টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই বড় চ্যালেঞ্জ
জেহসান ইসলাম
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে অত্যন্ত নির্মমভাবে এবং অনেক রক্তের বিনিময়ে। দেশ এক দীর্ঘ সময়ের অপশাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। আমরা এখন একটি টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশায় আছি। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে, রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের অর্ধশতাব্দী অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এখানে গণতন্ত্র স্থায়ী ও নিয়মিত রূপ পায়নি, যদিও এ সময়ের মধ্যে এর আগেও আরেকবার ১৯৯০-এ অনুরূপ লড়াইয়ে এরশাদ সরকারের পতন ঘটেছিল। তাই এবারের গণঅভ্যুত্থানের পর এখন পর্যালোচনা করে দেখা দরকার, কী কারণে গণতন্ত্র স্থায়ী রূপ পাচ্ছে না এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় কী। অর্থাৎ গণতন্ত্রকে কীভাবে টেকসই করা যায়।
গণতন্ত্রের প্রথম পাঠ হলো, দেশে যথেষ্টসংখ্যক রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন থাকবে, যাদের ভিন্ন ভিন্ন আদর্শ ও উদ্দেশ্য থাকবে এবং এসব সংগঠন কোনো প্রকার অহিংস কর্মকাণ্ড ব্যতীত প্রকাশ্যভাবে নিজ নিজ আদর্শ জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করে জনমত প্রতিষ্ঠা করবে, একইসঙ্গে বিনা বাধায় কোনো ধরনের সংকোচ বা ভীতি ছাড়া রাষ্ট্রের, বিশেষ করে সরকারের যেসব কাজ সঠিক নয় বলে বিবেচনা করবে, সেগুলোর বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করবে, যাকে আমরা এক কথায় ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ বলে থাকি। অনেকে ইদানীং ‘দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতাও’ বলছেন। রাজনৈতিক দল হলে সংবিধান নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এরূপ আত্মবিশ্বাস নিয়ে যে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অহিংস ও শান্তিপূর্ণ হবে। এরপর আন্তরিকভাবে জয়-পরাজয় মেনে নেবে। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তরের নিয়ামক জাতীয় নির্বাচন হলে শান্তিপূর্ণভাবে বিদ্যমান দায়িত্ব পালনকারী দল রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব ছেড়ে দেবে, বিজয়ী দল দায়িত্ব গ্রহণ করবে। পাঠক একটু লক্ষ করলে দেখবেন, এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে ‘ক্ষমতা’ শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে না। কারণ ‘ক্ষমতা’ শব্দটির মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচকতা ও দাম্ভিকতা আছে, যা ‘গণতন্ত্র’ শব্দটির সঙ্গে বেমানান। প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা হলে ‘ক্ষমতা’ বলে কিছু থাকে না, থাকে দায়িত্ব। দায়িত্ব পালনে ইচ্ছাকৃত অবহেলা বা বিচ্যুতি হলো ‘ক্ষমতা’, যা কাম্য নয়। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ কর্তৃক অর্পিত হয় বিশেষ ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ বা গোষ্ঠীর ওপর। গণতন্ত্রের জন্য খ্যাত ও অনুকরণীয় পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোতে এবং আমাদের পাশের দেশ ভারতে এভাবেই রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের ভার পরিবর্তিত হচ্ছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতন্ত্র এখন পর্যন্ত সর্বোত্তম পদ্ধতি বলে স্বীকৃত, যদিও শতভাগ নিখুঁত নয়। সেটা একটা ভিন্ন ও দীর্ঘ আলোচনার দাবি রাখে। আপাতত আমাদের দেশের জনগণের চাহিদা পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্র।
কিন্তু স্বাধীনতা-পূর্ব ২৩ বছর আর স্বাধীনতাত্তোর ৫৩ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে জনগণকে তাদের এ ন্যূনতম চাহিদা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। পাকিস্তান আমলে পাওয়া সম্ভব হয়নি এবং সম্ভব ছিল না বলেই রক্তাক্ত জনযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করা হয়েছে। অতীব দুঃখের বিষয় হলো, তারপরও এ পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক কোনো সরকারই জনগণের সে প্রত্যাশা পূরণ করেনি। দেশ চলেছে কখনও সামরিক শাসনে, কখনও অগণতান্ত্রিক মানসিকতাসম্পন্ন বেসামরিক শাসনে, যারা উভয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর তা বলপ্রয়োগ ও দমনপীড়নের মাধ্যমে অব্যাহত রাখতে চেয়েছে। সে কারণে জনগণের কাক্সিক্ষত গণতন্ত্র আর প্রতিষ্ঠিত হয়নি অর্থাৎ রাষ্ট্রের পরিচালকরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বের বাইরে গিয়ে ক্ষমতা দেখানো ও প্রয়োগে মনোযোগী হয়েছে। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার কারণেই অন্যান্য সমস্যা, যেমন দুর্নীতি ও ব্যাংক ডাকাতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট ও বিদেশে পাচার, সব বিরোধী মতপ্রকাশের পথ রুদ্ধ করা, তা করার জন্য গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো জঘন্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন, আয়নাঘরের মতো উদ্ভট ও নজিরবিহীন নিষ্ঠুর পন্থা অবলম্বন ইত্যাদি। আর এসব কিছুর মূলে উদ্দেশ্য একটাই-দায়িত্ব পালন না করে ক্ষমতা দেখানো ও প্রয়োগ এবং এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অধিকার জনগণের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে কতিপয়ের হাতে পুঞ্জীভূত করা ও পুঞ্জীভূত সম্পদ নিরাপদে রাখা ও ভোগ করার জন্য বিদেশের সুবিধাজনক অবস্থানে পাচার করা। আর ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য প্রয়োজনে সে সম্পদ কাজে লাগানো।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ১৯৯১, ১৯৯৬ (জুনের), ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচন মোটামুটিভাবে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে মর্মে স্বীকৃত, যদিও নির্বাচনে পরাজয়বরণকারী দল ও জোটের অভিযোগ ছিল। সেটা ছিল কেবলই মুখরক্ষার জন্য রাজনৈতিক বক্তব্য, বিশ্বাসযোগ্য বা দায়িত্বশীল নয়। মজার বিষয় হলো, এই সব নির্বাচন হয়েছে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। একটি রাজনৈতিক দলও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকালীন কোনো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারেনি। এমনকি, তারা নিজ দলের মধ্যেও নেতৃত্ব নির্বাচনে গণতান্ত্রিক মাঠ থেকে কেন্দ্রীয় কোনো পর্যায়েই সাফল্যের পরিচয় দেওয়া বা উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেনি। ব্যর্থতার এ দায় দেশের সব রাজনৈতিক দলের ও নেতার। অথচ রাজনৈতিক নেতারা এখনো একে অপরকে সমানে দোষারোপ করে যাচ্ছেন, যদিও তাদের উচিত নিজেদের অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য অনুশোচনা করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া, ব্যর্থতার দায় নিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে সরে গিয়ে নতুনদের জায়গা করে দেওয়া।
জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের পর জনগণের মাঝে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। আশাগুলো তেমন বড় কিছু বা নতুন নয়। তারা চায় আগামীতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবে, তারা যেন আর অতীতের পথে না হেঁটে নির্দিষ্ট সময় পরপর অনুষ্ঠেয় সব আঞ্চলিক ও জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে স্বচ্ছ, সরকারের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপমুক্ত, সব ধরনের হানাহানিমুক্ত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করে। মানুষ যেন পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত চিত্তে নিজের পছন্দের ব্যক্তি বা দলকে ভোট দিতে পারে এবং বিজয়ের পর নির্বাচিত ব্যক্তি বা দল যেন নির্বিঘ্নে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে, বিজিত ব্যক্তি বা দল আন্তরিকভাবে পরাজয় মেনে নিয়ে বিজয়ী প্রার্থীকে সহায়তা করে। মানুষ বিশ্বাস করে নির্ধারিত সময় অন্তর অন্তর এভাবে নির্বাচন করা গেলে সত্যিকার অর্থে তারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে। তাদের এ ক্ষমতা দিয়ে তারা দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি বা দলকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে রাখতে পারবে, তাদের প্রত্যাশা মতো দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পরবর্তীকালে নতুন কাউকে দায়িত্ব দিতে পারবে। এর ফলে ধীরে ধীরে রাষ্ট্রে ও সমাজে সামগ্রিকভাবে প্রকৃত সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং রাষ্ট্র ও সমাজ জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে উঠবে।
কিন্তু জনগণের এ প্রত্যাশা বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো পূরণ করতে পারবে বলে মনে হয় না। অন্তত ইতিহাস তা বলে না। গত পাঁচ দশক ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে মাঠে আছে। বাকি দলগুলো সুবিধা অনুযায়ী পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে এ প্রধান দু’দলের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে স্ব-স্ব রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে, ক্ষমতার ভাগিদার হয়েছে এবং কোনো কোনো দল ভবিষ্যতে ভাগিদার হওয়ার আশায় আছে। সাম্প্র্রতিক সময়ে বিপ্লবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও দল হিসাবে তারা খুব বেশি দুর্বল হয়েছে, তা এখনই বলা যাবে না। সেটা আগামী দিনগুলোতে দেখা যাবে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ধরে নেওয়া যায়, বিএনপিই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবে। তারা বেশ আগেই তাদের ৩১ দফা ঘোষণায় বলে দিয়েছে, নির্বাচিত হলে জাতীয় সরকার গঠন করবে। তাদের এ জাতীয় সরকারে কোন্ কোন্ দল থাকবে, দলগুলো কোন্ মতাদর্শের হবে, কোনো বিরোধী দল সংসদে থাকবে কিনা, আপাতত দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জামায়াতের ভূমিকা কী হবে ইত্যাদি বিষয় এখনো পরিষ্কার নয়। পরিষ্কার নয় গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান চালিকাশক্তি ছাত্রদের ভূমিকাও। তারা কি কোনো নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করবে, নাকি অন্য দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। তা ছাড়া ইতোমধ্যে তাদের মধ্যে নানা বিভাজনও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আগামীতে দেশ কোন্ পথে যাবে, তা এসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। আর তার ওপর নির্ভর করে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণের বিষয়গুলো।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল আওয়ামী লীগ এখন মাঠে নেই এবং আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তারা যথেষ্ট শক্তি নিয়ে মাঠে উপস্থিত না হতে পারলে বিএনপি জয়লাভ করবে বলে আশা করা যায়। অন্তত এখন পর্যন্ত হিসাব এ রকমই। বিএনপি এর আগে তিন দফায় রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিল। অনেক ভালো কাজ করলেও নির্বাচনভিত্তিক কার্যক্রম মোটেই গ্রহণযোগ্য ছিল না, যার কারণে ১৯৯৬ ও ২০০৬ সালে দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয় এবং অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হয়। এর ফলাফল শেষ পর্যন্ত বিএনপির অনুকূলে যায়নি, বরং দলটিকেই নানামুখী সংকটে পড়তে হয়। একই কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ এখন আরও বেশি সংকটে পড়েছে, কারণ তাদের কর্মকাণ্ড ছিল বিএনপির চেয়েও গণবিরোধী। আমার বিশ্বাস, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তরে মানসিক প্রস্তুতি থাকলে কারও পরিণতিই এত খারাপ হতো না।
প্রশ্ন হলো, রাজনৈতিক দলগুলো কি অতীতের কর্মফল থেকে কোনো শিক্ষা নেবে? মানুষ তা বিশ্বাস করে না। সে কারণে তারা বিদ্যমান সংবিধান বাতিল বা সংশোধন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছে। কিন্তু সেটা তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রচলনের মাধ্যমে অতীতেও করা হয়েছে, টেকসই হয়নি। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংবিধানকে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার হাতিয়ার হিসাবে পরিণত করা হয়েছে। অতএব, রাজনৈতিক নেতাদের, বিশেষ করে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মনমানসিকতা বা আচরণ না বদলালে, তাদের ভেতরকার ক্ষমতা ও সম্পদ আহরণের লিপ্সা দূর না হলে বা করা না গেলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। ঘুরেফিরে আমরা আবারও একই বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকব। তবে ছাত্র-জনতা যদি সবসময় ভ্যানগার্ড হয়ে মাঠে থাকতে পারে, তাহলে কিছু একটা হতে পারে। কিন্তু সেটাও কতটা সম্ভব এবং বাস্তবসম্মত হবে, তা ভেবে দেখতে হবে। যত কিছুই হোক, বর্তমান প্রজন্ম যদি অন্তত আগামী এক দশকের জন্য সাংগঠনিকভাবে একতাবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকে আর অব্যাহতভাবে সরকারগুলোকে সার্বক্ষণিক চাপে রাখতে পারে, তাহলে হয়তো রাজনৈতিক দলগুলো ও নেতৃবৃন্দ তাদের চরিত্র বদলাতে বাধ্য হবেন। দায়িত্ব পালন শেষে স্ষ্ঠুু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুনদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন। অন্তত এটুকু করতে পারলেই জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল হবে।
জেহসান ইসলাম : প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব