জ্বালানির দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে

ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
-66f1ea034430d.jpg)
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। ফলে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর বিপণন ব্যবস্থায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ১২টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত সংস্থা অয়েল অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যাপক মূল্যহ্রাসের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সংস্থাটি মনে করছে, ২০২৪-২০২৫ সালে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা আরও কমতে পারে। গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ৬৭ দশমিক ৬৮ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে। অচিরেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার বা এরও নিচে নেমে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২১ সালের পর বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আর কখনোই ৭০ ডলারের নিচে নামেনি। এমনকি গত এপ্রিলেও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ৯০ ডলারে বিক্রি হচ্ছিল।
সেই সময় অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থা বিদ্যমান থাকলে আগামীতে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমতে পারে।
কোভিড মহামারি চলাকালে একপর্যায়ে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে কমে গিয়েছিল। সেই সময় কিছুদিন ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ২০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন বিপর্যস্ত হয়ে জ্বালানি তেলের ডিমান্ড-সাপ্লাই ব্যবস্থা সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং একপর্যায়ে বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১৩৯ ডলারে উন্নীত হয়েছিল।
এখন প্রশ্ন হলো, আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের বাজারে এমন অস্থিরতা কেন তৈরি হচ্ছে? আর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম এতটা হ্রাস পাওয়ার কারণই বা কী? প্রধান তেল উৎপাদনকারী অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা তেলের দামকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যখন এ উত্তেজনা প্রশমিত হয়, সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়, ফলে দাম কমে যায়। উদাহরণস্বরূপ, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের সমাধান বা প্রধান তেল উৎপাদকদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ফলে বাজারের স্থিতিশীলতা এবং দাম কমতে পারে, যা বর্তমানে দৃশ্যমান নয়।
বিশ্বব্যাপী কয়েকটি সেক্টরে সামরিক সংঘাত চলছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখনো থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মধ্যপ্রাচ্যব্যাপী তীব্র সংঘাত চলছে এবং ক্রমান্বয়ে এ সংঘাতের ব্যাপকতা বাড়ছে। এ অবস্থায় রাশিয়া, ইউক্রেন ও আরব দেশগুলোর তেল উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
যুদ্ধ অথবা যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হলে সমাজে নানা ধরনের প্রভাব পড়ে এবং সংঘাতকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং বিলাসী পণ্যের চাহিদা কমে যায়। বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে ইরান ও রাশিয়া অন্যতম। যুদ্ধাবস্থার কারণে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। ফলে এসব দেশ সরাসরি আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল রপ্তানি করতে পারছে না।
যখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে যায়, শিল্পকারখানা কম শক্তি খরচ করে, তখন তেলের চাহিদা কমে যায়। নবায়নযোগ্য শক্তির অগ্রগতি, শক্তি দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনার উন্নতি বা বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রচলনের মতো কারণগুলোও তেলের চাহিদা কমিয়ে মূল্য হ্র্রাস ঘটাতে পারে। অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে তেলের বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাস পায়, কারণ শিল্পকারখানা উৎপাদন হ্রাস করে এবং ভোক্তারা ভ্রমণ ও শক্তির ব্যয় হ্রাস করে। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট এবং কোভিড-১৯ মহামারি উভয় ক্ষেত্রেই চাহিদা হ্রাসের কারণে তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছিল।
বিকাশমান অনেক দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জ্বালানি তেলের উৎপাদন, মজুত ও ব্যবহারের ওপর নির্ভরশীল। চলমান যুদ্ধ ও সংঘাতে জর্জরিত বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দাভাবের কারণে অনেক দেশই জ্বালানি তেলের আমদানি ও মজুত কমিয়ে দিয়েছে। বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হচ্ছে চীন। চীন কী পরিমাণ জ্বালানি তেল ক্রয় করবে, তার ওপর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেকাংশে নির্ভর করে।
ইদানীং চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে কিছুটা স্থবিরতা বিরাজ করছে। ফলে দেশটির প্রবৃদ্ধির গতি কিছুটা কমে গেছে। গত বছরের প্রথমভাগে চীন যে পরিমাণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ক্রয় করেছিল, এ বছর প্রথম ভাগে তার চেয়ে অনেক কম পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার কারণে চীন জ্বালানি তেলের মজুত কমিয়ে দিয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
জিওপলিটিক্সের কারণেও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে পারে। অনেক সময় অর্থনৈতিকভাবে উন্নত কোনো কোনো দেশ জ্বালানি তেল আমদানি ও ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার ফলে তেলের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়। এতে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও সরবরাহকারী দেশগুলো বিপাকে পড়ে যায়। বর্তমানে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের যে ব্যাপক দরপতন লক্ষ করা যাচ্ছে, তার পেছনে জিওপলিটিক্স থাকতে পারে।
বড় বড় জ্বালানি তেল উৎপাদক দেশ একজোট হয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সরবরাহ বৃদ্ধি করে দরপতন ঘটাতে পারে। এ অবস্থায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্বালানি তেল উৎপাদক দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে বৃহৎ জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো উৎপাদন কমিয়ে কৃত্রিমভাবে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়িয়ে দেয়।
তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো, বিশেষ করে ওপেক বা ওপেক+ দেশগুলো বাজারের গতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন তারা উৎপাদন বাড়ায়, তখন এটি বাজারকে অতিরিক্ত সরবরাহের দিকে নিয়ে যায়, ফলে তেলের উদ্বৃত্তের কারণে দাম কমে যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ওপেক এবং ওপেকবহির্ভূত জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমিয়ে দিয়ে দরপতন রোধ করার চেষ্টা করতে পারে। এতে তাদের জ্বালানি তেলের রিজার্ভ অটুট থাকবে। ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের উন্নয়ন কার্যক্রম মন্থর করতে বাধ্য হয়।
এতে বিশ্ব ও স্থানীয় অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তেল উত্তোলন কৌশলের উন্নতি, যেমন-ফ্র্যাকিং ও আনুভূমিক ড্রিলিং, তেল উৎপাদন সহজ ও সস্তা করে তোলে। এটি সরবরাহ বাড়াতে পারে, যা ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে মেলে না, ফলে দাম হ্রাস পায়। তেলের দাম বিনিয়োগকারীদের মনোভাব দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। যদি ব্যবসায়ীরা বিশ্বাস করেন, ভবিষ্যতে চাহিদা কমবে বা সরবরাহ বাড়বে, তাহলে তারা তেলের ভবিষ্যৎ চুক্তি বিক্রি করতে পারে, যার ফলে দাম কমে যেতে পারে।
পরিবেশবান্ধব শক্তির দিকে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকে পড়া এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়া তেলের দীর্ঘমেয়াদি চাহিদা হ্রাসের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা দাম হ্রাসে অবদান রাখতে পারে।
প্রশ্ন হলো, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যাপক দরপতন অভ্যন্তরীণ বাজারে কেমন প্রভাব ফেলবে? আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্থানীয় বাজারেও কি জ্বালানি তেলের দাম আনুপাতিকভাবে হ্রাস পাবে? এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কারণ আমাদের স্থানীয় বাজার সবসময় আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে না। প্রায়ই দেখা যায়, বিশ্ববাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে তাৎক্ষণিকভাবে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যটির মূল্য বৃদ্ধি করা হয়। যদিও পণ্যটি হয়তো আগেই আমদানি করা ছিল। তারপরও আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে স্থানীয় বাজারে পণ্যটির দাম বাড়ানো হয়।
কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের মূল্য হ্রাস পেলে স্থানীয় বাজারে সেই পণ্যটির দাম কমাতে বিলম্ব করা হয়, অথবা দাম কমানো হলেও সামান্য পরিমাণই কমানো হয়। কথিত আছে, আমাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে একাধিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৎপর থাকে, যারা সবসময়ই শক্তিশালী বলয়ের আশ্রয়-প্রশয়ে তাদের তৎপরতা চালিয়ে থাকে। ফলে তাদের প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা কঠিন হয়। আর সংশ্লিষ্ট মহল কখনোই বাজারে সিন্ডিকেট তৎপর থাকার সত্যটি স্বীকার করতে চায় না। বাস্তব অবস্থার আলোকে
এটা বলা যেতে পারে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হ্রাস পেলেও স্থানীয় বাজারে এর খুব একটা প্রভাব পড়ে না। আর অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানি তেলের দাম হ্রাস পেলেও এর পরিমাণ হবে খুবই সামান্য।
আগে জ্বালানির (তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ) মূল্যবৃদ্ধির আগে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গণশুনানির ব্যবস্থা করত। গণশুনানিতে অংশীজনরা তাদের মতামত উপস্থাপনের সুযোগ পেতেন। কিন্তু কিছুদিন আগে বিইআরসির উদ্যোগে আয়োজিত গণশুনানির মাধ্যমে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বাধ্যবাধকতা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে জ্বালানি মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে অংশীজনদের মতামত প্রদানের সুযোগ রহিত হয়ে গেছে।
এখন সরকার চাইলে যে কোনো সময় যে কোনো পরিমাণে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করতে পারে। অভ্যন্তরীণ বাজারে সর্বশেষ মূল্যবৃদ্ধির পর আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ কয়েকবার জ্বালানি তেলের দাম হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু সেই মোতাবেক অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়নি। অনেক সময় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম হ্রাস পেলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য না কমানোর যুক্তি হিসাবে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন লোকসান দিচ্ছে এবং জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, তাই দাম কমানো যাচ্ছে না। জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দেওয়ার কারণে যে পরিমাণ অর্থের অপচয় হয়, তা প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও সমন্বয় ঘটিয়ে রহিত করা সম্ভব।
দেশের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে, সে জন্য নানা কারণকে দায়ী করা হচ্ছে। কিন্তু এ মূল্যস্ফীতির পেছনে যে জ্বালানি পণ্যের উচ্চমূল্য অনেকটাই দায়ী, তা বিবেচনায় নেওয়া দরকার।
জ্বালানি পণ্যের বাজারজাতকরণ বা মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কোনো সিন্ডিকেট কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। রাজনৈতিক সরকার নানা কারণেই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। কিন্তু বর্তমানে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করছে। তারা চাইলেই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। জ্বালানি পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে। তা না হলে গণদুর্ভোগ বৃদ্ধি পাবে। উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সার্বিকভাবে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিঘ্নিত হবে।
ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা : প্রফেসর, ভূতত্ত্ব বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
(অনুলিখন : এম এ খালেক)