উপাচার্য নিয়োগ হোক উন্নত বিশ্বের আদলে
ড. মো. আজিজুর রহমান
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আমি যখন এ কলামটি লিখছি, তখন বিশ্ববিখ্যাত সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়েবসাইটে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সমপর্যায়ের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন আমার চোখের সামনে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়, এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং অস্ট্রেলিয়ার ওলংগং বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাথলিক ইনস্টিটিউট অফ সিডনির উপাচার্য বা প্রেসিডেন্ট নিয়োগের বিজ্ঞাপন।
এ বিজ্ঞপ্তিগুলো গত ২০ দিনের মধ্যে প্রকাশিত এবং এখনো আবেদন করার সময়সীমা পার হয়নি। অন্য চাকরির সাইটগুলোয় অনুসন্ধান করে বিশ্বব্যাপী প্রায় শতাধিক উপাচার্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়ল। টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞাপিত উপাচার্য পদের আবেদন প্রক্রিয়া খুব সহজ। আবেদনকারীকে শুধু একটি কাভার লেটার ও জীবনবৃত্তান্ত একটি লিংকের মাধ্যমে আপলোড করতে হবে।
উন্নত বিশ্বে উপাচার্য পদটিকে কীভাবে দেখা হয় এবং একজন উপচার্যকে কী কী কাজ করতে হয়, সেটা পরিষ্কার করতে যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের বিজ্ঞাপনের ভাষা ও প্রক্রিয়া একটু তুলে ধরতে চাই। সেই অনলাইন বিজ্ঞাপনটিতে প্রথমে উপাচার্য কী ধরনের পদ ও ওই পদের দায়িত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে-উপাচার্য হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রধান। উপাচার্যের দায়িত্ব হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং সব শিক্ষক, স্টাফ এবং ছাত্রদের নেতৃত্ব দেওয়া। শিক্ষা ও গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত মিশন, উদ্দেশ্য এবং পারফরম্যান্স সূচকগুলো পূরণ করার লক্ষ্যে উপাচার্য কাজ করবেন এবং তার কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।
এরপর উপাচার্যের মূল দায়িত্বগুলো কী হবে তা মোট ১২টি পয়েন্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এর ১ম পয়েন্টে বলা হয়েছে, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশন এবং এর শিক্ষক, স্টাফ এবং ছাত্রদের দৃশ্যমান এবং মূল্যবোধভিত্তিক নেতৃত্ব প্রদান করবেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়কে পৃথিবীর দ্রুত পরিবর্তনশীল শিক্ষার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে সক্ষম করবে। ২য় পয়েন্টে বলা হয়েছে, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি আকর্ষণীয়, স্বতন্ত্র, স্পষ্ট এবং ইমপ্যাক্ট আছে এরকম একটি মিশন তৈরি করবেন। ৩য় পয়েন্টে বলা হয়েছে, উপাচার্য আত্মবিশ্বাস এবং সৃজনশীলতার সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণা উভয় ক্ষেত্রেই উৎকর্ষ সাধনের জন্য সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবেন।
উপাচার্যের মূল দায়িত্বের ৪র্থ পয়েন্টে বলা হয়েছে, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন ও কৃতিত্ব প্রচারে উৎসাহী হয়ে কাজ করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি রক্ষা এবং আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এর প্রোফাইলকে উন্নত করার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন। এর পরের পয়েন্টটিতে বলা হয়েছে, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্টাফ এবং ছাত্রদের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পিরিট অনুশীলন করতে, ভালো ফলাফল অর্জন করতে এবং গবেষকদের গ্রাউন্ডব্রেকিং গবেষণা করতে উৎসাহিত করবেন। অন্য দায়িত্বগুলোর মধ্যে রয়েছে-কৌশলগত ব্যবস্থাপনা, একাডেমিক স্বাধীনতা এবং বাকস্বাধীনতাকে উন্নীত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ; দেশে-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদির সঙ্গে জ্ঞান বিনিময়; সহযোগিতামূলক কাজের জন্য ফলপ্রসূ অংশীদারত্ব গড়ে তোলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, একাডেমিক কাউন্সিল, ছাত্র প্রতিনিধি এবং ছাত্র সংসদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা, যাতে অসাধারণ একাডেমিক স্ট্যান্ডার্ড এবং গভর্নেন্স অর্জিত হয়।
ওই উপাচার্য নিয়োগের বিজ্ঞাপনটিতে উপাচার্যের মূল দায়িত্বের ১২টি পয়েন্টের পর উপাচার্য পদের জন্য আবেদনকারীর মোট দশটি যোগ্যতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে আবেদনকারীর শক্তিশালী উপস্থাপনা এবং নেটওয়ার্কিং দক্ষতা; জনসম্মুখে এবং মিডিয়ায় কথা বলার আত্মবিশ্বাস; বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কার্যকরভাবে কাজ করার রাজনৈতিক বিচক্ষণতা; আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করার জন্য বুদ্ধিমত্তা, বোঝাপড়া এবং সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা; আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ভ্রমণ করার ইচ্ছা; বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ এবং প্রভাবকে আরও এগিয়ে নিতে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের ট্র্যাক-রেকর্ড; গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল সংগ্রহের বিদ্যমান প্রোগ্রামগুলোর বিকাশ ঘটানো ও নেতৃত্ব দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে পারস্পরিক উপকারী সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষমতা; বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি এবং ছাত্র ইউনিয়নকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশন ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে অত্যন্ত মূল্যবান অংশীদার হিসাবে বিবেচনা করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শাসন, নেতৃত্ব এবং ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুক্ত এবং সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ। যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডসায়ার বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং অস্ট্রেলিয়ার ওলংগং বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া উপাচার্য বা প্রেসিডেন্ট নিয়োগে প্রায় একই ধরনের যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রদের দাবির মুখে প্রায় ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা পদত্যাগ করেছেন। এর সঙ্গে সঙ্গে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হল প্রাধ্যক্ষ, নিবন্ধকসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত বেশির ভাগ শিক্ষকই শিক্ষকতার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে পালন করা এসব প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা, গবেষণাসহ সব প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে ও শিক্ষার্থীরা ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়বে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএসএমএমইউতে উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দিতে পারেনি। গতকাল সংবাদমাধ্যমকে মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা জানিয়েছেন যে, বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সঙ্গে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে। উপাচার্য নিয়োগে বিলম্ব হওয়ার কারণ হিসাবে মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন-শূন্যপদগুলো পূরণের জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, প্রশাসনিক দক্ষতা আছে, বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে যোগ্য, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, সরকারের চাহিদা মোতাবেক যোগ্য ব্যক্তি না খুঁজে পাওয়ার এ সংকট কাটাতে উন্নত বিশ্বের আদলে আমাদের দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ সম্ভব কিনা।
দেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাদেশ-১৯৭৩-এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত তিনজন শিক্ষকের একটি প্যানেল তৈরি করে রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য বরাবর প্রেরণ করবেন এবং আচার্য ওই তিনজনের মধ্যে একজনকে নিয়োগ দেবেন। কিন্তু, সরকার বিশেষ ক্ষেত্রে সিনেট মনোনীত উপাচার্য প্যানেলের বাইরে সরাসরিও নিয়োগ দিতে পারেন। এ চারটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারের সরাসরি উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার বিধান আছে।
সুতরাং, সরকার চাইলেই উন্নত বিশ্বের আদলে বিভিন্ন পত্রিকা, জার্নাল ইত্যাদিতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উপাচার্য হতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করতে পারে। এতে উপাচার্য হওয়ার মতো যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে পেতে সরকারের কোনো বেগ পেতে হবে না। এ সময়ের মধ্যে সরকার একটি সার্চ কমিটি বা মূল্যায়ন কমিটি তৈরি করতে পারে। দ্রুত নিয়োগের স্বার্থে আবেদনের জন্য সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ সময় দেওয়া যেতে পারে। আবেদনের জন্য শুধু ইংরেজি বা বাংলায় লেখা কাভার লেটার এবং জীবনবৃত্তান্ত যথেষ্ট হওয়া উচিত। এরপর, এক সপ্তাহ সময় লাগবে উপাচার্য হয়ে আগ্রহীদের কাভার লেটার ও জীবনবৃত্তান্ত মূল্যায়ন এবং বাছাইকৃত আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের জন্য। সুবিধার জন্য পদের তিনগুণ আবেদনকারীকে শর্ট-লিস্টেড করা যেতে পারে এবং অনলাইনে সাক্ষাৎকার নেওয়া যেতে পারে। সাক্ষাৎকারের সময় একজন উপাচার্য হিসাবে তিনি কেন যোগ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক বিষয়ে তার কর্মপরিকল্পনা কী, তা ব্যাখ্যা করার সুযোগ থাকবে। সব সাক্ষাৎকারের ভিডিও রেকর্ড রাখা উচিত, যাতে নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে কেউ ভবিষ্যতে কোনো প্রশ্ন করতে না পারে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা একজন বড় মাপের স্কলার, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। অন্যদিকে, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, গ্রামীণ ব্যাংকসহ অসংখ্য সফল প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং বর্তমানে মালয়েশিয়ার আলবুখারি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, যা উপাচার্যের চেয়েও অনেক বড় পদ। এর পাশাপাশি তিনি ২০১৫ সাল থেকে অদ্যাবধি অস্ট্রেলিয়ার লা ট্রোব বিজনেস স্কুলের এজাঙ্কট প্রফেসর। এর আগে তিনি ২০১২-১৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যেরও গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। অর্থাৎ দুজন অত্যন্ত যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ এবার দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে অনেক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার কথায়ও এ সুযোগের কথা উঠে এসেছে। এ সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আমার বিশ্বাস। এ প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হয়ে উঠবে শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু। শিক্ষকরা রাজনীতির পরিবর্তে পড়া, পড়ানো, গবেষণা ও প্রকাশনায় মনোযোগী হবেন। অন্যদিকে, যোগ্য উপাচার্য খুঁজতে বেশি বিলম্ব করা সমীচীন হবে না। নতুন নিয়োগকৃত উপাচার্যদের অন্যতম কাজ হবে সেশনজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের চার বছরের কোর্স ঠিক চার বছরে এবং এক, দেড় বা দুই বছরের মাস্টার্স ঠিক সময়েই শেষ করতে পারে। কারণ, ছাত্রদের জন্য একটা দিনও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ড. মো. আজিজুর রহমান : প্রফেসর, ফার্মেসি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ajijur.rubd@gmail.com