হালফিল বয়ান
দুদকের কর্মপদ্ধতি বদলাতে হবে

ড. মাহফুজ পারভেজ
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
-67be3bd99c9ce.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষবর্ষে ‘দুর্নীতি, ক্ষমতা, রাজনীতি’ কোর্সটি বহু বছর ধরে পড়ানোর অভিজ্ঞতায় দুদককে (দুর্নীতি দমন কমিশন) আমরা ‘কাগুজে বাঘ’ বলতেই পছন্দ করেছি। কখনো বলেছি ‘মিথ্যাবাদী রাখালের বাঘ’, যে বাঘ আসছে বলা হলেও আসে না, এলেও উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ভয় দেখিয়ে কাবু করতে আসে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে নৈর্ব্যক্তিক প্রতিষ্ঠান হওয়ার বদলে দুদক হয়েছিল ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তির ইচ্ছার তাঁবেদার। জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের পরিবর্তমান পরিস্থিতিতে, দুদক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাল কার্ড হাতে সক্রিয়।
ওয়াকিবহাল মহলের তথ্যমতে, অতীতে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করাই ছিল অসম্ভব, তেমন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আমলা ও প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের ধরে আনা হচ্ছে। এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কতিপয় শিক্ষককেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হচ্ছে। এতে দুদক নিয়ে অবশ্যই কিছু আশার সঞ্চার হয়েছে। যেমন: ঘুস, দুর্নীতি, তছরুপ করে রেহাই পাওয়ার দিন শেষ। রাজনৈতিক ধামা ধরে বা ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে অপকর্ম আড়াল করার সুযোগও আর নেই। দুদকের বস্তুনিষ্ঠ সক্রিয়তার ফলে, সরকার বদল হলে যারা বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে অতীতকে দোষারোপ করে গোপনে দুর্নীতির সাম্রাজ্য তৈরি করতেন, তারাও সতর্ক হবেন। দুদকের তরফে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত ও অনুসন্ধান চলমান থাকলে, নতুন দুর্নীতিবাজদের পক্ষে অতি দ্রুত মাথা তুলে দাঁড়ানোও সহজ হবে না।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় দুর্নীতি প্রতিরোধে নবসৃষ্ট আশার পাশাপাশি কিছু হতাশার বিষয়ও রয়েছে। কারণ, প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলতে বাংলাদেশে অপতথ্য, অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা, চরিত্রহনন একটি পরীক্ষিত ও মোক্ষম অস্ত্রস্বরূপ। পেশাগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, সরকার বদল হলেই ‘পক্ষের’ আর ‘বিপক্ষের’ লেবেল লাগাতে একদল চালাক ও সুযোগসন্ধানী লোক মাঠে নামে। এসব মতলববাজ, নানাজনকে নানা কায়দায় বদনাম দিয়ে নিজের অপকর্মের পথ মসৃণ করে। এরশাদ পতনের পর সংবাদপত্র অফিসে বস্তা, বস্তা অভিযোগ আসতে থাকে বিভিন্ন রাজনীতিবিদ ও আমলার নামে, যার কিছু সত্য হলেও অনেকগুলোই ছিল বানোয়াট। প্রতিটি সরকার বদলের ক্ষেত্রেই এমনটি দেখা যায়। ফলে প্রকৃত দোষীর সঙ্গে সঙ্গে কিছু নিরীহ ও স্বচ্ছ মানুষ আক্রান্ত হন। দুদককে এসব ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক ও সংবেদনশীল হতে হবে। নইলে কারও প্ররোচনা ও প্রভাবে গৃহীত ভুল পদক্ষেপের কারণে সাধু কাজগুলোও কলঙ্কিত হতে পারে। দুদকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যেন স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় মতলববাজদের পাল্লায় পড়ে প্রতিষ্ঠানকে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হাতিয়ারে পরিণত করতে না পারে, সেজন্য ক্রসচেক, নিবিড় পরিবীক্ষণ ও নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
বিশেষ করে লক্ষ রাখতে হবে, অপরাধ ও দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড বা মূল হোতা যেন ধরা পড়ে, যারা নিয়োগ, ক্রয়-বিক্রয়ে সরাসরি অংশ নিয়ে এবং জড়িত থেকে লুটপাট করতে পেরেছিল। তার বাইরে রাজনৈতিক বা অন্য কারণে কাউকে নাজেহাল করা ঠিক হবে না। প্রাচীন পণ্ডিতরা বলেছেন, ‘মানুষ রাজনৈতিক জীব’। ফলে তারা কোনো না কোনো দল বা মতের অনুসারী হতেই পারেন। বহুত্ববাদী গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে মানুষের ভিন্নদল বা ভিন্নমত গ্রহণের বিষয়টি আমরা শ্রদ্ধা করি। শিক্ষক, সাংবাদিক, প্রশাসক, ব্যবসায়ী, ডাক্তারদের মধ্যে নানা দলের সদস্য হয়েও ভালো মানুষ ও ভালো পেশাজীবী আছেন, যারা সরকার বা প্রশাসনের অংশ ছিলেন না। পেশাগত শুদ্ধতার বাইরে গিয়ে ক্ষমতার জোরে তারা লম্ফজম্প দেননি। মতলববাজদের দ্বারা এমন মানুষকেও অপতথ্য ও চরিত্রহননের বিষয়বস্তু বানিয়ে আক্রান্ত করা হলে তা শুধু নিন্দনীয়ই হবে না, কঠোর হস্তে দমনও করতে হবে। ফলে দুদককে চলতে হবে অত্যন্ত সতর্কতা ও সাবধানতার সঙ্গে, মানবিক অনুভূতির ভিত্তিতে। তা না হলে দুদকের ভালো কাজগুলো চাপা পড়তে পারে।
দুদক যখন অতীতের অলসতা ও অকার্যকারিতা ভেঙে সক্রিয় হচ্ছে, তখন কিছু কিছু পদক্ষেপের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন, ‘কোন মানদণ্ডে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রেষণে দুদকেই নিয়োগ দেওয়া হলো? সেটিও এমন একটি সময়ে, যখন দুদক সংস্কার কমিশন সুস্পষ্ট সুপারিশ করেছে যে, দুদকের অভ্যন্তরে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চিহ্নিত করে বিভাগীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে, ফৌজদারি বিচারে সোপর্দ করতে হবে। এ সুপারিশের পুরোপুরি বিপরীতে গিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগের ঘটনা আসলে কী বার্তা দেয়? উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এমন মনে হওয়া অমূলক নয় যে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুদককে শক্তিশালী করার বদলে সরকারের ভেতর থেকেই দুদককে অকার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে! যদিও মিডিয়ার বিশ্লেষণে, ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দুদকের কর্মকাণ্ড ইতিবাচক ‘ছন্দে ফিরেছে’। এরই মধ্যে গত তিন মাসের দায়ের করা শতাধিক মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। কারণ, দ্রুততার সঙ্গে নিখুঁতভাবে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ব্যাপারে কমিশন গুরুত্ব আরোপ করছে। তবে, দুদকের ইতিবাচক গতি তখনই সফল হবে, যখন মামলার তথ্য-অনুসন্ধান সঠিক হবে এবং যখন আদালতে গিয়ে আসামিরা সঠিকভাবে সাজা পাবেন। এসবই নির্ভর করবে দুদকের কর্মকর্তাদের দক্ষতা, সততা, পেশাদারি ও আন্তরিকতার ওপর।
দুদক যে সক্রিয় হয়েছে, তার কারণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের অধিকতর অভিযোগ জ্ঞাপন। ২০২৩ সালে সারা বছরেই মাত্র ৮৪৫ অভিযোগ আমলে নিয়েছে তৎকালীন মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ কমিশন। সেবছর মামলা হয়েছে মাত্র ৪০৪টি। তার বিপরীতে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর ড. আবদুল মোমেন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরপর সহস্রাধিক অভিযোগ অনুসন্ধান আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। আর সর্বশেষ দেড় মাসেই একশটির বেশি মামলা করেছে বর্তমান কমিশন। তাছাড়া গত ৫ মাসে জমা পড়া ৮ হাজার ৬২৩টি অভিযোগের মধ্যে ১ হাজার ৩৬৯টিই আমলে নিয়ে প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধান করছে দুদক। এর মধ্যে সংস্থাটির তফশিলভুক্ত অপরাধ না হওয়ায় ৬ হাজার ৭৬৭টি অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি। তবে ৪৯৫টি অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে। বাস্তবতা হলো, জুলাই ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন গড়ে দুইশর বেশিসংখ্যক অভিযোগ জমা পড়ছে সংস্থাটির বিভিন্ন দপ্তরে। এর মধ্যে রাজধানীর সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের বরাবর আসা অভিযোগের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া দুদকের হটলাইনসহ (১০৬) বিভিন্ন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে প্রতিদিন অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ছে। বর্তমানে দুদকের যাচাই-বাছাই কমিটিতে (যাবাক) সাড়ে তিন হাজারের বেশি অভিযোগ জমা রয়েছে, যা যাচাই-বাছাইয়ের পর সিদ্ধান্ত নেবে দুদক।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশন ব্যক্তিগত স্বার্থে সাংবিধানিক ও আইনগত ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুস লেনদেনকে অবৈধ ঘোষণা এবং আইনে কালোটাকা সাদা করার বৈধতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করাসহ ৪৭ দফা সুপারিশ করেছে। তাছাড়া দুর্নীতি দমনে সব সেবামূলক খাত স্বয়ংক্রিয় বা অটোমেশনের আওতায় আনার সুপারিশসহ দুদককে শক্তিশালী, কার্যকর ও ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলতে কমিশনারদের পদ বাড়ানো, নিয়োগ, সার্চ কমিটি, আইনের সংস্কার, বেতন বৃদ্ধি ও প্রণোদনার জন্য সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং দুর্নীতি নিয়ে অ্যাকাডেমিক ও নানা পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি কার্যকর দুদক গড়ে তুলতে রাজনীতি ও আমলাতন্ত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি। তাছাড়া দেশে জাতীয় দুর্নীতিবিরোধী কোনো কৌশল নেই। দুর্নীতি দমন শুধু দুদকের একার কাজ নয়, এখানে রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় অনেক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রয়েছে। যেমন: সংসদ, আইন ও বিচার বিভাগ, প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিভিন্ন কমিশন, ব্যবসা খাত ও রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের দুর্নীতিবিরোধী ভূমিকা থাকতে হবে। যে জাতীয় কৌশল প্রণয়নের কথা বলা হচ্ছে, তাতে রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা নির্ধারণ করা থাকবে; যার মাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপগুলো কতটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে, সেটি নিয়মিতভাবে নজরদারি করতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি আয়-ব্যয় নিয়মিত প্রকাশ করা, নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদবিবরণী দাখিলের বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ। দুদককে শক্তিশালী করতে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশকারীর আইনি সুরক্ষা শক্তিশালী করতে হবে। যিনি দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করেন, তার সুরক্ষায় আইন করতে হবে। একটা তথ্য প্রকাশ সুরক্ষা আইন রয়েছে, তবে সেটির কোনো প্রয়োগ ও কার্যকর প্রচার নেই।
দুদকে নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন, যা বাস্তবসম্মত। দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা বিবেচনায় যে ধরনের পেশাগত বৈচিত্র্য থাকা দরকার, সেটি নিশ্চিত করতে একজন নারীসহ পাঁচজন দুদক কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। তাদের মেয়াদ হবে চার বছর। এদের মধ্যে গবেষণা ও প্রশিক্ষণের জন্য দক্ষ পরিচালক রাখতে হবে, যার কথা কমিশন বলেনি। আমরা মনে করি, প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হলে সংস্থার কর্মীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ জরুরি। দুদকের মধ্যে ব্যাপক প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম থাকা আবশ্যক। তদুপরি দুর্নীতির গতিপ্রকৃতি, কার্যকারণ, সমাজ ও মানুষের মধ্যে দুর্নীতির প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে দুদককে সর্বদায় গবেষণায় লিপ্ত থাকা দরকার। শুধু দুর্নীতি দমন ও শাস্তি বিধান করলেই হবে না, দুর্নীতির বিস্তার রোধে সামাজিক ও নাগরিক শক্তিকে ব্যবহারে সক্ষমতাও দুদককে অর্জন করতে হবে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাল কার্ড হাতে দুদক যেন কোনোভাবেই নিষ্ক্রিয় না হয়, সেটাই বড় কথা। এজন্য দুদককে নিজস্ব প্রণোদনা নিয়ে কাজ করতে হবে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পাশাপাশি দুদক নিজেও সংস্থার গতি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পরামর্শ দিতে পারে। দুর্নীতির আইনগত প্রতিকারের পাশাপাশি সামাজিক শক্তিকে সংহত করতে, দুদক ঢাকায় না বসে থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের সঙ্গে কাজ করতে পারে। জানতে চেষ্টা করতে পারে ‘মানুষ কেমন দুদক চায়’। দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের লাল কার্ড সবার হাতে তুলে দিতে পারলে দুর্নীতিবাজদের মেরুদণ্ডই ভেঙে পড়বে। রাজনীতি এটা পারবে না। পারবে মানুষের অংশগ্রহণে ঋদ্ধ সামাজিক শক্তি। সরকার ও দুদককে এদিকেও মনোযোগ দিতে হবে।
প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ : চেয়ারম্যান, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
mahfuzparvez.pol@cu.ac.bd