স্বদেশ ভাবনা
প্রধানমন্ত্রীর সফর রংপুর বিভাগের দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখবে কি?
আবদুল লতিফ মন্ডল
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরে এক জনসভায় বক্তৃতা করার আগে ২৭ প্রকল্পের উদ্বোধনসহ ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি প্রকল্প ছাড়া বাকি প্রকল্পগুলো অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নয়।
উদাহরণস্বরূপ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের আঞ্চলিক অফিস, রংপুর মেডিকেল কলেজের মহিলা হোস্টেল, বিএমডির আঞ্চলিক অফিস, শেখ রাসেল মিডিয়া সেন্টার, শেখ রাসেল ইনডোর স্টেডিয়াম, শেখ রাসেল সুইমিং পুল, রংপুর পালিছড়া স্টেডিয়াম, বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স ইত্যাদি প্রকল্প দেশের সবচেয়ে দরিদ্র রংপুর বিভাগের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরাসরি কোনো অবদান রাখবে না।
আওয়ামী লীগের টানা প্রায় দেড় যুগের শাসনামলে এসব প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সময় না হলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এগুলোর উদ্বোধন বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন অনেকে। ২০১০ সালের শুরুতে গঠিত হওয়ার পর প্রায় ১৪ বছর পার হয়ে গেলেও দারিদ্র্য হারের তালিকায় রংপুর বিভাগ টানা শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ২০১০ সালের আগে দারিদ্র্য হারে শীর্ষ, দ্বিতীয় বা তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিভাগগুলোর অবস্থানের উন্নতি হলেও রংপুর বিভাগের অবস্থানের কোনো উন্নতি হয়নি। কেন এ উন্নতি হচ্ছে না, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।
বৃহত্তর রংপুর ও বৃহত্তর দিনাজপুরের ৮টি জেলা নিয়ে গঠিত রংপুর বিভাগ। জেলাগুলো হলো-রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়। উপজেলার সংখ্যা ৫৮। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হায়েস) ২০১০ অনুযায়ী, দেশের তৎকালীন ৭টি প্রশাসনিক বিভাগের (ওই সময় ময়মনসিংহ বিভাগ গঠিত হয়নি) মধ্যে দারিদ্র্য হারে রংপুর বিভাগের অবস্থান ছিল শীর্ষে। রংপুর বিভাগের দারিদ্র্য হার ছিল ৪৬.২ শতাংশ, যা ওই সময়ের জাতীয় দারিদ্র্য হার ৩১.৫ শতাংশের দেড়গুণ।
পরবর্তী হায়েসে (২০১৬) দেখা যায়, রংপুর বিভাগের দারিদ্র্য হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭.২ শতাংশে। শুধু তাই নয়, দেশের শীর্ষ ১০টি দরিদ্র্য জেলার পাঁচটি রংপুর বিভাগে অবস্থিত। এ পাঁচটি জেলা হচ্ছে রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও দিনাজপুর। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে কুড়িগ্রাম দারিদ্র্য হারে শীর্ষে। এ জেলার দারিদ্র্য হার ৭১ শতাংশ, যা ২০১৬ সালের হায়েসের জাতীয় দারিদ্র্য হারের (২৪.৩ শতাংশ) প্রায় তিনগুণ। অন্যদিকে ২০০৫ সালের হায়েসে তৎকালীন ৬টি বিভাগের (ওই সময় রংপুর বিভাগ ও ময়মনসিংহ গঠিত হয়নি) মধ্যে দারিদ্র্য হারে (৫২ শতাংশ) শীর্ষস্থানের অধিকারী বরিশাল বিভাগের দারিদ্র্য হার কমে ২০১০ ও ২০১৬ সালের হায়েসে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৩৯.৪ ও ২৬.৫ শতাংশে।
দারিদ্র্য হারে উন্নতি হওয়ায় বিভাগগুলোর দারিদ্র্য হারের তালিকায় বরিশাল বিভাগের অবস্থান দাঁড়ায় যথাক্রমে দ্বিতীয় ও পঞ্চম। অনুরূপভাবে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ ২০০৫ সালের হায়েসে যথাক্রমে ৫১.২ ও ৪৫.৭ শতাংশ দারিদ্র্য হার নিয়ে বিভাগগুলোর দারিদ্র্য হারের তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের অধিকারী হয়। ২০১০ ও ২০১৬ সালের হায়েসে রাজশাহী বিভাগের দারিদ্র্য হার নেমে আসে যথাক্রমে ২৯.৮ ও ২৮.৯ শতাংশে। আর ২০১০ ও ২০১৬ সালের হায়েসে খুলনা বিভাগের দারিদ্র্য হার হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৩২.১ ও ২৭.৫ শতাংশে। এতে বিভাগগুলোর দারিদ্র্য হারের তালিকায় এ দুটি বিভাগের অবস্থানের উন্নতি হয়। উপর্যুক্ত আলোচনায় দেখা যায়, ২০০৫ সালে উচ্চ দারিদ্র্য হারের অধিকারী বরিশাল, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দারিদ্র্য হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেলেও রংপুর বিভাগের দারিদ্র্য হার না কমে বরং বেড়েই চলেছে। এপ্রিলে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশিত হায়েস ২০২২-এর ফাইন্ডিংসে জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্য হারের (১৮.৭ শতাংশ) উল্লেখ থাকলেও বিভাগ, জেলা, উপজেলাভিত্তিক দারিদ্র্য হারের তথ্যাদি সন্নিবেশিত হয়নি। হায়েস ২০২২-এর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশিত হলে দেশের ৮টি বিভাগের দারিদ্র্য হারের তালিকায় রংপুর বিভাগ যে শীর্ষে থাকবে, তা অনেকটা জোর দিয়ে বলা যায়। কারণ, হায়েস ২০১৬ প্রকাশের পরবর্তী প্রায় ৭ বছরে রংপুর বিভাগে এমন কোনো বড় ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়নি, যার ফলে দেশের বিভাগগুলোর দারিদ্র্য হারের তালিকায় রংপুর বিভাগের অবস্থানের উন্নতি ঘটবে।
রংপুর বিভাগ দরিদ্রতম হওয়ার জন্য যেসব কারণকে চিহ্নিত করা যায় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-এক. কৃষিনির্ভর অর্থনীতি : প্রাচীনকাল থেকে রংপুর বিভাগের মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান অবলম্বন কৃষি। অনেকের মতে, প্রাগৈতিহাসিককালে এ অঞ্চলে কৃষির গোড়াপত্তন হয় এবং ক্রমান্বয়ে তা বিকশিত হয়েছে। রংপুর জেলার ইতিহাস (জুন-২০০০) সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ শাসনকালে পর্তুগিজরা রাজা-বাদশাহকে উপহার দেওয়ার জন্য এদেশে গোল আলু, মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ, টমেটো, তামাক পাতা, আনারস, পেয়ারা, সফেদা, কামরাঙ্গা, পেঁপে, কাজুবাদাম ইত্যাদি নিয়ে আসে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো রংপুরে অঞ্চলেও এগুলোর চাষ শুরু হয়। এসব কৃষিপণ্যের দাম ছিল অত্যধিক সস্তা। কৃষিপণ্যের বিপণন ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে, বিশেষ করে কৃষিপণ্যের বিপণন ব্যবস্থা মধ্যস্বত্বভোগীদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বর্তমানেও তাদের অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। আর কৃষি ছাড়া বিকল্প কর্মসংস্থানের তেমন সুযোগ না থাকায় পারিবারিক পর্যায়ে কৃষিতে ব্যবহৃত শ্রম প্রয়োজনের চেয়ে অধিক, যা অর্থনীতির ভাষায় ‘ছদ্মবেশী বেকারত্ব’ নামে পরিচিত।
দুই. শিল্প খাতে পশ্চাৎপদতা : বর্তমান রংপুর বিভাগ যুগ যুগ ধরে শিল্প খাতে রয়ে গেছে অনুন্নত। ইংরেজ আমলের কথা বাদ দিলেও পাকিস্তান আমলে শিল্প খাতে যেটুকু অগ্রগতি হয়েছিল, তা ছিল ভারী শিল্প খাতে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকা এবং দেশের দুটি বড় সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম ও মোংলার সঙ্গে যোগাযোগ সহজগম্য না থাকায় সংগত কারণে এ অঞ্চলে বৃহৎ শিল্পের প্রসার ঘটেনি। বাংলাদেশ আমলেও এখন পর্যন্ত এ বিভাগে বড় বা মাঝারি শিল্পের তেমন প্রসার ঘটেনি। অবকাঠামোগত সুবিধার অভাব, বিশেষ করে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎপ্রাপ্তির অনিশ্চয়তা, পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের অভাব ইত্যাদি কারণে শিল্পোদ্যোক্তারা এখানে বড় ও মাঝারি শিল্প স্থাপনে এগিয়ে আসেননি। গ্যাসভিত্তিক ইউরিয়া কারখানা, সিরামিক শিল্প, ওষুধ শিল্প, তৈরি পোশাক শিল্প ইত্যাদি গড়ে উঠতে পারেনি। উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় দেড়যুগ একটানা ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার অবশ্য বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাসলাইন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। রংপুর বিভাগের খনিজসম্পদের সঠিক উত্তোলন ও ব্যবহার হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সময় মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খালাশপীর কয়লাখনিতে ৪৫১ মিলিয়ন উন্নতমানের বিটুমিনাস কয়লার মজুত রয়েছে। কমপক্ষে ৫০ বছর ধরে তিন স্তরের ৩০০ মিলিয়ন কয়লা থেকে প্রায় দেড়শ মিলিয়ন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব। সেখান থেকে কয়লাভিত্তিক ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে; কিন্তু এখানকার কয়লা উত্তোলনে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানি করা কয়লার চেয়ে দেশি কয়লা উত্তোলন করলে জ্বালানি খরচ কম হবে। খালাশপীর খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলে এ এলাকার মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ স্বল্পতা : পাকিস্তান আমলের কথা বাদ দিলে বাংলাদেশ আমলেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) রংপুর বিভাগের বরাদ্দ অবিশ্বাস্যভাবে কম। ‘উন্নয়ন বরাদ্দের ১ শতাংশও পাচ্ছে না রংপুর বিভাগ’ শিরোনামে ২০১৯ সালের ৬ মে ‘উত্তর বাংলা’ নামে এক মাল্টিমিডিয়া পোর্টালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদনে বলা হয়, এডিপিভুক্ত মোট প্রকল্পের মাত্র ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ গেছে এ বিভাগে। বর্তমানে এডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ৯৭৮। এর মধ্যে মূল প্রকল্প ১ হাজার ৯১৬টি, উপপ্রকল্প ৫৩টি এবং উন্নয়ন সহায়তা থোক প্রকল্প নয়টি। এর মধ্যে রংপুর বিভাগের জন্য প্রকল্প ছিল মাত্র ৪৭টি। অর্থাৎ এডিপিভুক্ত মোট প্রকল্পের মাত্র ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রকল্প গেছে রংপুর বিভাগে। এর বাইরে বেশকিছু প্রকল্প আছে যেগুলোর কাজ দেশের অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি এ বিভাগেও চলমান রয়েছে। প্রকল্প সংখ্যার দিক থেকে ২ শতাংশের কিছু বেশি মিললেও এডিপিতে অর্থ বরাদ্দের দিক থেকে প্রাপ্তির খাতায় আরও পিছিয়ে রয়েছে দেশের সবচেয়ে দরিদ্র উত্তরের এ বিভাগটি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের এডিপিতে মোট বরাদ্দ ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬১৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এর মধ্যে রংপুর বিভাগের জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র ১ হাজার ৭২৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ মোট এডিপি বরাদ্দের মাত্র শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ বরাদ্দ পাচ্ছে দেশের উত্তরাঞ্চলের এ বিভাগটি। ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) করা ‘বাংলাদেশের বার্ষিক উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দের আঞ্চলিক বিন্যাস’ শীর্ষক সাম্প্রতিক গবেষণায় রংপুর বিভাগের বৃহত্তর দিনাজপুর জেলায় উন্নয়ন বরাদ্দের পরিমাণ এসেছে ১.৮ শতাংশ।
রংপুর বিভাগের উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হার হ্রাসে যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে সেগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো-ক. কৃষিপণ্যভিত্তিক শিল্প কারখানা স্থাপন। এতে একদিকে এ এলাকায় কৃষকের কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। নির্মাণাধীন গ্যাসলাইন চালু হলে গ্যাসভিত্তিক ইউরিয়া কারখানা, সিরামিক শিল্প, ওষুধ শিল্প স্থাপনে উদ্যোগ নিতে হবে। পাট উৎপাদন এলাকা হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি খাতে পাটকল স্থাপন বিবেচনার দাবি রাখে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হবে। হাটিকুমরুল-রংপুর অংশে চার লেনের মহাসড়কটির উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষের দিকে। এসবে ফলে তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাসহ বিভিন্ন মাঝারি ও বড় শিল্প কারখানা স্থাপনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কৃষি ছাড়া এ এলাকার মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থানের তেমন সুযোগ না থাকায় বেকারত্বের হার বেশি। অর্থনীতির সংজ্ঞা মোতাবেক বেকারত্ব ও দারিদ্র্য একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
খ. অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দারিদ্র্যপ্রবণ অঞ্চলের দারিদ্র্য হ্রাসে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, সেগুলো রংপুর বিভাগের উন্নয়নে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে-১. কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্বদানসহ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এডিপিতে একটি পৃথক তহবিল সংরক্ষণ; ২. ম্যানুফ্যাকচারিং সুবিধা বৃদ্ধি; ৩. বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে অগ্রাধিকার প্রদান; ৪. আন্তর্জাতিক অভিবাসনের সুযোগ বৃদ্ধি; এবং ৫. সামাজিক সুরক্ষা কর্মকাণ্ডে বরাদ্দ বৃদ্ধি।
আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক
latifm43@gmail.com