প্রস্তাবিত ভূমি আইন কার্যকর হওয়া কেন জরুরি
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও শাসন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে চরম অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিভিন্ন সময়ে নানা সরকারের আমলে ভিন্ন ভিন্ন জরিপকাজ পরিচালিত হলেও কথিত প্রভাবশালী, সিন্ডিকেট, মাফিয়াচক্র অবৈধ-অনৈতিক অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত সার্ভেয়ার-তহশিলদারদের কুটিল যোগসাজশে বিশাল ভূ-সম্পত্তির মালিক হয়েছে।
পক্ষান্তরে দরিদ্র-হতদরিদ্র-অর্ধশিক্ষিত শহর-নগর-গ্রামীণ জনপদের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী নির্মম শোষণ-বঞ্চনার শিকার হয়ে ভূমি-বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অর্থলিপ্সু কতিপয় মানবের অপকৌশল অবলম্বনে ভূমির মালিকানা-দখল-খতিয়ান-জাল দলিল তৈরি ও মিথ্যা-প্রতারণামূলক সাক্ষ্যের বেড়াজালে নিঃস্ব হয়েছে অগণিত অসহায়-নিরীহ মানুষ।
নষ্ট চরিত্রের রাজনীতিক, পেশাজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অশুভ পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষেত্রবিশেষে উল্লিখিত অভিশপ্ত কর্মযজ্ঞ সম্পাদিত হয়েছে। এ অবস্থায় দেশব্যাপী বিভিন্ন আদালতে কুৎসিত মনোবৃত্তির কতিপয় আইনজীবী-রেজিস্ট্রার-সাবরেজিস্ট্রারের ঘুস-দুর্নীতির প্রচলিত অপসংস্কৃতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুবই দুরূহ বিষয়।
১৯৫১ সালের স্টেট অ্যাকুইজিশন আইনের বিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের দখলে রাখা জমির সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ১০০ বিঘা। পরবর্তীকালে ১৯৫৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ভূমিরাজস্ব কমিশনের সুপারিশ অনুসারে এ সীমা ৩৭৫ বিঘায় উন্নীত করা হয়। আইয়ুব খান প্রবর্তিত ‘তথাকথিত মৌলিক গণতন্ত্র’ ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি গ্রাম্য মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ভিত্তিকে দৃঢ়তর করার প্রয়োজনে এ ভূমি সিলিং বৃদ্ধি করা হয়। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভূমি শাসন, অধিকার, বণ্টন ও পরিচালনায় বেশকিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৫৩ সালে যুক্তফ্রন্ট ঘোষিত ২১ দফার ২য় দফায় বঙ্গবন্ধু বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি ও খাজনা আদায়কারীর স্বত্ব বাতিল করে উদ্বৃত্ত জমি ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে বিতরণের কর্মসূচি দিয়েছিলেন। তিনি ভূমিসংক্রান্ত সব কাজের জন্য ‘ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রণালয়’ গঠন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকের প্রথম এজেন্ডায় বঙ্গবন্ধু ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ করেন। তিনি পরিবারপ্রতি জমি মালিকানার সর্বোচ্চ সীমা ৩৭৫ বিঘা থেকে কমিয়ে ১০০ বিঘায় নির্ধারণ করেন। ১৯৭৫ সালের নির্মম রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে সেনা-স্বৈরশাসকদের কূটচালে এসব ঐতিহাসিক উদ্যোগ উপেক্ষিত হয়।
আশির দশকে নবপ্রবর্তিত রিফর্মস অর্ডিন্যান্স অনুসারে জমির মালিকানা-সংস্কার নিয়ে কিছু নীতিমালা গ্রহণ করা হলেও আইনের ফাঁকফোকরে তা-ও কার্যত প্রয়োগ করা যায়নি। ‘ল্যান্ড রিফর্মস বোর্ড অ্যাক্ট’ ও ‘ল্যান্ড আপিল বোর্ড অ্যাক্ট’ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ভূমি প্রশাসন এবং ভূমি আপিল ক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের উদ্ভব ঘটে। একটির লক্ষ্য হচ্ছে ভূমি প্রশাসনকে আরও শক্তিশালী করা এবং অন্যটির কাজ হচ্ছে ভূমি আইন সম্পর্কিত আপিল ও পুনর্বিবেচনা বা সংশোধনী মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তিসাধন। অধিকন্তু জেলা ও তফশিল পর্যায়ে সব রাজস্ব কর্মচারীকে উপর্যুক্ত দুটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়বদ্ধ করার বিধানও চালু করা হয়। মূলত প্রায়োগিক অর্থে ওই বিধিমালার সফলতা জনস্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থের প্রভাব বলয়ে অধিকতর ব্যবহারের ফলে জনঅধ্যুষিত বাংলাদেশে সুবিধাভোগীর সংখ্যা শুধু বৃদ্ধিই পেয়েছে। মৌলিক কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে তৃণমূল পর্যায়ে ভূমিহীন-অল্পমালিকানার কৃষক-জনসাধারণ এর সুফল ভোগ করতে অপারগ ছিল।
দেশে ভূমি জরিপ ও সেটেলমেন্টের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অনিয়ম-দুর্নীতির সীমাহীন অভিযোগ রয়েছে। ভূমিসংক্রান্ত নানাবিধ জটিলতায় স্বজনদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত-সংঘর্ষ দৃশ্যমান। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে জরিপ কর্মকর্তারা একজনের জমি অন্যের নামে লিখে দিচ্ছে বলেও অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় ক্ষমতাধর সন্ত্রাসীদের দালাল-সিন্ডিকেট চক্রের সঙ্গে অর্থলিপ্সু এসব জরিপ কর্মকর্তার বিশেষ যোগসাজশে ভুক্তভোগীরা চরম অসহায় অবস্থায় পড়েন। ভূমি নিবন্ধন সেবাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতি-অনিয়ম প্রাতিষ্ঠানিক হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ২০১৯ সালে প্রকাশিত সংস্থাটির প্রতিবেদন মতে, ভূমি নিবন্ধন সেবার প্রতিটি পর্যায়ে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নিয়মবহির্ভূতভাবে লেনদেন হয় এক হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত। ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে দুর্নীতির ১০টি উৎস চিহ্নিত করে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিতর্কিত জমি রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এবং জমির প্রকৃত বিনিময়মূল্য কম দেখিয়ে ভূমি রেজিস্ট্রেশনে বড় ধরনের দুর্নীতি সংঘটিত হয়। এতে জমির দাতা-গ্রহীতার সঙ্গে দলিল লেখক ও সাবরেজিস্ট্রারদের যোগসাজশ থাকে। এসব দুর্নীতি বন্ধে দুদকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা সুপারিশও করে আসছে। সুপারিশগুলোর কিছু কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে এবং এর সুফলও মিলেছে। তথাপি ভূমি নিবন্ধন সেবা খাতসহ অধিকাংশ খাতেই দুর্নীতি চলমান রয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় ভূমি নিবন্ধন সেবা প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো এবং দুদকের সুপারিশগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া অতীব জরুরি বলে সচেতন মহল মনে করে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ব্যক্তিমালিকানাধীন বা খাসভূমিসহ সরকারি যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মালিকানাধীন ভূমিতে প্রকৃত মালিকের মালিকানা ও দলিল নিশ্চিতকল্পে ‘ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইন-২০২১’-এর প্রাথমিক খসড়ায় ভূ-সম্পদ সম্পর্কিত ২২ ধরনের অপরাধের শ্রেণি ও মাত্রাভেদে ন্যূনতম ৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ন্যূনতম ১০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া অপরাধ পুনঃসংঘটনের আগের শাস্তির দ্বিগুণ দণ্ডের বিধান, কয়েকটি শ্রেণির অপরাধকে অজামিনযোগ্য এবং জমির পরিমাপ ও অপরাধের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রস্তাবে বর্ধিত সাজার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের দাবি, বাংলাদেশে সিংহভাগ মামলাই হয় ভূমি বিরোধের জেরে। এ সম্পর্কিত দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা ঝুলে থাকে দীর্ঘ সময়। ফলে মামলাজটে সৃষ্ট ভোগান্তি নিরসনে প্রস্তাবিত আইনটি যথার্থ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। প্রস্তাবিত আইনে চিহ্নিত ২২টি অপরাধের মধ্যে রয়েছে-জাল দলিল বানানো, মালিকানার অতিরিক্ত জমির দলিল সম্পাদন করা, মালিকানার অতিরিক্ত জমি লিখে নেওয়া, পূর্ব বিক্রয় বা হস্তান্তর গোপন করে জমি বিক্রি করা, বায়নাকৃত জমি নিয়ে পুনরায় চুক্তিবদ্ধ হওয়া, ভুল বুঝিয়ে দানপত্র তৈরি, সহ-উত্তরাধিকারীকে বঞ্চিত করে নিজের প্রাপ্যতার অধিক জমির দলিল তৈরি-বিক্রি, জোরপূর্বক দখলে রাখা, অবৈধভাবে মাটিকাটা-বালু উত্তোলন, জলাবদ্ধতা তৈরি করা, বিনা অনুমতিতে ভূমির উপরের স্তরের মাটিকাটা, অধিগ্রহণের আগে জমির মূল্য বাড়ানোর উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত মূল্যে দলিল নিবন্ধন করা, জনসাধারণের ব্যবহার্য-ধর্মীয় বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জমি দখল করা, বিনা অনুমতিতে পাহাড় বা টিলার পাদদেশে বসতি স্থাপন, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কর্তৃক জমি-ফ্ল্যাট হস্তান্তর ইত্যাদি সম্পর্কিত অপরাধ, সরকারি-বেসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের জমি বেআইনি দখল করা, নদী-হাওড়-বিল ও অন্যান্য জলাভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা, অবৈধ দখল গ্রহণ ও দখল বজায় রাখতে পেশিশক্তি প্রদর্শন করা, সন্নিকটবর্তী ভূমি মালিকের ভূমির ক্ষতিসাধন ও এ সংক্রান্ত অপরাধ সংঘটনে সহায়তা বা প্ররোচনা দেওয়া ইত্যাদি।
বর্তমান সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভূমিমন্ত্রী ভূমি ব্যবস্থায় শোষণ-বঞ্চনার সংহারকল্পে অত্যন্ত বাস্তবসম্মত যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছেন, তার যথাযথ বাস্তবায়নের দিকে পুরো জাতি তাকিয়ে আছে। ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৩’-এ ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশনে প্রধান অতিথির ভাষণে মাননীয় ভূমিমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেছেন, অবৈধ ভূমি দখলকে ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য করে তৈরি ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের ভূমির অপ্রতুলতার কথা মাথায় রেখে সরকার প্রথমবারের মতো অকৃষিজমিতেও সিলিং রাখার বিধান করেছে। প্রাথমিকভাবে ‘ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইনে’ ৪০ বিঘা সিলিংয়ের (সর্বোচ্চ সীমা) প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইনে এমন বিধানও রাখা হবে, যেন বৃহৎ শিল্প স্থাপনে অকৃষিজমির সর্বোচ্চ সীমা কোনো বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে বিশেষ আবেদনে সরকার অকৃষিজমির ঊর্ধ্বসীমার অতিরিক্ত শিল্প স্থাপনে অনুমোদন দিতে পারবে। ‘দলিলাদি যার, জমি তার’ এ ভাবনা থেকেই ভূমি অপরাধ আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। কেউ যত বছরই জোর করে কোনো জমি দখল করে থাকুক না কেন, যথাযথ দলিলাদি ছাড়া বেআইনি দখলদারের মালিকানা এ আইনে কখনই স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। আইন প্রণয়নের পর জমি দখলসংক্রান্ত হয়রানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। এছাড়া ১ বৈশাখের মধ্যেই ভূমি কর শতভাগ অনলাইনের আওতায় আসার, অনলাইনের মাধ্যমে ডাকে পর্চার কপি পাঠিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রবাসীরাও নিজের পর্চা তুলে নিতে পারবেন বলে ওই অনুষ্ঠানে তিনি মত প্রদান করেন।
এখনো ভূমি সম্পর্কিত লক্ষ-কোটি জটিল আইনি প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আহাজারি এবং প্রতিনিয়ত আদালতে শরণাপন্ন হওয়া মামলার জট এত বেশি বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, পরিশুদ্ধ আইনি কাঠামোর মধ্যে দেশের সব অর্জনকে কালিমামুক্ত করতে হলে অবশ্যই ভূমিমন্ত্রী-মন্ত্রণালয়ের মেধা, প্রজ্ঞা, সততা, দেশপ্রেম সমাহারে প্রস্তাবিত সংস্কার কার্যক্রম দ্রুততর সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতেই হবে। আশু প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় জটিলতা নিরসন কঠিন হলেও এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে মাননীয় ভূমিমন্ত্রী দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়ে প্রস্তাবিত আইন অচিরেই মহান জাতীয় সংসদের অনুমোদন নিয়ে আশাজাগানিয়া নতুন অধ্যায় রচনা করবেন-এ প্রত্যাশায় আছে পুরো জাতি।
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : শিক্ষাবিদ; সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়