বৈশ্বিক নিরাপত্তায় প্রতিরক্ষা সংলাপের গুরুত্ব
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের মূল নিয়ামক হচ্ছে এর ভৌগোলিক অবস্থান। এ অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে একটি সেতুবন্ধ নির্মিত হয়েছে। ভূরাজনীতি বিবেচনায় বাংলাদেশ বর্তমান বৈশ্বিক রাজনীতিতে বেশ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে সমাসীন। বিশ্বরাজনীতির অন্যতম শক্তি চীন ও আঞ্চলিক শক্তি প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নৈকট্য এবং দক্ষিণ এশিয়াসহ এ অঞ্চলে উল্লিখিত দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাংলাদেশবিষয়ক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য ক্ষমতাধর দেশের কাছে বাংলাদেশ বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশ অর্থনৈতিক-সামাজিক ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি সাধন করেছে, তা-ও আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক গবেষকদের মতে, বঙ্গোপসাগরের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের কারণেই মূলত বাংলাদেশের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে-দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে বঙ্গোপসাগরের বিশেষ ভূমিকা, চীনের অন্যতম বাণিজ্যিক পথ মালাক্কা প্রণালিতে মার্কিন ও তার মিত্রদের শক্ত অবস্থানের জন্য বঙ্গোপসাগরের দিকে চীনের নজর, চীনকে আটকানোর জন্য বঙ্গোপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের প্রয়োজনীয়তা, ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের সংযোগ, বাংলাদেশ চীনের খুব কাছাকাছি হওয়ায় মার্কিন উপস্থিতি, ভারতকে চাপে রাখতে মার্কিন প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়ে যাওয়া, ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য সহজ করতে এ অঞ্চলের ভূমিকা, বাংলাদেশ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ পরিকল্পনার অংশ হওয়া, দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার মধ্যবর্তী দেশ হিসাবে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ রয়েছে বিধায় বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর দৃষ্টি বাংলাদেশের দিকে নিবদ্ধ হয়েছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি উদীয়মান শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। বৃহৎ শক্তিগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুতে নতুন করে সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। অতিসম্প্রতি ঢাকায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দশম প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এ সংলাপে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা ও সফর বিনিময়, দুর্যোগ মোকাবিলা, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন ইত্যাদি বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) প্রতিবেদন অনুসারে, ‘এই সংলাপের লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করা। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তি সুদৃঢ়। আমাদের এ সম্পর্ক বহুমাত্রিক, বহুমুখী এবং সর্বদা বিকশিত। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিরক্ষা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত সহায়তার বিষয়টি সুস্পষ্ট। প্রতিবছর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অনেক সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন। দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন এবং সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে একসঙ্গে কাজ করে আসছে। দুই দেশের মধ্যে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সফর বিনিময় সামরিক সহযোগিতার একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য। এবারের সংলাপে বৈশ্বিক-আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা ও সামরিক সহযোগিতা, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, পরিদর্শন, যৌথ অনুশীলন ও মোতায়েন, কর্মশালা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এ ছাড়াও সংলাপে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস), প্রতিরক্ষা চুক্তির অংশ হিসাবে জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (জিসোমিয়া) ও দ্য অ্যাকুইজেশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট (আকসা) এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে সমরাস্ত্র ক্রয়সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এবারের প্রতিরক্ষা সংলাপের গুরুত্বের বিষয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেন, ‘অবাধ-মুক্ত-অন্তর্ভুক্তিমূলক-শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব অভিন্ন।’ বিশ্লেষকদের মতানুসারে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দূরদর্শী ব্যবস্থা গ্রহণের কারণেই বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার যেভাবে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে, ঠিক তেমনিভাবে বুশ প্রশাসন গৃহীত ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ বিবেচনা থেকেই মূলত নিরাপত্তা ইস্যুসহ বাণিজ্য ও অন্যান্য সম্পর্ক সম্প্রসারিত হয় দুই দেশের মধ্যে।
উল্লেখ্য, ৫০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ বিস্তৃত নিরাপত্তা ইস্যুতে অংশীদারত্ব করছে, যার মধ্যে রয়েছে-সীমান্ত নিরাপত্তা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ, শান্তিরক্ষা, প্রতিরক্ষা বাণিজ্য এবং প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ইত্যাদি। ইউএস-বাংলাদেশ পার্টনারশিপ ডায়ালগ, ইউএস-বাংলাদেশ সিকিউরিটি ডায়ালগ এবং আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও বহুমাত্রিক ফোরামের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জড়িত করে। ২০১৫ সালের মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে বৈদেশিক সামরিক অর্থায়নের (এফএমএফ) জন্য ৬৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন এবং আন্তর্জাতিক সামরিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (আইএমইটি) সহায়তায় ৭ দশমিক ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করেছে। এফএমএফ সহায়তার মধ্যে রয়েছে ১০ মিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক প্রোগ্রামিং এবং ৫৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ রিজিওনাল এফএমএফ। এ তহবিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য টহল নৌকা, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের জন্য অতিরিক্ত টহল জাহাজ, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও সীমান্ত নিরাপত্তা মিশনের জন্য মাইন প্রতিরোধী অ্যামবুশ সুরক্ষিত (এমআরএপি) যানবাহন প্রদানসহ বাংলাদেশের সামরিক-কোস্ট গার্ড কর্মীদের জন্য প্রযুক্তিগত-পেশাদার প্রশিক্ষণ-যৌথ সামরিক ও উপকূলরক্ষী প্রশিক্ষণ-বিনিময় বিপর্যয় মোকাবিলা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা অপারেশনের জন্য সমন্বয় ক্ষমতা গড়ে তুলতে ব্যবহার করা হয়।
উপরন্তু মালিতে শান্তিরক্ষীদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ২০১৯ সালে ৫০টি ইডিএ এমআরএপি যান পেয়েছে। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বাণিজ্যিক বিক্রয় (ডিসিএস) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা সামগ্রী হিসাবে ৬ মিলিয়নেরও বেশি স্থায়ী রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম ও সুবিধার আপগ্রেডে সহায়তার জন্য প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলারের অবদান রেখেছে। মূলত ২০১২ সালে প্রথম ইউএস-বাংলাদেশ যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হয়। ২০২২ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত নবম বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার পাশাপাশি নিজেদের সক্ষমতা ও ভূরাজনৈতিক কৌশলগত বিবেচনায় একক দেশের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অপর দেশগুলো থেকে সমরাস্ত্র ক্রয়ের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল, যা এবারের সংলাপে অধিক গুরুত্ব পেয়েছে।
কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত দুই প্রতিরক্ষা চুক্তির ব্যাপারে সরকার ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ ধরনের কোনো চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা নাকচ করে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এ ধরনের চুক্তি করার মতো বিলাসিতা আছে বলে মনে করি না। ওয়াশিংটন দুটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে চায়; কারণ, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে তার সামরিক বাহিনীকে আধুনিক করার লক্ষ্যের অংশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উন্নত সরঞ্জাম কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে।’ ২০১৮ সালেও যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ক্রয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা চুক্তি ছাড়া অ্যাডভান্সড মিলিটারি হার্ডওয়্যার বিক্রি করে না বিধায় জিএসওএমআইএ চুক্তির কথা ঢাকাকে অবহিত করে। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করার বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। বর্তমানে প্রস্তাবিত চুক্তির খসড়া নিয়ে কাজ করছে দুই দেশ।
দুঃখজনক হলেও সত্য, জনশ্রুতিমতে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত ও দেশীয়-আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের প্ররোচনায় কতিপয় কর্মযজ্ঞে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে কিছুটা অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। মিথ্যা-ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ওয়াশিংটন বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে এ প্রতিরক্ষা সংলাপ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। উভয় দেশের কিছু সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী। প্রতিরক্ষা সংলাপ এ সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে। পারস্পরিক সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রকে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসাবে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
অভিজ্ঞ সচেতন মহলের পরামর্শ অনুযায়ী উভয় দেশের সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা বা দীর্ঘ স্বাধীনতাসংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনকাল এবং সর্বোপরি সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি স্মরণযোগ্য। প্রতিরক্ষা সংলাপ আবশ্যক হলেও এর পেছনে কোনো দুরভিসন্ধি বা কোনো অশুভ শক্তিকে শক্তিমান করার অপচেষ্টা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : শিক্ষাবিদ; সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়