অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা ইতোমধ্যে অনেকখানি গুছিয়ে নিয়েছে এবং তাই গ্রেফতার অভিযান হচ্ছে জোরদার। দেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানও চলছে। পুলিশ সক্রিয় না থাকায় দুই মাসের জন্য সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাও। সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় এখনো তারা আছে বড় ভূমিকায়। একাধিক শিল্প এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা বিশেষভাবে নজর কাড়ে। শ্রমিকদের ভেতর থেকে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধের মতো ঘটনা অবশ্য এখনো ঘটছে। এতে যাত্রীর পাশাপাশি পণ্য পরিবহণও হচ্ছে ব্যাহত। তাতে বাজার হচ্ছে অস্থিতিশীল। এমনিতেই পণ্যবাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। অনেক ক্ষেত্রেই দাম আরও বৃদ্ধি পেয়ে মানুষের ভোগান্তি গেছে বেড়ে।
এদিকে অক্টোবরেও টানা ও ভারি বর্ষণ হচ্ছে; বন্যাও হচ্ছে। এবারের বন্যার চরিত্রও ভিন্ন। বন্যা পরিস্থিতিতেও সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্বেচ্ছাচারী সরকার পতনের আগমুহূর্ত থেকেই তাদের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সত্যি বলতে, আন্দোলন দমনে বিগত সরকার সেনাসদস্যদের নামালেও তারা শুরু থেকেই সেভাবে সহায়তা করেনি সরকারকে। একটা পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতার দিকে গুলি না চালানোর সিদ্ধান্তও তারা নেয়। এতে সরকার পতনের পথ হয়ে যায় সুগম। তখনো পুলিশ কিন্তু সরকারের প্রতি অনুগত ভূমিকাই পালন করে যাচ্ছিল। সে কারণে সরকার পতনের দিনও বড় হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশের ওপর পালটা হামলাও কম হয়নি। আন্দোলনের মধ্যভাগেও পুলিশের ওপর হামলা হয়। অধিকাংশ থানা হয় কমবেশি আক্রান্ত। এ অবস্থার দু’মাস পর পুলিশ নিজেদের গুছিয়ে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে ফিরছে বলে খবর জনমনে আশা জাগাবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব তো পুলিশেরই। সেই প্রশিক্ষণ তাদের দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বাহিনীতে এ অস্থিরতা খুব ছিল যে, তাদের কার বিরুদ্ধে না জানি কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়! সরকার ইতোমধ্যে সে কাজ সম্পন্ন করে এনেছে বলেই ধারণা। তবে এর মধ্যে মাঠে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যা তার জন্য স্বস্তিকর নয়। বেছে বেছে হামলা ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা তো কম নয়। পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় দেশের পার্বত্য অঞ্চলও মাঝে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল। এরপর ঘটে আরও কিছু হত্যাকাণ্ড। ওখানে জাতিগত সংঘাতের বীজ রয়েই গেছে। এর দায় বর্তমান সরকারের না হলেও সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেটা তাদেরই এখন মোকাবিলা করতে হবে। সামনেই দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের সর্ববৃহৎ উৎসব পালন করবে। এ সময় পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে সরকারকে সর্বোচ্চ প্রয়াস নিতে হবে। এটা কেবল প্রতিবেশী দেশ থেকে অপপ্রচার মোকাবিলার জন্যই জরুরি নয়। এ সরকারের সহায়তায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব মহল, তাদের মধ্যে আস্থা জাগাতেও এটা প্রয়োজন। পুলিশ যদি এরই মধ্যে সত্যিই নিজেদের অনেকখানি গুছিয়ে ফেলে থাকে তো আমরা আশা করব, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তারা এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে।
উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নতুন করে যে সংলাপ হচ্ছে, তাতেও কিন্তু সংস্কার ও নির্বাচনের পাশাপাশি প্রাধান্য পাচ্ছে দুর্গাপূজা ঘিরে সম্ভাব্য অরাজকতা মোকাবিলার প্রশ্ন। রাজনৈতিক দলগুলোও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন। তবে এ জায়গাটায় অনুপস্থিত ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। তাদের বিরুদ্ধে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাওয়ার অভিযোগ বরং জোরালো। যেসব অপঘটনা সরকারকে ইতোমধ্যে মোকাবিলা করতে হয়েছে, সেগুলোয় ক্ষমতাচ্যুতদের ইন্ধন ছিল বলেই অনেকের বিশ্বাস। এর কোনো কোনো ঘটনায় বিভিন্ন বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সত্যিকারের দাবিদাওয়া যে একেবারেই প্রকাশ পায়নি, তা কিন্তু নয়। সত্যিকারের দাবিদাওয়া মেনে নিতে সরকারের ভেতর থেকেও আপত্তি কম। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের ‘অতিসংবেদনশীলতা’ সংশ্লিষ্ট খাতে সমস্যা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠছে বরং। যেমন, গার্মেন্ট মালিকদের একাংশ মনে করছেন, শ্রমিকদের দাবি ঢালাওভাবে মেনে নেওয়ার প্রবণতা এ খাতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে। রপ্তানির মতো স্পর্শকাতর খাতে আবার বেশিদিন অরাজকতা চলতেও দেওয়া যায় না। আমাদের তো একগুচ্ছ রপ্তানি খাত নেই যে, একটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্যটি দিয়ে ক্ষতিপূরণ করা যাবে।
গত দুই মাসে সরকারের বড় সাফল্য হলো উন্নয়ন সহযোগী বলে পরিচিত দেশ ও সংস্থাগুলো থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বড় সাফল্য দেখিয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে আসা কোনো সরকারের প্রতি পশ্চিমাদের এত সমর্থনের ঘটনা কিন্তু খুব বেশি নেই। ক্ষমতাচ্যুতদের তরফ থেকে অবশ্য প্রচারণা রয়েছে যে, তাদের পতনের পেছনে ছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের ভূমিকা। রাজনীতিতে এভাবে অভিযোগ তুলে নিজেদের ক্ষমতাচ্যুতির প্রকৃত কারণ আড়াল করার চেষ্টা অবশ্য নতুন নয়। সবাই জানে, কেন ও কীভাবে তাদের এমন পতন ঘটেছে। কোনো সরকার জনগণের ইচ্ছায় দেশ চালালে এবং ন্যূনতম সুশাসন দিলেও ছাত্র-জনতার মধ্যে এত ক্রোধ জমা হওয়ার কথা নয়-যা একটি সাধারণ ইস্যু ঘিরে তার পতনই ত্বরান্বিত করবে। ভোটাধিকার হরণের সঙ্গে এদেশে যুক্ত হয়েছিল বাক্স্বাধীনতা হরণ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন, গুম-খুনের মতো ঘটনা। ব্যাংক লুট, মেগা প্রকল্প থেকে অর্থ আÍসাৎ এবং বিপুল অর্থ পাচারের ঘটনাও ঘটে। এর বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ ক্রোধে রূপান্তরিত হয়েছিল-এ বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ কি আছে?
এখন অন্তর্বর্তী সরকারের বড় কর্তব্য হলো জরুরি ক্ষেত্রে সংস্কার এগিয়ে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা, যার ভেতর দিয়ে একটি সরকার জনসম্মতিতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। বর্তমান সরকারের পেছনে যত জনসমর্থনই থাকুক; এটা তো নির্বাচিত সরকার নয়। একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে তাদের বরং দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জরুরি সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন দেওয়ার। তারা নিজেরাও একথা বারবার বলছেন। তবে সরকার কোন ক্ষেত্রে কতখানি সংস্কার করবে এবং কবে নাগাদ নির্বাচন, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। প্রধান উপদেষ্টা ছয়টি ক্ষেত্র সংস্কারে কমিশন গঠনের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার কার্যক্রম অবশ্য এরই মধ্যে এগিয়েছে। সরকার সংবিধান সংস্কারেও কমিশন গঠন করেছে, যারা খতিয়ে দেখবেন এর কোন কোন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়োজন। নাকি নতুন করেই সংবিধান লিখতে হবে? এটি অবশ্য স্পর্শকাতর বিষয় এবং এ নিয়ে গভীর বিতর্ক রয়েছে। অনেকেই কিন্তু মনে করছেন, সরকার অপ্রয়োজনীয় কিছু বিষয়ে গিয়ে পরিস্থিতি জটিল করছে। ইতোমধ্যে পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনে নেওয়া উদ্যোগ থেকে সরে আসতে হয়েছে সরকারকে। এসব কাজ নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে যাওয়াই ভালো, যারা ম্যান্ডেটের জোরে অনেক ‘বিতর্কিত কাজ’ও হয়তো করতে পারবে।
উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর যে সংলাপ এর মধ্যে হয়েছে, তাতে অবশ্য সংস্কার নিয়ে খুব একটা মতপার্থক্য নেই। রাজনৈতিক দলের বড় অংশই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের দিকে যেতে চাইছে, সেটাও স্পষ্ট। এ-ও ঠিক, কোনোরকম সংস্কার ছাড়া নির্বাচনের দিকে গেলে তা গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে যাবে না। যেনতেনভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতা হস্তান্তরও গ্রহণযোগ্য হবে না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যও তো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। নির্বাচনে ইসির বাইরে বিভিন্ন পক্ষের যে ভূমিকা থাকে, সেটা যথাযথ না হলেও নির্বাচন অনেক সময় বিতর্কিত হয়ে পড়ে। যেমন, নির্বাচনে জনপ্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য জনপ্রশাসন ও পুলিশকে নতুন করে গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। এ দুই ক্ষেত্রেই কিন্তু সংস্কার আনতে কমিশন গঠিত হয়েছে। পুলিশসহ গোটা প্রশাসনের বিরুদ্ধে রয়েছে দলবাজি, দুর্নীতি ও গণবিরোধী ভূমিকা গ্রহণের এন্তার অভিযোগ। অন্তর্বর্তী সরকার কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া বেসামরিক প্রশাসন থেকে এখনো যথেষ্ট সহায়তা পাচ্ছে না। এর বিপরীতে সেনাবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনী একনিষ্ঠভাবে সহায়তা জুগিয়ে যাচ্ছে সরকারকে। এটা সম্পূর্ণ নতুন পরিস্থিতি। সেনাবাহিনীকেও দলীয়করণ ও দুর্নীতিগ্রস্ত করার চেষ্টা কম করেনি বিগত সরকার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নেওয়া তাদের অবস্থানে বোঝা যায়, সেনাবাহিনীকে নষ্ট করতে পারেনি তারা। বাংলাদেশে রাজনীতিকদের ব্যর্থতায় গণতন্ত্রের যে সংকট উপস্থিত হচ্ছে, তাতে সেখান থেকে উত্তরণে সেনাবাহিনীর এ ভূমিকা গুরুত্বের সঙ্গেই আলোচিত হবে।
সেনাপ্রধান ইতোমধ্যে সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে একটি প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় অভিমত দিয়েছেন। এটাও বলেছেন, এ প্রক্রিয়ায় যে কোনো পরিস্থিতিতে তারা সরকারের পাশে থাকবেন। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অতঃপর বললেন, সেনাপ্রধান তার বক্তব্য দিয়েছেন। সবশেষে সরকার যে ঘোষণা দেবে, সেটাই চূড়ান্ত। দায়িত্ব গ্রহণের সময়ই প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, তারা কতদিন থাকবেন, সেটা নির্ধারিত হবে ‘রাজনৈতিক আলোচনা’য়। সে প্রক্রিয়া কিন্তু চলমান। দেশে সত্যি বলতে এমনই এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে কোনো কিছুই আগের মতো করে এগোবে না। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সবার মত এখানে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হবে। সেনাপ্রধানের মতও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। কী হতো যদি সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পুলিশের মতো আনুগত্য দেখিয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতি আচরণ করত? সেটা হতো আরও বিপর্যয়কর। তা এড়ানো গেলেও ইতোমধ্যে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সরকারের নিজেরও সেনাপ্রধানের মত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার কথা। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ স্বভাবতই এ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছে না। এটা তাদের ‘ঐতিহাসিক নিয়তি’। তবে আগামী নির্বাচনে তারা অংশ নিতে পারবে কিনা, সে প্রশ্ন রয়ে গেছে। জটিল এ প্রশ্নের নিষ্পত্তি কীভাবে হয়, সেটা অবশ্য কারও পক্ষেই বলা সহজ নয়। দেশে তাদের একটি সমর্থকগোষ্ঠী রয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণের কোনো একটা সুযোগ সৃষ্টির দাবিও আছে বৈকি। অন্তর্বর্তী সরকার এর নিষ্পত্তিতে কী ভূমিকা রাখে, সেটা দেখার জন্য এখন অপেক্ষা করতে হবে।
অপরাপর রাজনৈতিক দলও কিন্তু এ ব্যাপারে একমত নয়। তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, যা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে সব মহলে। পতনের মাত্র ক’দিন আগে হাসিনা সরকার কিন্তু জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল। অপকৌশল হিসাবেই এটা করা হয়েছিল, সন্দেহ নেই। এখন জামায়াত তাদের বিষয়ে কী বলে, সেটাও দেখতে হবে। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে যত অভিযোগই থাকুক; তাদের নিরপরাধ কর্মী-সমর্থকদের রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার কেড়ে নেওয়া সঠিক হবে কিনা, এ প্রশ্ন সামনে আরও জোরালো হবে। আর যেভাবেই হোক, আগামী নির্বাচনকে সফল করে তোলা চাই। জনগণ যেন বিপুলভাবে এতে অংশ নিয়ে দেশকে গণতান্ত্রিক উত্তরণের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাতে যারাই ক্ষমতায় আসুক, তারা রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র, সুশাসন ও জনস্বার্থ রক্ষার পক্ষে থাকবে বলেই আশা করা যায়। সেই পথ তৈরি আর তা প্রশস্ত করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই।
হাসান মামুন : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক