Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

সংবিধান সংশোধন কিংবা পুনর্লিখন : জনআকাঙ্ক্ষা

Icon

মোহাম্মদ আবদুল মাননান

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সংবিধান সংশোধন কিংবা পুনর্লিখন : জনআকাঙ্ক্ষা

সংবিধান সংশোধন, নাকি পুনর্লিখন-এ বিতর্ক জারি থাকলেও সংবিধান সংস্কার কমিশন সম্ভবত এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি অথবা হতে পারে, এ কমিশন সুধীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা, জনমত সংগ্রহেই আপাতত ব্যস্ত আছে। যদিও এ কমিশনের কার্যপরিধিতে বিবৃত আছে, সংবিধান পর্যালোচনাসহ জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের লক্ষ্যে সংবিধানের সামগ্রিক সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জন, পুনর্বিন্যাস এবং পুনর্লিখন।

তবে সরকারি প্রজ্ঞাপনে বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে সংবিধান সংস্কারই প্রাধান্য পেয়েছে। সংবিধান পুনর্লিখনের পক্ষে সহজ-সরল ও বহুচর্চিত যুক্তি এই যে, অর্ধশতাধিক বছর আগে প্রণীত সংবিধান বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না; সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ পৃথিবীতে নানা পরিবর্তন ঘটেছে; ফলে বিদ্যমান সংবিধান পুনর্লিখন আবশ্যক।

পক্ষান্তরে, সংস্কারবাদীদের কথা এই, সংবিধানের নানা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, বিয়োজন-সংযোজন যেখানে সম্ভব, তখন স্বাধীনতা যুদ্ধ-পরবর্তীকালে প্রণীত সংবিধান সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে নতুন সংবিধান প্রবর্তন সমীচীন হবে না। বলা আবশ্যক, এ নিবন্ধের মূলকথা, সংবিধান পুনর্লিখন নয়, চাই প্রয়োজনীয় সংস্কার। আবার তাদেরও যুক্তি আছে, যারা পুনর্লিখন চান।

একটি দেশের সংবিধান দেশটির শাসন কাঠামোর মূল ভিত্তি। সংবিধান একটি সরকারের কেবল কাঠামোই ঠিক রাখে না, বরং সংবিধানই নিশ্চিত করতে পারে, দেশটির সরকার গণতান্ত্রিক হবে, নাকি স্বৈরতান্ত্রিক অথবা অন্যকিছু। অর্থাৎ সর্বোচ্চ আইন বলে পরিগণিত রাষ্ট্রের সংবিধানই রাষ্ট্র এবং মোটা দাগে সরকারের চরিত্র ধরে রাখে।

আবার সংবিধান অমান্য করে দেশে দেশে সরকারকে ভিন্ন অবয়বে দেখার ঘটনাও কম নেই। পৃথিবীর কোনো দেশের সংবিধানে সামরিক শাসনের অস্তিত্ব নেই; কিন্তু এ ঘটনা তো ঘটছেই-তখন আবার সংবিধানের বিধানাবলিই রহিত হয়ে যায়। সংবিধান মান্য করার বিষয়। সংবিধান প্রতিদিন পাঠ করে চুমো খেয়ে র‌্যাকে তুলে রাখার বস্তু নয়। একটি দেশের সংবিধানসহ নানা আইন সরকারকে ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার যেমন দেয়, তেমনই আইন-সংবিধান সরকারের কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণও করে এবং জনসাধারণের নানা অধিকার নিশ্চিত করে।

একটি বিশেষ আইনে সরকার একজনকে গ্রেফতার করার অধিকার সংরক্ষণ করে; কিন্তু সংবিধান সে ব্যক্তিকে গ্রেফতারঅন্তে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতে হাজিরসহ আইনি সহায়তা গ্রহণের অধিকারও নিশ্চিত করে। এ কথা ঠিক, সংবিধান থাকলেই হয় না, সেটার চর্চা করা জরুরি। এখানে বলতেই হবে, সংবিধানে গণতন্ত্র-ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি থাকলেও সেটা নিশ্চিত হয় শাসকগোষ্ঠীর সেগুলোর চর্চার মাধ্যমে।

আমেরিকার সংবিধান একজন প্রেসিডেন্টকে স্বৈরাচার হতে দেয় না এবং সেটা দীর্ঘদিনের চর্চার পর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের বহু দেশে সংবিধান অনুমতি না দিলেও একজন সরকারপ্রধান ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারে। তারপরও একটি গণতান্ত্রিক চরিত্রের সংবিধান স্বৈরাচাররোধের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে, এটাই সর্বত্র স্বীকৃত।

আমাদের সংবিধান প্রণয়নকালেই সরকারপ্রধানের স্বৈরাচার হয়ে ওঠার জন্য তা সহায়ক ছিল। ১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনী সেটিকে আরও পাকাপোক্ত করে দিয়ে সরাসরি সরকারপ্রধানকে একনায়কত্ব করে দিয়েছিল। এ সংশোধনী বাতিলের পরও রাষ্ট্র এবং সরকারপ্রধান একজনই থেকে যায়। একজন ব্যক্তিকে বেশি ক্ষমতা দেওয়া হলে তিনি স্বৈরাচারী কিংবা স্বেচ্ছাচারী হবেনই। একজন মানুষকে অত্যধিক ক্ষমতা প্রদান আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা তথা গণতন্ত্রের সঙ্গে যায় না। ১৯৯১ সালে সংবিধানে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেলেও প্রধানমন্ত্রীকে এককভাবে সীমাহীন ক্ষমতায় বলীয়ান করা হয়। সংবিধানের ৭০ ধারাটিও স্বাধীন মতামত প্রকাশের আরেক বাধা।

এরপর ২০১০ সালে আজীবন ক্ষমতায় থাকার মানসে তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা বিলুপ্ত করে প্রায় একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয় এবং একটি সরকারকে ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার সব ধরনের বন্দোবস্ত করা হয়। এসব কারণে সংবিধানের নানা সংস্কার তথা পরিবর্তন-পরির্ধন-পরিমার্জন এবং সংযোজন-বিয়োজন, তথা মেরামত জরুরি হয়ে পড়েছে এবং ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের বিদায়ই এ সংস্কারের সুযোগ এনে দিয়েছে।

এটিকে কাজে লাগানো জরুরি। এ কথা ঠিক, একটি রাজনৈতিক সরকার এসে সংস্কারের খোলনলচে বদলেও দিতে পারে-সংখ্যাগরিষ্ঠতা কিংবা রেফারেন্ডাম সেক্ষেত্রে বড় সমস্যা নয়। আবার সংবিধান শিকেয় তুলেও দেশ পরিচালনা করা যায়। কিন্তু প্রত্যাশা বরাবরই ভালো থাকতে হয়। তাই সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশের দিকে তাকিয়ে আছি।

ঠিক, দেশের সাধারণ মানুষের এই সংস্কার বা পরিবর্তন কিংবা পুনর্লিখনে আগ্রহ নেই। সংবিধানের বিধানাবলি দেশের মানুষের ওপর কীভাবে প্রযুক্ত হয়, সেই ধারণাও ৭০ শতাংশ মানুষের নেই। গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজিরকরণ, বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র-ধর্মনিরপেক্ষতা, সাম্য ও সমতা, মানবসত্তার মর্যাদা, ধর্মপালনের অধিকার, ১৫ ধারার মৌলিক অধিকারগুলো সংবলিত বিধানাবলি জনমানুষের প্রতিদিনের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেও দেশের বেশিসংখ্যক মানুষ এ নিয়ে বিকারহীন।

এতদসত্ত্বেও একটি সরকারের নানা কার্যক্রম জনমানুষকে প্রতিনিয়ত ছুঁয়ে যায়ই; ক্ষতিগ্রস্তও করতে পারে নানাভাবে। বিশেষত, অতি সাধারণজনও নির্দিষ্ট দিনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়, চায় কাজের পরিবেশ ও উপযুক্ত মজুরি। ফলে, এ সংস্কারে সবাই পক্ষ বটে।

বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ ধারার প্রয়োগ কেবল সরকার পতনের বিল তথা অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষেত্র এবং রাষ্ট্রপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতিরেকে বিলোপ হতে পারে। অনেকে আবার রাষ্ট্রপতির নির্বাচন সরাসরি ভোটে দেওয়ার পক্ষে। যেহেতু পদটি নির্দলীয়, তাই একজন ব্যক্তির পক্ষে গোটা দেশে প্রচার চালানো এবং দরকারি অর্থ ব্যয় মোটেই সহজ নয় বলেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বর্তমান পদ্ধতি বহাল থাকা বাঞ্ছনীয়।

সংসদীয় গণতন্ত্রে সর্বত্রই রাষ্ট্রপতি অলঙ্কার মাত্র, আর এজন্যই সরকার মনোনীত ব্যক্তির এ পদে নির্বাচিত হওয়া বেহেতর। সংবিধানে বহু বিধান আছে, যা ‘কাজীর গরু কেতাবে আছে, হিসাবে নেই’-এর মতো। এমন উদাহরণ একাধিক। এ বাহুল্য বর্জন করা শ্রেয়তর।

নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থায় একটি বিধান অন্তর্ভুক্ত না হলে সংস্কার কেবল অসম্পূর্ণই থাকবে না; আমজনতা সেই সংস্কার-সুপারিশ খাবে না। বহুচর্চিত বিষয় এই যে, বিগত দলীয় সরকারের স্বৈরাচার হয়ে ওঠার প্রধান কারণই ছিল, ক্ষমতায় বসেই নির্বাচন করার সুবিধা। কেয়ারটেকার ব্যবস্থা বাতিল না হলে আওয়ামী লীগের এতটা অধঃপতনের সুযোগই হতোই না। এ একটি দেশ, রাজনীতিকদের ক্ষমতায় থাকার অফুরান ইচ্ছায় পেয়ে বসে যেন।

সংবিধান সংস্কারের মূল ভিত্তিই যদি হয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা-তাহলে, নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্দলীয় সরকার লাগবেই। প্রমাণিত সত্য, কোনো একটি রাজনৈতিক দলও ক্ষমতায় আসীন থেকে ভালো নির্বাচন দেয়নি। এখন এ ব্যবস্থা ১৯৯৬ সালের অনুরূপ হবে, নাকি কিছুটা ভিন্নতর হবে, তা কমিশন ঠিক করুক। মোদ্দাকথা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান সুষ্ঠু ভোটের আয়োজন নিশ্চিত করবে।

সংসদে দুটি কক্ষ, সংরক্ষিত আসন বৃদ্ধি; পক্ষান্তরে সংরক্ষণ রহিত করে সরাসরি নির্বাচন, সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি, সরকারপ্রধানের সর্বোচ্চ দুটি মেয়াদ ইত্যাকার বিষয়ে নানা আলোচনা হচ্ছেই। এসবের পক্ষে-বিপক্ষেই নানা যুক্তি আছে। এক-একজন একেক রকমের করে বলছেন। সংসদ-সদস্যরা আইনসভার সদস্য; শাসক-প্রশাসক-ব্যবস্থাপক নন। ফলে জনসংখ্যার বৃদ্ধির সঙ্গে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি কেন করতে হবে? একটি কক্ষই বছরের অধিকাংশ সময়ে কর্মহীন পড়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে দ্বিকক্ষ করে অর্থ খরচের যৌক্তিকতা নিয়ে দশবার ভাবার আছে।

দ্বিকক্ষ করার একটি কারণ হতে পারে, আরও কিছু মানুষকে স্পেস দেওয়া। সেজন্য জেলা পরিষদ-উপজেলা পরিষদ আছেই-যদিও স্থানীয় শাসন নিয়ে আধুনিক সুপারিশ প্রত্যাশিত। সংরক্ষণ তো নির্ধারিত সময়ের জন্য ছিল। কেবল মেয়াদ বেড়েছে। আমাদের মেয়েরা এখনো কি পিছিয়ে আছে? ৫০ আসনে মেয়েরা সরাসরি জিতে আসুক আর সেজন্য ৩৫০টি সংসদীয় আসন নির্ধারণ করে মহিলাদের জন্য ৫০টি নির্দিষ্ট করা সমীচীন হবে।

এতে সংরক্ষিত আসনের সংসদ-সদস্যের সঙ্গে সাধারণ সংসদ-সদস্যদের যে ফাঁক ছিল-থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল সর্বোচ্চ দু’বার করার প্রস্তাবটি জুতসই এবং সময়োপযোগী। তবে মধ্যপথে প্রধানমন্ত্রীকে সরে যেতে হলে দু’বার নয়, পূর্ণ মেয়াদ বা বছরের প্রশ্ন দেখা দেবে। সুপারিশে সেটাও স্পষ্ট করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যদি দু’বারের বেশি না থাকতে পারেন, তাহলে অন্যান্য মন্ত্রী কিংবা সংসদ-সদস্য কতটি মেয়াদে হতে পারবে-আশা, সুপারিশে এ ব্যাপারটিও বাদ যাবে না।

গণনার দিন অবধি ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে একাধিক দিনে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনও হতে পারে। অন্যদিকে, ভোটের সংখ্যানুপাতে যারা সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হওয়ার কথা বলছেন, তাদের যুক্তি খুবই দুর্বল। একটা কথা বলতেই হবে, এ পদ্ধতি চালু হলে কেবল জেলায় জেলায় নয়, উপজেলাভিত্তিক এক-একজনের নেতৃত্বে দল সৃষ্টি হবেই। ফলে এ সংখ্যানুপাতের চিন্তা মাথা থেকে তাড়ানো জরুরি।

উন্নত দেশের সংবিধানে নির্বাহী, সংসদ, বিচার বিভাগের সীমানা টেনে দেওয়া আছে। কোনো সংঘাতের সুযোগ থাকে না। বরং একটি বিভাগ অন্য বিভাগকে সমীহ করে এবং গুরুত্ব ও মর্যাদা দিয়ে থাকে। আমাদের সংবিধানে এ ভারসাম্য নেই। আবার উচ্চতর আদালতের বিচারক নিয়োগের ক্ষমতা নির্বাহী বিভাগকে এমনভাবে দেওয়া হয়েছে, যাতে পছন্দ হলেই একজনকে ওই পদে বসিয়ে দেওয়া যায়। এ বিষয়টি কমিশন আমলে নিক। স্থানীয় সরকারব্যবস্থা যথার্থরূপে কার্যকর নেই। সাম্য-সমতা-সমবায় সংবিধানে আছে; নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা নেই।

শিক্ষা-চিকিৎসার অধিকার নিয়ে সুন্দর কথা আছে সংবিধানে। বাস্তবতা কী? দারিদ্র্যমুক্ত-ক্ষুধামুক্ত কি কেবল সংবিধানে লেখাই থাকবে? ন্যায়পাল নিয়ে কী বলার আছে? কী হাল বাধ্যতামূলক শিক্ষার? অথচ এসবই সংবিধানের ভাষ্য। এ ছাড়া জনপ্রশাসনের চাকরি নিয়েও সংবিধানে আরও একটু স্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকতে পারে, যেমনটি সংসদ-সদস্যদের আচরণ নিয়েও বিধি প্রণয়নের প্রভিশিন অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

সর্বোচ্চ আইনের প্রতিটি বিধান পরিপালিত হবে, একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রে জন্য মজবুত ভোটের ব্যবস্থা এবং বর্ণিত মৌলিক অধিকারগুলো ভোগ, সেই সঙ্গে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য সংবিধান হোক আকরগ্রন্থ; যার প্রতিটি অনুশাসন প্রজাতন্ত্রের নাগরিক এবং সরকারের জন্য হবে অবশ্যপালনীয়-এই-ই আমাদের চাওয়া। আরও চাইব, সরকারের ইচ্ছা হলেই জননিবর্তন-নিগ্রহের জন্য আইন করার ক্ষমতা সংবিধান না দিক। এছাড়া জাতীয়তা নিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আপত্তি, রাষ্ট্রধর্ম, জাতির পিতা ইত্যাকার বিতর্কের সুরাহা থাকুক কমিশনের সুপারিশে।

(পাদটিকা : গুরুতর প্রশ্ন হচ্ছে, সংবিধান সংশোধন-সংস্কার কিংবা পুনর্লিখন তো হলো; বাস্তবায়ন কীভাবে? সংসদ ব্যতিরেকে তো সংবিধানের কিছুই বদলানো চলে না। তাহলে? ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ দিয়ে কি সংবিধান সংশোধন চলবে? বিশেষজ্ঞরা কী বলেন?)

মোহাম্মদ আবদুল মাননান : প্রাবন্ধিক ও কথাসাহিত্যিক

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম