শতফুল ফুটতে দাও
এসব অপরাধের বিচার হবে কি?
ড. মাহবুব উল্লাহ্
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
পাকিস্তানে গণতন্ত্রের অবরুদ্ধ দশা নতুন কোনো কাহিনি নয়। দেশটিতে জনগণ বিভিন্নভাবে গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য লড়াই করে চলছে। পাকিস্তানে দৃশ্যত যখন ‘নির্বাচিত’ সরকার ক্ষমতায় থাকে, তখনো অদৃশ্য সামরিকতন্ত্র জারি থাকে। পাকিস্তানের এ সমস্যা নিয়ে এর এক সময়কার প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) নেতা নওয়াজ শরিফ ডিপ স্টেটের কথা বলেছিলেন। অর্থাৎ রাষ্ট্রের গভীরেও একটি রাষ্ট্র রয়েছে, যে রাষ্ট্র নেপথ্য থেকে কলকাঠি নাড়ে, জোর-জবরদস্তি চালায় এবং ঘটনাচক্রে বিদ্যমান সরকারের পতন ঘটায় এবং ভিন্ন একটি সরকারকে ক্ষমতার কুরসিতে বসায়। পাকিস্তানে জেনারেল পারভেজ মোশাররফই ছিলেন সর্বশেষ প্রকাশ্য সামরিক শাসক। এরপর থেকে সামরিকতন্ত্র নানাভাবে হস্তক্ষেপ করে আসছে। ভোটের ফলাফল প্রভাবিত করা থেকে শুরু করে বহু ধরনের গর্হিত কাজে এ সামরিকতন্ত্র জড়িত। কেউ কেউ মনে করেন, এভাবে দেশের রাজনীতির ওপর ডিপ স্টেট বা লুকায়িত সামরিকতন্ত্র হস্তক্ষেপ চালিয়ে যেতে থাকলে পাকিস্তান রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে। সাম্প্রতিককালে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে পাকিস্তানের ফেডারেল সরকারের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য হেন অপকৌশল নেই, যা পাকিস্তানের ডিপ স্টেট অবলম্বন করেনি। ইমরান খানকে এবং তার দলের অনেক নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে কিছু মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে এবং কিছু মামলায় অভিযুক্তদের খালাস দেওয়া হয়েছে। ইমরান খান এখনো বন্দি আছেন। তার স্ত্রীকেও অবৈধ বিয়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একই অভিযোগ ইমরান খানের বিরুদ্ধেও ছিল। আদালত থেকে স্বামী-স্ত্রী দুজনই এ অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন। কথা আছে, ইমরান খান যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে বরিত হয়েছিলেন, তখনো এতে ডিপ স্টেটের খেলা জড়িত ছিল। ইমরান খান অনুক্তভাবে মার্কিনবিরোধী অবস্থান গ্রহণের ফলে মার্কিনিরা ডিপ স্টেটের ওপর প্রভাব খাটিয়ে ইমরান খানকে কৌশলে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে। ইমরান খান মার্কিনিদের এ হস্তক্ষেপ সম্পর্কে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন তথা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। ইমরান খানকে কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য পাকিস্তানি জনগণ দীর্ঘসময় আন্দোলন করে আসছে। এসব আন্দোলনে ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে এখনো নিশ্চিত নয়, কবে ইমরান খান কারামুক্ত হবেন। তার দলের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন অব্যাহত আছে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপ্লস পার্টি কোয়ালিশন সরকার এ নির্যাতনের দায় বয়ে বেড়াচ্ছে। এটা তাদের রাজনীতির জন্য শুভকর নয়।
হামিদ মীর পাকিস্তানের একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক। তিনি কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এগুলো সমসাময়িক রাজনীতিবিষয়ক গ্রন্থ। তিনি পাকিস্তানের দৈনিক জং পত্রিকায় উর্দু ভাষায় কলাম লেখেন। সম্প্রতি তিনি পাকিস্তানের রাজনীতির ওপর ‘কিছু রাজনীতিবিদ জেগেও স্বপ্ন দেখেন’ শিরোনামে একটি কলাম লিখেছেন। এ কলামটির বাংলা অনুবাদ দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা অনুবাদটি আমার সামনে না থাকলে আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব ছিল না, হামিদ মীর কী লিখেছেন। কারণ আমি উর্দু জানি না। তার কলামের অনুবাদ থেকে জানা যায, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির কয়েকজন সংসদ-সদস্যের মুখ থেকে তাদের স্বপ্নের কথা শুনেছেন। তাদের স্বপ্নের মধ্যে মিশ্রিত আছে ঘৃণা-প্রতিশোধের আকাঙ্ক্ষা। তারা পার্লামেন্টে কিছু প্রস্তাব রাখতে চান। পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ১০ জন সাংবাদিক নিহত হওয়া ও তাদের হত্যার বিচারের দাবিও এসব প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত হবে। তেহরিক-এর সংসদ-সদস্যরা হামিদ মীরের সঙ্গে ১০ জন সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনা আলোচনা করতে গিয়েছিলেন।
আলোচনায় পার্লামেন্টের ভেতর থেকে তেহরিকের সংসদ-সদস্যদের গ্রেফতারের প্রসঙ্গ এসেছিল। প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যায়, একটি দেশের পার্লামেন্ট থেকে সংসদ-সদস্যদের গ্রেফতার এক নজিরবিহীন ঘটনা। এক তরুণ সংসদ-সদস্য ৯ সেপ্টেম্বর বিকালের কথা জানাতে গিয়ে বলেছেন, জানতে পারলাম যে, পুলিশ পার্লামেন্ট ভবনের দরজা আটকে আমাদের আটক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি হাঁটতে হাঁটতে দরজার দিকে গেলাম। কে যেন আমাকে দেখিয়ে পুলিশকে বলল, ‘এই যে ইনিও তেহরিক-ই-ইনসাফের সংসদ-সদস্য।’ আমার দিকে তাকিয়ে পুলিশ গুরুত্ব দিল না। আমাদের তরুণ সদস্য পুলিশকে গিয়ে বললেন, ‘আমাকে গ্রেফতার করছেন না কেন?’ পুলিশ কর্মকর্তা খুব বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘তোমাকে দেখে তো সংসদ-সদস্য মনে হচ্ছে না। সংসদ-সদস্য কি জিন্স আর টি-শার্ট পরে অ্যাসেম্বলিতে থাকে?’ জবাব শুনে এমএনএ সাহেব হেসে ধীরে ধীরে পার্লামেন্টের গেট দিয়ে বের হয়ে এলেন বাইরে। কথোপকথনের এ অংশটি হুবহু হামিদ মীরের লেখার বাংলা অনুবাদ থেকে নেওয়া হয়েছে।
এ সংসদ-সদস্য নিজের অ্যাপার্টমেন্টে এসে খাইবার পাখতুন খাওয়ার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু যোগাযোগ করা সম্ভব হলো না। উল্লেখ্য, খাইবার পাখতুন খাওয়া প্রদেশে তেহরিক-ই-ইনসাফের সরকার ক্ষমতায় আছে। যোগাযোগ করা সম্ভব হলে পেশোয়ার থেকে ইসলামাবাদ পর্যন্ত লংমার্চের প্রস্তাব রাখা যেত। রাত ১২টার পর একজন সংসদ-সদস্য পার্লামেন্ট ভবনের ভেতর থেকে ফোন করে জানালেন, তিনি এ ভবনে আটকা পড়েছেন। একদল মুখঢাকা লোক ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। ততক্ষণে পার্লামেন্ট লজে অবস্থান করা কয়েকজন এমএনএ তাদের অ্যাপার্টমেন্টের ব্যালকনিতে এসে দাঁড়িয়েছেন। মোবাইল ফোনে তারা ভিডিও করার চেষ্টা করছিলেন। মুখঢাকা লোকদের দেখা যাচ্ছিল। তখনই হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল এবং পার্লামেন্ট ভবন অন্ধকারে নিমজ্জিত হলো। মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় শুধু কতগুলো ছায়ামূর্তি দেখা গেল মাত্র। তাদের কোনো চেহারা নেই, পরিচয় নেই। এ ছায়ামূর্তিরা নতুন ইতিহাস গড়ল। ওরা সংসদ-সদস্যদের টেনেহিঁচড়ে তাদের নিয়ে আসা কালো গাড়িতে তুলল। ভোরের আলো ফোটার আগেই এ অপারেশন নিষ্পন্ন হলো।
অধিকাংশ সংসদ-সদস্য এ নজিরবিহীন ঘটনায় বিমর্ষ হয়ে পড়েছিল। হামিদ মীরের সঙ্গে যারা দেখা করতে এসেছিলেন, তাদের বিমর্ষভাব প্রতিশোধস্পৃহায় রূপান্তরিত হলো। একজন এমএনএ ভয়ানক থমথমে কণ্ঠে বললেন, ‘মনে রাখবেন, সময় আমাদেরও আসবে। আমাদের ওপর যা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশিই পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
এমএনএর বক্তব্য শুনে হামিদ মীর বিস্মিত হলেন এবং ব্যাপারটি বুঝতে চাইলেন। ওই এমএনএ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুরে বললেন, ‘মানলাম, ইমরান খানের আমলে মুসলিম লীগের (এন) লোকদের ওপর মামলা দিয়ে ওদের জেলে পাঠানো হয়েছিল। মুসলিম লীগওয়ালারা এমন কিছু করলে হিসাব সমান সমান হয় যেন। কিন্তু এরা তো আমাদের পরিবার-পরিজন, সন্তানদেরও ছাড় দিচ্ছে না। আর শেষে আমাদের সংসদ ভবন থেকে টানতে টানতে তুলে নিয়ে গ্রেফতার করা হলো। আমরা ওদের রাস্তা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাব।’
সাম্প্রতিক ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী গ্রেফতারের জন্য নির্দিষ্ট করা ব্যক্তিদের খুঁজে না পেয়ে তাদের আপনজন ও আত্মীয়-স্বজনদের গ্রেফতার করে, রিমান্ডে পাঠায়। একে আর যাই হোক আইনের শাসন বলা যায় না। একজনের অপরাধের জন্য অন্যজনকে গ্রেফতার কিংবা অন্য কোনো রকমের নিপীড়ন আইনের শাসনের ভয়ংকর ব্যত্যয়। শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রায়ই এমন ধরনের এবং এর চেয়েও ভয়াবহ নিপীড়ন-নির্যাতন করা হতো। পাকিস্তানিদের গণতান্ত্রিক ধারার অনুশীলনে মারাত্মক ব্যত্যয়ের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। পাকিস্তানেও গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি বর্বর অপরাধ ঘটেই চলেছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে কত কম বা বেশি সভ্যতাবর্জিত অন্ধকারের পথে গেছে, তার তুলনা অনেকটাই অর্থহীন মনে হয়। কেন এমনটি হচ্ছে, তা নিয়ে কোনো গভীর গবেষণা নেই। ফলে আমরা উপলব্ধির জগতে বিমূঢ় হয়ে বসে আছি।
হামিদ মীর সংক্ষুব্ধ পাকিস্তানি এমএনএদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন, তারা তো প্রতিশোধের স্বপ্ন দেখছেন। তিনি আরও বললেন, স্পিকার এভাবে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন। হামিদ মীর ভাবতে চাইলেন তেহরিক-ই-ইনসাফের তরুণ এমএনএ সাহেব ইঙ্গিত করছিলেন যে, এ গ্রেফতার কাণ্ড পুলিশ ঘটায়নি। ঘটিয়েছে ‘অজ্ঞাতনামা’ কোনো বাহিনী, যার কথা সবাই জানে। এদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত হবে না।’
পাকিস্তানে অগণতান্ত্রিক ও নিপীড়নমূলক যেসব ঘটনা ঘটে, তার জন্য যখন যারা বিরোধী দলে থাকে তারা ‘অজ্ঞাতনামা’ বাহিনীকে দায়ী করে। এ অজ্ঞাতনামা বাহিনী আসলে পাকিস্তানের ডিপ স্টেট। এদের এক সময় মুসলিম লীগ নেতা নওয়াজ শরিফও দায়ী করেছিলেন, যা ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে। বারবার এমন অভিযোগের পুনরাবৃত্তি হওয়ায় পাকিস্তানের রাষ্ট্র কাঠামোর ভঙ্গুরতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হয়। পাকিস্তানের আণবিক অস্ত্র দখলের জন্য আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা মনে করে পাকিস্তানের আণবিক অস্ত্রভান্ডার ইসলামী জঙ্গিদের করতলগত হতে পারে। আসলে এ ব্যাপারে অবশ্যই সন্দেহ করা যায়। বর্তমান পাকিস্তান, খোদা না করুক, ভেঙে পড়লে উপমহাদেশের পশ্চিমাঞ্চল, আফগানিস্তান, ইরান ও মধ্য এশিয়ায় ভয়াবহ অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে। এমন অস্থিরতা কোনো শান্তিকামী মানুষের কাম্য হতে পারে না। হামিদ মীর মনে করেন, মুসলিম লীগ (এন) যদি পার্লামেন্টে গ্রেফতার অভিযানে মন্দ পরিণাম থেকে বাঁচতে চায়, তাহলে তাদের উচিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে ১০ সেপ্টেম্বরের ঘটনা নিয়ে যে তাদের কোনো দায় নেই, তা কঠোর তদন্ত করে প্রমাণ করা। গত বছর পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ও সিনেট সংসদ অবমাননা নিয়ে একটি আইন পাশ করেছে। সংসদ-সদস্যদের হেনস্তা করা ও টেনেহিঁচড়ে গ্রেফতার করা নিশ্চয়ই সংসদের অবমাননার শামিল। অবমাননা প্রমাণিত হলে এ আইন অনুযায়ী ন্যূনতম ৬ মাস কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এ সাজার আদেশ পার্লামেন্টের বিশেষ কমিটিই দিতে পারে। এ কমিটিতে সরকার ও বিরোধী দলের প্রতিনিধি রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কমিটি এ অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত যে কাউকে তলব করতে পারবে। নিজের পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে কোনো মিথ্যা বললে তা-ও সংসদ অবমাননার আওতায় পড়বে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তার শুনানি হবে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার বা সেনেট চেয়ারম্যানের সামনে। বাংলাদেশে সংসদ অবমাননার জন্য এ ধরনের কোনো আইন নেই। যদিও অন্যভাবে পরোক্ষে অবমাননার বিচার হতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে সাংবিধানিক সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এ সংস্কারের অধীনে সংসদ অবমাননার জন্য একটি আইন প্রণয়নের সুপারিশ করা যেতে পারে।
পাকিস্তানের প্রেক্ষাপটে হামিদ মীরের অভিমত হলো, ১০ সেপ্টেম্বরের ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশকে কষ্ট দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। সংসদ অবমাননার জন্য কমিটি বানিয়ে নিজেদের বানানো আইন নিজেরাই প্রয়োগ করাই শ্রেয়। একে-অপরের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের আগুন জ্বালানোর চেয়ে প্রয়োজন নিজেদের তৈরি আইন নিজেরাই প্রয়োগ করে দেখানো। তবে আমার সন্দেহ আছে, অপরাধীদের আদৌ শনাক্ত করা সম্ভব হবে কিনা। কারণ তারা মুখে কালো কাপড় বেঁধে এসেছিল। তাদের নাম জানা যায়নি, পরিচয়ও নয়।
বাংলাদেশে সংসদ-সদস্য জয়নুল আবেদীন ফারুককে সংসদের সামনে পরিধেয় বস্ত্র ছিন্নভিন্ন করে এক পুলিশ কর্মকর্তা দারুণ অপমান করেছিলেন। এর কোনো বিচার হয়নি। সদ্যপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্বাধীনতার আমলে এর বিচার কি হবে?
ড. মাহবুব উল্লাহ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