Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

বাইফোকাল লেন্স

ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, উপজাতি নাকি আদিবাসী

Icon

একেএম শামসুদ্দিন

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, উপজাতি নাকি আদিবাসী

সম্প্রতি নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দসংবলিত একটি গ্রাফিতির ছবি বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সামনে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জের ধরে নতুন করে ‘আদিবাসী’ শব্দ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদের এ ছবিটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর শহরের দেওয়ালে অঙ্কিত গ্রাফিতি থেকে নেওয়া। হামলাকারীদের দাবি পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদে এভাবে ‘আদিবাসী’ শব্দসংবলিত ছবি সংযুক্ত করা মানে পরোক্ষভাবে উপজাতিদের আদিবাসী হিসাবে স্বীকার করে নেওয়া।

উপজাতিদের আদিবাসী হিসাবে মেনে নেওয়া মানে, দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব সংকটে পড়া। তাদের দাবি, বাংলাদেশে আদিবাসী নেই। বাঙালিরাই এ ভূখণ্ডের ভূমিপুত্র; বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়া আর কোনো আদিবাসী নেই।

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জনসত্তার নাগরিকরা বিগত প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নিজেদের আদিবাসী দাবি করে আসছেন। তারা তাদের সম্বোধনের বেলায় ‘আদিবাসী’ শব্দটি সংবিধানে সংযোজনের দাবি জানান। কিন্তু সরকার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে সরকারি অফিস-আদালতসহ গণমাধ্যমগুলোকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, যেন ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীকে ‘আদিবাসী’ বলা না হয়। এর পেছনে সরকারের যুক্তিসংগত কারণও আছে।

সরকার দেশের ভূ-রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় সংহতির কথা বিবেচনা করেই এমন অবস্থান নিয়েছে। ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি নিয়ে বর্তমানে যেমন সোচ্চার, ২০০৭ সালের আগে এত সোচ্চার ছিল না। ২০০৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ৬১তম নিয়মিত সভায় ‘জাতিসংঘ আদিবাসী জনগণের অধিকার ঘোষণা’ গ্রহণ করে।

এটি গ্রহণের আগে ভোটাভুটির সময় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড এ ঘোষণার বিপক্ষে ভোট দেয় এবং বাংলাদেশসহ ১১টি রাষ্ট্র ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। জাতিসংঘের এ ঘোষণাপত্র ১২টি ক্ষেত্রে আদিবাসীদের অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে ভূমিসংক্রান্ত অধিকারগুলো মুখ্য ছিল।

ঘোষণাপত্রে ভূমি ও ভূখণ্ডের অধিকার, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি ও ভূখণ্ডের ওপর সামরিক কার্যক্রম বন্ধের অধিকার, তাদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ প্রক্রিয়া থেকে রেহাই পাওয়ার অধিকার, তাদের সম্মতি ছাড়া যেসব ভূমি, ভূখণ্ড এবং সম্পদ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো পুনরুদ্ধার ও ফেরত পাওয়ার অধিকার সম্পর্কে বলা হয়েছে। অর্থাৎ, যেসব দেশে ‘ভূমিপুত্র’ বা ভূমির আদি বাসিন্দাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে ভূমি দখল করা হয়েছে, ভূমির অধিকার থেকে আদি বাসিন্দাদের বঞ্চিত করা হয়েছে, এসব করতে গিয়ে সামরিক কার্যক্রম চালানো হয়েছে এবং আদিবাসীদের ছিনিয়ে নেওয়া ভূমি, ভূখণ্ড এবং সম্পদ পুনরুদ্ধারের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

একটু লক্ষ করলে বোঝা যাবে, উপরের যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে, তার প্রতিটি ঘটনাই ঘটেছে জাতিসংঘের ঘোষণার বিপক্ষে, যারা ভোট দিয়েছে, তাদেরই দেশে। আমরা ইতিহাসের দিকে যদি তাকাই, তাহলে দেখতে পাব যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড তাদের আদি বাসিন্দাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে, ভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। সুতরাং, আদিবাসী সংজ্ঞায় যাই দেওয়া থাকুক না কেন, জাতিসংঘের ঘোষণায় আদিবাসী বলতে যাদের বোঝানো হয়েছে, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর কোনো মিল নেই।

অথচ ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর নেতাদের দাবি, ‘বিশ্বব্যাপী আদিবাসীর যে সংজ্ঞা আছে, সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী তারাও আদিবাসী।’ তবে ২০০৭ সালে গৃহীত জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রে আদিবাসীদের ৪৬টি অধিকারের কথা লিপিবদ্ধ থাকলেও সুনির্দিষ্টভাবে আদিবাসীদের কোনো সংজ্ঞার উল্লেখ নেই। জাতিসংঘের ঘোষণায় উল্লেখিত কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে আদিবাসী সংজ্ঞা নির্ধারণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।

যেমন, ঔপনিবেশিক আমল থেকে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে আছে কিনা, অর্থাৎ ওই অঞ্চলের ভূমির সঙ্গে তাদের গভীর সংযোগ থাকতে হবে। একইসঙ্গে, যাদের নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা থাকার পাশাপাশি নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসও অক্ষুণ্ন রয়েছে, জোরপূর্বক কারও ভূখণ্ড দখল করে ওই ভূখণ্ডে বসবাসের যাদের কোনো রেকর্ড নেই। ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর নেতারা এসব বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করে নিজেদের আদিবাসী দাবি করছেন। এ কথা বলে রাখা ভালো, জাতিসংঘের কোনো দলিলে ‘আদিবাসী’র সর্বসম্মত সংজ্ঞা নেই। যে ঘোষণাপত্র ২০০৭ সালে গৃহীত হয়েছিল, সেখানে আদিবাসীদের অধিকারের কথা বলা হলেও আদিবাসীদের কোনো সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি।

জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী, আদিবাসী হতে হলে কলোনিয়াল কিংবা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কলোনাইজেশন হতে হবে। আমাদের দেশে সে ধরনের কিছুই নেই। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় যাদের আদিবাসী বলা হয়, তাদের ক্ষেত্রে যে ধরনের পরিস্থিতি হয়েছিল, বাংলাদেশে তেমন কিছুই হয়নি। এখানে প্রখ্যাত নৃতত্ত্ববিদ লুই মর্গানের দেওয়া সংজ্ঞার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। আদিবাসী নিয়ে তিনি যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, ‘আদিবাসী হচ্ছে, কোনো স্থানে স্মরণাতীতকাল থেকে বসবাসকারী আদিমতম জনগোষ্ঠী, যাদের উৎপত্তি, ছড়িয়ে পড়া এবং বসতি স্থাপন সম্পর্কে বিশেষ কোনো ইতিহাস জানা নেই।’ লুই মর্গানের সংজ্ঞার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পূর্ণ মিলে যায়। অতএব, জাতিসংঘের আদিবাসীসংক্রান্ত ঘোষণাপত্রটি কাদের জন্য প্রযোজ্য, সে বিষয়টি না বোঝার কোনো কারণ নেই।

জাতিসংঘের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ‘Indigenous and Tribal Peoples Convention, 1989 (no.169)-এর আর্টিকেল ১-এর (ক)তে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, ‘একটি দেশের মূল জনগোষ্ঠীর অন্যান্য অংশের চেয়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে কম অগ্রসর এবং যাদের মর্যাদা সম্পূর্ণ কিংবা আংশিকভাবে তাদের নিজস্ব প্রথা বা কৃষ্টি, রীতি-নীতি অথবা বিশেষ আইন বা প্রবিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাদের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী বা উপজাতি বলে।’

এ ছাড়াও আদিবাসী সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে আইএলও’র ১০৭ এর আর্টিকেল ১(ক)-তে বলা আছে,’ কোনো স্বাধীন দেশের মূল জাতিভুক্ত জনগোষ্ঠী, যারা আর্থিক ও সামাজিকভাবে অধিক নিম্নমানের। একই আর্টিকেলের (খ)-তে বলা হয়েছে, ‘উপনিবেশ স্থাপনকালীন ওই দেশে কিংবা যে ভৌগোলিক ভূখণ্ডে দেশটি অবস্থিত, সেখানে বসবাসকারী আদিবাসীদের উত্তরাধিকারী হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ‘আদিবাসী’ বলে পরিগণিত এবং যারা, তাদের আইনসংগত মর্যাদা নির্বিশেষে নিজেদের আচার ও কৃষ্টির পরিবর্তে ওই সময়কার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আচার ব্যবহারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপন করে।’

উপজাতির বিষয়ে আইএলও’র এই সংজ্ঞা পাহাড়ে ও সমতলভূমির চাকমা, মারমা, সাঁওতালসহ বাংলাদেশের অবস্থিত ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বিচার করলে তারা যে উপজাতি বা ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী তা স্পষ্ট হয়ে যায়। অথচ ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর নেতা ও আমাদের তথাকথিত সুবিধাভোগী বুদ্ধিজীবীরা আইএলও কনভেনশনের আর্টিকেল ১-এ উপস্থাপিত উপজাতি সংজ্ঞাটি সম্পূর্ণ চেপে গিয়ে শুধু ‘আদিবাসী’ সংজ্ঞাটিই সর্বক্ষেত্রে উপস্থাপন করে থাকেন।

এক সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামে এবং সমতলে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাঁওতালসহ ৪৮টি বিভিন্ন ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী আছে। এদের মধ্যে ১৩টি জনগোষ্ঠী পাহাড়ে অবস্থিত। এসব জনগোষ্ঠীর সবাই বহিরাগত ও অভিবাসিত। পাহাড়ে সবচেয়ে পুরোনো ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী হলো কুকি জনগোষ্ঠী। ম্রো, খ্যাং, পাংখো, বোম এবং কুকিরা প্রকৃতপক্ষে কুকি উপজাতির ধারাভুক্ত। এ জনগোষ্ঠী ২০০ থেকে ৫০০ বছর আগে মিজোরাম থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত হয়ে আসে। চাকমা ও মারমাসহ আরও কিছু সম্প্রদায় মাত্র দেড়শ’ থেকে ৩শ’ বছর আগে আরাকান থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করে।

‘আদিবাসী’ শব্দটি সংবিধানে সংযোজিত করা হলে ২০০৭ সালের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র মেনে নিতে হবে; যা বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী হবে। এর পেছনের কারণ হলো, ঘোষণাপত্রে আছে, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার চর্চার বেলায়, তাদের অভ্যন্তরীণ ও স্থানীয় বিষয়ের ক্ষেত্রে স্বায়ত্তশাসন এবং স্বশাসিত সরকারের অধিকার রয়েছে ও তাদের স্বশাসনের কার‌্যাবলির জন্য অর্থায়নের পন্থা এবং উৎসের ক্ষেত্রেও অনুরূপ অধিকার রয়েছে। অর্থাৎ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করলে পার্বত্য অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হবে। স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে স্বশাসিত আদিবাসী শাসক নিজেদের অর্থায়নের উৎস হিসাবে সেখানকার খনিজ, বনজ ও অন্যান্য সম্পদ নিজেদের বলে দাবি করতে পারে।

ঘোষণাপত্রের অনুচ্ছেদ-৩৬-এ উল্লেখ আছে, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর, বিশেষত যারা আন্তর্জাতিক সীমানা দ্বারা বিভক্ত হয়েছে, তাদের অন্যপ্রান্তের নিজস্ব জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক কার্যক্রমসহ যোগাযোগ সম্পর্ক ও সহযোগিতা বজায় রাখার ও উন্নয়নের অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্র এ অধিকারে কার্যকর সহযোগিতা প্রদান ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। ঘোষণাপত্রের এ নির্দেশ কোনো সরকারই মেনে নেবে না। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সঙ্গে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক কার্যক্রম বজায় রাখা যে কোনো রাষ্ট্রের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

তাছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে ধরনের সম্পর্ক, তাতে দেশের অখণ্ড রক্ষা করা দুরূহ হয়ে পড়বে। ভারত ইতঃপূর্বে তার ভূখণ্ডে তথাকথিত শান্তিবাহিনীকে দুই যুগ ধরে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল। এ বিষয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যতেও ভারতকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। জাতিসংঘের ঘোষণার পর থেকে আদিবাসী দাবি নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি নেতারা কেন এত সোচ্চার এবং এর পেছনে কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে, সে বিষয়ে এ দেশের মানুষ ঠিকই আন্দাজ করতে পারেন। এটি এখন স্পষ্ট, বাংলাদেশ কেন জাতিসংঘের ঘোষণায় ভোট দেয়নি এবং ‘আদিবাসী’ শব্দটিও মেনে নেয়নি।

প্রশ্ন হচ্ছে, ‘আদিবাসী’ শব্দটি সংবিধানে সংযোজন করা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, এ কথাটা কি তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও সুশীলজনরা বোঝেন না? অবশ্যই বোঝেন। তারপরও তারা যখন আদিবাসী ইস্যু নিয়ে সোচ্চার হন, তখন তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। সুবিধাভোগী এসব ব্যক্তির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস ও সংস্থায় এ ধরনের লোকের অভাব নেই; যারা কিছুদিন পরপর বিভিন্ন ইস্যু উসকে দিয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের পথ তৈরি করে দেন, পাঠ্যবইয়ের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দসংবলিত ছবি সংযোজন তেমনই কোনো উদ্যোগ কিনা, এ বিষয়েও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে।

একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম