বাইফোকাল লেন্স
রাজনীতিকরা বাদ যাবেন কেন?
একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতীকী ছবি
গত এক সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ছাড়া আরও দুটো ঘটনা নিয়ে দেশব্যাপী বেশ আলোচনা হয়েছে। একটি গণমাধ্যমকে দোষারোপ করে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি প্রদান এবং অপরটি সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে সংসদে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের বক্তব্য। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবরও হয়েছে। ২৬ জুন দৈনিক যুগান্তরে ‘সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে সরব আওয়ামী লীগের দুই এমপি’ শিরোনাম দেখে বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়ে মনে হলো, বাহ্ বেশ তো, খোদ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংসদ-সদস্যরা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন! দুর্নীতি নিয়ে সংসদে তারা আগেও কথা বলেছেন। তবে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে এমন জোরালো বক্তব্য আগে কখনো শোনা যায়নি। ২০২০ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে মোমেন একবার দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের কানাডায় অর্থ পাচার ও গাড়ি-বাড়ি কেনা বিষয়ে কথা বলে সমালোচনার ঝড় তুলেছিলেন। তবে সংসদে নয়, সংসদের বাইরে এক অনুষ্ঠানে বিদেশে সম্পদ গড়া ও অর্থ পাচারে রাজনীতিবিদদের তুলনায় সরকারি কর্মকর্তারা যে এগিয়ে, সে তথ্যই তিনি দিয়েছিলেন। কানাডার বেগমপাড়ায় সরকারের অনেক কর্মকর্তারই বাড়িঘর আছে। তার এ বক্তব্য তখন দেশের গণমাধ্যমগুলোয় ফলাও করে প্রচারও হয়েছিল। তবে এটা ঠিক, দুর্নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা অনেক কথাই বলেন। মাঝে-মধ্যে প্রতিবাদও করেন। অতীতে দেওয়া তাদের এমন অনেক বক্তব্যই মানুষের কাছে মুখ রক্ষার বক্তব্য বলে মনে হয়েছে। সরকারদলীয় সংসদ-সদস্যরা মুখে যা বলেন, তা যদি বাস্তবে নিজেরা করে দেখাতেন, তাহলে অন্যদের কাছে তা অনুকরণীয় হতে পারত। কিন্তু যখন দেখা যায়, সরকারি কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ মিলেমিশে একই পাত্রে নিষিদ্ধ ফল ভক্ষণ করছেন, তখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদসহ কতিপয় জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। পুলিশের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির খবর প্রচার করায় গণমাধ্যমকে দোষারোপ করে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশকে ‘পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার হীন উদ্দেশ্য’ বলে অভিহিত করে। এ বিবৃতি দেওয়ার পর দেশের বিভিন্ন সংগঠন, সাংবাদিক সমাজ, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তা ইতঃপূর্বে আর দেখা যায়নি। প্রতিবাদকারী অনেকেই বলেছেন, তাদের এ বিবৃতিই প্রমাণ করে, পুলিশের মধ্যেই দুর্নীতি সুরক্ষাকারী একটা চক্র আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কোন বিবেচনায় পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ বিবৃতি দিয়েছে? ভালো কাজের কদর আছে, কিন্তু কেউ যদি সেই কদরের সুযোগ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ধরা পড়েন, তখন তার পাশে কেউ থাকে না। এ প্রসঙ্গে পুরোনো এক গ্রাম্য প্রবাদের কথা মনে পড়ে গেল। প্রবাদটি এমন, ‘যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর।’ এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বিবৃতিই যথেষ্ট। বেনজীর আহমেদের সম্পদ জব্দের পরই তার অসংখ্য দুর্নীতির খবর প্রকাশ পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কি তার দায় নেবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির দুর্নীতির দায় প্রতিষ্ঠান নেবে না।’ ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্য শোনার পর, বছর চার আগে বেনজীরের দেওয়া অনুরূপ আরেকটি বক্তব্যের কথা মনে পড়ে যায়। ২০২০ সালে ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ যখন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে গুলি করে হত্যা করেন, তখন বেনজীর আহমেদ নিজেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘কারও বক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ নেবে না।’ শুধু বেনজীর নয়, তার আগে এবং পরে সব পুলিশ মহাপরিদর্শকই একই কথা বলেছেন। তাদের এ বক্তব্য এখনো ইন্টারনেট খুললেই পাওয়া যাবে। এ ধরনের বিবৃতি কতটুকু গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষ যদি কোনো দায়-ই না নেয়, তাহলে স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন আসে, কোন উদ্দেশ্য সামনে রেখে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অভিযুক্ত বেনজীরের পক্ষাবলম্বন করে এমন বিবৃতি দিল? যদিও বেনজীর এখনো অপরাধী হিসাবে প্রমাণিত হননি। কিন্তু ওসি প্রদীপের মতো তদন্ত শেষে বেনজীরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া এ বিবৃতির মর্যাদা থাকল কোথায়?
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংসদ-সদস্যরা সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে সংসদে কথা বলতে শুরু করেছেন। এটি ভালো লক্ষণ। তবে তাদের এসব বক্তব্য যেন অতীতের মতো মুখ রক্ষার বক্তব্যে পরিণত না হয়। সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে সংসদে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বিভিন্ন রেফারেন্স টেনে সরকারি কর্মকর্তাদের সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যকে গোছানো মনে হয়েছে। তিনি সংসদে বলেন, ‘আজকে দুর্নীতির কথা উঠলে সবাই প্রথমে আঙুল দেখায় রাজনীতিবিদদের দিকে। রাজনীতিবিদরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, এটি দেশে প্রচলিত আছে। অথচ সংসদ-সদস্যদের মধ্যে মন্ত্রী ছাড়া কারও নির্বাহী ক্ষমতা নেই। তারা কীভাবে দুর্নীতি করবে? দুর্নীতি হয় সরকারের উন্নয়ন ও কেনাকাটায়। সেখানে একজন রাজনীতিবিদের সুযোগ কোথায়, যদি সরকারি কর্মকর্তারা তার সঙ্গে জড়িত না থাকেন।’ একথা সত্য, সরকারি সম্পদের লুটপাট এককভাবে করা সম্ভব নয়। একটি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী (যিনি একজন রাজনীতিবিদও বটে) যদি সৎ, দক্ষ ও করিৎকর্মা হন, তাহলে তার অধীন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর কিংবা পরিদপ্তরে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তারা ব্যাপক দুর্নীতি করার সাহস পান না; কিন্তু দুর্নীতির সুযোগ তখনই ঘটে, যখন মন্ত্রণালয়ের প্রধান হয়েও তিনি সততা ও যোগ্যতায় দুর্বল হন। তবে, মন্ত্রী ও কর্মকর্তার মধ্যে যদি বোঝাপড়া হয়ে যায়, তাহলে দুর্নীতি আর ঠেকায় কে!
সংসদে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হলে তাদের গ্রেফতারে অনুমতি নেওয়া লাগে না। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে একই ধরনের মামলা হলে তাকে গ্রেফতারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিতে হয়। মাহবুবউল আলম হানিফ ‘সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৮’কে সরকারি অপরাধী সুরক্ষা আইন হিসাবে অভিহিত করেছেন। তিনি মনে করেন, এ আইন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি করতে উৎসাহিত করেছে। সরকারি চাকরিজীবীরা ১ বছরের কম শাস্তি পেলে চাকরি থেকে অব্যাহতি পান না। তাদের তিরস্কার, বিভাগীয় শাস্তি প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে। দুর্নীতির বিধিবিধানকে বরং এভাবেই আরও নমনীয় এবং শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। নামমাত্র দণ্ড দিয়ে তাদের চাকরিতে রেখে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও যুক্ত করেন, এ আইনের কারণে দুদক অভিযুক্ত চাকরিজীবীদের আইনের আওতায় আনতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ‘সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৮’ সংসদে কারা পাস করেছে? ২০১৮ সালে সংসদে এ বিল যখন পাস হয়, তখন মাহবুবউল আলম হানিফ কোথায় ছিলেন? এ বিলটি যখন উত্থাপিত হয়েছিল, হানিফ সাহেব সেদিন কেন এ বিলের বিরোধিতা করেননি? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরাই হাত উঁচিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে এ বিল পাশ করেছিলেন। এ ছাড়া তারা আরও মনে করেন, তৎকালীন আমলারা এমন একটি বিল পাশ করার ব্যাপারে সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছিলেন। কথিত আছে, ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার জন্য তখন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বড় বেশি প্রয়োজন ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবশ্য তার প্রতিদানও দিয়েছেন। মাহবুবউল আলম হানিফ ছাড়াও আওয়ামী লীগের অন্য অনেক সংসদ-সদস্য সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে সংসদে বক্তব্য রাখেন।
সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে সংসদে যারা সরব হয়েছেন, তাদের কারও কারও সম্পদ অর্জনের স্বচ্ছতা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন আছে। সংসদ-সদস্য অনেকেই এবার নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় যে সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছেন, তা বিগত সব নির্বাচনের আগে দেওয়া হিসাবের সম্পদের তুলনায় অনেক বেশি; কারও কারও ক্ষেত্রে তা কয়েকশত গুণ। মাহবুবউল আলম হানিফ সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৮ পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেছেন। পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ না করে তিনি নিজেই তো এ আইনের সংশোধনী বিল সংসদে উপস্থাপন করতে পারেন। তার তো সে সুযোগও আছে।
দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সংসদে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ-সদস্যরা যখন সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার, ঠিক তখন সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব প্রতি ৫ বছর পর জমা দেওয়ার যে বিধান রয়েছে, তা শিথিল করা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৮-এর বিধিমালার ১৩ ধারা অনুযায়ী, চাকরিতে যোগদানের সময় সম্পদের হিসাব ঘোষণা করতে হয়। এরপর থেকে তাদের সম্পদের হ্রাস-বৃদ্ধির বিবরণ জমা দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, প্রস্তাবিত পরিবর্তন, কর্মচারীদের মধ্যে দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করবে। এ বিষয়ে, জনপ্রশাসন বিষয়ে অভিজ্ঞ সাবেক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, আগে প্রতিবছর কর্মচারীদের সম্পদ হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব দিতে হতো। পরে সময় বাড়িয়ে তা ৫ বছর অন্তর করা হয়েছে। কিন্তু এখন যদি সে বিধানও শিথিল করা হয়, তাহলে বিষয়টি সরকারের জন্য চরম আÍঘাতীমূলক কাজ হবে। এটি সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও দুর্বল করে দেবে এবং দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করতে পারে। তাতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে না। বর্তমানে তাদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও সর্বশেষ ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সরকারি কর্মচারীরা সম্পদের হিসাব দিয়েছিলেন। এরপর ২০১৩, ২০১৮ এবং ২০২৩ সালে সম্পদের হিসাব দেওয়ার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একবারও সে হিসাব জমা দেননি।
শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নিলেই হবে না। রাজনীতিবিদদের সম্পদের হিসাবও নিতে হবে। ‘দিন বদলের সনদ’ শিরোনামে ২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে মন্ত্রী ও সংসদ-সদস্যদের সম্পদের হিসাব প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মধ্যে দুর্নীতি নির্মূলের এ অঙ্গীকার থেকে সরে আসতে দেখা যায়। কারণ, তখন বিষয়টি নিয়ে সরকারের ভেতর অস্বস্তি দেখা দেয়। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা পরে বলেন, মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের আয়কর বিবরণীতে দেওয়া সম্পদের হিসাবই যথেষ্ট। ফলে তাদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার উদ্যোগটি আর বাস্তবায়ন হয়নি। এদেশে দুর্নীতি শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই করেন না। রাজনীতিবিদদেরও দুর্নীতির এমন অনেক রেকর্ড আছে। রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অতএব আমরা আশা করি, সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ-সদস্যরা সম্পদের হিসাব জমা দিয়ে তাদের স্বচ্ছতা প্রমাণ করবেন।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা