Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের জনক শেখ মুজিব : শেখ হাসিনা সেটিকে লৌহ কঠিন করেছেন

Icon

মোবায়েদুর রহমান

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের জনক শেখ মুজিব : শেখ হাসিনা সেটিকে লৌহ কঠিন করেছেন

সংগৃহীত ছবি

বিগত সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশের মানুষ এক নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। এই সাড়ে ১৫ বছরে সেই সংগ্রাম সফল না হলেও সেই সংগ্রামে প্রতিটি বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী অব্যাহতভাবে পিষ্ট হয়েছেন জুলুমের স্টিমরোলারে। এই সাড়ে ১৫ বছরে বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিরোধীদলীয় অসংখ্য নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন, লাখ লাখ নেতাকর্মীর মাথায় সর্বক্ষণ হুলিয়া জারি রয়েছে। এসব বিরোধী দলের এমন কোনো নেতা নেই, যাকে কোনো না কোনো সময় অন্যায়ভাবে বিনা অভিযোগে কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে থাকতে হয়নি। অন্যদিকে ২০১২ সাল থেকে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য আয়নাঘর। জার্মান ডিক্টেটর হিটলারের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের আদলে সৃষ্টি করা হয়েছে এসব আয়নাঘর। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের বক্তব্য মোতাবেক সাড়ে ৩ হাজার মানুষ এসব আয়নাঘরে মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হয়েছেন। গুম কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য মোতাবেক এখনো ৩৩৩ জন হতভাগ্য আদম সন্তান ফিরে আসেননি। সম্ভবত তারা আর এই দুনিয়ায় নেই।

এই নিকৃষ্ট ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী শাসন শুধু শেখ হাসিনাই চালননি, বরং এই ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচার, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিলেন তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। আজ যেটা র‌্যাব, সেটি শেখ মুজিবের আমলে সৃষ্ট রক্ষীবাহিনীর নবতর সংস্করণ। ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশের (সিআরপির) আদলে সৃষ্ট বাংলাদেশের রক্ষীবাহিনীকে ট্রেনিং দিয়েছেন ভারতের সেনা কমান্ডার জেনারেল উবান। রক্ষীবাহিনীর হাতে জাসদ, তোয়াহার কমিউনিস্ট পার্টি, আব্দুল হকের কমিউনিস্ট পার্টি, সিরাজ সিকদারের সর্বহারা পার্টি, নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীসহ ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে ঠান্ডা মাথায় বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে শেখ মুজিবের আমলে।

আমি আজকের কলামে দেখাতে চেষ্টা করব শেখ মুজিব শুধু একজন স্বৈরাচারী ডিক্টেটরই ছিলেন না, তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদানেও মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছিলেন। হিটলার যেমন গণতন্ত্রের পথ ধরে ক্ষমতায় গিয়ে সেই গণতন্ত্রেরই কণ্ঠ রোধ করেছিলেন, তেমনি শেখ মুজিবও গণতন্ত্রের পথ ধরে ক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্রের টুঁটি সম্পূর্ণ চেপে ধরেন। পাকিস্তান সৃষ্টির আগে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেখ মুজিব যেসব উক্তি করেছেন, সেগুলোর একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পূর্ণ বিপরীত। আসুন, আমরা দেখি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আগে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার চরম পরস্পরবিরোধী উক্তি।

শেখ মুজিব তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীর’ ১৫ নং পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “তখন রাজনীতি শুরু করেছি ভীষণভাবে। সভা করি, বক্তৃতা করি। খেলার দিকে আর নজর নাই। শুধু মুসলিম লীগ, আর ছাত্রলীগ। পাকিস্তান আনতেই হবে, নতুবা মুসলমানদের বাঁচার উপায় নাই। খবরের কাগজ ‘আজাদ’, যা লেখে তাই সত্য বলে মনে হয়।” আলোচ্য পুস্তকের ২১ নং পৃষ্ঠায় শেখ মুজিবের পিতা তাকে বলেছিলেন, ‘বাবা রাজনীতি কর আপত্তি করব না, পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করছ, এ তো সুখের কথা, তবে লেখাপড়া করতে ভুলিও না। আমার মনে হয়, পাকিস্তান না আনতে পারলে মুসলমানদের অস্তিত্ব থাকবে না।’

