শিক্ষা সংস্কারের একটি বিশেষ দিক

ড. এম এল আর সরকার
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

শিক্ষা সংস্কারের একটি বিশেষ দিক
শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ-এ কথাটি আমরা সবাই সবসময়ই বলি। কিন্তু এদের কল্যাণার্থে আমরা আসলে কিছুই করছি না। কিছু ভাগ্যবান ছাড়া প্রায় সব শিক্ষার্থী অনেকটা অবহেলা বা অবজ্ঞার মধ্য দিয়েই শিক্ষাজীবন শেষ করছে। শিক্ষার্থীদের কী প্রয়োজন, কেন প্রয়োজন, কীভাবে তাদের প্রয়োজন পূরণ করা সম্ভব, তা কোনোকালেই রাষ্ট্রের প্রধান বিবেচ্য বিষয় হিসাবে পরিগণিত হয়নি। অথচ এ শিক্ষার্থীরাই ভাষার জন্য, দেশের স্বাধীনতার জন্য, বৈষম্যের অবসানের জন্য জীবন দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের কাছে জাতি নানাভাবে ঋণী। দুঃখজনক হলো, তাদের রক্তের বিনিময়ে তারা কিছুই পায়নি। আন্দোলন শেষ হয়, দেশ চলে দেশের মতো। শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুই হয় না। কিছুই হয় না বলা হয়তো ভুল হবে। আসল কথা হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা এটা চায়, ওটা চায়; কিন্তু নিজেদের জন্যও যে কিছু চাইতে হবে তা তারা ভুলে যায়। এবার শিক্ষার্থীরা সরকারের সঙ্গে যুক্ত আছে এবং অনেক নীতিনির্ধারণী বিষয়েও তারা মতামত দিচ্ছে। কিন্তু তারপরও শিক্ষার্থীদের যে সমস্যাগুলো আছে, তা সমাধানে এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। এ লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মনে করিয়ে দেওয়া, শুধু দেশের সমস্যার সমাধান নয়, তাদের সমস্যারও সমাধান প্রয়োজন।
সিট ও খাবার মান : শিক্ষার্থীদের প্রধান সমস্যাগুলোর অন্যতম হচ্ছে হলের সিট সমস্যা। এ সিট সমস্যাকে কেন্দ্র করেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে ছাত্ররাজনীতি। মারামারি, কাটাকাটি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি যত ধরনের অন্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়, তার প্রায় বেশিরভাগই সংঘটিত হয় সিট সমস্যাকে কেন্দ্র করে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া হলে গাদাগাদি করে থাকা অথবা মেসের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকাই হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য অমেঘ পরিণতি। পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তবুও থাকার কিছু ব্যবস্থা আছে, কিন্তু নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা দূরের কথা, ক্লাস করার জন্য পর্যাপ্ত রুম পর্যন্ত নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর খাবারের মান বলে কিছু নেই। দীর্ঘদিন থেকেই চলছে অপুষ্টিকর খাবার পরিবেশনার প্রতিযোগিতা। দিন দিন খাবারের মান কমছে এবং খাবারের মূল্য বাড়ছে। অনেক সময়ই শিক্ষার্থীরা এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছে, অনেক অনাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু খাবারের মান বৃদ্ধি পায়নি এবং মূল্যও কমেনি। অতীতে শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য সাবসিডির ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বর্তমানে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় সেই সাবসিডির ব্যবস্থা নেই বা থাকলেও আছে নামমাত্র। ফলে আমাদের সন্তানদের জন্য মানসম্মত খাবার শুধু স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে।
বৃত্তি ও শিক্ষা ঋণ : মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত এবং অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য শিক্ষা বৃত্তি অত্যন্ত প্রয়োজন। বিশ্বের অন্যান্য দেশে মেধাবীদের পাশাপাশি অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তাদের পরিবারের আর্থিক সংগতির ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদান করা হয়। আমাদেরও বৃত্তির ব্যবস্থা আছে, তবে বৃত্তির সংখ্যা এবং বৃত্তির পরিমাণ অতি সামান্য। বৃত্তির পাশাপাশি উন্নত বা উন্নয়নশীল বিশ্বে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য বিনাসুদে শিক্ষা ঋণের ব্যবস্থা আছে, যা চাকরি পাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা কিস্তিতে পরিশোধ করে। আমি যে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জিপিএ ৩.২৫ পেলে শিক্ষা ঋণ মওকুফ করা হতো। আমাদের দেশে এরূপ কোনো ব্যবস্থা নেই।
উচ্চ টিউশন ফি : সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করছে তারা ভাগ্যবান; কারণ তাদের খুব সামান্য টিউশন ফি দিতে হয়। কিন্তু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষে সব যোগ্য শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য সুযোগ প্রদান করা সম্ভব নয়। ফলে অনেক শিক্ষার্থীকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উদ্দেশ্য যদিও মানবতার কল্যাণ, কিন্তু টিউশন ফি দেখে মনে হয়, অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যটি যথেষ্ট মাত্রায় বেশি। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর টিউশন ফি তো বলা চলে আকাশচুম্বী। কেন এত টিউশন দিতে হবে তার কোনো উত্তর নেই? তবে উচ্চ টিউশন ফির টাকায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দর সুন্দর অট্টালিকা গড়ছে এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের বা অন্যদের জন্য নতুন মডেলের গাড়ি ক্রয় করছে। কিন্তু টিউশন ফি কমানোর কোনো কথা নেই। অতীতে টিউশন একটি সহনশীল পর্যায়ে আনা যায়নি, তবে এ ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার সময় এখন এসেছে।
ইন্টার্নশিপ ও ট্রেনিং : উন্নত বা উন্নয়নশীল বিশ্বের শিক্ষার্থীরা গ্রীষ্মকালীন অবকাশের তিন মাস নানা ধরনের কাজ করে। দ্বিতীয় বছর থেকে তাদের ইন্টার্নশিপ করতে হয় এবং কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বছরে ইন্টার্নশিপ করা অনেকটা বাধ্যতামূলক। আমাদের দেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্নশিপ করানোর নিয়ম আছে এবং কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ প্রদান করে। তবে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বড় বড় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ করানোর ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকরা এবং শিল্পগোষ্ঠীর হর্তাকর্তারা প্রায় বলে থাকে, আমরা উপযুক্ত লোক পাচ্ছি না, বিদেশ থেকে দক্ষ লোক আনতে হচ্ছে; আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যসূচি ঠিক নেই, পরিবর্তন করতে হবে। আমি দুটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা এবং শিক্ষকতা করেছি। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, আমাদের পাঠ্যসূচি কোনোভাবেই ফেলনা নয়, বরং যথেষ্ট আধুনিক। সমস্যা হচ্ছে, ভালো শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতেই বেশি আগ্রহী এবং শিল্প-কলকারখানার মালিকরা উপযুক্ত পরিবেশ এবং সম্মান দিয়ে ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতেও কিছুটা অনাগ্রহী। ফলে শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট পড়াশোনা করার পরও বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন ব্যর্থ হচ্ছে।
বেকার ভাতা এবং চাকরির আবেদন ফি : বেকারত্বের অভিশাপ যে কী, তা একমাত্র বেকার শিক্ষার্থীরাই বুঝতে পারে। বেকাররা সবার কাছেই গলগ্রহ। কারও কাছেই এদের সম্মান বা মর্যাদা নেই। চাকরিতে প্রবেশের পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে কিছু ভাগ্যবান শিক্ষার্থী ছাড়া প্রায় সবাইকে এ বেকারত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে হয়। এ সময় নিদারুণ এক অসহায়ত্ব অনেককে গ্রাস করে। অনেক শিক্ষার্থী এ কড়াল গ্রাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিপথেও ধাবিত হয়। এ অসহায় মুহূর্তে একটু রাষ্ট্রীয় সহায়তা অথবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম চাকরির ব্যবস্থা বেকারদের জন্য হবে একটি পরম প্রাপ্তি।
বেকার শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনা প্রকট আকার ধারণ করে, যখন তাদের অভিভাবকের কাছ থেকে চাকরির আবেদন ফি এবং ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য দিনের পর দিন টাকা চাইতে হয়। এমন যদি হতো, একটি আবেদন করলেই চাকরি হবে, তা হলে কোনো কথা ছিল না। কিন্তু যখন একটার পর একটা চাকরির আবেদন করতে হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই অভিভাবকরা নানা ধরনের প্রশ্ন করে-আর কত দিন লাগবে, আগের আবেদনের কী হলো, ভালো করে চেষ্টা করছ তো? এসব প্রশ্নের উত্তর একজন বেকারের জন্য খুবই পীড়াদায়ক। তারপরও বেকারদের উত্তর দিতে হয় এবং সব মান-অভিমান জলাঞ্জলি দিয়ে টাকার জন্য অভিভাবকদের কাছে ধরনা দিতে হয়। চাকরির জন্য আবেদন ফি গ্রহণ বেকারদের প্রতি একটি জুলুম ছাড়া কিছুই নয়। এটি বিলুপ্ত হওয়া প্রয়োজন।
কর্মসংস্থান ঋণ : আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আছে, যারা চাকরি করতে চায় না বা শেষ পর্যন্ত চাকরি পায় না। এ শিক্ষার্থীদের দলভিত্তিক তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কর্মসংস্থান বা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনাসুদে বা অতি অল্পসুদে ঋণ প্রদান করা হলে অনেক বেকারই হয়তো নতুন জীবন খুঁজে পাবে। আমাদের ব্যাংকগুলো হাজার হাজার কোটি টাকা কিছু কোম্পানিকে ক্রমাগত ঋণ হিসাবে দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বেকারদের জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে যে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে বা বেকার সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে, সে বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ অদ্যাবধি নেওয়া হয়েছে কিনা তা জানা নেই।
বিদেশে উচ্চ শিক্ষা সহায়তা : আধুনিক যুগের অনেক নতুন নতুন টেকনোলজি, তথ্য বা উপাত্ত সম্পর্কে আমাদের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি পূরণে একটি উপায় হলো, উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ গমন। আমাদের দেশে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছে। এদের একটু সহায়তা করলে এরা অনায়াসে বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারবে এবং কেউ না কেউ ফিরে আসবে। মেধা আছে, মেধা আছে বলে বসে থাকলে কোনো কাজই হয় না। মেধার বিকাশের জন্য সঠিক স্থান প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশ তাদের শিক্ষার্থীদের বিদেশে পাঠিয়ে জ্ঞানবিজ্ঞানে উন্নতি লাভ করছে। বিগত দশকে চীনও ব্যাপক হারে তাদের শিক্ষার্থীদের ইউরোপ, আমেরিকার উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠিয়ে তাদের দেশকে জ্ঞানবিজ্ঞানে সমৃদ্ধ করছে। আমরা শুধু শ্রমিক পাঠিয়েই আনন্দে আছি, কিন্তু মেধাবীদের পাঠানোর কোনো চিন্তাই করছি না।
টার্গেট সেল : এক ধরনের কোম্পানি আছে যারা বেকার শিক্ষার্থীদের ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের নিুমানের পণ্য বা সেবা প্রেসার সেল বা টার্গেট সেলের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করে। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, কিছু হায় হায় কোম্পানি এভাবে বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের স্বার্থসিদ্ধি করছে। পণ্য বা সেবার প্রচার করার অধিকার অবশ্যই কোম্পানিগুলোর থাকবে। কিন্তু টাকার লোভ দেখিয়ে বেকারদের মাধ্যমে নিুমানের পণ্য বা সেবা বিক্রির অধিকার কোনোভাবেই থাকার কথা নয়। এ ধরনের কাজে করতে গিয়ে অনেক বেকারকে শুধু নানা বিড়ম্বনাই নয়, এমনকি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হচ্ছে।
ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি : বর্তমান ছাত্ররাজনীতি নেতৃত্ব তৈরির কারখানা নয়। শিক্ষার্থীরা হচ্ছে ক্ষমতা দখলের বিনা পয়সার হাতিয়ার মাত্র। এদের দিয়ে বিনা খরচে বা পেট-ভাতে মিছিল, মিটিং, হরতাল, ভাঙচুর, মারামারিসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা যায়। হাতিয়ার অসুস্থ বা পুরোনো বা দুর্বল হলে অনায়াসেই পুরোনোকে ছুড়ে ফেলে নতুন হাতিয়ার নেওয়া যায়। দু-একটি ভাগ্যবান হাতিয়ার ছাড়া প্রায় সব পুরোনো হাতিয়ার কালের স্রোতে কোথায় ভেসে যায়, তার খবর কেউ রাখে না। ভাগ্যের পরিহাসে অনেক শিক্ষার্থীর জীবনই নষ্ট হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে পড়াশোনা এবং সুষ্ঠু জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন ছাত্ররাজনীতির অবসান।
শিক্ষক রাজনীতি শিক্ষার্থীদের কল্যাণ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণের জন্য নয়, বরং এ রাজনীতির কারণে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষক রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। তারা এটি করছেন সামান্য লোভের বশবর্তী হয়ে। এ রাজনীতির ফলে কিছু শিক্ষক যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে বা পদ পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে। এ ধরনের অনিয়ম লজ্জাজনক এবং কোনোভাবেই শিক্ষকসুলভ নয়। শিক্ষকদের অবশ্যই এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং নিজের অর্জিত জ্ঞানকে দেশের জন্য নিরপেক্ষভাবে কাজে লাগাতে হবে। একজন শিক্ষক হিসাবে আমি মনে করি, শিক্ষক রাজনীতির অবসান হওয়া জরুরি।
ড. এম এল আর সরকার : প্রফেসর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
lrsarker@yahoo.com