বিপ্লব ও নির্বাচন
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
এটিএম জহিরউদ্দিন
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
![বিপ্লব ও নির্বাচন](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/11/Biplobi-py-67aa7e65a5cb4.jpg)
প্রতীকী ছবি
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভাঙার খবরের মধ্যে ৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত আরেকটি খবর হয়তো বা অনেকের চোখ এড়িয়ে গেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ওইদিন একটি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন কখন হবে। শফিকুল আলম একজন সরকারি চাকুরে হলেও রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী নানা বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তার বক্তব্য দিচ্ছেন। কাজেই তার এ মতামত হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির ফ্যাসিবাদ কায়েমের মূল অস্ত্রই ছিল নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে প্রায় ১৬ বছর ধরে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ছয় মাস পর সেই বহুল প্রতীক্ষিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তত একটি নিশ্চিত রোডম্যাপ পাওয়া প্রত্যাশিত ছিল; কিন্তু সরকারের কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির নানা বক্তব্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ তো দূরের কথা, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সরকারের ইচ্ছা বা পরিকল্পনা কী, সে বিষয়েই ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
জনাব শফিকুল আলমই প্রথম নন, বিপ্লবের পর থেকে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সরব থাকার বিষয়টি সরকারের এবং বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রদের অনেকেই ইতিবাচকভাবে নেয়নি। ২২ জানুয়ারি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্বে থাকা ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করতে চাইলে সরকার থেকে বের হয়ে তা করা উচিত এবং সেটি না হলে নির্বাচনের সময়ে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, এর কিছুদিন আগে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ছাত্রনেতাদের নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একই রকম বক্তব্য দেন। জামায়াত আমিরের বক্তব্যে কারও কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখা গেলেও বিএনপি মহাসচিবের এ সাক্ষাৎকারের পর একজন ছাত্র উপদেষ্টা এবং আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা অন্য ছাত্রনেতারা প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং পরবর্তীকালে নানা ফোরামে বক্তব্য দিয়ে অত্যন্ত কড়া ভাষায় বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। বিশেষ করে, বিএনপি মহাসচিবের ‘যদি অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা নির্বাচন কন্ডাক্ট (পরিচালনা) করা পর্যন্ত থাকবে, তা না হলে তো নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে’-এ বক্তব্যকে ছাত্র উপদেষ্টা ‘ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি এক-এগারো সরকারের প্রস্তাবনা’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন এবং এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে মত প্রকাশ করেছেন। বস্তুত ৫ আগস্টের পর থেকেই বিএনপির তরফ থেকে যখনই নির্বাচনের বা নির্বাচনি রোডম্যাপের ইস্যু তোলা হয়েছে, তখনই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীসহ অনেকেই বলার চেষ্টা করেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য হয়নি এবং সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার শেষ হওয়ার আগে এভাবে নির্বাচন দাবি করা জুলাই বিপ্লবের চেতনার পরিপন্থি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, নির্বাচিত সরকার দ্বারা দেশ পরিচালিত হওয়ার আকাক্সক্ষা বিপ্লবের চেতনার পরিপন্থি কিনা।
জুলাই বিপ্লবের চূড়ান্ত পরিণতি হিসাবে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও বিপ্লবটি শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে কোটা সংস্কারের দাবিতে। পরবর্তীকালে শেখ হাসিনার ১৪ জুলাই ‘রাজাকারের বাচ্চা’ গালি এবং এরপর ১৬ আগস্ট রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা এবং তারপর আন্দোলনে নেমে আসা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে শয়ে শয়ে হত্যাসহ, ব্লকরেইড আর হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যার অভূতপূর্ব নৃশংসতার প্রতিবাদে নজিরবিহীনভাবে স্কুলের বাচ্চারাসহ সমাজের সবস্তরের আক্ষরিক অর্থেই কোটি কোটি মানুষ জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে পথে নেমে আসে; যার ফলে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। জুলাই বিপ্লবের সফলতার কৃতিত্বের প্রথম দাবিদার অবশ্যই এতে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীরা। শুরু থেকেই প্রবল পরাক্রমশালী এবং বিরোধী মতের প্রতি নজিরবিহীন নিষ্ঠুর সরকারের লাগাতার হুমকি এবং তাদের বশংবদ ছাত্র সংগঠনের ক্রমাগত মারধর মোকাবিলা করে আন্দোলন করতে হয়েছে। এছাড়াও আন্দোলনের পক্ষে যাতে জনমত গঠন না করতে পারে, সেজন্য পদে পদে সরকারের চাটুকার মিডিয়া, বুদ্ধিজীবী ও তথাকথিত সুশীলসমাজ ক্রমাগতভাবে আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করে অপতথ্য ছড়িয়ে গেছে। এতকিছুর মধ্যে তারা কোনো অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়াই যেভাবে আন্দোলনকে সফলতার দিক নিয়ে গেছে, তা এক ধরনের অসম্ভবকে সম্ভব করার মতোই একটা কৃতিত্বপূর্ণ বিষয়। কাজেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই বিপ্লবের সাফল্যের মূল কৃতিত্ব যে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের, সে কথা অবশ্যই মানতে হবে। তবে এ নজিরবিহীন গণজাগরণ শুধু কোটা সংস্কার বা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে তৈরি হয়নি, বরং নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য বিগত সরকারের দমন, নিপীড়ন, নির্যাতন ও লুটপাটের দীর্ঘ দেড় দশকের লিগ্যাসির বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ছিল এ গণজাগরণের একটি বড় নিয়ামক।
বস্তুত, বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন তথা গণতন্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পক্ষে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সংস্কার ছিল সংবিধানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অন্তর্ভুক্তি। বাংলাদেশের ইতিহাসে যে তিনটি নির্বাচন (১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১) কোনোরকম বিতর্ক ছাড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার সবই হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এ সময়ে দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা এবং সুশাসন একেবারে আদর্শ অবস্থায় না থাকলেও জনগণের হাতে অন্তত ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ ছিল; যার কারণে সরকারেরও কিছুটা জবাবদিহিতা ছিল। ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কবর দেওয়ার মধ্য দিয়ে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ফ্যাসিবাদী শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে। এরপর থেকে ক্ষমতায় থাকার শেষ দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, তথা শেখ হাসিনা যে অত্যাচার, নির্যাতন, দুর্নীতি করেছে, তার সবকিছুই ছিল জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতায় টিকে থাকার উদ্দেশ্যে। নির্বাচনবিহীনভাবে ক্ষমতায় থাকার উদ্দেশ্যেই বিগত সরকার তার শাসনামলে হাজারের ওপর গুম করেছে, যা আধুনিক বিশ্বে নৃশংসতার নতুন নজির সৃষ্টি করেছে। একই উদ্দেশ্যেই তারা বিরোধী মত দমনের জন্য লাখ লাখ লোকের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে বছরের পর বছর তাদের ঘরছাড়া করে রেখেছিল। সরকারের ক্ষমতাদর্পী আচরণ ও আওয়ামী পৃষ্ঠপোষকতায় সংগঠিত শাহবাগ আন্দোলনকে চ্যালেঞ্জ জানানোয় ২০১৩ সালে ব্লাকআউট করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। জনগণের ভোটের পরোয়া না করার কারণেই ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করা স্কুলের বাচ্চাদের ছাত্রলীগ দিয়ে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে। বিনাভোটে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে যত্রতত্র ভাস্কর্য নির্মাণের নামে ব্যক্তিপূজার বিরুদ্ধে কথা বলাতে শত শত ধর্মীয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ার কারণেই কোভিডের সময় নিরোর বাঁশি বাজানোর মতো করে হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় করে মুজিববন্দনায় নাচগান আর লেজার শো-এর আসর বসানো হয়েছে। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই আওয়ামী লীগ জনগণের অর্থ অবিশ্বাস্য পরিমাণে লুটপাট করেছে আর তাদের অবৈধ ক্ষমতার সহযোগী কিছু সরকারি কর্মচারী আর বাহিনীর লোকদের লাগামহীন দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকারের পক্ষের শক্তির কণ্ঠরোধ করার জন্যই আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগ ধ্বংস করে দেশে ন্যায়হীনতা ও অবিচার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই আওয়ামী লীগ তার ছাত্র সংগঠন দিয়ে প্রতি ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে; যার ফলে আবরার ফাহাদের মতো অনেক তাজা প্রাণ ঝরে গেছে।
জুলাই বিপ্লবে ৫ বছরের শিশুসহ দুই হাজারের বেশি মানুষকে নৃশংস হত্যার ঘটনায় অনির্বাচিত সরকারের ষোল বছরের এসব অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণই কোটি কোটি মানুষকে পথে নামিয়েছে, যার ফলে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হয়েছে। একদফা ঘোষণার পর আন্দোলনের অনেক নেতাও ‘ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা অবৈধ সরকারকে’ ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য জনগণকে আন্দোলনে নেমে আসার ডাক দিয়েছেন। কাজেই জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো দাবি নয়, বরং জুলাই বিপ্লবের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবরূপ দান করার জন্যই দেশে দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা প্রয়োজন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জানুয়ারির শুরুর দিকে একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় নির্বাচনের দুটি সম্ভাব্য সময়ের কথা বলেছেন, যার একটি হচ্ছে চলতি বছরের শেষে, আরেকটি ২০২৬-এর মাঝামাঝি। সরকার রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন খাত সংস্কারের জন্য যেসব কমিশন গঠন করেছিল, তার বেশ কয়েকটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, বাকিগুলোর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কাজও শেষের দিকে। কাজেই সংস্কারকে অজুহাত বানিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত না করে সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচন নিয়ে কাজ করতে হবে এবং বর্তমান অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য নির্বাচনের একটি চূড়ান্ত সময়সীমা এবং এর রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা নতুন দল নিয়ে নির্বাচন করতে চাইলে অবশ্যই করবে এবং জনগণ তাদের ম্যান্ডেট দিলে তারাই ক্ষমতায় যাবে। ‘এক দল ষোল বছর খাইছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য বসে আছে’ বয়ান সৃষ্টিকারীরা তাদের বক্তব্য নিয়েও জনগণের কাছে যাবে, জনগণ চাইলে ওই আরেক দলকে প্রত্যাখ্যান, আর চাইলে তাদের ক্ষমতায় বসাবে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও মৌলবাদের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে আছে, তারা তাদের বক্তব্য নিয়ে জনগণের কাছে যাবে, জনগণ চাইলে তাদের প্রত্যাখ্যান করবে, নইলে তাদের নির্বাচিত করবে। কিন্তু দেশ পরিচালনার দায়িত্ব কাদের ওপর থাকবে, সে সিদ্ধান্ত অবশ্যই জনগণের ভোটের মাধ্যমেই হতে হবে। নির্বাচনহীন সরকার থাকার কারণেই ১৯৭৩-এ শেখ মুজিব, ৮০-র দশকে এরশাদ এবং গত ষোল বছরে শেখ হাসিনার স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল। দীর্ঘদিন নির্বাচনবিহীন সরকার থাকলে দেশ আবার সেদিকে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকবে, যা কারোরই কাম্য নয়।
এটিএম জহিরউদ্দিন : অধ্যাপক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
atm.jahiruddin@ba.ku.ac.bd