পাকিস্তান কায়েমের পক্ষে শেখ মুজিব রীতিমতো ফ্যানাটিক ছিলেন। আলোচ্য পুস্তকের ৩৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ‘অখণ্ড ভারতে যে মুসলমানদের অস্তিত্ব থাকবে না এটা আমি মনপ্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করতাম। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হিন্দু নেতারা খেপে গেছেন কেন? ভারতবর্ষেও মুসলমান থাকবে এবং পাকিস্তানেও হিন্দুরা থাকবে। সকলেই সমান অধিকার পাবে। অনেক সময় হিন্দু বন্ধুদের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এ নিয়ে আলোচনা হত। কিছুতেই তারা বুঝতে চাইত না। ১৯৪৪-৪৫ সালে ট্রেনে, স্টিমারে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হত। সময় সময় এ বিতর্ক এমন পর্যায়ে আসত যে, মুখ থেকে হাতের ব্যবহার হবার উপক্রম হয়ে উঠত। এখন আর মুসলমান ছেলেদের মধ্যে মতবিরোধ নাই। পাকিস্তান আনতে হবে, এই একটাই স্লোগান সকল জায়গায়।’

সেই শেখ মুজিব বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ডিগবাজি মারেন। ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি সবাইকে চমকে দিয়ে তার ভাষণে বলেন, ‘১৯৪৭ সালে ফাঁকির স্বাধীনতা আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। ১৯৪৭ সালে নতুন করে বাংলাকে পরাধীন করে। বাংলাদেশ পাকিস্তানের কলোনিতে পরিণত হয়। ১৯৪৭ সালের পূর্বে আমরা যারা স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদান করেছিলাম, তখন আমাদের স্বপ্ন ছিল আমরা স্বাধীন হবো। কিন্তু সাতচল্লিশ সালেই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমরা নতুন করে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়েছি।’

যে শেখ মুজিব তার ভাষায়, পাকিস্তানের জন্য লড়াই করেছেন, সেই শেখ মুজিবই ’৭৪ সালে ভোল পালটে বললেন, আমরা নতুন করে পরাধীন হলাম। এর আগে আরেকটি ভাষণে তিনি বলেছেন যে, ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট যখন ভারত ভেঙে পাকিস্তান হলো, তখনো শেখ মুজিব কলকাতায় ছাত্রদের বেকার হোস্টেলে থাকতেন। ১৯৭২ সালে ছাত্রলীগ বিভক্ত হলে তিনি তার ভাগিনা শেখ শহিদের নেতৃত্বাধীন মুজিববাদী ছাত্রলীগের কনফারেন্সে বলেন, ‘যেদিন ভারত ভাগ হলো সেদিন কলকাতার বেকার হোস্টেলে আমি আমার বন্ধুদের বললাম, পাকিস্তান কায়েম হওয়ায় বাঙালিরা শেষ হয়ে গেল।’

এখন মানুষ বিশ্বাস করবে মুজিবের কোন কথায়? পাকিস্তান কায়েমের আগের কথায়? নাকি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরের কথায়

২.

কিন্তু প্রশ্ন হলো, জুলাই আগস্টের যে বিপ্লবটি ছিল পৃথিবীর অন্যতম নিকৃষ্ট ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার উপড়ে ফেলার লড়াই, সেই ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার বাংলাদেশে প্রথম কে প্রতিষ্ঠা করেন, এই নিকৃষ্ট স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করেন শেখ মুজিব। শুধু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরই শেখ মুজিব ‘এক নেতা এক দেশের’ একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেননি, পাকিস্তান আমলেও শেখ মুজিব এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছিল শ্বেত সন্ত্রাসের রাজনীতি।

যে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ১৯৪৯ সালে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং যে শেখ মুজিব ছিলেন মওলানা ভাসানীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সেই মওলানা ভাসানী পররাষ্ট্রনীতির প্রশ্নে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। এর পরিণতিতে আওয়ামী লীগ দ্বিখণ্ডিত হয়। আওয়ামী লীগ থেকে মওলানা ভাসানী বেরিয়ে এসে গঠন করেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। এই দল গঠন উপলক্ষ্যে সদরঘাটের সন্নিকটে অবস্থিত রূপমহল সিনেমা হলে আওয়ামী লীগের ভাসানীপন্থিদের সম্মেলন হয়। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ খণ্ড খণ্ড মিছিলযোগে এ সম্মেলনে আসছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের মাস্তানরা এসব মিছিলে লাঠিসোঁটাসহ হামলা করে। গুরুতর আহত হন ‘ভাসানী যখন ইউরোপে’ বইয়ের লেখক খন্দকার ইলিয়াস। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর হামলা হয় পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত প্রবীণ রাজনীতিবিদ মিয়া ইফতেখারের গাড়ির ওপর।

৩.

পরদিন পল্টন ময়দানে মওলানা ভাসানীর জনসভা শুরু হয়। লাখ লাখ মানুষ এ জনসভায় যোগদান করেন। এ সভায় শামিল ছিলেন সীমান্ত গান্ধী বলে পরিচিত খান আব্দুল গাফফার খান, সিন্ধুর জি এম সাইদ, বেলুচিস্তানের গফুর বালুচ, মিয়া জানজুয়া, পাঞ্জাবের মাহমুদ আলী কাসুরি, মিয়া ইফতেখার উদ্দিন প্রমুখ। সভা শুরু হওয়ার অব্যবহিত পর গুলিস্তান, বর্তমান দৈনিক বাংলা মোড়সহ চারদিক থেকে সভার ওপর প্রচণ্ড ইস্টক বর্ষণ শুরু হয়। এর পরপরই লাঠি হাতে কয়েকশ লোক সভায় হামলা চালায়। রূপমহল কনফারেন্স উপলক্ষ্যে আগত মিছিলে হামলা এবং পল্টন ময়দানে প্রচণ্ড হামলায় নেতৃত্ব দান করেন শেখ মুজিবুর রহমান। হামলাকারী বাহিনীর মাস্তানদের আনা হয়েছিল নাজিরা বাজার ও কলতা বাজার থেকে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় মওলানা ভাসানী স্বয়ং এবং গাফফার খান, মিয়া ইফতেখার উদ্দিন প্রমুখ আহত হন।

আওয়ামী লীগের ইতিহাস গুণ্ডামির ইতিহাস। আওয়ামী লীগের ইতিহাস শ্বেত সন্ত্রাসের ইতিহাস। ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি ভিয়েতনাম দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্র ইউনিয়নের মিছিল যাচ্ছিল প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে। তখন ডাকসুর ভিপি ছিলেন আজকের সিপিবি নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। শেখ মুজিব তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেই মিছিলে কোনো উচ্ছৃঙ্খলতা হয়নি। শান্তিপূর্ণ সেই মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে নিহত হন ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী মির্জা কাদেরুল ও মতিউল। এ গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম স্বয়ং আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকসুতে শেখ মুজিবের আজীবন সদস্যপদ বাতিল ঘোষণা করেন।

ছাত্র ইউনিয়নের এ ঘোষণাকে গোস্তাকি হিসাবে গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব। এর ভয়াবহ পরিণতিতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী এবং আব্দুল মান্নানের লাল বাহিনী ছাত্র ইউনিয়ন এবং ন্যাপের ওপর (মোজাফ্ফর) দাবড়িয়ে দেওয়া হয়। সেদিন বাংলাদেশের মানুষ দেখেছেন শ্বেত সন্ত্রাস কাকে বলে। জীবন নিয়ে পালিয়ে বেড়ান মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ ছাত্র ইউনিয়ন এবং ন্যাপের নেতাকর্মীরা।

৪.

আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের ঝটিকা বাহিনীর সন্ত্রাসী কাহিনি একটি কলামে লিখে শেষ করা যাবে না। শেখ মুজিবের ভাগিনা এবং তৎকালীন যুবলীগের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলুল হক মনি প্রকাশ্য জনসভায় হুংকার দেন, ‘আইনের শাসন চাই না/মুজিবের শাসন চাই’। আজ দেশে গুম, খুন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে জনগণ সোচ্চার। কিন্তু এই গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও শুরু হয়েছিল শেখ মুজিবের আমলে। কমরেড সিরাজ সিকদার ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর ঘোষণা করেছিলেন যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। রাওয়ালপিন্ডির আধিপত্য থেকে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ দিল্লির গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ হয়েছে। সেই কমরেড সিরাজ সিকদারকে উঠিয়ে নেওয়া হয় এবং পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অতঃপর জাতীয় সংসদে শেখ মুজিব প্রশ্ন করেন : কোথায় আজ সিরাজ সিকদার?

শেষ করার আগে উল্লেখ করতে চাই, শেখ মুজিবের আমলে শোনা যায় এক নতুন বাদের আওয়াজ। সেটা হলো ‘মুজিববাদ’। মুজিববাদের দর্শন হলো ‘এক নেতা এক দেশ/বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ’। মাও সে তুং, জোসেফ স্ট্যালিন, অ্যাডলফ হিটলার, কিম জং উন, ফ্রান্সিস্কো ফ্রাঙ্কো, আন্তনিউ দি ওলিভেইরা সালাজারের মতো পাঁড় ডিক্টেটররাও এক নেতা এক দেশের মতো স্লোগান দেননি।

আগেই বলেছি, শেখ মুজিব এবং আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী শাসনের উপাখ্যান একটি কলামে শেষ হবে না। এ সম্পর্কে প্রয়োজন হলে আবার লিখব, ইনশাআল্লাহ।

মোবায়েদুর রহমান : সিনিয়র সাংবাদিক

journalist15@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম