
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০২ এএম
আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন প্রসঙ্গে

মোবায়েদুর রহমান
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

পবিত্র রমজান মাসে রাজনীতির ময়দান অকস্মাৎ উত্তপ্ত হয়ে গেছে। এমন একটি ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে যে, যেটি সর্বশ্রেণির মানুষের ধারণারও বাইরে ছিল। সেটি হলো, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন এবং আগামী নির্বাচনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করা। বিষয়টি আরও পরিষ্কার করতে গেলে বলতে হয় যে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা। অথবা আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে কিনা। আগামী নির্বাচনটি ইনক্লুসিভ বা অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে কিনা।
আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের কথা উঠছে কেন? আওয়ামী লীগ কি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে? এসব প্রশ্ন এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। এসব প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে বেশ কয়েকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। যদিও বলা হচ্ছে যে, সাবেক ছাত্রনেতা এবং বর্তমানে নবগঠিত এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি ফেসবুক পোস্টিং থেকে এসব প্রশ্নের উৎপত্তি হয়েছে, কিন্তু ঘটনার আরও গভীরে গেলে দেখা যাবে যে এর উৎপত্তি হয়েছে আরও আগে থেকেই।
আর সেটি হলো, আওয়ামী লীগ তো নিষিদ্ধ হয়নি। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। এখান থেকেই বেধেছে যত গোল। শুধু যে নিষিদ্ধ হয়নি তাই নয়, আওয়ামী লীগের নিবন্ধনও বাতিল হয়নি। তাহলে আইনগত প্রশ্ন ওঠে, যে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়নি এবং যে দলটি এখনো নিষিদ্ধ নয়, সেই দলটিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে কীভাবে বিরত রাখা যাবে? অথচ কঠিন বাস্তব হলো, কয়েকজন ভারতপ্রেমী এবং শেখ হাসিনার উচ্ছিষ্টভোগী ছাড়া বাংলাদেশের ১৭ কোটি ২০ লাখ মানুষ আওয়ামী লীগকে দেখতে পারে না। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ৪৫ হাজার নেতাকর্মী ভারতে পলাতক। তারা কিন্তু শুধু পুলিশের ভয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে তাই নয়, তারা আসলে পালিয়েছে জনগণের ভয়ে। এখনো এই মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহেও আওয়ামী লীগ বা যুবলীগ ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন কর্মীও যদি কোনো মিছিল বের করে বা সমাবেশের চেষ্টা করে, তাহলে কয়েকশ মানুষ তাদের ধাওয়া দেবে।
আমার ভাবতে অবাক লাগে, আওয়ামী লীগের কোনো নেতা, তিনি দেশে আত্মগোপন করে থাকুন বা বিদেশে পলাতক থাকুন না কেন, কেউই বলেনি যে তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এবং দলটির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে সম্প্রতি ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ওই বার্তায় তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না আওয়ামী লীগ। এমনকি দলের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই বলেও জোর গলায় জানান আরাফাত। ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ চালানোর পরও আওয়ামী এ তথাকথিত বুদ্ধিজীবী মনে করেন, আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনের কোনো সুযোগ নেই।
আরাফাত দাবি করেন, দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সবাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে অজ্ঞাত স্থান থেকে টেলিফোনে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে এসব কথা জানান তিনি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি প্রসঙ্গে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন কোনো শক্তি নেই যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে বিবিসি প্রশ্ন করেছিল, সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে ফিরবে কিনা। উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বারবার নির্বাচিত। তিনি তার দায়িত্ব এখনো পালন করছেন। তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ঘিরে যা কিছুই হবে, তার নেতৃত্বে শেখ হাসিনাই থাকবেন।’
২.
গত ১৯ মার্চ বুধবার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সরকারি ভাষ্যে বলা হয়েছে, এটি ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। আরও বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধান দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন। একই দিন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। তবে দলের যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানান, জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সম্ভাব্য অপরাধের অভিযোগ থাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) হেগে মামলা করার বিষয়টি সরকার বাতিল করেনি। এটি এখনো আলোচনার টেবিলে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এরপর গত বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ দিবাগত রাত ১টা ৪৪ মিনিটে (আসলে এটি হলো ২১ মার্চ শুক্রবার) নবগঠিত এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সুদীর্ঘ এ স্ট্যাটাসের এক স্থানে তিনি বলেন, ক্যান্টনমেন্ট থেকে ১১ মার্চ তাদেরকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এ পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরীন শারমিন, তাপসকে সামনে রেখে এ পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের এ প্রস্তাব দেওয়া হলে আমরা তৎক্ষণাৎ এর বিরোধিতা করি এবং জানাই, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে কাজ করুন। এর উত্তরে আমাদের বলা হয়, আওয়ামী লীগকে ফিরতে কোনো ধরনের বাধা দিলে দেশে যে সংকট সৃষ্টি হবে, তার দায়ভার আমাদের নিতে হবে এবং ‘আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক’।
৩.
বলা বাহুল্য, হাসনাতের এ স্ট্যাটাস রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবল ঝড় তোলে। সুইডেনভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নেত্র নিউজ’ কনফার্ম করে, ১১ মার্চ ক্যান্টমেন্টে হাসনাতরা এসেছিলেন। এরপর এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, ১১ মার্চ ক্যান্টনমেন্টে তিনি এবং হাসনাত গিয়েছিলেন। তারা সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি আরও বলেন, এ বৈঠক অনুষ্ঠানের জন্য তিনি নিজে, অর্থাৎ সারজিস নিজে সেনাপ্রধানের অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছিলেন।
২১ মার্চ শুক্রবার এনসিপির এক জরুরি বৈঠকে দলীয় প্রধান নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে কি পারবে না, এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত, পরিকল্পনা বা প্রস্তাবনা দেওয়ার এখতিয়ার সেনাবাহিনী বা অন্য কোনো সংস্থার নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সরকার, রাজনৈতিক দল ও জনগণ সেই সিদ্ধান্ত নেবে।’ এ খবর দিয়েছে বিবিসি বাংলা।
এভাবে বিষয়টি ক্রমান্বয়ে জট পাকাতে থাকে এবং জটিল হয়ে পড়ে। এ পটভূমিতে গত সোমবার ২৪ মার্চ ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন (অফিসার্স অ্যাড্রেস) সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান। বৈঠকটি শুরু হয় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে। শেষ হয় বিকাল ৩টায়। অথচ সোমবার সকাল ১০টার মধ্যেই চারদিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে আজ (সোমবার ২৪ মার্চ) জেনারেল ওয়াকার সেনাবাহিনীর অফিসারদের নিয়ে মিটিং করছেন। আজ রাতেই (২৪ মার্চ) সারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি হবে। অবস্থা এমন পর্যায়ে যায় যে, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে, এ আতঙ্কে সন্ধ্যার পর থেকেই রাস্তায় যান চলাচল অপেক্ষাকৃত কমে যায়। তবে রাতেই স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, জরুরি অবস্থা জারির গুজব স্রেফ ‘গসিপ’।
৪.
গুজবের তো অবসান হলো। কিন্তু সারা দেশে ব্যক্তিগত বা দলীয় পর্যায়ে আলোচনা উঠেছে, গণ-অভ্যুত্থানের মাত্র ৭ মাস ২০ দিন পার হয়েছে। এত অল্প সময়ের মধ্যেই আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা উঠছে কেন? রিফাইন্ড বা পরিশুদ্ধ আওয়ামী লীগের কথাই বা উঠছে কেন? ১৯৭১ সালে সব ইসলামি দল তো আর মানুষ হত্যা করেনি। তারপরও ৭২ সালের সংবিধানে ইসলামি রাজনীতিই নিষিদ্ধ করা হয়। অথচ বিগত জুলাই অভ্যুত্থানে যে ১ হাজার ৫০০ জন ছাত্র জনতাকে হত্যা করা হয় এবং ২৬ হাজার মানুষকে বুলেটের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়, তার হুকুম দেন স্বয়ং শেখ হাসিনা। আর এ তথ্য দিয়েছে খোদ জাতিসংঘ তদন্ত কমিটি। শুধু হাসিনা নয়, জাতিসংঘ তদন্ত কমিটিতে দল হিসাবে আওয়ামী লীগ, সরকার হিসাবে হাসিনার সরকার এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে গণহত্যার জন্য সরাসরি দায়ী করা হয়।
গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার ৪টি নৃশংস গণহত্যা ঘটিয়েছে। এগুলো হলো বিডিআর ম্যাসাকার, শাপলা ম্যাসাকার, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়-উত্তর বিক্ষোভ মিছিলগুলো নির্বিচার গুলিতে ২৫৭ জন আদম সন্তানকে হত্যা এবং জুলাই বিপ্লবে ব্যাপক গণহত্যা। এছাড়া বিগত ১৫ বছরে আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষের গুম ও খুন। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগদের সব হাত রক্তে রঞ্জিত। এখনো এসব নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি।
হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী সরকার শুধু ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারই ছিল না, ছিল একটি Kleptocracy বা চোরতন্ত্র। তারা ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে। ২ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপের সুযোগ দিয়েছে। এস আলম, সালমান এফ রহমানসহ একটি ধনিক গোষ্ঠীকে দিয়ে Crony Capitalism বা কাছের জনদের পুঁজিবাদ প্রতিষ্ঠা করে লাখ লাখ কোটি টাকা ব্যাংক এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। এগুলোরও বিচার করার জন্য ড. ইউনূসের সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আগামী মাস থেকেই এসব অপরাধের চার্জশিট দেওয়া হবে এবং আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে। সেই বিচার যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়, সেজন্য চার্জশিট যেন ত্রুটিপূর্ণ না হয়, সেই দিকটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এজন্যই আসামিদের কাঠগড়ায় তুলতে দেরি হচ্ছে।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গণহত্যা, হিটলারের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের আদলে আয়নাঘরসহ গুম ও খুন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনের বিচার হওয়ার আগে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রশ্নই ওঠে না। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতির সময় Inclusivity বা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের প্রশ্ন ওঠেনি। আজ সে কথা উঠছে কেন? সবচেয়ে বড় কথা হলো, খোদ আওয়ামী লীগ যেখানে ড. ইউনূসের অধীনে নির্বাচনে আসবে না বলে ঘোষণা করেছে এবং শেখ হাসিনা ছাড়া আর কাউকে নেতা মানতে অস্বীকার করেছে, সেখানে রিফাইন্ড বা পরিশুদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রশ্ন অবান্তর। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের কোথাও কোনো রাস্তাতেই দাঁড়াতে পারবে না। দাঁড়ালে জনগণই তাদের প্রতিহত করবে। এ মুহূর্তে প্রয়োজন ভারতীয় চক্রান্ত সম্পর্কে সজাগ থাকা এবং সেনাবাহিনীসহ জনগণের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা।
মোবায়েদুর রহমান : সিনিয়র সাংবাদিক
journaist15@gmail.com