পর্যটনশিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার এখনই সময়
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
মো. মাসুদ চৌধুরী
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
![পর্যটনশিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার এখনই সময়](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/12/29/333-67707cf4dfd3f.jpg)
পর্যটনশিল্প বিশ্ব অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ খাতটি অনেক দেশের (স্পেন, থাইল্যান্ড ও মালদ্বীপ) আয়ের প্রধান একটি উৎস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ খাত থেকে বিশ্বের সর্বোচ্চ আয় করে থাকে। দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোতেও রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা, যা সাধারণত এ অঞ্চলের অবকাঠামো, নিরাপত্তা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সরকারি নীতির ওপর নির্ভর করে। একইভাবে বাংলাদেশে আছে নানা ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, যা দেশে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনার আভাস দেয়।
অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে পর্যটন খাতের অবদান উল্লেখযোগ্য। ২০১৯ সালে বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ১০.৪ শতাংশ (৯.২ ট্রিলিয়ন ডলার) এসেছে ভ্রমণ ও পর্যটন খাত থেকে। ২০২০ সালে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও লকডাউনের কারণে তা ৪৯.১ শতাংশ হ্রাস পেলেও ২০২৩ সালে তা পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে বৈশ্বিক জিডিপিতে ৯.১ শতাংশ অবদান রাখে, যা ২০২২ সাল থেকে ২৩.২ শতাংশ বেশি। একইভাবে ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক পর্যটনের আয় প্রায় ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। এছাড়া এ খাতটি বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান (রেস্তোরাঁ, এয়ারলাইন্স) ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান (রেস্তোরাঁর জন্য খাদ্য সরবরাহকারী, ভ্রমণবিমা প্রদানকারী) সৃষ্টি করেছে। ২০১৯ সালে খাতটি প্রায় ৩১ কোটি ৯০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, যা মোট কর্মসংস্থানের ১০ শতাংশ। আশা করা যাচ্ছে, খাতটি বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৪ কোটি ৮০ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ১১.১ ট্রিলিয়ন ডলার অবদান রাখবে (জুলিয়া সিম্পসন, ডব্লিউটিটিসি প্রেসিডেন্ট এবং সিইও)।
দক্ষিণ এশিয়ার জিডিপি, কর্মসংস্থান ও রপ্তানিতে পর্যটনশিল্প উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে, যদিও উন্নত দেশগুলোর তুলনায় তা অনেকাংশে কম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জিডিপির ৬-৭ শতাংশ আসে এ খাত থেকে। ভারত ২০২৩ সালে খাতটি থেকে আয় করেছে জিডিপির ৬.৯ শতাংশ। মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও নেপাল আয় করেছে জিডিপির যথাক্রমে ১৮.৭ শতাংশ, ৯ শতাংশ এবং ৬.৭ শতাংশ। কিন্তু অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মোট জিডিপির মাত্র ৪ শতাংশ আসে খাতটি থেকে। ২০২৩ সালে ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও নেপালে যেখানে যথাক্রমে প্রায় ৯.২ মিলিয়ন, ১.৮৭ মিলিয়ন, ১.৪৯ মিলিয়ন এবং ১.০১ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক গেছে, সেখানে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটক এসেছে মাত্র প্রায় সাড়ে ৬ লাখ। তাছাড়া কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতেও বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে। ভারত পর্যটনশিল্পে প্রায় ৪২ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া মালদ্বীপের মোট কর্মসংস্থানের ২০ শতাংশ জড়িত পর্যটন খাতের সঙ্গে। সেখানে বাংলাদেশে এ হার মাত্র ৩ শতাংশ (ডব্লিউটিটিসি, ইউএনডব্লিউটিও, মালদ্বীপ পরিসংখ্যান ব্যুরো, শ্রীলংকার বার্ষিক পরিসংখ্যান প্রতিবেদন-২০২৩, নেপাল পর্যটন পরিসংখ্যান-২০২৩)। উপরিউক্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে এটি স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পে উন্নয়নের রয়েছে অপার সুযোগ ও সম্ভাবনা, কিন্তু নেওয়া হয়নি পর্যাপ্ত উদ্যোগ।
বাংলাদেশ একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রাণবন্ত সংস্কৃতি সহজে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করতে পারে। দেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হচ্ছে সুন্দরবন, যা ইউনেস্কোর একটি ওয়ার্ল্ডহেরিটেজ সাইট হিসাবে স্বীকৃত। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের আবাসস্থল। বাংলাদেশে আরও আছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন বালুকাময় সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। এর কাছাকাছি রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, যেখানে রয়েছে স্বচ্ছ জল ও প্রাণবন্ত সামুদ্রিক জীবনের এক অপূর্ব সমাহার।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম শহুরে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোর একটি হচ্ছে মহাস্থানগড়ের প্রাচীন শহর। একইভাবে ইউনেস্কো তালিকাভুক্ত পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর মহাবিহারও দেশের প্রাচীন স্থাপত্যের একটি নিদর্শন। মুঘল যুগের মহিমা প্রকাশ করছে লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল (পিঙ্ক প্যালেস) ও স্টার মসজিদ। ইউনেস্কো তালিকাভুক্ত বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ ইসলামি মধ্যযুগের স্থাপত্যের নিদর্শন। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ নদী সংস্কৃতিও পর্যটকদের আকর্ষণ করার সম্ভাবনা রাখে। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদীর ধারে নৌকাভ্রমণ পর্যটকদের জলপথের জীবন, ভাসমান বাজার, নির্মল মাছ ধরার গ্রাম প্রত্যক্ষ করার সুযোগ দিতে পারে। তাছাড়া, পার্বত্য অঞ্চলের গ্রামগুলো বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অনন্য জীবনধারা, শিল্প ও উৎসব সম্পর্কে পর্যটকদের ধারণা দিতে পারে। হিমছড়ি ও কুয়াকাটায় রয়েছে সমুদ্রের ওপর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ। ইকো-ট্যুরিস্ট এবং অ্যাডভেঞ্চার সন্ধানকারীদের জন্য রয়েছে সিলেটের চা-বাগান, সবুজ পাহাড় ও শান্ত পরিবেশ। এছাড়াও রয়েছে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।
দেশে পর্যটনশিল্পের অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, যা এর উন্নয়নকে ব্যাহত করছে। প্রাথমিক চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো অনুন্নত অবকাঠামো। পর্যটন স্থানগুলোতে পরিবহণ, থাকার ব্যবস্থা ও মৌলিক সুযোগ-সুবিধা অপর্যাপ্ত। গ্রামীণ বা প্রান্তিক পর্যটন স্থানগুলোতে মানসম্পন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার অভাব রয়েছে। অপর্যাপ্ত বিপণন ও প্রচার দেশের পর্যটন খাতের পিছিয়ে পড়ার আরও একটি প্রধান কারণ। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং ও বিপণন প্রচারাভিযানে উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ না করার কারণে আমাদের অনন্য আকর্ষণগুলো বৈশ্বিক ভ্রমণকারীদের কাছে তুলনামূলকভাবে অপরিচিত। এছাড়া, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, নিরাপত্তার অভাব ও মাঝেমধ্যে হয়রানির প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক পর্যটকদের বাংলাদেশে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে। এর সঙ্গে রয়েছে দেশের পর্যটন শিল্পের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা। পর্যটন খাত ট্যুর গাইড, হসপিটালিটি স্টাফ এবং ইকো-ট্যুরিজম বিশেষজ্ঞসহ প্রশিক্ষিত পেশাদারেরও অভাব রয়েছে দেশে। এ খাতের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের স্বল্পতাও পর্যটনশিল্পের পিছিয়ে পড়ার জন্য দায়ী। ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন খারাপভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার কারণে দেশ পর্যটনবাবদ প্রচুর আয়ের সুযোগ হারাচ্ছে। তাছাড়া, দেশে সমৃদ্ধ নদী ও পার্বত্য সংস্কৃতি থাকা সত্ত্বেও পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য নেই কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। পার্বত্য অঞ্চলের জীবনযাপন ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগে পর্বত চূড়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য নেই কোনো স্কেলেটর বা ফানিকুলার ট্রেনের ব্যবস্থা।
পর্যটনশিল্পের সমস্যাগুলোর সমাধানে সরকারকে আন্তরিকতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের ভ্রমণ সহজ করতে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থা (বিমানবন্দর, রেলপথ, হাইওয়ে) নির্মাণে বিনিয়োগ করতে হবে এবং পর্যটনের স্থানগুলোতে মানসম্পন্ন হোটেল, বিশ্রামাগার এবং জরুরি স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারকে এসব কাজে সুইজারল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মতো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বকে (পিপিপি) উৎসাহিত করতে হবে। এছাড়া, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো শক্তিশালী ব্র্যান্ডিং প্রচারাভিযান চালাতে হবে, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য ও ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্কগুলো তুলে ধরবে। অধিকন্তু নতুন গন্তব্য, যেমন-পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট চা বাগান ও কুয়াকাটার মতো কম পরিচিত গন্তব্যের প্রচার এবং সারা বছর ধরে সাংস্কৃতিক উৎসব ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। একইসঙ্গে সব আন্তর্জাতিক পর্যটন প্রদর্শনী ও মেলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে দেশের পর্যটন স্থানগুলো ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আস্থা অর্জন করতে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মতো দেশগুলো পর্যটকদের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে একীভূত প্রযুক্তি, অনলাইন বুকিং প্ল্যাটফর্ম, ভার্চুয়াল ট্যুর এবং ভ্রমণ অ্যাপ অফার করে থাকে। বাংলাদেশ একই ধরনের ডিজিটাল টুল গ্রহণ করতে পারে, যেমন-ই-ভিসা সিস্টেম, ইন্টারেক্টিভ ওয়েবসাইট, ট্যুর বুকিংয়ের জন্য মোবাইল অ্যাপস এবং রিয়েল-টাইম ভ্রমণ সহায়তা, যাতে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের পক্ষে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা সহজ হয়। তাছাড়া, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা যেমন-ট্যুরিস্ট পুলিশ ইউনিট স্থাপন, ভ্রমণ পরামর্শ প্রদান ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে দেশের আতিথেয়তা কর্মী, হোটেল স্টাফ এবং ট্যুর গাইডদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
দেশের বড় নদীগুলোতে (পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা) বার্ষিক নদী উৎসব, যেমন-নৌকাবাইচ, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও জলক্রীড়ার আয়োজন করে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। প্রধান নদীগুলোতে রিভার ক্রুজ রুট তৈরি করা যেতে পারে। বিলাসবহুল, পরিবেশবান্ধব ও বিষয়ভিত্তিক ক্রুজগুলো স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পারে। পার্বত্য এলাকার প্রতি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সরকারকে কৌশলগত ও টেকসই পদক্ষেপের সমন্বয় করতে হবে। ট্র্যাকিং, প্যারাগ্লাইডিং ও জিপ-লাইনিংয়ের মতো বিভিন্ন ধরনের অ্যাডভেঞ্চার অ্যাক্টিভিটি অফার করতে হবে। তাছাড়া চীন, ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার মতো বাংলাদেশে পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য স্কেলেটর ও ফানিকুলার ট্রেন ব্যবহার করা যেতে পারে।
বর্তমানে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের পর্যটন ভিসা বন্ধ থাকায় দেশে পর্যটনশিল্পের বিকাশের একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। টেকসই অনুশীলনের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, পরিষেবার মান বৃদ্ধি করে এবং বিশ্বব্যাপী এর আকর্ষণগুলো প্রচার করে বাংলাদেশ তার পর্যটন খাতকে একটি সমৃদ্ধ শিল্পে রূপান্তর করতে পারে। পর্যটনের সম্ভাবনা উন্মোচন করা হলে তা শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেই অবদান রাখবে না, বরং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করবে এবং দেশের জন্য একটি ইতিবাচক বৈশ্বিক ভাবমূর্তি গড়ে তুলবে।
মো. মাসুদ চৌধুরী : সহযোগী অধ্যাপক, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
masudjkkniu@gmail.com