ক্রমাগত অবমূল্যায়নের জন্য যেসব ফ্যাক্টর দায়ী সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-ক. রেমিট্যান্সে কমতি, রপ্তানিতে শ্লথগতি। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধীরগতি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ হ্রাস অর্থনীতির জন্য বয়ে এনেছে কিছুটা দুঃসংবাদ। প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, চলতি বছরের আগস্টে দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এটা ভালো হলেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া রোধ করতে ও বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে রপ্তানি আয় যতটা প্রয়োজন ততটা বাড়েনি। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শ্লথগতি এজন্য কিছুটা দায়ী। প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে দেশটিতে ৪৫৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছেন দেশের উদ্যোক্তারা। এ রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৮২ শতাংশ কম। রেমিট্যান্স প্রবাহে নিম্নমুখিতা চিন্তার একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগস্টে প্রবাসীরা ১৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এটি গত ৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এছাড়াও একই মাসে সামগ্রিক রেমিট্যান্স আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ কমেছে। খ. রপ্তানির আড়ালে টাকা পাচার : ৫ সেপ্টেম্বর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক রপ্তানির আড়ালে ৩৩টি গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানের ৮২১ কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
দেশের সবচেয়ে বড় অর্থ পাচার কেলেংকারির অন্যতম এ ঘটনা সম্প্রতি উদ্ঘাটন হলেও এসব পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্র বলছে, এসব প্রতিষ্ঠান ১৩ হাজার ৮১৭টি চালানে ৯৩৩ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করলেও দেশে এনেছে মাত্র ১১১ কোটি টাকা। বাকি ৮২১ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর, দুবাই, মালয়েশিয়া, কানাডাসহ ২৫টি দেশে পাচার করতে ভুয়া রপ্তানি নথি ব্যবহার করেছে প্রতারক চক্র। বিজ্ঞজনরা বলছেন, রপ্তানির অন্যান্য খাতেও এরকম ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়।
দুই. জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনুপাতে খাদ্যশস্যের উৎপাদনে নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি হার : দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রধান খাদ্যশস্য চালের প্রবৃদ্ধি হারের তুলনায় বেশি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হার ছিল ১ শতাংশ। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী, ওই সময়কালে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.৩ শতাংশ। ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরেও এ ধারায় পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। বছরের পর বছর ধরেই উৎপাদন ও চাহিদার ফাঁক পূরণে দেশ চাল আমদানি করে আসছে। দ্বিতীয় খাদ্যশস্য গমের ক্ষেত্রে দেশ প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। কমবেশি ৭০ লাখ টন গমের চাহিদার বিপরীতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণ ১০ থেকে ১১ টনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। চাল ও গম আমদানিতে দেশকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়। তাছাড়া ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ভোজ্যতেল, চিনিসহ আরও কিছু কৃষিপণ্যের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় আমদানির মাধ্যমে চাহিদা মেটানো হয়। বিশ্বের প্রধান প্রধান মুদ্রার বিপরীতে টাকার মানের ক্রমাগত অবনতির কারণে আমদানিকৃত পণ্যগুলো দেশের বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়, যা মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধি ঘটায়।
তিন. সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে নিত্যপণ্যের বাজার : এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, আমদানিকৃত এবং দেশে উৎপাদিত সব ধরনের নিত্যপণ্যের বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। অর্থাৎ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার অসহায়। ১৩ আগস্ট যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে নিত্যপণ্যের উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই। সরবরাহ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক। এরপরও নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে পাগলা ঘোড়ার গতিতে। পাশাপাশি সব ধরনের সেবার মূল্যও বাড়ছে বেপরোয়া গতিতে। এতে ভোক্তার জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে লাগামহীনভাবে। দীর্ঘ সময় ধরে চলমান অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের আয় কমে যাচ্ছে। ফলে জীবনযাত্রার খরচ যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে আয় বাড়েনি। এতে সংসার চালাতে মানুষ ঋণগ্রস্ত হচ্ছে। ভোক্তার পিঠ ঠেকে গেছে দেওয়ালে। বাজারে গিয়ে মানুষ ক্ষোভ ঝাড়ছেন সরকারের বিরুদ্ধে। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে একটি চক্র। তারা প্রতিবছর ভোক্তাকে জিম্মি করে হাজার কোটি টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু ওই চক্রের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। এভাবেই নির্বিঘ্নে দাপুটে উত্থান ঘটছে বাজার সিন্ডিকেটের।
উচ্চহারের মূল্যস্ফীতিতে মানুষ কীভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তা নিয়ে আলোকপাত করা যাক। জীবনধারণের মৌলিক উপকরণগুলোর শীর্ষে অবস্থান খাদ্যের। আবার খাদ্যের বেশ কয়েকটি উপাদান থাকলেও দেশে খাদ্য বলতে মূলত চাল থেকে তৈরি ভাতকে বোঝায়। ভাত দেশের কমবেশি ৯০ শতাংশের মানুষের প্রধান খাদ্য। ভাত আমাদের ক্যালরির প্রধান উৎস। গত প্রায় দুই যুগে চালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৫ গুণ। একাধিক কারণে চালের উচ্চমূল্য সাধারণ মানুষের জীবনে ভীতিকর হয়ে দাঁড়ায়। এক. বিবিএসের হিসাবে জাতীয় পর্যায়ে একটি পরিবারের মাসিক মোট ব্যয়ের ৫৪ দশমিক ৮১ শতাংশ খরচ হয় খাদ্যে। আবার মাসিক মোট খরচের ৩৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ ব্যয় হয় চাল কেনায়। তাই চালের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে। দুই. চালের, বিশেষ করে মোটা চালের মূল্যবৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব ওই চালের সব শ্রেণির ভোক্তার ওপর পড়লেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবারগুলো। তিন. শুধু দরিদ্র ও হতদরিদ্ররা নয়, চালের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরাও, বিশেষ করে যাদের আয় নির্দিষ্ট। প্রধান খাদ্যশস্য চাল ছাড়াও লাগামহীনভাবে বেড়েছে শাকসবজি, ডিম, গরু ও খাসির মাংস, মুরগি, মাছ, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ভোজ্যতেল, চিনি ইত্যাদি নিত্যপণ্যের দাম। এতে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তের পক্ষে আমিষজাতীয় খাদ্য কেনা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ফলে তাদের পরিবারে, বিশেষ করে শিশু ও মহিলাদের পুষ্টির অভাব ঘটছে।
লাগামহীনভাবে যখন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, তখন মজুরিবৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতি হারের অনেক নিচে। মূল্যস্ফীত্যির হার যখন ৯.৯২ শতাংশ, তখন মজুরি বৃদ্ধির হার ৭.৫৮ শতাংশ (যুগান্তর, ৮ সেপ্টেম্বর)। এতে সমাজে শ্রেণিবিন্যাসে পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ মধ্যবিত্তের নিম্ন-মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্তের দরিদ্র এবং দরিদ্রের অতিদরিদ্র স্তরে নেমে আসার জোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে দেশে দারিদ্র্যহার বেড়ে যাবে।
উপরের আলোচনার মাধ্যমে যা বলতে চাওয়া হয়েছে তা হলো, দেশে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বহার হ্রাসে সরকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। সরকার তা না করতে পারলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই যাবে। এটি সরকারের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক খাদ্য সচিব, কলাম লেখক
latifm43@gmail.com