সরকারের সামনে ঝুলন্ত চ্যালেঞ্জগুলো
জেহসান ইসলাম
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করেন, ড. ইউনূস সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোনটি, আমি নির্দ্বিধায় জবাব দেব, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং স্থিতিশীল থাকা।’ কারণ, সরকার টিকে থাকলে এবং স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে বাকি সব কাজ আগে হোক, পরে হোক, হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। থিসিস, অ্যান্টিথিসিস এবং সিন্থেসিসের তত্ত্ব অনুযায়ী, শপথগ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সরকার এখন অ্যান্টিথিসিস পর্যায়ে আছে, যেখানে স্বৈরাচার ও তার দোসররা সদা ক্রিয়াশীল। গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা তা একের পর এক দেখে আসছি। প্রথমে চুরি, ডাকাতি, তারপর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর পাঁয়তারা, এখন গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতা তৈরি ইত্যাদি। সরকার দৃঢ় ও কঠোর না হলে আগামী দিনগুলোতে এসব আরও ব্যাপক, বিস্তৃত হতে পারে, যা প্রতিহত করা সম্ভব না-ও হতে পারে।
দেশের সর্বস্তরের মানুষের মতো আমিও এ সরকারের শতভাগ সাফল্য কামনা করি। কারণ, এর বিপরীত চিন্তা করাটা পাপ। কিন্তু মানুষমাত্রই ভুল করে এবং যিনি যত বড় দায়িত্বে থাকেন, তার ভুল তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য তত বিস্তৃত আকারে বড় বিপর্যয় ডেকে আনে। সেজন্যই বলা হয়ে থাকে, রাষ্ট্রনেতা ভুল করলে দেশ ও জনগণের এবং দলনেতা ভুল করলে দলের এবং দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের জন্য সর্বনাশের কারণ হয়। যেমন স্বৈরশাসক হাসিনার ভুলের খেসারত সাড়ে পনের বছর দেশের জনগণ এবং এখন তার দলের কর্মী-সমর্থকরা দিচ্ছে। সুতরাং, ড. ইউনূস সরকারের সে রকম কোনো ভুল হোক, সেটি আমাদের কাম্য নয়। কিন্তু কাম্য না হলেও তো ঘটে যেতে পারে। তাই প্রতিপদে সাবধান থাকা অত্যাবশ্যক।
ড. ইউনূস এখন প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন। বিশেষ করে তার সুন্দর ও সুবাচনিক ভাষণ মানুষের মনে দাগ ফেলছে। তার যোগ্যতা নিয়ে এখনো কেউ কোনো প্রশ্ন করছে না। আমিও করছি না। কিন্তু এটি দীর্ঘ সময় অব্যাহত থাকবে বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। আমি মাঠের মানুষ। ইতোমধ্যেই বেশকিছু বিষয় নিয়ে সাধারণের মধ্যে সন্দেহ না হলেও দোটানা ভাব কাজ করছে। তারা বুঝতে পারছেন না কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকার কেন কোনো কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিচ্ছে না বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে, কোনো কোনো ব্যক্তিবিশেষের বা ব্যক্তিশ্রেণির প্রতি সরকারের, আরও সুনির্দিষ্টভাবে বললে ড. ইউনূসের দুর্বলতার কারণ কী? এসব বিষয়ে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমও বেশ সোচ্চার। এমনকি যারা স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিগত বছরগুলোতে সবসময় অব্যাহতভাবে অনলাইন লড়াই চালিয়ে গেছেন এবং তার পতনের পর এ সরকারের পক্ষাবলম্বন করছেন, তারাও এর অন্তর্ভুক্ত।
স্থিতিশীলতার সঙ্গে টিকে থাকতে হলে যে কোনো সরকারকে প্রথমে শক্ত ও সুদৃঢ় কাঠামো তৈরি করতে হয়। যেমনটা ইমারত নির্মাণে করা হয়, যাতে তা ভূমিকম্প বা অন্য যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহনীয় হয়। রাষ্ট্র বা যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাঠামো তৈরি হয় এর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সমন্বয়ে। তাদের প্রজ্ঞা, নেতৃত্ব, কুশলতা, বাস্তবতাবোধ, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা, দৃঢ়তা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি থাকা বাঞ্ছনীয়। সে বিবেচনায় সরকারে এ পর্যন্ত যেসব ব্যক্তি নিয়োজিত হয়েছেন, তাদের কারও নাম উল্লেখ না করে মোটা দাগে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরলে বোঝা যাবে এ সরকারের মৌলিক ভিত্তি কতটা মজবুত এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্যোগ মোকাবিলায় তা কতটা কার্যকর হবে।
প্রথমেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিষয়টি দেখা যাক। তার গুণাবলি বর্ণনা করে শেষ করা কঠিন। আর এ সময় তার সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু বলা রীতিমতো ধৃষ্টতাপূর্ণ ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বলে অনেকের কাছে গণ্য হতে পারে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, কোনো মানুষই শতভাগ নিখুঁত নন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাও নন। তিনি রাজনীতিবিদ নন, কাজেই রাজনীতির মারপ্যাঁচ তার ধাতে নেই। সে কারণে ২০০৭ সালে ‘নাগরিক শক্তি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়েও তিনি তা করতে পারেননি এবং স্বীকার করেছেন এটি তাকে দিয়ে হবে না। তিনি এখনো তাই মনে করেন, যা তিনি তার সাম্প্রতিক ভাষণে উল্লেখ করেছেন। অথচ রাষ্ট্রপরিচালনায় রাজনীতি জানা বা বোঝার বিষয়টি খুব জরুরি। বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই, তিনি একজন অত্যন্ত ভালো মানুষ এবং নিখাদ দেশপ্রেমিক। সমস্যটা এ জায়গায়। তিনি যদি উপদেষ্টামণ্ডলী ও অন্যান্য সহকর্মীকে ঠিকমতো বাছাই করতে না পারেন, তাহলে তিনি বিপদে পড়বেন এবং এ রকম আলামত রীতিমতো দেখা যাচ্ছে। সহকর্মীরা প্রধানত কয়েকটি কারণে তাকে ভুলপথে পরিচালিত করতে পারেন। প্রথমত, বিশেষ বিষয়ে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার অভাব, ভুল বিচার। আমাদের এখানে ভুল বিচারের কারণে বা ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলপথে পরিচালিত করার অসংখ্য নজির আছে। সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রশাসনে পদোন্নতি, জেলা প্রশাসক নিয়োগ, হিন্দু কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া বড় উদাহরণ। এগুলোকে অনিচ্ছাকৃত সামান্য ভুল হিসাবে সরলভাবে গণ্য করা সমীচীন নয়। অপরাধী ও ষড়যন্ত্রকারীরা অনেক স্মার্ট।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সহকর্মীদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যাচ্ছে। এসব নিয়ে ইতোমধ্যে বাজারে, মাঠে-ময়দানে ও সামাজিক মাধ্যমে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। আমি কয়েকটি উল্লেখ করছি। যেমন-বয়স্ক ব্যক্তিরা, পিএইচডি ডিগ্রিধারী, এনজিওসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা, অতীতে বড় পদে থাকা এবং অঞ্চলবিশেষের মানুষের পদায়ন। এর কোনোটাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে খারাপ মনে করি না, যদি সেটি সীমা ছাড়িয়ে না যায়। যেহেতু বাজারে কথা উঠতে শুরু করেছে, তাই এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে।
বয়স্কদের প্রতি সম্মান রেখে আমি বলছি, বয়স সত্যিই জীবনের একটি বড় বাধা। এ নিষ্ঠুর বাস্তবতা আমাদের মানতেই হবে। আপনি সবাইকে নিজের মতো ভাববেন না। মহান আল্লাহ সবাইকে সবকিছু দেন না। আল্লাহ আপনাকে অধিক বয়সেও তরুণের মতো কাজ করার সামর্থ্য দিয়েছেন। এটি একটি ব্যতিক্রমী বিষয়। অতএব, অনুগ্রহ করে খেয়াল করবেন, আপনার সরকার যেন বৃদ্ধাশ্রমে পরিণত না হয়।
ডক্টরেট ডিগ্রি থাকলেই যোগ্য প্রশাসক হওয়া যায় না। তাহলে পৃথিবীর তাবৎ পণ্ডিত ছাড়া আর কেউ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারত না। উদাহরণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। চোখ খুলে এখনো বিশ্বের দিকে তাকালেই দেখতে পাওয়া যাবে অনেক স্বল্পশিক্ষিত ব্যক্তি অনেক বড় নেতা ও ভালো শাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাই বলে আমি ডক্টরেট ডিগ্রিধারীদের অমর্যাদা করছি না।
যারা এনজিওসংশ্লিষ্ট, তাদের প্রায় সবাই নরম প্রকৃতির ও আপসকামী (খারাপ অর্থে নয়) হয়ে থাকেন। কাজের ধর্ম ও ধরনই একজন এনজিও কর্মীকে এ প্রকৃতির মানুষে পরিণত করে। কাজেই এনজিও’র কর্মী হওয়া একজনকে দিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন পরিচালনা করা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন করার অবকাশ আছে। এনজিও করা আর রাষ্ট্রীয় প্রশাসন পরিচালনা তথা রাজনীতি করা এক নয়।
আমরা সবসময় দেখে আসছি, অতীতে বড় পদে ছিলেন এমন ব্যক্তিকেই এখনো বড় বড় পদের জন্য খোঁজা হচ্ছে। এটি অবশ্যই একটি ভুল পদক্ষেপ। বিশেষ করে গত সাড়ে পনের বছরে অনেক যোগ্য, দক্ষ ও মেধাবী ব্যক্তি বড় পদে যেতে পারেননি, একমাত্র কারণ তারা হয় সরকারের সঙ্গে অনৈতিক কাজে জড়াতে চাননি অথবা সরকার মনে করেছে, তারা সরকারের কোনো অনৈতিক কাজে সায় দেবেন না। সরকার এ ক্ষেত্রে নিশ্চিত হতে চেয়েছে, কোন্ কোন্ ব্যক্তি বিনা তর্কে সম্পূর্ণ দ্বিধাহীনভাবে অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা করে যাবে। সেক্টর নির্বিশেষে সব ক্ষেত্রেই এ ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি ঘটেছে সিভিল প্রশাসনে। কারা হাসিনা সরকারের ভোটারবিহীন, রাতের ও ডামি নির্বাচন, অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার, ব্যাংক লুট, প্রকল্পের নামে অবাধ দুর্নীতি ও হরিলুট, গুম, খুন ইত্যাদি যতসব জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সেসব তো এখন আর অজানা নয়। আপনাকে বিবেচনা করে দেখতে হবে, গত সাড়ে পনের বছরের আগেও এ রকমটি ঘটেছিল, যদিও ব্যাপকতা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। কোনো অবস্থায়ই এখন ওইসব লোককে পুনর্বাসন করা ঠিক হবে না।
আঞ্চলিকতার বিষয়ে আমি কিছু বলব না। তবে অতীতে বগুড়া বা গোপালগঞ্জের মতো যেন আর কোনো জেলার নাম না আসে, সে বিষয়ে দয়া করে নজর দেবেন।
আমি আপনাকে কয়েকটি প্রস্তাব দিচ্ছি। যুক্তিসংগত ও সম্ভব মনে হলে বিবেচনা করে দেখবেন। প্রথমত, আপনার সরকার যে একটি বিপ্লবী সরকার, এটি আপনাকে মেনে নিতে হবে। বিদ্যমান সংবিধান বা আইন মেনে আপনার সরকার গঠিত হয়নি। বিদ্যমান আইন মেনে পৃথিবীর কোথাও কোনো বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থান হয় না। বরং এর উলটোটাই সত্য। অতএব, আপনার সরকারের জন্য বিদ্যমান কোনো আইনও প্রযোজ্য হতে পারে না। বিপ্লবী সরকার হিসাবে আপনার সরকারই আইন বানাবে। আপনার সরকারের সবচেয়ে বড় বৈধতা হচ্ছে আপনার সরকার জনগণের সাধারণ ইচ্ছার (General will of the people-Rousseau) প্রতিভূ। সুতরাং, বিদ্যমান কোনো আইন আপনার কোনো কাজে বাধা হতে পারে না।
দ্বিতীয়ত, আপনি অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী ও বিদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণকারী রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি ও সরকারপ্রধান হোন। আপনি রাষ্ট্রপতি পদবি গ্রহণ করুন এবং উপদেষ্টাদের মন্ত্রী পদবি দিন। এতে আপনার হাত অনেক বেশি শক্তিশালী হবে। সামরিক-বেসামরিক সব বিভাগের ওপর আপনার সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করুন। আপনি স্বৈরশাসকের মতো আচরণ না করলে কঠোর শাসক হতে কোনো অসুবিধা নেই। হজরত ওমর (রা.), খলিফা হারুনুর রশীদ প্রমুখের কথা স্মরণ করুন।
তৃতীয়ত, বর্তমান উপদেষ্টাদের পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলের (বিতর্ক এড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল, গোলাম কাদেরের জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী ছাড়া) প্রতিনিধি নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করুন। তবে শর্ত থাকবে, যেসব রাজনৈতিক নেতা আপনার সরকারে থাকবে, তারা আগামীতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে এবং এরপর যে সরকার গঠিত হবে, তাতে অংশ নিতে পারবে না। এর ফলে, কোনো ব্যর্থতার জন্য কেউ আপনাকে এককভাবে দায়ী করতে পারবে না।
চতুর্থত, অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সব সচিব, সংস্থাপ্রধান ও কমিশনের সদস্যদের বিদায় দিন। বিকল্প হিসাবে এখানকার দ্বিতীয় ব্যক্তিকে রুটিন কাজের দায়িত্ব দিন। একইসঙ্গে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন বিসিএস ব্যাচের (৮২ নিয়মিত ব্যাচ থেকে শুরু করেছেন, সেভাবেই থাকুক) বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে একটি মিশ্রিত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলুন। বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় বিনা দোষে বঞ্চিত, নির্যাতিত, অপেক্ষাকৃত সৎ ও সাহসী কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দিন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এদের তালিকা নিয়ে সুনাম আছে এমন সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিদের নিয়ে তিন থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিতে পারেন।
পঞ্চমত, প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়কে একটি বিশেষ ক্যাডারের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার উদ্দেশ্যে অন্যান্য ক্যাডার, নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের দিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ করুন। এর ফল অবশ্যই শুভ হবে।
যষ্ঠত, সব ক্যাডার এবং সামরিক বাহিনীর পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে উপযুক্ত কর্মকর্তাদের জেলার ডেপুটি কমিশনার (চাপিয়ে দেওয়া জেলা প্রশাসক পদবি গ্রহণযোগ্য নয়) নিয়োগ করুন (প্রশাসনিক সংস্কার বিষয়ে ভবিষ্যতে আলাদাভাবে লেখার ইচ্ছা আছে)।
সপ্তমত, ইতোমধ্যে যে ছয়টি কমিশনের প্রধান নির্বাচন করেছেন, তাদের মধ্যে পুলিশ ও প্রশাসনিক কমিশনের দুজনকে বাদ দিন। তারা দুজন শুধু বেশি বয়সেরই নন, তাদের অতীতের কর্মকাণ্ড ও নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক আছে।
ফ্যাসিস্ট সরকারের কিছু দোসর ছাড়া বাংলাদেশের সব মানুষ আপনার সরকারের শতভাগ সাফল্য কামনা করে। কারণ এর আগেও বলেছি, এর কোনো বিপরীত চিন্তাও করা যায় না। সফল হতে হলে আপনার সরকারকে গতানুগতিক চিন্তা থেকে অবশ্যই বের হয়ে আসতে হবে এবং বৈপ্লবিক মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
জেহসান ইসলাম : অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব