Logo
Logo
×

বাতায়ন

স্বদেশ ভাবনা

সুষম আঞ্চলিক উন্নয়ন কৌশল এডিপিতে গুরুত্ব পাচ্ছে না

Icon

আবদুল লতিফ মন্ডল

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সুষম আঞ্চলিক উন্নয়ন কৌশল এডিপিতে গুরুত্ব পাচ্ছে না

ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় সুষম উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হলেও সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রধান হাতিয়ার বাজেটে, বিশেষ করে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) যে এর প্রতিফলন আগেও ঘটেনি এবং বর্তমানেও ঘটছে না, সে বিষয়ে দেশের সচেতন মহল কিছুটা অবহিত থাকলেও সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) গবেষণায় বিষয়টি খোলামেলারূপে উঠে এসেছে।

এ গবেষণা অনুযায়ী, একদিকে যেমন অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দে ঘটছে বৈষম্য, তেমনি জেলাভিত্তিক বরাদ্দেও রয়েছে বৈষম্য। এর ফলে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল ও জেলাগুলোতে দারিদ্র্যের হার বেড়েই চলেছে। এ থেকে উত্তরণের উপায় পর্যালোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

১৭ জুন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) করা ‘বাংলাদেশের বার্ষিক উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দের আঞ্চলিক বিন্যাস’ শীর্ষক গবেষণায় উঠে আসা ফলাফল নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, উন্নয়ন বরাদ্দের সবচেয়ে বেশি পায় ঢাকা জেলা। এ জেলায় বরাদ্দের পরিমাণ উন্নয়ন বরাদ্দের ২১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে আছে কক্সবাজার (৯ শতাংশ)। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম (৬.৮৫ শতাংশ) ও নারায়ণগঞ্জ (৩.৮৫ শতাংশ)। বরাদ্দপ্রাপ্তির দিক থেকে সবচেয়ে কম পাচ্ছে মেহেরপুর জেলা (০.৩৬ শতাংশ) ও পঞ্চগড় জেলা (০.৩৯ শতাংশ)। এর ওপরেই আছে চুয়াডাঙ্গা (০.৪১ শতাংশ), ঠাকুরগাঁও (০.৪৩ শতাংশ), ঝালকাঠি (০.৪৫ শতাংশ) এবং ঝিনাইদহ, বরগুনা ও জয়দেবপুর (০.৪৮ শতাংশ করে)। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, আঞ্চলিক বিবেচনায় বৃহত্তর ঢাকা (পুরোনো বৃহৎ জেলা) পাচ্ছে শতকরা ৩২ ভাগ ও চট্টগ্রাম অঞ্চল ১৫ ভাগ। এর বিপরীতে সর্বনিম্ন বরাদ্দ পাচ্ছে বৃহত্তর কুষ্টিয়া (১.৫৩ শতাংশ), পার্বত্যাঞ্চল (১.৬০ শতাংশ), বৃহত্তর বগুড়া (১.৬৮ শতাংশ) ও বৃহত্তর দিনাজপুর (১.৮০ শতাংশ)।

গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে আইপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের উত্তরাঞ্চল (পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট), উত্তর-পূর্বাঞ্চল (নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ) এবং মধ্য দক্ষিণাঞ্চল (মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, রাজবাড়ী) এলাকায় উন্নয়ন বাজেটের বরাদ্দ মধ্যাঞ্চল ঢাকা ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের তুলনায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে কম। ফলে এসব অঞ্চলের অনেক এলাকায়ই দারিদ্র্যের হারও তুলনামূলকভাবে বেশি। উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের ১২টি খাতে চলমান প্রকল্পের বাজেট বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষণাটি করা হয়েছে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাসের গতিতে তারতম্য ঘটেছে। ২০০৫ সালে সর্বোচ্চ তিনটি দরিদ্র বিভাগ বরিশাল, রাজশাহী (সেসময় বর্তমান রংপুর বিভাগের জেলাগুলো রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল) ও খুলনায় দারিদ্র্য হার ছিল যথাক্রমে ৫২, ৫১.২ ও ৪৫.৭ শতাংশ। অন্যদিকে ঢাকা (সে সময় বর্তমান ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলো ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল), সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে দারিদ্র্য হার ছিল যথাক্রমে ৩২, ৩৩.৮ ও ৩৪ শতাংশ [হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হায়েস) ২০০৫]। ২০১৬-তে ৪৭.২ শতাংশ দারিদ্র্য হার নিয়ে শীর্ষস্থানে আসে রংপুর বিভাগ। ৩২.৮ শতাংশ এবং ২৮.৯ শতাংশ দারিদ্র্য হার নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আসে যথাক্রমে ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগ। আর ১৬, ১৬.২ ও ১৮.৪ শতাংশ দারিদ্র্য হার নিয়ে সবচেয়ে কম দারিদ্র্যপ্রবণ বিভাগগুলো যথাক্রমে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম। (হায়েস ২০১৬)।

দেশের আঞ্চলিক বৈষম্য সমস্যা সমাধানের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয় ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১১-১৫) এবং এজন্য কিছু কৌশল নির্ধারণ করা হয়। এগুলোর মধ্যে ছিল-ক. পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর উন্নয়নের জন্য এডিপিতে একটি পৃথক তহবিল সংরক্ষণ; খ. উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনকালে আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাসে অবদান রাখবে এমন প্রকল্পকে অগ্রাধিকার প্রদান; গ. পিছিয়ে থাকা অঞ্চলগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন; ঘ. কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোয় শিল্পায়ন সম্প্রসারণ এবং এ জন্য উদ্যোক্তাদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা প্রদান; ঙ. কৃষির এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে এমন কার‌্যাবলির সম্প্রসারণ; চ. পশ্চাৎপদ অঞ্চলগুলোর শ্রমিকদের জন্য অধিক হারে প্রবাসে কাজের সুযোগ সৃষ্টি এবং এজন্য এসব অঞ্চলের শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন; ছ. পিছিয়ে থাকা অঞ্চলগুলোয় মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং সামাজিক সুরক্ষা ও অধিক গুরুত্ব প্রদানের নীতি গ্রহণ।

সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১৫/১৬-২০১৯/২০) বলা হয়, বিগত দশক থেকে গড়ে প্রায় ৬ শতাংশ হারে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হলেও যে প্রশ্নটি উঠে এসেছে তা হলো-সব জেলা সমভাবে লাভবান হয়েছে কি না। বলা হয়, কেন্দ্রচ্যুতি বনাম সমকেন্দ্রিকতার বিশ্লেষণ থেকে ধারণা পাওয়া যায়, দীর্ঘ সময় নিয়ে আঞ্চলিক বৈষম্য বেড়েছে। পশ্চাৎপদ অঞ্চলগুলোর উন্নয়নে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কৌশলাদির বাস্তবায়ন না হওয়ায় ওইসব কৌশল বাস্তবায়নে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়ও জোর দেওয়া হয়। তাছাড়া কিছু নতুন কৌশল অবলম্বনের কথাও বলা হয়।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (জুলাই ২০২০-জুন ২০২৫) বৈষম্যকে অঞ্চলভিত্তিতে না দেখে জেলাভিত্তিতে দেখা হয়েছে। তবে এতেও পরোক্ষভাবে বিভাগীয় বা আঞ্চলিক দারিদ্র্যের প্রতিফলন ঘটেছে। হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হায়েস) ২০১৬-এ সবচেয়ে দরিদ্র যে ১০ জেলার নাম এসেছে ক্রমানুযায়ী, সেগুলো (বন্ধনীতে দারিদ্র্যহার) হলো-কুড়িগ্রাম (৭১ শতাংশ), দিনাজপুর (৬৪ শতাংশ), বান্দরবান (৬৩ শতাংশ), মাগুরা (৫৭ শতাংশ), কিশোরগঞ্জ (৫৪ শতাংশ), খাগড়াছড়ি (৫৩ শতাংশ), জামালপুর ( ৫৩ শতাংশ), গাইবান্ধা (৪৭ শতাংশ), রংপুর (৪৪ শতাংশ) এবং লালমনিরহাট (৪২ শতাংশ)। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র জেলাগুলোর পাঁচটিই (কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, রংপুর, লালমনিরহাট) রংপুর বিভাগে অবস্থিত। অন্যদিকে সবচেয়ে কম দরিদ্র ১০ জেলা (বন্ধনীতে দারিদ্র্যহার) হলো-নারায়ণগঞ্জ (৩ শতাংশ), মুন্সীগঞ্জ (৩ শতাংশ), মাদারীপুর (৪ শতাংশ), গাজীপুর (৭ শতাংশ), ফরিদপুর (৮ শতাংশ), ফেনী (৮ শতাংশ), ঢাকা (১০ শতাংশ) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া (১০ শতাংশ), মৌলভীবাজার (১১ শতাংশ) এবং সিলেট (১৩ শতাংশ)। লক্ষণীয়, সবচেয়ে কম দরিদ্র ১০ জেলার মধ্যে ছয়টিই (নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, ফরিদপুর, ঢাকা) ঢাকা বিভাগে অবস্থিত। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশিত হায়েস ২০২২-এর ফাইন্ডিংসয়ে জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্য হারের উল্লেখ থাকলেও অঞ্চল, বিভাগ, জেলা, উপজেলাভিত্তিক দারিদ্র্য হারের তথ্যাদি সন্নিবেশিত হয়নি। আশা করা যায়, হায়েস ২০২২-এর চূড়ান্ত রিপোর্টে এসব তথ্য পাওয়া যাবে। তখন জানা যাবে উপর্যুক্ত জেলাগুলোয় দারিদ্র্য হারে কোনো পরিবর্তন ঘটেছে কিনা।

দেশের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর দারিদ্র্যহার হ্রাসসহ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে যেসব কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জোর দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো-ক. পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অবকাঠামোগত চাহিদার উন্নতি বিধানে এডিপি ব্যয়ের ওপর আলোকপাত করা। খ. পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোয় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার দেওয়া। গ. সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা এবং পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোয় লবণাক্ততা চিহ্নিত করার জন্য বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর প্রকল্প সম্পাদন পরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া। ঘ. চর এলাকার ঝুঁকি চিহ্নিতকরণে চর উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা। ঙ. পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোতে কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও আয় সহায়তা প্রদান করতে কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণমূলক সেবাগুলোর ওপর আলোকপাত করা। চ. পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোতে ঋণগত, প্রযুক্তিগত ও বাজারজাতকরণ সেবাসহ আলোচিত সহযোগিতা কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ অকৃষি খাতের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করা। ছ. বৈদেশিক কর্মসংস্থানের খরচ মেটাতে নির্ভুল তথ্য, প্রশিক্ষণ ও ঋণ সরবরাহের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অভিবাসনে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর অবস্থান উন্নত করা। জ. পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুদান বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এগুলোকে শক্তিশালী করা।

উপর্যুক্ত কর্মকাণ্ডগুলো সম্পাদনে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর জন্য উন্নয়ন বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রয়োজন, যা বাস্তবে ঘটছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে সুষম আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-এক. বাংলাদেশের সুষম আঞ্চলিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিশেষায়িত এলাকা তথা পাহাড়ি অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল, হাওড় এলাকা ও চরাঞ্চলের উন্নয়নে বিশেষ অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা করা দরকার। দুই. আঞ্চলিকভাবে দেশের সুষম উন্নয়ন করতে হলে উন্নয়ন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বরাদ্দের স্থানিক ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্প ও উন্নয়ন উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, চীন ও জাপানের মতো দেশ এভাবেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বৈষম্য কমাতে সক্ষম হয়েছে। তিন. অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বৈষম্যকে অঞ্চলভিত্তিতে না দেখে জেলা ভিত্তিতে দেখা হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে জেলাভিত্তিক বাজেট প্রণয়নের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা যেতে পারে। জেলা পর্যায়ে বাজেট প্রণয়নের মেকানিজমে দেশের ৬৪টি জেলায় প্রণীত বাজেট সমন্বয় করার দায়িত্ব পালন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। একটি সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলাভিত্তিক উন্নয়ন বাজেট প্রণয়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন।

আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক

latifm43@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম