Logo
Logo
×

দৃষ্টিপাত

খেলাপি ঋণের ‘মচ্ছব’ রোধ করুন

Icon

মোহাম্মদ জাকারিয়া

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

খেলাপি ঋণের ‘মচ্ছব’ রোধ করুন

ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি আলোচিত, সেটি হচ্ছে খেলাপি ঋণ। এই খেলাপি ঋণের কারণে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রপঞ্চ; এসবের মধ্যে রয়েছে ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি, নগদ অর্থের ঘাটতি এবং অর্থনীতিতে উদ্ভুত নানাবিধ সমস্যা।

খেলাপি ঋণের একটি বড় অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে-একথা বহুল উচ্চারিত। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার কত কথা শোনা গেল, বাজেটেও সুযোগ রাখা হলো; কিন্তু ফলাফল শূন্য। খেলাপিরা সামাজিক মর্যাদায় বহাল তবিয়তে। ব্যাংক কাদের টাকার ওপর ভর করে ঋণ দেয়, এটি সবার জানার কথা। ব্যাংকে যারা টাকা রাখেন; মানে আমানতকারীদের টাকায় ঋণ দেওয়া হয়। সেই টাকা আটকা পড়ে যাওয়া; বলা যায়-হাওয়া হয়ে যাওয়া মানে আমানতকারীদের ঝুঁকির মধ্যে পড়া।

একটা বিষয় লক্ষণীয়-বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের ‘মচ্ছব’ চলা সত্ত্বেও ব্যাংকের মুনাফা কিন্তু কমেনি; বরং বেড়েছে। এর পেছনে কী জাদুমন্ত্র কাজ করছে? মূল জাদুমন্ত্র হচ্ছে, আমানতকারীদের ঠকানো; সেই ‘ছয়-নয়’ সুদের হারের বদৌলতে ঋণগ্রহীতারা লাভবান হলেও আমানতকারীরা তাদের সঞ্চয়ের ওপর যা পান, তা যৎসামান্যই। অনেক ক্ষেত্রে ২-৩ শতাংশ। মেয়াদি আমানতে একটু বেশি; কিন্তু তা কোনোভাবেই দেশের মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না। তদুপরি আছে সরকারি শুল্ক, উৎসে কর আর ব্যাংকের সেবা-মাশুল। মজার ব্যাপার হলো, ব্যাংককে আমানতকারীদের সামলাতে হয় না; কারণ, তারা নিরীহ, নির্বাক। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষায় বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক থাকার কথা, আছেনও বটে; কিন্তু তারা পর্ষদের প্রভাবশালীদের জ্ঞাতি ও বিশ্বস্ত। তারা ভালো করেই জানেন, কাদের দ্বারা তারা মনোনীত এবং কাদের স্বার্থ রক্ষা করবেন।

সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম