Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

সংস্কার কি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে?

Icon

এরশাদুল আলম প্রিন্স

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সংস্কার কি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে?

নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য সরকার ৮ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করেছে। ৩ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বিদ্যমান নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে কমিশন গঠন করা হয়েছে।

কমিশনের প্রধান হচ্ছেন ড. বদিউল আলম মজুমদার। অন্যান্য সদস্য হচ্ছেন-ড. তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা, ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিশেষজ্ঞ জেসমিন টুলী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ড. জাহেদ-উর রহমান, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন, ইলেকট্রনিক ভোটিং ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস ও একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। কমিশনে যারা আছেন তাদের যোগ্যতা ও এ কাজে তাদের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ড. বদিউল আলম মজুমদার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়েই দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। ড. তোফায়েল আহমেদ যদিও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ; কিন্তু তিনিও একইভাবে নির্বাচন নিয়ে কাজ করছেন দীর্ঘসময়। বাকি সদস্যরাও নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত। ডা. জাহেদ গণতন্ত্র ও সুশাসন নিয়ে কাজ করেন। আছেন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিও। আশা করি, সরকারের প্রত্যাশা অনুযায়ী ৩ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে কমিশন এ সংক্রান্ত্র একটি প্রস্তাব সরকারকে দিতে পারবে।

দেশের প্রধান সংকট রাজনৈতিক। এ সংকটের আবার প্রধান বিষয় নির্বাচন নিয়ে। স্বাধীনতার পর থেকেই এ সংকটের শুরু। ৫৩ বছর পরও নির্বাচনি সংকটের উত্তরণ হয়নি। ফলে আমাদের রাজনৈতিক সংকটও কাটছে না। আমাদের গণতন্ত্র আজও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। নির্বাচন হলেই যে গণতন্ত্র ঠিক হয়ে যাবে তা নয়, তবে নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র হতে পারে না। আর ঠিকঠাকভাবে নির্বাচন হলে গণতন্ত্র ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়, শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়ায়। আমাদের নির্বাচন, রাজনীতি ও গণতন্ত্র নড়বড়ে।

আজকের প্রধান সংকটই হচ্ছে নির্বাচনি সংকট। ফলে নির্বাচনি সংস্কারই সবচেয়ে বড় সংস্কার। এ লক্ষ্যে কমিশন সংশ্লিষ্ট আইনগুলোর কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব করবে। সংবিধানের নির্বাচন বিষয়ক প্রবিধানগুলোরও প্রয়োজনীয় সংশোধনী লাগবে। নির্বাচন কমিশন কীভাবে গঠিত হলে ভালো হয়, সে বিষয়ে কিছু প্রস্তাব জরুরি। কিন্তু যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি, তা হচ্ছে-রাজনৈতিক সংস্কার। এটি না হলে কোনো সংস্কারই কাজে দেবে না। রাজনৈতিক সংস্কার কোনো আইন দিয়ে হয় না। আবার কোনো আইন না থাকলেও রাজনৈতিক সংস্কার হতে পারে। আমাদের কাছে এমন উদাহরণ অনেক আছে। বিগত সরকারের আমলনামার খতিয়ান পর্যালোচনা করলেই এর বহু নজির পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ভালো সাংবিধানিক সংস্কার ছিল। এর ফলে পরপর তিনটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন (১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮) আমরা পেলাম। স্বাধীনতার পর এত ভালো নির্বাচন আর হয়নি। অথবা যদি বলি ১৯৯১ সালের নির্বাচনের কথা। কোনো সাংবিধানিক সংস্কার বা সংশোধনী ছাড়াই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হয়েছিল। দেশের বড় দলগুলো মুখে যা-ই বলুক না কেন, সবাই-ই এ চারটি নির্বাচন

মেনে নিয়েছে। জনগণের কাছে এগুলো গ্রহণযোগ্য ছিল। কাজেই সরকার চাইলে আইন ছাড়াও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। আইন তো আর সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকারকে বাধা দেয় না। সে কাজটি হয়তো একটু সহজ করে। কমিশনার নিয়োগের আইন ছাড়াই আমরা ২০০৮ সালে এটিএম শামসুল হুদা কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পেয়েছিলাম। কিন্তু ২০২২ সালের আইনের (প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২) মাধ্যমে সার্চ দিয়ে আমরা পেলাম হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এ আউয়াল কমিশন ২০২৪ সালে নির্বাচন করেছে। সেটিকে নির্বাচন বললে নির্বাচন ধারণাটির অবমাননা করা হয়। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের এ তিনটি নির্বাচনই ছিল নির্বাচন নামে এক মহাপ্রহসন। এ জাতীয় নির্বাচনের ফলে দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গণতন্ত্রকেও হত্যা করা হয়েছে। দেশের রাজনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দল হিসাবে আওয়ামী লীগও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তারপরও বিদ্যমান আইনের যদি কিছু ইতিবাচক সংশোধনী লাগে, সেটি করতে হবে। কোনো বিষয়ে যদি আইন প্রণয়ন করতে হয় সেটিও করতে হবে। সংস্কার কমিশন সে কাজগুলোই করবে। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য ২০২২ সালের আইনানুযায়ী একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের বিধান আছে। এ অনুসন্ধান কমিটিতে মোট ছয়জন সদস্য আছেন, যারা প্রত্যক্ষভাবেই সরকারের মনোনীত সদস্য। এ কমিটির প্রধান হচ্ছেন আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের নিয়োগকর্তা সরকার। অন্যরা সরকারের কর্মচারী। মুখরোচকভাবে হয়তো আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী বলি। কাজেই, সরকারি অনুসন্ধান কমিটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ লোক অনুসন্ধান করে নিয়োগের প্রস্তাব করবে, সেটি হওয়ার কথা নয়। হয়নিও।

ফলে সবশেষ প্রধান অনুসন্ধানকারী বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের কাছ থেকে আমরা হাবিবুল আউয়ালকেই পেয়েছি। তাই, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২-এর এই অনুসন্ধান কমিটিতে যাতে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ লোকেরাও থাকেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। অনুসন্ধান কমিটিতে বিরোধী দলের লোকও থাকতে হবে। নাগরিক কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্যদেরও থাকতে হবে। বিদ্যমান আইন মূলত পাতানো নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন। অর্থাৎ আইনি প্রক্রিয়ায় দলীয় নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্যই এ আইন। এ আইন থাকা আর না থাকার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সংস্কার কমিশন আইনটির প্রয়োজনীয় সংশোধনীর প্রস্তাবগুলো করবে।

এছাড়া এ আইনের মাধ্যমে অনুসন্ধান কমিটি ৫০ বছর বয়সের যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক, যিনি কোনো প্রতিষ্ঠানে ২০ বছর কাজ করেছেন তাকেই নিয়োগ দিতে পারে। কাজেই, কমিটি হাবিবুল আউয়াল কেন, অন্য যে কোনো অপরিচিত, স্বল্প পরিচিত যে কোনো লোককেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা কমিশনার হিসাবে সুপারিশ করতে পারে। যোগ্যতার এত বিস্তৃত পরিসর কোনোভাবেই কাম্য নয়। কমিশনারদের যোগ্যতার আরও নানা মানদণ্ড নির্ধারণ করা জরুরি। এটা ঠিক যে, যত কঠিন মানদণ্ডই নির্ধারণ করা হোক না কেন, সব মানদণ্ডেই দলীয় লোক নিয়োগ খুঁজে পাওয়া যাবে। এখানে একটি নিরপেক্ষ ও ভারসাম্যপূর্ণ অনুসন্ধান কমিটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, যারা প্রকৃত যোগ্য কমিশনারদের খুঁজে বের করবে। কমিশন চাইলে বিদ্যমান আইনের মধ্যেই ভালো নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু কোনো কমিশনই সেটি করতে তৎপর হয় না। শামসুল হুদা কমিশন পেরেছে কারণ, তৎকালীন সরকার সেই কমিশনকে সাহায্য করেছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেছেন, কমিশন গঠন করার জন্য বিদ্যমান আইনের মাধ্যমেই তারা একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন ও সেই কমিটি কমিশনার হিসাব কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করবে। আমরা আশা করতেই পারি, অনুসন্ধান কমিটি যোগ্য ও আস্থাভাজন কয়েকজন কমিশনারের নাম প্রস্তাব করবেন এবং আশা করি তারা আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন করবেন। তবে, তার আগে অবশ্যই ফ্যাসিস্টের সাজানো প্রশাসনে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, ১৫ বছরের দলীয় প্রশাসন দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।

বিদ্যমান আইনে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে দলের স্থানীয় নেতাদের তেমন কোনো ভূমিকা থাকে না। চূড়ান্তভাবে দলের হাইকমান্ডের ইচ্ছাতেই নির্বাচনে দলের প্রার্থী দেওয়া হয়। এটি সার্বিকভাবে দেশের রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর। কারণ, উচ্চপর্যায় থেকে যদি কোনো প্রার্থীকে স্থানীয় নেতাকর্মী তথা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, তবে স্থানীয় রাজনীতিতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ১৫ বছরে আমরা সেই প্রবণতাই দেখেছি। এর ফলে আওয়ামী লীগে জন্ম হয়েছে এক হাইব্রিড নেতৃত্ব ও প্রজন্ম। জনগণ ও দলের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী রাজনীতিতে ঢুকে পড়েছে। টাকা দিয়ে মনোনয়ন কেনার এক মহোৎসব দেখেছি গত ১৫ বছরে। ভোট হয়নি। টাকা দিয়ে মনোনয়ন কেনা মানে নেতা হয়ে যাওয়া।

সংস্কারে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক দল। দলের বড় নেতারা এ সংস্কার করতে চাইবে কিনা, সেটিই বড় প্রশ্ন। সরকার বা সংস্কার কমিশনগুলো হয়তো কিছু প্রস্তাব করে যাবে। রাখা না রাখা ভবিষ্যৎ সরকারের ইচ্ছা আর আমাদের জনগণের নিয়তি। কোনো দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই স্থানীয় নেতৃত্বের ক্ষমতা বাড়িয়ে নিজেদের খবরদারি করার ক্ষমতা খর্ব করতে চায় না। কারণ, দলের চেয়েও তারা ব্যক্তি স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দেয়। শুধু আইন করে এ সংস্কার করা কঠিন। রাজনৈতিক সংস্কৃতি ধীরে ধীরে বদল হলে এ সংস্কার হবে।

নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইন হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ। এটি একটি ভালো আইন। কিন্তু এ আইনানুযায়ী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন থাকতে পারে না। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বাংলাদেশে বড় সব দলেরই অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন আছে। বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার জন্য পৃথক অঙ্গ সংগঠনও আছে। আমরা শুধু ছাত্ররাজনীতির থাকা না থাকা নিয়ে আলোচনা করছি। কিন্তু বাস্তবে তো আইনানুযায়ী বড় দলের কোনো অঙ্গ সংগঠনই থাকার কথা নয়। অনেকে অঙ্গসংগঠনগুলোর লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি বন্ধ করতে বলেন। প্রশ্ন হলো, লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি বন্ধ করার উপায় কী? লেজুড়বৃত্তির সংজ্ঞাই বা কী? আইন দিয়ে কি লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি বন্ধ করার উপায় আছে? গঠিত কমিশন যদি এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা নিয়ে আসতে পারেন, সেটি ভালো।

গণতন্ত্রের প্রথম ও প্রধান আনুষ্ঠানিকতা হলো নির্বাচন। নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কার্যকর ও শক্তিশালী করে। কিন্তু গত তিনটি নির্বাচন আমাদের গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। যে নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে পারে না, সেটি আসলে নির্বাচন নামের প্রহসন। এমন নির্বাচন করা সংবিধানেরও লঙ্ঘন। বিগত কমিশনগুলো সে কাজই করেছে। কাজেই, এ জাতীয় একতরফা ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পথ বন্ধ করতে হবে।

আমাদের ইতিহাস বলে, কোনো ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না। গত ১৫ বছরে গণতন্ত্র যে উল্টোরথে চলেছে তার কারণ এটাই। নিরবচ্ছিন্ন রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার অজুহাতে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে) সুষ্ঠু রাজনীতির ধারাকেই বন্ধ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলীয় সরকারের অধীনে পুলিশ, প্রশাসন সবাই সরকারেরই অধীনে কাজ করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনই মূলত নির্বাচন পরিচালনা করে। তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনের সময় পুলিশ ও প্রশাসন আইনানুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকাই যথেষ্ট নয়। কারণ, কমিশনের অধীনে থাকলেই যে তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে, তার নিশ্চয়তা নেই। গত তিনটি নির্বাচনে আমরা সে প্রমাণ দেখেছি। পুলিশ ও প্রশাসন হঠাৎ ১/২ মাস কমিশনের নির্দেশে নিরপেক্ষভাবে সব কাজ করবে, সেটি আশা করা যায় না। সরকার যে পুলিশ ও প্রশাসনকে তাদের পদে বসিয়েছে, সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে, তারা সে সরকারের পক্ষেই কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। সংস্কার কমিশনকে এর উপায় খুঁজতে হবে।

এরশাদুল আলম প্রিন্স : আইনজীবী, প্রাবন্ধিক

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম