Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

ঠিক করতে হবে অগ্রাধিকার

Icon

ড. আনোয়ারউল্লাহ্ চৌধুরী

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ঠিক করতে হবে অগ্রাধিকার

ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সাড়ে ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের অবসানের পর দেশ নতুনভাবে যাত্রা শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। প্রতিটি গণ-আন্দোলনের পর সাধারণ মানুষের মনে এক ধরনের আকাঙ্ক্ষার জন্ম হয়। তারা আগের তুলনায় ভালো থাকার প্রত্যাশা করে।

বিগত সরকারের আমলে দেশে যে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, নিকট অতীতে আর কখনোই এমনটি হয়নি। বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে, প্রতিবার সফল আন্দোলনে যে গণ-আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়, পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন সরকার সেই প্রত্যাশা পূরণে মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হয়। আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে, তা সাধারণ মানুষের মনে নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন জাগ্রত করেছে। মানুষ এখন আবারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। অভ্যুত্থানের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অতীতের যে কোনো সরকারের চেয়ে ভিন্ন প্রকৃতির। এমনকি অতীতে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রত্যক্ষ করা গেছে, তার সঙ্গেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিন্নতা রয়েছে। দৃশ্যত তাদের কোনো রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা নেই। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংস্কার সাধনের পর জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব তারা নির্মোহভাবে পালনের চেষ্টা করবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিগত সরকারের আমলে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখনো পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। এসব সমস্যা রাতারাতি সমাধান হওয়ার বিষয় নয়। এজন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।

অর্থনীতি, ব্যাংকিং ও উন্নয়নের নামে অর্থ আত্মসাৎ এবং সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে যে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল বিগত সরকার আমলে, তার স্বরূপ সন্ধানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৬টি কমিশন গঠন করেছিল। এসব কমিশন তাদের প্রতিবেদন ইতোমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে। কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কিভাবে উন্নয়নের নামে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করা হয়েছে। সমাজে আয়বৈষম্য বৃদ্ধির প্রকট চিত্র এতে ফুটে উঠেছে। অথচ স্বাধীনতার অন্যতম মূলমন্ত্র ছিল সমাজে বিদ্যমান আয়বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে একটি সমতাভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত সুপারিশের ভিত্তিতে আগামীতে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে দেশের মানুষ প্রত্যাশা করছে।

ইতোমধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে এসব সংস্কার কার্যক্রমের সুফল পেতে হলে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার ব্যক্তি, পরিবার ও গোষ্ঠী স্বার্থে দেশের যে সর্বনাশ ডেকে এনেছিল, তা থেকে উত্তরণ এবং দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করা খুবই দুরূহ কাজ বটে, তবে অসাধ্য নয়। পৃথিবীর অনেক দেশে বিপ্লবের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের পর গঠিত নতুন সরকার দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করে সফল হয়েছে। সংস্কার কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তবে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যার সমাধান তাৎক্ষণিকভাবে সম্ভব নয়। এ জন্য সংস্কারের ফল পেতে হলে আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। যদিও উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়ী নয়। কারণ এ সমস্যা তারা উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করেছে। করোনা-উত্তর বিশ্ব অর্থনীতি যখন উত্তরণের পর্যায়ে ছিল, ঠিক তখনই ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের স্বাভাবিক পরিবহণে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এতে বিশ্বব্যাপী দেশে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রবণতা দেখা দেয়। ইতোমধ্যেই অধিকাংশ দেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সমর্থ হলেও বাংলাদেশ এক্ষেত্রে চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

গত আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে দেশের অর্থনীতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। মূল্যস্ফীতির গড় হার আড়াই বছর ধরেই সাড়ে ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ নিম্ন আয় এবং নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ বড়ই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির অভিঘাতে নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে।

একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ২০২২ সালে যতসংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছিল, এখন তার সঙ্গে আরও ৭৮ লাখ মানুষ যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ গত দু’বছরে দেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ৭৮ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার কিছু মানুষ আছেন যারা দারিদ্র্যসীমার কিছুটা উপরে অবস্থান করছে। কিন্তু সামান্য আঘাতেই তারা দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারেন। এখনো দারিদ্র্যসীমার উপরে আছে কিন্তু যে কোনো সময় সামান্য আঘাতেই দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যেতে পারে, এমন আরও প্রায় ১ কোটি মানুষ রয়েছে। অর্থাৎ গত দুই বছরে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে, এমন মানুষের সংখ্যা হচ্ছে ১ কোটি ৭৮ লাখ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানাভাবে চেষ্টা করলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সামান্যতম সফলতা প্রদর্শন করতে পারছে না। জনগণ এটা প্রত্যাশা করে না যে, সরকার প্রতিদিন দুবেলা তাদের বাসায় গিয়ে খাবার পৌঁছে দেবে। কিন্তু এটা নিশ্চয় প্রত্যাশা করে যে, বাজারে গিয়ে তারা সাধ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে পারবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আনুপাতিক হারে মজুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে না। গত তিন বছর মূল্যস্ফীতি যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, মজুরির বৃদ্ধির হার ছিল তার তুলনায় অনেক কম। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গে যদি মজুরির হার অনুপাতিকভাবে বৃদ্ধি পেত, তাহলে সাধারণ মানুষকে এতটা বিপর্যস্ত হতে হতো না।

মূল্যস্ফীতির প্রভাবক শক্তি বা ফ্যাক্টর হিসাবে জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিগত সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে স্থানীয় বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। সেই সময় বলা হয়েছিল, অন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস পেলে স্থানীয় বাজারেও জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হবে। কিন্তু সেই অঙ্গীকার রক্ষিত হয়নি।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ইউক্রেন যুদ্ধ পূর্ববর্তী অবস্থায় নেমে এসেছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়নি। আগে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণের আগে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিটিতে (বিইআরসি) গণশুনানির আয়োজন করা হতো। এতে স্টেকহোল্ডাররা তাদের অভিমত ও আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ পেতেন। কিন্তু বিগত সরকারের আমলের শেষের দিকে গণশুনানির ব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়া হয়।

জ্বালানি তেলের মূল্য যদি আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল রেখে কমানো হতো, তাহলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসতে পারত। একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হলে প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের মূল্য অন্তত ১৪ থেকে ১৫ টাকা কমানো যেতে পারে। জ্বালানি তেল সরবরাহকারী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রোধ করা গেলে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস করেও লোকসান কমিয়ে আনা সম্ভব বলে অনেকেই মনে করেন।

বর্তমানে যে উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রবণতা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে, তা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। মূল্যস্ফীতির কারণগুলোও উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। বিগত সরকারের আমলে বাজারে রাজনৈতিক প্রভাবিত যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল, এখনো তারাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।

এ চক্রটি সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ফায়দা লুটে নিচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা এখানেই যে, তারা বাজারে তৎপর ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা চায় বাজারে গিয়ে সামর্থ্যরে মধ্যে প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। বিগত সরকারের প্রতি অনুগত এবং সুবিধাভোগী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের মধ্যে অনেকেই এখনো পুরোপুরি তাদের দায়িত্বে মনোযোগী হতে পারেনি।

যারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি একটি সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নামানোর জন্য যথেষ্ট। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তা সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে চায়। তারা নির্বিঘ্নে কাজকর্ম করতে চায়।

বিভিন্ন স্থানে তৈরি পোশাকশিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ লক্ষ করা যাচ্ছে। এটা স্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। পতিত সরকারের সুবিধাভোগী একটি শ্রেণি দেশের উৎপাদন সেক্টরকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্যই আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে। এদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বিতর্ক বেশ কিছুদিন ধরেই লক্ষ করা যাচ্ছে, তা হলো, এ মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা বেশি জরুরি নাকি সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করা? কেউ কেউ বলছেন, যত সময়ই লাগুক না কেন, আগে সংস্কার কার্যক্রম শেষ করতে হবে। তারপর নির্বাচনের বিষয়টি ভাবা যেতে পারে।

আবার কেউ কেউ বলছেন, সংস্কারের নামে নির্বাচন অনুষ্ঠানকে বিলম্বিত করার কোনো কারণ থাকতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্বই হচ্ছে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, নির্বাচন ও সংস্কারের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের জন্য কিছু আবশ্যিক সংস্কার অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে। কিছু সংস্কার আছে যা সম্পন্ন করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে। সেগুলো নির্বাচিত সরকার সম্পন্ন করবে। সংস্কারের কোনো শেষ নেই। সংস্কার হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া।

অনন্তকাল ধরে চললেও সংস্কার শেষ হবে না। এ মুহূর্তে সেসব সংস্কারই করতে হবে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়ক। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়নি। জনগণ যদি ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে নিজের ইচ্ছামতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তাহলে কোনো সরকারের পক্ষেই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠা সম্ভব নয়। জনগণ তেমন একটি জাতীয় নির্বাচন প্রত্যাশা করছে।

ড. আনোয়ারউল্লাহ্ চৌধুরী : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাহরাইনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম