Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে অর্থনৈতিক কূটনীতির বিকল্প নেই

Icon

এম এ খালেক

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে অর্থনৈতিক কূটনীতির বিকল্প নেই

পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনার সময় এসেছে। বিদায়ি সরকারের স্বেচ্ছাচারী শাসনের ফলে দেশের অর্থনীতি এবং সামাজিক অবস্থা বিপর্যয়ের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। উন্নয়নের ফাঁকা বুলি এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এক বিশেষ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশান্তরিত হয়েছেন। এরপর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

দায়িত্ব গ্রহণের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণই হবে তার সরকারের প্রধান কাজ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অন্তর্বর্তী সরকার আর্থিক খাতে ইতোমধ্যে যেসব সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা অর্থনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছে। বিগত সরকারের আমলে যারা অত্যন্ত ক্ষমতাবান এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ছিলেন, তাদের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

দুর্নীতিবাজ ও ব্যাংক ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি আগামীতে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা গতিশীল ও টেকসই করার জন্য এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। বর্তমান বিশ্ব অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠছে। আগের মতো অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই কমে আসছে। এ অবস্থায় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি বা অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর গুরুত্ব বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে।

আগে একাধিকবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক কূটনীতি অনুসরণের কথা বললেও তা ছিল কার্যত ফাঁকা বুলির মতোই। বাস্তবে অর্থনৈতিক কূটনীতি নিয়ে আমাদের তেমন কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। এক সময় বলা হতো, বাংলাদেশ রপ্তানিমুখী উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করবে। কখনো বা বলা হয়েছিল, ‘লুক ইস্ট’ নীতি গ্রহণ করা হবে; কিন্তু এর কোনোটিই কার্যকর ও ফলপ্রসূ হয়নি। এসব কৌশল বাস্তবায়নের জন্য যে ধরনের কূটনৈতিক কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল, তা করা হয়নি। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, অর্থনৈতিক কূটনীতি বাস্তবায়নের জন্য যে ধরনের উদ্যোগ এবং কৌশল গ্রহণ করা দরকার, তা কখনোই অনুসরণ করা হয়নি।

প্রশ্ন উঠতে পারে, অর্থনৈতিক কূটনীতি আসলে কী? কীভাবে অর্থনৈতিক কূটনীতি কাজ করে? ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি বা অর্থনৈতিক কূটনীতি নতুন কিছু নয়; এটি সাধারণ কূটনীতিরই একটি অংশ। সাধারণভাবে অর্থনৈতিক কূটনীতি বলতে এমন একটি অবস্থাকে বোঝায়, যেখানে কোনো দেশ বা আঞ্চলিক জোটের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। অর্থাৎ, যে কোনো দেশ বা জোটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর সময়, নিজ দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া। কোনো দেশ যদি অর্থনৈতিক কূটনীতি সম্পর্কে সচেতন হয়, তাহলে সে দেশটিকে কোনোভাবেই ঠকানো যায় না। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা যেতে পারে। বাংলাদেশ মোট ব্যবহার্য পণ্যের ২৫ শতাংশ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয় চীন ও ভারত থেকে।

আমরা কি একবারও চীন বা ভারতকে বলেছি, তোমরা যদি বাংলাদেশি পণ্য তোমাদের দেশে সহজে প্রবেশের অধিকার না দাও, তাহলে আমরা তোমাদের পণ্য আমদানি করব না। অর্থনৈতিক কূটনীতিকে যথার্থ গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে চীন ও ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের বাজার দখল করে নিয়েছে; কিন্তু তার বিপরীতে বাংলাদেশের পণ্য চীন বা ভারতের বাজারে প্রতিবন্ধকতাহীনভাবে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে না। আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে যেসব দেশ থেকে বেশি পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয়, সেসব দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি পরিমাণ খুবই সামান্য। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে পর্বত প্রমাণ বাণিজ্য ঘাটতি।

আবার যেসব দেশে বাংলাদেশ বেশি পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে, সেসব দেশ থেকে আমাদের আমদানির পরিমাণ খুবই কম। অর্থনৈতিক কূটনীতি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হলে আমরা চীন এবং ভারতকে বলতে পারতাম, তোমরা যদি বাংলাদেশি পণ্য বেশি করে আমদানি না কর, তাহলে আমরাও তোমাদের পণ্য আমদানি কমিয়ে দেব। আমরা দেওয়ার ক্ষেত্রে যত পারদর্শী, আদায়ের ক্ষেত্রে ততটাই উদাসীন।

বিশ্বে একটি দেশও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যারা অর্থনৈতিক কূটনীতিকে অবজ্ঞা করে জাতীয় উন্নয়ন করতে পেরেছে। যেসব দেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি অর্জন করেছে, তাদের সবাই কোনো না কোনোভাবে অর্থনৈতিক কূটনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। প্রতিটি দেশের জন্যই অর্থনৈতিক কূটনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কূটনীতি বলতে আমরা শুধু রাজনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নকেই প্রাধান্য দেব তা নয়। বিশেষ করে উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে তাদের কূটনৈতিক নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক স্বার্থ বা ইস্যুগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। আমাদের দেখতে হবে, কীভাবে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন বা সৃষ্টির মাধ্যমে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক স্বার্থ অর্জন করা যায়। দুটি দেশ আন্তঃসম্পর্ক কেন উন্নয়ন ঘটাতে চায়? তারা সম্পর্কোন্নয়ন করতে চায় মূলত অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অর্থনৈতিক চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে কূটনৈতিক নীতি-আদর্শ প্রণীত না হলে তাকে প্রকৃতপক্ষে সঠিক পররাষ্ট্রনীতি বলা যায় না।

উন্নত দেশগুলো নিজেরা অর্থনৈতিক কূটনীতি অনুসরণের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে তাদের অর্থনৈতিক কূটনীতির স্বার্থে ব্যবহার করে থাকে। পুঁজিবাদী বিশ্ব বিশ্বব্যাংক এবং ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ডের (আইএমএফ) মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে তাদের অর্থনৈতিক কূটনীতি বাস্তবায়নের কাজে ব্যবহার করছে। এসব আন্তর্জাতিক সংস্থা ঋণদানকালে যেসব শর্তারোপ করে তা প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে পুঁজিবাদী দেশগুলোর স্বার্থ সংরক্ষণ করে।

অর্থনৈতিক কূটনীতির মাধ্যমে একটি দেশ তার উৎপাদিত পণ্য অন্য দেশের বাজারে রপ্তানির ক্ষেত্রে নানা ধরনের সুবিধা পেতে পারে। বিনিয়োগ আহরণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেতে পারে। বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে ১৯৭৬ সাল থেকে শুল্কমুক্ত জিএসপি (জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স) পেয়ে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কোটা সুবিধা পেয়ে আসছিল। বিশ্বব্যাপী মুক্তবাজার অর্থনীতি অনুসৃত হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোটা সুবিধা বাতিল করে দেয়। এর স্থলে সীমিত পরিসরে জিএসপি সুবিধা প্রদান করে। কিন্তু পরবর্তীকালে শ্রম অধিকার এবং অন্যান্য কয়েকটি ইস্যুতে আপত্তি জানিয়ে দেশটি বাংলাদেশকে দেওয়া জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে। বাংলাদেশ যদি সেই সময় সঠিকভাবে অর্থনৈতিক কূটনীতি চালাতে পারত, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তো জিএসপি সুবিধা স্থগিত না-ও করতে পারত। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার পর আরও তিন বছর, অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা প্রদান করবে। তারপর প্রচলিত জিএসপি সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে এবং এর স্থলে জিএসপি+ নামে এক বিশেষ শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করা হবে। কিন্তু জিএসপি+ সুবিধা পেতে হলে যেসব শর্ত পরিপালন করতে হবে বাংলাদেশের পক্ষে তা সম্ভব হবে না। অর্থাৎ আমরা ধরে নিতে পারি, ২০২৯ সালের পর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের অন্তত ১২ শতাংশ হারে শুল্ক প্রদান করতে হবে। সেই অবস্থায় বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য কোন পর্যায়ে নেমে আসবে, তা ভাবলেও গা শিউরে উঠে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া জিএসপি সুবিধা বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। শ্রম অধিকার বাস্তবায়ন না করা, তৈরি পোশাক শিল্পে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার না দেওয়া ইত্যাদি কয়েকটি প্রশ্নে মতান্তর দেখা দেওয়ার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে দেওয়া জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেছে। সঠিকভাবে অর্থনৈতিক কূটনীতি চালাতে পারলে হয়তো এমন অবস্থা হতো না। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান আছে। এখন যদি অর্থনৈতিক কূটনীতি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা স্থগিতকরণের আদেশ প্রত্যাহার করে নিতে পারে।

বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও অর্থনৈতিক কূটনীতি অবদান রাখতে পারে। সঠিকভাবে অর্থনৈতিক কূটনীতি অব্যাহত রাখা হলে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার কাজটি তুলনামূলক সহজ হতে পারে। এখানে অর্থনৈতিক কূটনীতির দক্ষতার প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দেবে। অর্থ পাচারের উপযুক্ত প্রমাণ দাখিল করতে হবে।

আমাদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আহরণের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের আগত ডাইরেক্ট ফরেন ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে। আঙ্কটাড ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট ২০২৩ অনুসারে ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ গড়ে ২৯ কোটি মার্কিন ডলার এফডিআই এসেছে, যা জিডিপির শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নতি অর্জন করতে হলে প্রতি বছর অন্তত জিডিপির ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ এফডিআই আহরণ করা আবশ্যক। উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত অধিকাংশ দেশ এফডিআই আহরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। ২০২২ সালে মালদ্বীপ এফডিআই পেয়েছে ৭২ দশমিক ২০ কোটি মার্কিন ডলার, যা দেশটির জিডিপির ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ। শ্রীলংকা এফডিআই পেয়েছে ৮৯ দশমিক ৮০ কোটি মার্কিন ডলার, যা দেশটির মোট জিডিপির ১ দশমিক ২০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মোতাবেক, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে মোট এফডিআই এসেছে ১৮৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। আগের বছর একই সময় এফডিআই এসেছিল ২১৫ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। এফডিআই আহরণে এ ব্যর্থতার মূল কারণ হচ্ছে আমরা সঠিকভাবে অর্থনেতিক কূটনীতি পরিচালনা করতে পারিনি।

এমএ খালেক : অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক; অর্থনীতি বিষয়ক লেখক

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম