Logo
Logo
×

বাতায়ন

দেশপ্রেমের চশমা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অনীহা কেন

Icon

মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অনীহা কেন

দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট গভীর হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকারি ও বিরোধীদলীয় মতপার্থক্যের এ সংকট নতুন নয়। ১৯৯০ ও ১৯৯৬ সালে যথাক্রমে এরশাদ ও খালেদা জিয়া সরকারের শাসনামলেও ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর এমন মতপার্থক্য হয়েছিল। তখন এদেশের রাজনীতিকরাই ওইসব বিরোধের নিষ্পত্তি করেছিলেন। আবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সরকারি ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে একই রকম সংকট দৃশ্যমান।

এবার এ মতবিরোধ নিয়ে রাজনীতিবিদরা সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার এ মতপার্থক্য এবার সারা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে। গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশগুলো এ মতপার্থক্য দূর করে বাংলাদেশে অবাধ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছে। এ সংকট প্রাথমিকভাবে দৃশ্যমান হয় নবম সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে। এর জন্য দায়ী রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দুটি বড় দল।

কারণ, নতুন ব্যবস্থা হিসাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারাধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান শুরু হলে এ ব্যবস্থায় কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এর মধ্যে একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল ক্ষমতাসীনদলীয় মনপছন্দ বিচারপতিকে নির্বাচনের প্রাক্কালে সর্বোচ্চ আদালতের সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির অবস্থানে আনার চেষ্টা।

ক্ষমতাসীন দল চাইলে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় সংস্কার এনে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক কলুষমুক্ত করতে পদক্ষেপ নিতে পারত। যেমন-সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাশ হওয়ার পর ৫৮ অনুচ্ছেদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার ক্ষেত্রে যে ছয়টি বিকল্প ছিল তার প্রথম বিকল্পটি আরেকটি সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে প্রশস্ত করে এ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা যেত। সেখানে প্রথম বিকল্পে সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে যদি সর্বজনশ্রদ্ধেয় অবিতর্কিত অবসরপ্রাপ্ত আমলা বা সাহসী ও ন্যায়পরায়ণ সুশীল সমাজ সদস্য ইত্যাদি বিকল্পগুলো যোগ করা হতো, তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার ক্ষেত্রে শুধু বিচারপতিদের নিয়ে মাতামাতি কমে যেত। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিরসনে কোনো সংস্কার করেনি। ফলে বিএনপি সরকারের কলাকৌশলে নবম সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বিচারপতি কেএম হাসান সর্বোচ্চ আদালতের সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির পদে আসেন।

আওয়ামী লীগ বিচারপতি হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মানতে রাজি হয়নি। এ দলের নেতারা বলেন, বিচারপতি হাসান বিচার বিভাগে যোগদানের আগে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক মতবিরোধের একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন। পরে এ সরকারের কাছ থেকে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা নিয়ে একটি অবৈধ সেনাসমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসে। সংবিধান লঙ্ঘন করে গায়ের জোরে এ অবৈধ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে।

এ সরকারের সামনে ছিলেন বেসামরিক লেবাসধারী ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ এবং পেছনে ক্ষমতার মূল নাটাই ছিল জেনারেল মইন উ আহমেদের হাতে। এ সরকারটি ছিল কিছু মেরুদণ্ড-দুর্বল রাজনীতিবিদ, কতিপয় উচ্চাভিলাষী সেনা কর্মকর্তা এবং জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘনকারী কতিপয় বিদেশি কূনীতিকের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের ফসল। এরা ৩ মাসের পরিবর্তে ২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। সরকারি রুটিন কাজের পরিবর্তে সব রকম বড় কাজ করেছিলেন। দুর্নীতি দমনের উসিলায় সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজদের চার-পাঁচটি তালিকা তৈরি করে রাজনৈতিক নেতাদের পাইকারি হারে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন।

জেনারেল মইন পাঁচতারা হোটেলে গণতন্ত্রের ওপর সেমিনার করেছিলেন। পরে জেনারেল মইন শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে ‘মাইনাস টু থিওরি’ বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে ‘ম্যানেজ টু’ ফর্মুলায় অদৃশ্য চাতুরীমিশ্রিত জারিজুরির নির্বাচন করে দেশের বাইরে চলে যান। প্রায় সোয়া এক যুগে তারা আর দেশমুখী হননি।

রাজনৈতিক কলাকৌশলের দিক দিয়ে আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী ও অভিজ্ঞ দল। অবাধ নির্বাচন করার সদিচ্ছা থাকলে দলটি সরকারে থাকাকালীন পূর্বের তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় সংস্কার এনে একটি বিল পাশ করে নির্বাচনি সংকট নিরসন করতে পারত; কিন্তু ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার সংকীর্ণ স্বার্থে দলটি তেমন উদ্যোগ নেয়নি। নবম সংসদ নির্বাচনের পর দলটি বুঝতে পারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারাধীনে নির্বাচন হলে তাদের পক্ষে পুনরায় ক্ষমতায় আসা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। সেজন্য ক্ষমতায় থেকে দলীয় তত্ত্বাবধানে নির্বাচন করার লক্ষ্যে দলটি সংবিধান সংশোধনের পরিকল্পনা করে।

এ লক্ষ্যে বেগম সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এবং বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে দিয়ে সাংবিধানিক সংস্কার কমিটি গঠন করে। এ কমিটি স্টেকহোল্ডারদের মতামত উপেক্ষা করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের সুপারিশ করে। সরকার জাতীয় সংসদে সুপ্রিমকোর্টের একটি খণ্ডিত (৪ঃ৩) ও বিতর্কিত রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশের একাংশের ওপর ভর করে পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা এককভাবে বাতিল করে দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচনের বিধান করে। সরকার আশ্বাস দেয়, দলীয় সরকারের অধীনে স্বচ্ছ নির্বাচন করা সম্ভব। তখন থেকে নির্বাচনি সংকট গভীরতর হয়।

কিন্তু আওয়ামী লীগ পরপর দু’বার (২০১৪ ও ২০১৮) দলীয় ব্যবস্থাধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়। নির্বাচনি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। এখন সরকার চাইলেও দলীয় ব্যবস্থাপনায় ভালো নির্বাচন করতে পারবে না। কারণ, একই ব্যবস্থাধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে দুর্নীতি-কারচুপিকারীদের শাস্তি না হওয়ায় পূর্বের মতো নির্বাচন হলে আশকারা পাওয়া সরকারদলীয় অ্যাকটিভিস্টরা নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ারিং করে সরকারদলীয় বিজয় সুনিশ্চিত করবে। বিরোধী দলগুলো কিছুতেই তেমন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইবে না।

সরকার কেন নির্দলীয় ব্যবস্থাধীনে সংসদ নির্বাচন দিতে চাইছে না? কারণ, সরকার বুঝতে পারছে, ভোটারদের মধ্যে সরকারের যে গ্রহণযোগ্যতা আছে তা দিয়ে নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়া কঠিন হবে। সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল স্পিরিট গণতন্ত্রকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা নির্বাচনকে পাঠিয়েছে আইসিইউতে। নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নেই। গত নির্বাচনের পর সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করলেও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন থেকে শুরু করে এমন কোনো বিভাগ নেই, যেখানে দুর্নীতির ভাইরাস গভীরতর হয়নি। দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতি করলেও তাদের শাস্তি হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুট হয়েছে। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হলেও পাচারকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি।

হলমার্ক, ডেসটিনি, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ এমন কোনো প্রকল্প বা প্রতিষ্ঠান নেই, যেখানে দুর্নীতির ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগেও আর্থিক লেনদেন হচ্ছে। সামান্য কাঁচামরিচের উদাহরণ থেকে অনুধাবন করা যায়, সরকারের দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দেওয়ার ইচ্ছা বা সক্ষমতা নেই। কারণ, কাঁচামরিচের ডবল সেঞ্চুরির পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘আমরা সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছি না’। এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর কী হতে পারে?

আর্থিক সেক্টরে সরকারের অবস্থা খুবই নাজুক। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ, আলু, ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি নিত্যপণ্যের দাম গরিব ও মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে নেই। টিসিবি থেকে শহর এলাকায় কম মূল্যে কতিপয় পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। সেখানে এখন ভদ্রঘরের বৌ-ঝিরা লজ্জা-শরম ভেঙে মাথার ঘোমটা বড় করে দিয়ে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। গরিব রিকশাচালক, দিনমজুর, সিএনজি অটোচালক, স্বল্প বেতনের চাকরিজীবীরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকে তাদের সামান্য পুঁজি ভেঙে শেষ করেছেন। এরা সরকারের বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পের কথা শুনে খুশি হন না। নতুন সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে টানেল নির্মাণের খবর এদের খুশি করতে পারছে না। মেগা প্রকল্পের মেগা দুর্নীতির বন্যায় চারদিকে বাড়ছে শুধু অন্যায় আর অন্যায়।

অভাবের তাড়নায় সামাজিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বাড়ছে চুরি, রাহাজানি, ছিনতাই ও নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপ। সুষ্ঠু ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকার জনগণের কাছে জবাদদিহি করা প্রয়োজন মনে করছে না। গত এক যুগে যারা নতুন ভোটার হয়েছেন তারা ভোট দিতে না পারায় সরকারের ওপর খুশি নন। গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে। ন্যায়বিচার আসমানে। মানবতা গোরস্থানে। সুশাসন জাদুঘরে। থানা-হাসপাতাল নির্যাতনাগার। সরকার ভালো করে জানে, এ অবস্থায় নির্দলীয় সরকারাধীনে সংসদ নির্বাচন দিলে তার ফল কী হবে। এজন্য সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ভয় পায় বলেই মনে হয়। ভোটাধিকারবঞ্চিত জনগণ উন্নয়নে আকৃষ্ট হয়ে সরকারি দলকে ভোট দেবেন কিনা তা বুঝতে সরকার অক্ষম নয়। এজন্যই হয়তো সরকার আবারও যেনতেনভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সরকার নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনাই করছে না। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলোও একদফার আন্দোলনে অনড়। প্রধানমন্ত্রীর ওপর তাদের আস্থা নেই। এ অবস্থায় সরকার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বক্তব্য রেখে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতাকে একদিকে যেমন পিছিয়ে দিচ্ছে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বাংলাদেশের নির্বাচনি সম্পৃক্ততাকে আরও মজবুত করে তুলছে। সেজন্য সরকারের পক্ষে চাতুরীপূর্ণ নির্বাচন করা হয়তো সম্ভব হবে না। মন্ত্রীরা সংবিধানের ওপর জোর দিয়ে যতই বক্তব্য রাখুন, বিরোধী দলগুলোর অহিংস আন্দোলন আর বিদেশি কূটনৈতিক চাপের তীব্রতায় ক্রমান্বয়ে সরকারি অবস্থান নড়বড়ে হয়ে আসবে।

নেতাকর্মীদের চাঙা রাখার জন্য সরকারের মন্ত্রীরা এমন বক্তব্য হয়তো আরও কিছুদিন দেবেন। তবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে তাদের একপর্যায়ে ছাড় দিতে হবে। সমঝোতায় আসতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার যত দেরি করবে, বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনসমাগম তত বাড়বে। সরকার জানে, ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে না পারলে তাদের খবর আছে। তারপরও একপর্যায়ে রক্তপাত এড়াতে তারা হয়তো দলীয় সরকারের পরিবর্তে অন্য কোনো রকম সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে রাজি হবে। সেই সরকারের নাম, ক্ষমতা, চরিত্র এবং কার্যকলাপ দেখার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনপ্রত্যাশী জনগণ উদগ্রীব হয়ে আছেন।

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

akhtermy@gmail.com

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম