Logo
Logo
×

বাতায়ন

অপরিকল্পিত নগরায়ণ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী

Icon

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অপরিকল্পিত নগরায়ণ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী

ব্যাপক অর্থে নগরায়ণ হলো একটি প্রক্রিয়া। সাধারণত কোনো একটি স্থানে নগর সৃষ্টির পরিক্রমা বা জনসংখ্যাগত দিক থেকে শহরের আয়তন বৃদ্ধিকে নগরায়ণ বলা হয়।

বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর নিজেদের জীবনমান উন্নয়নে গ্রাম বা অনগ্রসর মফস্বল থেকে শহরে স্থানান্তর, জনবসতি স্থাপন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি নগরায়ণ নামে পরিচিত।

বিভিন্ন সূত্রমতে, নগরায়ণ হচ্ছে গ্রাম্য মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে অকৃষি পেশার জন্য শিল্পকারখানা-ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে ওঠা স্থানে আস্তানা বা বসবাস গড়ে তোলা।

মূলত শিল্পায়নকেন্দ্রিক বিপুল কর্মসংস্থানের জোগান ও প্রাসঙ্গিক চাহিদা অনুসারে জনবসতির ঘনত্ব শহর বা নগরায়ণের প্রকৃতি-পরিধি নির্ধারণ করে। পর্যাপ্ত শিল্পকারখানা স্থাপন ছাড়া আনুপাতিক হারে প্রয়োজনের অধিক জনঅধ্যুষিত অঞ্চল শহর বা নগরীতে রূপান্তরিত না হয়ে প্রাইমেট সিটির বিশেষণে বিশালাকার বস্তি বা অননুমোদিত বসতির পরিচিতি লাভ করে। প্রায়োগিক বিবেচনায় উন্নত বিশ্বের দৃষ্টান্ত অনুসরণে অনুন্নত-উন্নয়নশীল বিশ্বে নামেমাত্র নগর বা শহরের নামকরণ কোনোভাবেই যথার্থ হতে পারে না।

পরিকল্পিত নগরায়ণের বিভিন্ন তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে এটুকু স্পষ্ট যে, প্রাগ্রসর বিশ্বের বিপরীতে ন্যূনতম নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত অধিকাংশ দেশই অপরিকল্পিত নগরায়ণ-গ্রামায়নের অভিশাপে পর্যুদস্ত। নগরায়ণ সম্পর্কিত যেসব তত্ত্ব বিপুল পঠিত, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জনমিতি-মনস্তাত্ত্বিক ও মানব-প্রতিবেশ তত্ত্ব। জনমিতি তত্ত্ব অনুসারে, কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্রাতিগ বৈশিষ্ট্যের আলোকে গ্রাম-শহর-নগর-মধ্যবর্তী অপেক্ষাকৃত উন্নত অঞ্চলে বিশাল জনগোষ্ঠীর স্থানান্তর ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

গ্রাম থেকে নগরমুখী স্থানান্তরের মুখ্য নিয়ামক হচ্ছে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান-বেতন বৈষম্যের ভারসাম্যহীন ব্যবধান-শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ জীবন-জীবিকা পরিচালনায় নানা ধরনের আকর্ষণীয় উপাদান।

একইসঙ্গে গ্রামে অপর্যাপ্ত কর্মসুযোগ ও সংশ্লিষ্ট সুবিধাদির অপ্রতুলতায় গ্রামীণ জনপদে তৈরি অস্থিরতা শহর-নগরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধারণ মানুষের জীবনে অস্বাভাবিক গতিপ্রবাহ সঞ্চার করে। শিল্পায়ন ও সামষ্টিক অর্থনীতির ফলে সাধারণত নগরমুখী হওয়ার প্রবণতা উন্নত বিশ্বের দৃষ্টান্ত হলেও আমাদের মতো দেশগুলোতে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাস্তবচিত্র হচ্ছে, আশ্রয় সংকটে সরকারি বিভিন্ন খাস জায়গায় অবস্থান গ্রহণ, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অধীনে থাকা খালি জায়গাগুলো দুষ্টচক্রের সিন্ডিকেট বাণিজ্যে অবৈধ বস্তি-কলোনি নামে অসহনীয় এক মানবেতর জীবনযাপনে জনবহুল এলাকাগুলো প্রায় অপরাধের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে। যৎসামান্য জমি-জমা, নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-দিঘিসহ জলাশয় ভরাট নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জনশ্রুতিমতে, সরকারি সেবা-পরিষেবা খাতগুলোর ঊর্ধ্ব থেকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত স্বল্পসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতিতে ন্যূনতম যাচাই-বাছাই ছাড়া দালান নির্মাণসহ বস্তি প্রতিষ্ঠার কর্মযজ্ঞ থেকে শতবর্ষী কবরস্থান-শ্মশান কিছুই রেহাই পাচ্ছে না। এই অর্থলোভীদের দৌরাত্ম্যে এবং অনৈতিক লেনদেনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে ম্যানেজ করার অপসংস্কৃতি গ্রাম-শহর-নগরসহ প্রতিটি অঞ্চলেই বিদ্যমান। এ শুধু মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় নয়; সততা-নৈতিকতা-আদর্শিক চিন্তা-চেতনাকে পরাভূত করে অসত্য, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে দোষী সাব্যস্তের প্রবণতা পুরো সমাজকে বিকলাঙ্গ করছে। ফলে সৎ-নিরীহ-ধার্মিক ব্যক্তিদের মহান স্রষ্টার কাছে বিচার প্রার্থনা করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিবিড় পর্যবেক্ষণ-সতর্কতা-সাবধানতা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।

মানব-প্রতিবেশ তত্ত্ব অনুসারে, জনসংখ্যা, সংগঠন, পরিবেশ ও প্রযুক্তির যথাযথ সমন্বয় ছাড়া কোনোভাবেই পরিকল্পিত নগরায়ণ কল্পনা করা যায় না। এক্ষেত্রে শুধু বাচনিক প্রতিশ্রুতি নয়; জনস্বার্থে সমস্যাগুলো আমলে নিয়ে প্রান্তিক থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ব্যর্থতা নিঃসন্দেহে চরম বিপর্যয়ের রূপ পরিগ্রহ করবে। অতি সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিনসহ দেশের বিভিন্ন স্থান লন্ডভন্ড হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় উন্নয়নের রোলমডেল হিসাবে বিশ্বস্বীকৃত বাংলাদেশে অচিরেই অপরিকল্পিত নগরায়ণ-গ্রামায়ণের বিরূপ প্রভাব পড়বে, যা নিয়ে দেশবাসী চিন্তিত।

নগরায়ণের ফলে সৃষ্ট প্রভাবকগুলোর মধ্যে রয়েছে-জনসংখ্যার ঘনত্ব, বসতবাড়ির ধরন, পরিবহণ ব্যবস্থা, পরিবার, চালচলন, খাদ্যাভ্যাস ও পোশাক পরিচ্ছদ, অর্থনীতি, সেবা-পরিষেবা সুবিধা, শিক্ষা ও চিকিৎসা, বিনোদন ব্যবস্থা, অপরাধ বৃত্তি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ইত্যাদি। বিগত পাঁচ দশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে নগরায়ণের হার সবচেয়ে বেশি।

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে প্রতিবছর নগরে বসবাসকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৬ শতাংশ হারে। বিশ্বব্যাংকের ‘লিভারেজিং আরবানাইজেশন ইন সাউথ এশিয়া : ম্যানেজিং স্পেশাল ট্রান্সফরমেশন ফর প্রসপারিটি অ্যান্ড লিভেবিলিটি’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩৩ শতাংশ মানুষ নগরে বাস করছে। নগরায়ণের এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৫১ সালে দেশের ৫৫ শতাংশ মানুষ নগরে বাস করবে।

বিশ্বের সর্বত্রই নগরায়ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের একটি কার্যকর প্রক্রিয়া হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত। জাতীয় অর্থনীতিতে নগরায়ণের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান অনস্বীকার্য। সাক্ষরতার উচ্চহার, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থার মাধ্যমে নগরায়ণ সামাজিক উন্নয়নকে প্রভাবিত করে। সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও বৃহত্তর নগরায়ণের ইতিবাচক প্রভাব দৃশ্যমান। বাংলাদেশে দ্রুত নগরায়ণের সুনির্দিষ্ট ফল হলো ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে আনুষ্ঠানিক শিল্প খাতসহ তৈরি পোশাক খাতে লাখ লাখ নারী শ্রমিকের কর্মসংস্থান। এটি সত্য যে, অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে প্রতিদিন ধ্বংস হচ্ছে গাছপালা-সবুজ আচ্ছাদন, ভরাট হচ্ছে জলাশয় এবং নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। নগরে বসবাসকারীরা নানামুখী ঝুঁকিসহ মারাত্মক বায়ু ও পানি দূষণের ফলে বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিশৃঙ্খল নগর উন্নয়ন, বেকারত্ব, পরিবেশের অবনতি, মৌলিক সেবাপ্রাপ্তির অভাব, কিশোর গ্যাং-ছিনতাই-রাহাজানি-হত্যা-আত্মহত্যাসহ ভয়ংকর অপরাধ এবং দরিদ্র জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নগরায়ণ যেমন জীবনমান উন্নত করছে, তেমনি নগরায়ণে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অপ্রতুলতায় তৈরি হচ্ছে নানামাত্রিক জটিলতা।

নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, আমাদের দেশে এখন দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে। সেটা পরিকল্পিতভাবেও নয়, কাঙ্ক্ষিতভাবেও নয়। আমাদের নগরায়ণ হচ্ছে আর্থ-সামাজিক প্রয়োজনে, যাকে পরিকল্পিত নগরায়ণ বলা যায় না। এতে কাঙ্ক্ষিত সুফলও পাওয়া সম্ভব নয়। বসতি ও নগরায়ণের চাপ পড়েছে দেশের বনভূমি ও জমির ওপর। অপরিকল্পিত এ দ্রুত নগরায়ণের নেতিবাচক প্রভাবে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনস্বাস্থ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান মতে, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে। বাংলাদেশেও এ মৃত্যুহার অনেক বেশি। জনসংখ্যা বিবেচনায় ঢাকার ১২-১৫ শতাংশ এলাকায় জলাশয় থাকা বাঞ্ছনীয় হলেও বর্তমানে এর আওতা মাত্র ৫ শতাংশ। ২০১৬ সাল পর্যন্ত গত ৩০ বছরে ঢাকার ৬০ শতাংশের জলাভূমি হারিয়ে গেছে। ২০০৩ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে তৈরি একটি অবিভক্ত ঢাকা শহরের মানচিত্রে ৬৫টি পুকুর চিহ্নিত হলেও এর অনেকগুলো ভরাট করা হয়েছে বা নগরায়ণের কারণে চিরতরে হারিয়ে গেছে। ঢাকা শহরের বহু সংকটের মূলে রয়েছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ। বিপুল জনসংখ্যার বাসস্থানের ব্যবস্থায় আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে অবৈধ দখলদারত্ব। পাশাপাশি ঢাকা শহরে পরিবেশ দূষণও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। লেক, জলাশয় ও নদীতে ময়লা-আবর্জনা ছুড়ে ফেলায় পানি দূষিত হয়ে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন জীবাণু থাকে, যা আশপাশের পরিবেশকে সংক্রমিত করে এবং মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্বল্প পরিসরে সব বৃহৎ নগরীর সার্বিক মূল্যায়ন সম্ভব না হলেও পাঠকের কৌতূহল নিরসনে সামান্য কিছু তথ্য-উপাত্ত-পরিসংখ্যান নিচে উপস্থাপিত হলো।

বর্তমানে ঢাকা শহরের ৬২ শতাংশ ভূমিতে গড়ে উঠেছে আবাসিক এলাকা। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ ভূমিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী এবং বাকি ৩৭ শতাংশে অপরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া ৮ শতাংশ ভূমিতে বাণিজ্যিক ভবন এবং ৯ শতাংশে গড়ে তোলা হয়েছে প্রশাসনিক অবকাঠামো। ৪ শতাংশ জায়গায় উন্মুক্ত জলাশয়সহ ১০ শতাংশে গড়ে উঠেছে সেনানিবাস এবং ২ শতাংশ ভূমিতে বিমানবন্দর। পরিকল্পিত-আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং গ্রহণযোগ্য মাস্টারপ্ল্যানের অভাবে শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বড় বড় প্রশাসনিক ভবন, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিমানবন্দর ইত্যাদি। শহরের ১২ শতাংশ জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে এসব স্থাপনা। রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় প্রতিটি শহরই অপরিকল্পিতভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। ফলে ইতোমধ্যেই অনেক শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন মাঠ দখল করে সুপার মার্কেট, অ্যাপার্টমেন্ট ও নানা স্থাপনা গড়ে তোলার হিড়িক পড়েছে। যানজট, জলজট, জ্বালানিজট, অকল্পনীয় পরিবেশ দূষণ অপরিকল্পিত নগরায়ণের পরিণতি।

একটি সুষম ও টেকসই নগরায়ণ নিশ্চিতকল্পে আশু স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর নীতিমালা গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন অতীব জরুরি। নগরকে বাসযোগ্য করতে শহরমুখী জনস্রোত কমানোর পাশাপাশি বিকল্প কর্মপরিকল্পনা একান্ত আবশ্যক। এক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ গ্রাম পর্যায়ে বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ অবকাঠামোসহ বসবাসের স্থান নিশ্চিত করতে হবে। এভাবে নানা পরিকল্পনায় অপরিকল্পিত নগরায়ণ ঠেকানো না গেলে ভবিষ্যতে বসবাস অনুপযোগী হবে ঢাকার মতো আরও অনেক শহর। সর্বোপরি বিরাজমান সব সমস্যা নিরসনে সময়ক্ষেপণ না করে যৌক্তিক কর্মকৌশল ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। উন্নয়নের রোলমডেল খ্যাত বাংলাদেশের ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বে পদার্পণ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ, ইতোমধ্যে অর্জিত পদ্মা সেতু-মেট্রোরেল-১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল-বঙ্গবন্ধু টানেল-মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরসহ নানাবিধ অর্জনের উপযোগিতা যথাযোগ্য মর্যাদায় সুপ্রতিষ্ঠিত থাকুক-কায়মনোবাক্যে মহান স্রষ্টার দরবারে এ প্রার্থনা করছি।

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : শিক্ষাবিদ; সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম